নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইলো পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলা নিয়ে কিঞ্চিৎ বাতচিৎ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০


শুক্রবারের পর (১০ ফেব্রুয়ারি) আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় গিয়েছিলাম। দু'দিনে বই কিনলাম মোটে একটা। নাটকের বইয়ের জন্য অন্য প্রকাশ’র স্টল খুঁজতে খুঁজতে মুক্তদেশ’র স্টলের সামনে আসার পর স্বয়ং লেখক মহাশয় বইটা হাতে ধরিয়ে দিলেন। নেড়েচেড়ে দেখলাম। তারপর মনে হলো লেখা খারাপ না।

উপন্যাসধর্মী এ বইটার নাম 'পোস্টমর্টেম'; লিখেছেন মাসুদ চাকলা নামে জনৈক লেখক। এটা উনার তৃতীয় উপন্যাস। উনার প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'কীর্তনখোলার বাঁকে'। এরপর উনি 'হাসেম আলীর স্বপ্নভঙ্গ', 'নরকবিলাস' লিখেছেন।

এর আগে বইমেলা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। অনেক স্টল খাঁ খাঁ করছে। লোকজন বই কেনার চেয়ে ঘোরাঘুরিই বেশি উপভোগ করছে। প্রেমিক-প্রেমিকাই বেশি মনে হলো। অবশ্য বইমেলায় প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে ঘোরাঘুরির আনন্দই অন্য রকম

যাহোক, কিছু কিছু প্রকাশনী একদম নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করেছে। তাদের সাহসী পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বই কেনাবেচার যা অবস্থা দেখলাম খুব খারাপই লাগল।

কিছু কিছু বই তো যাচ্ছে তাই। মানুষ গুরুত্বপূর্ণ সব বই রেখে কেন এসব পড়বে? সাহিত্যের প্রতি মমত্ববোধ নেই এমন মানুষ বই প্রকাশ করলে আমার মনে হয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। এর বাইরে যারা মোটামুটি ভালো লেখেন, তাদের কি আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবও নেই একটা-দুটো বই কেনার- এই প্রশ্নটাও উঁকি দিল মনে।

কোনো প্রকাশক বা লেখক ভদ্রতার খাতিরে বেচাকেনা নিয়ে সঠিক তথ্য দেন না, তবে ব্যবসা যে খুব ভালো না সেটা সহজেই অনুমেয়। তার ওপর বইয়ের যা দাম, ইচ্ছে থাকলেও অনেকের সাহস হয় না।

আমি বই প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখকদের প্রায়ই বলি কিছু ধরা পাঠক না তৈরি করে শুধু শুধু বই করবেন না। আপনার যত্নে লেখা বইটা কেউ কিনছে না, কিনলেও খাটের নিচে ফেলে রাখছে- এটা নিশ্চয়ই আপনার জন্য অপমানজনক। তারচেয়ে বরং বিভিন্ন জায়গায় লিখুন। লোকজন মতামত দিক। তারপর না হয় বই করুন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছুটির দিনে তো দেখি লোকে লোকারণ্য ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুঁ। পা ফেলারও জায়গা থাকে না। তবে এত এত লোকের মাঝে সমঝদার পাঠক কমই।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

মুজাহিদুর রহমান বলেছেন: আজকে আমি বইমেলায় গিয়েছিলাম। সেদিন অপু তানভীর ভাই যে বইটি সাজেস্ট করেছিল (how an economy grows.....), সেটি কিনতে গিয়ে তো অবাক হলাম। দেখলাম বইটির ভাষান্তর করেছেন অপু তানভীর ভাই নিজেই! যাইহোক বইটি কিনলাম। এছাড়াও আরো তিনটি বই কিনেছি। এখন এগুলো সব পড়ে দেখি কেমন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো বই আছে। বাছাই করতে পারলেই হলো। কিন্তু ভালো বই পড়ার মতো পাঠক কয়জন আছে?

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর বলেছেন...

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



অপু তানভীর যে বইটি সাজেস্ট সেটা কিনার দরকার।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বই পড়ার মতো সমঝদার পাঠক এখন নেই বললেই চলে।

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু,



হা...হা......কিঞ্চিৎ বাতচিৎ নহী, বঁড়ীয়া ওজনদার বাতচিৎ হো গ্যায়া! :P
শেষের প্যারাটিতে ঠিক বলেছেন ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসব বইটই নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে আমার। তাই দুঃখের সাথে বলতে হলো।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



যার বই কিনেছেন, তিনি কি করেন?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন:

৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৩

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বই কেনার পাঠক বানিয়েই তো ভ্লগাররা বই বের করছেন, অথচ ব্লগাররা বই বের করার সাহস করতে পারেন না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখন ফেসবুক-ইউটিউবের যুগ; বই পড়ে না লোকে।

৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি কিছু বইয়ের নাম দিলাম। এই নামে বই বের করলে মানুষ নাম দেখেই খরিদ করবেঃ
১। ঘেডি ব্যাথার নির্বাচন - হিরো আলম
২। রাজাকারের বংশধর - চঞ্চল চৌধুরী
৩। পিরিতের থাবরানি - মামুন ও লায়লা
৪। চিনি বাবার আদ্যোপান্ত - তিশা খোন্দকার
৫। আর্মির বিটলামি - ইমরান খান
৬। সস্তায় মাংস বিক্রির অব্যর্ত্থ তরিকা - খলিল
৭। পিন কোডের গুঁতা - দীঘি
৮। আমার ভাতের হোটেল - ডিবি হারুন

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নামগুলো কিন্তু অস্থির।

৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পথে-ঘাটে মাত্রাতিরিক্ত মানুষ, বই মেলায়ও অযাচিত প্রচুর মানুষ, যাওয়ারও পরিবেশ নেই বলে আমার মনে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ভালো কোন লেখকের নামও জানি না। মেলাটা এখন অনেকটাই লোক দেখানো বিষয় বলে মনে হয়। তদাপি মেলায় যাওয়া হলেও হতে পারে যদিও সম্ভাবনা অনেক ক্ষীন। ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেশে থাকলে জানায়েন। দেখা হবে।

১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এ বছর আমি বইমেলায় যাবো না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কিন্তু কেন? আপনার তো পয়সার অভাব নেই।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার আজ বই মেলায় যওয়ার কথা ছিল কিন্তু যাওয়া হয় নাই, আগামী সাপ্তাহে একবার ঢুঁ মারতে পারি।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কবে আসবেন জানায়েন।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: আমি কিছু বইয়ের নাম দিলাম। এই নামে বই বের করলে মানুষ নাম দেখেই খরিদ করবেঃ
১। ঘেডি ব্যাথার নির্বাচন - হিরো আলম
২। রাজাকারের বংশধর - চঞ্চল চৌধুরী
৩। পিরিতের থাবরানি - মামুন ও লায়লা
৪। চিনি বাবার আদ্যোপান্ত - তিশা খোন্দকার
৫। আর্মির বিটলামি - ইমরান খান
৬। সস্তায় মাংস বিক্রির অব্যর্ত্থ তরিকা - খলিল
৭। পিন কোডের গুঁতা - দীঘি
৮। আমার ভাতের হোটেল - ডিবি হারুন

=p~ =p~

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কেউ হয়তো এসব নামে লিখবে না। অথচ নামগুলো কিন্তু সুন্দর।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: আমাদের প্রকাশনা শিল্প নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। যে দেশে বইয়ের দোকানের চাইতে চায়ের দোকানে বেশি মুনাফা হয় সে দেশে পাঠক তৈরি হবে এমন ভাবনাই ভুল। বইমেলায় প্রথম শুক্রবার গিয়েছিলাম ইচ্ছা আছে শেষ শনিবার আবার যাওয়ার। গত কয়েক বছরের মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে বইমেলায় যে সমস্ত বই বের হয় তার একটা বড় অংশ রদ্দি মাল। এগুলোর বেশির ভাগই কালোত্তীর্ন তো নয়ই মাসোত্তীর্নও নয়। এর কারণ কি সেটা নিয়ে গবেষনা হওয়া প্রয়োজন।

আঠারো কোটি মানুষ যদি ধরি তাহলে এ দেশে একটা বইকে বেস্টসেলার হতে অন্তত পক্ষে এক লক্ষ কপি তো বিক্রি হওয়া দরকার। হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া এরকম বেস্টসেলার বাংলা সাহিত্যে সাম্প্রতিককালে কেউ দিয়েছে বলে শুনিনি। আপনি বললেন পাঠক তৈরি করার কথা। এটা দরকার আমিও মনে করি। কিন্তু আপনি আমাকে বলেন তো ইউরোপ আমেরিকাতে একজন লেখক কি পাঠক তৈরি নিয়ে ভাবেন না তার লেখালেখি নিয়েই ভাবেন?

সম্প্রতি আমি ফেসবুকে পার্সোনাল লাইব্রেরির একটা গ্রুপে জয়েন করি। আমি অবাক হয়েছি ওদের বই নিয়ে উৎসাহ দেখে। এটা ওদের কালচারের অংশ। ওরা প্রচুর বই কেনে এবং পড়ে। পারিবারিক লাইব্রেরিও ওদের অনেক সমৃদ্ধ। আর আমাদের দেশে আমরা বই পড়ার জন্য মার পর্যন্ত খেয়েছি। ঢাকার কয়টা বাসায় বুকশেলফ আছে বলতে পারেন। একটু টাকা হলে এলিট ভাব আনতে ড্রয়িং রুমে কোণা দিয়ে একটা কোন রকম বুকশেলফ দিয়ে বই দিয়ে ভরিয়ে রাখায় তো আর কালচার হয় না।

আমাদের আসলে পেশাদার লেখক লাগবে শ পাচেক, গোটা পঞ্চাশেক জাতের প্রকাশনী আর সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে পাঠাগার। মানুষ বই পড়বে বই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি নিজে একসময় প্রচুর বই পড়তাম, অথচ এখন এক পৃষ্ঠা পড়লেও কষ্ট হয়। অন্যদের দোষ দিয়ে কী করব? তবে পড়ার ইচ্ছে হয়, বই কেনারও ইচ্ছে হয়। কিছু কিছু কিনিও। কিন্তু সময় এবং অর্থ বড় প্রতিবন্ধকতা। এখনকার লোকজন বড় যান্ত্রিক। ফেসবুক-ইউটিউব দেখে আনন্দ পেলে কষ্ট করে বই পড়বে কেন? আমরা অতিরিক্ত বই পড়তে গিয়ে মার খেয়েছি। এখনকার মা-বাবারা কী করলে লাভ হবে, সেটা ভাবেন? মানসিক বিকাশ নিয়ে হেলদোল নেই।

পেশাদার লেখক হবে না। কারণ, লেখালেখিতে পেট চলে না। পেট সবার আগে। লেখালেখি সেকেন্ড অপশন। যারা ভালো লেখেন তারা বেশি ভাবার সুযোগ পান না। এরমধ্য থেকেই আমাদের বাছাই করতে হবে ভালোমন্দ। মানিক-বিভূতি-তারাশঙ্করের দিন আর নেই।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১০

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশে থাকলে জানায়েন। দেখা হবে।

দেশে এসেছি কয়েক মাস হয়ে গেছে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.