নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বড়োবোন

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮


ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে হুমায়ুন আহমেদের একটা নাটকের (প্যাকেজ সংবাদ) দৃশ্য সামনে এল। ভগ্নিপতি সবাইকে নিয়ে সকালের নাশতা খেতে বসেছেন। কিন্তু তার শ্যালক (আবদুল কাদের) আর পুত্র (জাহিদ হাসান) আসতে দেরি করছে (আসলে তারা ঘুমোচ্ছে)। ভগ্নিপতি ঘরে উঁকি দিয়ে তাদের অবস্থা দেখে এলেন। কিন্তু তাদের নড়চড় নেই। একটু পর এসে শ্যালক নাটক বানানোর প্ল্যান নিয়ে কথা বলতে শুরু করল। তার আগে সবার কুশলাদি জিগ্যেস করছে। সবার প্রশংসা করছে। ভগ্নিপতি খুব বিরক্ত (কারণ, শ্যালক-ভাগ্নে কাজকর্ম কিছু করে না) অথচ বোন মুগ্ধ। বস্তুতঃ ভাই যা করে, তাতেই বোন মুগ্ধ। এই অংশটা দেখে আমার বড়বোনের কথা মনে পড়ল।

করোনার সময় আমি একটা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিলাম এক বন্ধুর সঙ্গে। ভগ্নিপতির সমর্থন ছিল না, কিন্তু বোন-ভাগ্নির সমর্থন ছিল। যদিও ব্যবসার টাকা বোন-ভগ্নিপতি দু'জনই দিয়েছিলেন (প্রসঙ্গত, সে সময় ভগ্নিপতির অসুস্থতার দরুণ তার বাসায় থাকতাম আমি। তার ফার্মেসীতে বসতাম।)। এ ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে আমার। দিনরাত খাটতে হয়েছে। হেন কাজ নেই যা করতে হয়নি। থালা-বাসন ধোয়া, চা-পান বিক্রি সবই করতে হয়েছে।

ব্যবসা থেকে কোনো টাকা নিতাম না। দেখা যেত অনেক সময় আমার পকেটে এক টাকাও থাকত না। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে ব্যবসাস্থলে যেতাম। মাঝেমধ্যে খেয়াল করতাম আমার পকেটে ১০-২০ টাকা। আমি ভাবতাম হয়তো আমিই রেখেছি। একবার-দু'বার এমন হতে পারে, তাই বলে বারবার তো মনের ভুল হতে পারে না। কিন্তু আমি কাউকে জিগ্যেসও করতে পারতাম না যে কে টাকা রাখে। যদিও বিলক্ষণ বুঝতে পারতাম কে রাখতে পারে।

কয়েকমাস আগে বড়োবোনকে হঠাৎ জিগ্যেস করলাম, তুই কেমনে জানতি আমার কাছে টাকা থাকত না? সে বলে, আমি তোর শার্ট-প্যান্টের পকেট হাতাতাম।

আমার ব্যবসাটা চলেনি। ভগ্নিপতির টাকাটা আমার মা জোগাড় করে দিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু বোনের পাওনা টাকাটা এখনও দেওয়া হয়নি। ওকে মাঝেমধ্যে যখন বলি, তোর টাকাটা দেওয়া হলো না। বিপদে কোথায় বোনকে সাহায্য করব, উলটো বিপদে ফেলেছি। সে বলে, তোর নিজেরই চলে না। দিবি কী করে? দরকার নেই।

আমার বোনটার তেমন কিছু নেই। সংসার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে সে। কিন্তু তার মধ্যে রাগ-ক্ষোভ বা লিপ্সা জাতীয় কিছু দেখিনি কখনও। আমার সঙ্গে এখনও দেখা হলে এমনভাবে আচরণ করে, মনে হয় আমি ছোটো বাচ্চা। এমনকি এখনও হাতে ১০০-২০০ টাকা গুঁজে দেয়। আগে নিতে চাইতাম না। এখন চেয়ে চেয়ে নিই। বলি, টাকা দিলি না? সে হাসে।

মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে না। অনেকসময় আমি কল দিতে পারি না, কিন্তু সে হুটহাট কল দেয়। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটল বা ভূমিকম্প হলো, সে সঙ্গে সঙ্গে ফোন দেবে। জিগ্যেস করবে, ঠিক আছি কি না। আমি বলি, ঠিক আছি। আমি কল দিতে পারি না বা তাদের কিছু দিতে না পারার অপারগতা প্রকাশ করলে সে বলে, তুই দিতে পারলে দিবি, না দিতে পারলে নাই। এসব নিয়ে ভাবার কিছু নেই। তাছাড়া তুই ছোটোভাই। তুই কী দিবি? আমাদেরই (বড় দুইবোন) তো তোরে দেওয়ার কথা।

ভগ্নিপতি যখন সুস্থ হয়ে গেলেন, আর আমি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসছি; আমার বোন তখন ভাগ্নিকে বলছিল, তোর মামার জন্য পরাণ পুড়ছে রে। আমি তার মুখের দিকে একবার তাকানোর পর আর তাকাতে পারিনি। আমার বুক ফেটে কান্না আসছিল। কী করুণ তার চাহনি!

বোনের সঙ্গে ইদানীং কথা বেশি হয়। বুঝতে পারি সে খুব খুশি হয়। আমার প্রতি মুগ্ধতা তার এতটুকুও কমেনি। নাটকের সঙ্গে তার সাদৃশ্যের কথা তোলায় সে হেসে কুটিকুটি।

মাঝেমাঝে ব্যবসার কথা তুলে দুঃখ করি। সে বলে, তোর আসলে কোনো দোষ ছিল না। আমি সবসময়ই তোর ওপর আস্থা রাখতাম।

ভগ্নিপতি যদিও বলেছিলেন যার সাথে ব্যবসা করছি, তার সাথে সুবিধে হবে না। সে বড়োলোকের ছেলে। তার ব্যবসায় মন নেই। টাকা উড়াবে। তাও উনি সম্মতি দিয়েছিলেন।

আসলেই সে সময় আমার তেমন কিছু করার ছিল না। পড়ানোর সুযোগও ছিল না। নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবসায় নেমেছিলাম। করোনার সময় যেখানে মানুষের খাওয়া-পরারই সমস্যা যাচ্ছে, তখন রেস্তোরাঁ-কফিশপ ব্যবসা ভালো যাবে না; এ উপলব্ধিটা আসেনি।

বিপদের দিনে খুব কম মানুষকেই কাছে পাওয়া যায়। ব্যর্থ হলে তো সবাই দূর দূর করে। জীবনের হিসেব কষে দেখি কে বা কারা পাশে ছিল বা আছে। কে বা কারা বটবৃক্ষের মতো ছায়া দেয়। আমার বড়োবোনটার নিষ্পাপ মুখচ্ছবি সবার আগে চোখের সামনে ভাসে।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার ধারণা, আপনি কোন কাজই মনপ্রাণ দিয়ে করেননি; দেখেন, এখনকার চাকুরীটা রাখতে পারেন কিনা! বিয়ে করেছেন?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মন-প্রাণ দিয়ে মানুষ সেসব কাজই করতে পারে, সেসব কাজ করে সে আত্ম-সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। সত্যি বলতে আত্ম-সন্তুষ্টির মতো কাজকর্ম জোগাতে নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতেই পারিনি।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ভালো থাকুক পৃথিবীর সমস্ত বোনেরা...
বাই দ্যা ওয়ে, নাটকের নামটা কি জানা যাবে?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্যাকেজ সংবাদ

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



বিয়ে করেছেন?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: না।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আচ্ছা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রাজীব নুরও আমার বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত। উনি নাকি মেয়েও দেখেছেন।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: একজন আছে নীল সাধু আরেক জন বিধৌত সাধু।এই দুই সাধুতে প্রায় পেঁচ লেগে যায়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :(

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ চমৎকার একটা লেখা।

আমাদের বড় বোনেরা বুঝি এমনি হয়!

আর আপনার "বড়ো" এই বানানরীতি দেখে আনন্দ পেলাম। রবীন্দ্রনাথ "বড়ো" বানানটি এভাবেই লিখতেন। এখন খুব একটা চোখে পড়েনা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলা একাডেমি (অ্যাকাডেমি) অনেক শব্দের বানান বদল করে ফেলেছে (যেমনঃ আপস, ঘুস, ঘুসি, ইদ, গোরু, ছোটো, বড়ো, শিঙাড়াসহ আরও অনেক)। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আর কী :)। তবে রবীন্দ্রনাথের সময়কার শব্দ বা বানানরীতি এখনও আমাকে আকর্ষণ করে।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: রাজীব নুরও আমার বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত। উনি নাকি মেয়েও দেখেছেন।

-উনাকে বলে দিয়েন যে, আপনি বিবাহিত।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুঁজতে থাকুক।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার জীবনের গল্প আমাকে বেশ টানে। আমি একসময় ধানচালের ব্যবসা করতাম।নিজেই ধান চাষ করতাম।সেই ধান থেকে চাল বানাতাম।একসময় সেই সাথে মুদি দোকান দিলাম। ব্যবসায় আরও উন্নতি হলে ব্যবসা সম্প্রসারিত করে সার ও কীটনাশক এর দোকান দিয়েছিলাম।ক্রমে ক্রমে ব্যবসা অনেক বড় হয়েছিল।নওয়াপাড়া থেকে ট্রাকে করে সার আনতাম। একসময় সেই ব্যবসা গুটিয়ে।ব্যবসার টাকা আর ডি পি এস ভেঙে যশোর শহরের খড়কি এলাকায় ছয় কাঠা জমি কিনি কিন্তু সে জমি একজন প্রভাবশালী ভূমি দস্যুর কবলে পড়ে।অনেক ঝামেলা হলেও কোন সুরাহা হয় নি এখনও।অথচ কত পরিকল্পনা ছিল।
আপনার বড় বোনের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। আশা করি শুভ সংবাদ শীঘ্রই পাবো ;)
ভালো থাকুন সব সময়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাফল্য ধরা দিয়েও শেষে জমিটা ভূমিদস্যুর দখলে! দুঃখজনক। আপডেট জানাবেন।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার এই নিদারুণ কাহিনী পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো হয়ত সামনে ভালো কিছু আসবে।
বোন আর ভাইএর মধ্যকার এই কাহিনী কি নিছক গল্প বলেই নেব? নাকি আপনার নিজের জীবনের গল্প?

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সম্পর্ণই নিজের জীবনের গল্প।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার কল্যাণে প্যাকেজ সংবাদ নটকটি দেখলাম, বেশ ভালো লেগেছে বিশেষ করে শেষের দিকে 'মারো চিকা মারো' গানটি। :D
আমি মাঝে মাঝেই ইউটিউবে হুমায়ুন আহাম্মেদের নাটক দেখি।

বাংলাদেশে নতুন একটি ব্যবসা দাঁড় করানো অনেক কঠিন, তবে কখনো হাল ছাড়া যাবে না। আসলে মানুষ কখনো হারে না, হয় সে জিতে না হয় অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষ কখনো হারে না, হয় সে জিতে না হয় অভিজ্ঞতা অর্জন করে। একদম ঠিক। দারুণ এক শিক্ষা হয়েছে।

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার শুধু হতাশার গল্প! আপনার বোনের স্বামী অভিজ্ঞ মানুষ তাঁর পরামর্শ নেয়া উচিৎ ছিল। আপনি ভুল যায়গায় শ্রম দিয়েছেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাইরাল ওই সংলাপটা দিতে হয় 'তখন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি'। এমন একটা সময় ছিল যখন সবাইকে ভালো রাখব আর নিজে ভালো থাকব অথচ সবাইকে নিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। যে টাকা খরচ হয়েছে তার জন্য এখনও আফসোস হয়।

১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,




টাচি লেখা।
বড়ো বোনেরা মনে হয় এমনই মাতৃতুল্য হয়!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বড়ো বোনেরা মনে হয় এমনই মাতৃতুল্য হয়! ঠিকই। তাদের মায়ায় জীবনের ঊষর ভূমিতে বৃষ্টি নামে।

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ব্যবসা সম্পর্কে একটা কথা তখন বলতে চেয়েছিলাম।

স্কুল কলেজে থাকতে প্রচুর পরিমানে সুনীল, শীর্ষেন্দু, সমরেশ মজুমদার, বুদ্ধদেব গুহ পড়তাম। তদের বই পড়ে খুব যে সাহিত্যবিদ্যা অর্জন করেছি এটা মনে হয় না। তবে সুনীল কোন এক ভাবে মাথার মধ্যে এই বিশ্বাসটা ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন যে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। পার্টনারশীপের ব্যবসা বাঙ্গালীর পক্ষে আরও অসম্ভব।

উপরে আমাদের শেরজা তপন ভাইকে দেখে (যিনি একজন সফল ব্যবসায়ী) এই মন্তব্য করতে ধর্মবুদ্ধিতে একটু পীড়া বোধ করছি! তবে আমার ধারণা আপনার স্বভাবের মধ্যে পথের পাঁচালীর অপু প্রচুর পরিমানে আছে। অতএব দ্বিতীয়বার ব্যবসা করতে গেলে নিজের অতীত অভিজ্ঞতার সাথে সাথে অপুর ব্যবসার অভিজ্ঞতাগুলোও মনে করবেন!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ব্যবসায় শিক্ষায় পড়ালেখা করেও শিখতে পারলাম না কিছু। মনে হয় না পারবও। বস্তুত অর্থ সংশ্লিষ্ট কিছুই টানে না। ভবিষ্যতে কিছু করতে গেলে পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বোনের কি অবস্থা এখন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালোই। তবে তাদের তাদের জমিতে কাজ করতে গিয়ে কারেন্টের শক খেয়ে এক লোক মারা গেছে সম্প্রতি। এটা নিয়ে মানসিক অবস্থা ভালো নেই।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ১। আমার কোনো বোন নেই।
২। মানুষের বিপদের আপনি মানুষের পাশে থাকেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষের বিপদের আপনি মানুষের পাশে থাকেন? থাকি তো। আবার মাঝেমধ্যে ধোঁকাও খাই।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার বোনটার তেমন কিছু নেই। সংসার জীবনে অনেক কষ্ট করেছে সে। কিন্তু তার মধ্যে রাগ-ক্ষোভ বা লিপ্সা জাতীয় কিছু দেখিনি কখনও। আমার সঙ্গে এখনও দেখা হলে এমনভাবে আচরণ করে, মনে হয় আমি ছোটো বাচ্চা। এমনকি এখনও হাতে ১০০-২০০ টাকা গুঁজে দেয়। আগে নিতে চাইতাম না। এখন চেয়ে চেয়ে নিই। বলি, টাকা দিলি না? সে হাসে। বনেরা এমনি হয়

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.