নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট হয়ে পরিচিতি পেতে। ছবির কাটাকুটিকে আশ্রয় করে জীবনে শেষ প্রান্তে পৌঁছে এক প্রকার ঘোরের বশে এঁকে ফেলেছিলেন প্রায় আড়াই হাজারের মত ছবি। এ এক বিস্ময়কর ঘটনা। আর সেই শিল্পী রবীন্দ্রনাথ আজ ভারত তথা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিল্পীর একজন। এমন মহান শিল্পীর জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।



















আর্টিস্ট সাদেকের পেজ থেকে সংগৃহীত

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: ছোটবেলায় ছবিগুলো ভূত ভূত লাগতো। আমার প্রিয় কবির আঁকা এসব ছবির কোনো মানে খুঁজে পেতাম না আমি। বড়বেলায় বুঝি রবিঠাকুরও কোনো অংশেই কোনো আর্টিস্টদের থেকে কম নহে।

কবিগুরুর জন্য শ্রদ্ধা আজীবন!!!

০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: শান্তিনিকেতনের যাদুঘরে এসব ছবি প্রদর্শিত আছে । আমার সৌভাগ্য আমি মুল ছবিগুলো দেখেছি ।

২| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০১

বিষাদ সময় বলেছেন: তার আঁকা ছবির সংখ্যা যে এত বেশি তা জানা ছিল না।

০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও জানতাম না । আর্টিস্ট সাদেক এসব ছবি সংগ্রহ করেছে ।

৩| ০৯ ই মে, ২০২৪ ভোর ৫:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: রবির আলো পড়েছে সব দিকে।আলোকিত করেছে শিল্প সাহিত্যের সকল দিক।

০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: জীবনের কোন দিক উন্মুক্ত করেনি রবি ঠাকুর ? সবখানেই রবির রব ।

৪| ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের অপুর্ব সৃষ্টিসম্ভারের একটি গুরত্বপুর্ণ দিক তুলে ধরেছেন ।
এই পোষ্টে তাঁর আঁকা অনেক সুন্দর ছবি দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন । সত্যিই রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল
শিল্পকর্ম ছিল অপরিসীম।

উল্লেখ্য রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পকর্মের মধ্য মানুষের মুখ একটি লক্ষণীয় ধ্রুবক। একজন শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে,
তিনি মানুষের চেহারাকে আবেগ এবং যতার্থ অনুভবের সাথে সংযুক্ত করেছেন, তেমনি অঙ্কনেও তাঁর সৃষ্টিকে
যতার্থভাবে মুর্ত করে তুলেছেন । রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা মুখগুলি অগণিত মেজাজ প্রকাশ করে: বিষাদময়,
রহস্যময়, ভয়ঙ্কর, মেলোড্রামাটিক এবং রোমান্টিক।

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পকর্মগুলি সাধারণভাবে দুঃখে আচ্ছন্ন। তার মা মারা যান যখন তিনি একটি বালক ছিলেন,
এবং তার জীবন ক্রমাগত ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি দ্বারা বৈশিষ্টমন্ডিত হয়েছিল। শৈশবের খেলার সাথী, বৌদি এবং
সাহিত্যিক সঙ্গী কাদম্বরী দেবীর আত্মহত্যার পর এবং ১৯০২ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত তার স্ত্রী, কন্যা এবং
কনিষ্ঠ পুত্রের মৃত্যু দেখে তিনি শোকে জর্জরিত হয়েছিলেন। সে সকলের ছায়া পরেছে তার চিত্র কর্মে ।

মানুষের মাথা নিয়েই তিনি অনেক ছবি একেঁছেন । তাঁর আঁকা 'মাথা'গুলির মধ্যে, মহিলা চিত্রগুলি বিশেষভাবে
সুপরিচিত।১৯৬১ সালে প্রকাশিত মুল্ক রাজ আনন্দ তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লিখিত
প্রবন্ধে নীচে প্রদর্শিত ছবিটি প্রসঙ্গে বলেছেন ‘Their gentle eyes and melancholy faces are half
opaque… The pain has ceased but the pathos lingers. The pain lingered so much that
this oval faced woman came back again and again with her head cloth flowing in
mellow colours transmitting dream into reality on an absolute pain.

ছবিটি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের রূপক চিত্রকলার প্রতিভাকে নিখুঁতভাবে প্রদর্শন করে। মহিলাটির মুখে আলোর
ঝিকিমিকি আছে - যেন রাতের অন্ধকার ফেটে উদয় হয়েছে একটি ভোর যা অনড় থেকে দিগন্তের উপরে
সর্যোদয়ের নিরাবতায় গোলাপী এবং অস্পষ্ট সোনায় আলোর বিকিরণ ছাড়া আর কিছুই নাড়ায়না ।

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সৃষ্ট শিল্পকর্মে শ্রোতাদের মোহিত করার জন্য চমতকার রংএরও ব্যবহার করেছেন যা
রহস্যের অনুভূতি প্রকাশ করে। তাঁর আঁকা বেশিরভাগ স্বতন্ত্র মুখের প্রতিকৃতি সরাসরি দর্শকের প্রতি প্রসারিত
যা থেকে মনে হয় তা যেন বাইরে কিছু দেখছে। সেগুলিতে একটি শব্দহীন আবহ রয়েছে যা আমাদেরকে
সহানুভূতিশীলতার নিমগ্নতায় আচ্ছন্ন করে।

সময়ের সাথে সাথে তার আঁকা এবং আঁকার জন্য প্রশংসা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং ঠাকুরের শিল্পকর্মের
বাজার চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে।১৯৭৬ সালে, ভারত সরকার রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজের 'শৈল্পিক এবং
নান্দনিক মূল্যের' জন্য সেগুলিকে জাতীয় ধন ঘোষণা করে এবং দেশের বাইরে তাঁর শিল্পকর্ম রপ্তানি নিষিদ্ধ
করে। তবে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্প কর্ম বিবিধভাবে বিশ্বের বিভিন্ন আর্ট গ্যলারীতে স্থান করে নিচ্ছে ।
যেমনটি দেখা যেতে পারে নীচের বর্ণনা ও ছবিতে ।
ছবি : রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কিত রাইইডার ইন নাইট

Acquired in Calcutta in the 1950s by a private Ohio collector
Purchased from Aicon Gallery, New York, June 2009
Exhibited in
London, Aicon Gallery, The Emergence of Indian Modern Art,
13 January-19 February 2011
London, Nehru Centre, Rabindranath Tagore’s Influence on Modern Indian Art,
7 October 2011
Venice, Museo di Palazzo Grimani, Frontiers Reimagined, 9 May - 22 November 2015

সব ছবি সুত্র : https://www.sothebys.com

শুভেচ্ছা রইল

০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার আলাপ আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে । অনেক ছবি পেয়েছি , জায়গার অভাবে তা ছাপা গেল না । ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তুলে আনার জন্য ।

৫| ০৯ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন লোক এত প্রতিভার অধিকারী কীভাবে হয়, এটা এক বিরাট বিস্ময়।

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: গোটা ঠাকুর পরিবার বিবিধ প্রতিভার অধিকারী । স্থান , সময় রবিকে ফেভার করেছে তাই রবি আরও উজ্জ্বল হয়ে বিচরন করেছেন ।

৬| ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আচ্ছা, বলতে পারেন,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন শাখায় বিচরণ করেননি? দেখে, ভেবে মুগ্ধ হই।

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আসলেও তাই ।

৭| ০৯ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রামানিক বলেছেন: তার প্রতিভার প্রশংসা করতে হয়

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হয় ।

৮| ০৯ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বলেন কি! আমরা তো রবিন্দ্রনাথকে কবি হিসাবেই চিনি, তিনি আড়াই হাজার ছবি একেছেন!!

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: সারাক্ষন লেখালেখি বা আকাআকি করেছেন । তার উত্তরপুরুষ আর শান্তিনিকেতন সংরক্ষন করেছে বলেই আমরা দেখার সৌভাগ্য পাচ্ছি ।

৯| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ!

০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: :`>

১০| ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ কবিরাজিও করতেন।

১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , জেনেছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.