নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্ম আমার ধন্য হল- আ হা রে!!

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২০


উৎসর্গঃ বাংলাদেশের সকল ভুক্তোভুগী জনগণ।
০১৩ সাল। বাংলাদেশ নামে ছোট্ট সাধারণ অতি গরিব একটা দেশ 'ডিজিটাল বাংলাদেশে' রূপান্তরিত হবার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে ততদিনে।
আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সখানা রিনিউয়ালের জন্য জমা দিয়েছিলাম- এর আগের বার রিনিউয়ের জন্য সাতবার বি আর টি এ থেকে সময় বাড়িয়ে দুইবছর পরে লাইসেন্স পেয়েছিলাম তাও পাঁচ বছর মেয়াদি। তবে এবার স্মার্টকার্ড দিবে আর এক ধক্কায় দশ বছরের জন্য লাইসেন্স পাব।
অথছ ড্রাইভিং লাইসেন্স কেন পাঁচ বছর পর পর নবায়নের দরকার হয় সেটা মার সল্প বুদ্ধির এন্টেনাতে এ যাবত ধরা পড়েনি।
কোন ড্রাইভার গাড়ি চালাতে চালাটে ফিটনেস হারিয়ে ফেলে? লক্কর ঝক্কর বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় নাকি ড্রাইভিং ভুলে যায় যে তাঁকে তাঁর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে?
যাই হোক, ২০১৩ তে এমন একটা তেলেসমাতি ঘটনা ঘটল যার ফলে আওয়ামী সরকারের প্রতি আমার একটা শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হল। আচমকা আমার মোবাইলে একটা টেক্সট আসল বি আর টি এ থেকে। আগামী অমুখ তারিখে বি আরটি এ তে আমার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ছবি তুলে আসতে বলা হয়েছে।
তমুক দিন আমি বেশ সময় নিয়ে ভয়ে ভয়ে বি আর টি এ তে গেলাম- শঙ্কায় আছি না জানি কত সময় লাগে।
ও মা গিয়ে টোকেন নিয়ে বসার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ডাক পড়ল। দশ মিনিটেই আমার কম্মো সাবাড়।!!
মনে মনে ভাবলাম 'সাবাস বাংলাদেশ- বিশ্ব অবাক নয় শুধু হাঁ করে তাকিয়ে রয় ( দুই চারটা মাছি গেলেও তাতে 'রা' নেই)!!'
***
খন দশ বছর বিশাল সময় মনে হলেও ক্যমনে যেন ফুরুত করে উড়ে গেল!!
ফের আসল নবায়নের সময়। আমার কোন টেনশন ছিল না- ডিজিটাল বাংলাদেশে এই দশ বছরে যে গতিতে এগিয়েছে- বলা যায় না একহাতে এই লাইসেন্স দিতে দিতে অন্য হাতে হয়তো নতুন ঝকঝকে স্মার্ট লাইসেন্সখানা পেয়ে যাব।
কিন্তু গোল বাঁধাল আমার ড্রাইভার! তাঁর লাইসেন্স নবায়য়নের জন্য এক মাসে তিন চারবার ছুটি চাইল;
স্যার আজকে ডাক্তারি, আজকে ডোপ টেস্ট, আজকে হ্যান ত্যান এই সব বুজরুকি। কাল লাইন বেশী লম্বা ছিল; সরকারী কাম আড়াইটায় বন্ধ ( একটায় হাতা গুটায়, সোয়া একটায় ওজু, দেড়টায় নামাজে দাঁড়ায়, দুইটায় নামাজ শেষে ভুরিভোজ আর গল্প, এরপরে পান চিবানো চা বিড়ি খাওয়া সহ ব্যাপক কাজের ফিরিস্তি; আহারে ওরা কেউই আড়াইটার মধ্যে বেরুতে পারে না) আজ ফের যেতে হবে।
মাস শেষে তাঁর সব কাম শেষ। বাকি শুধু ফিঙ্গার (আঙ্গুলের ছাপ) আর ছবি। আমি ভাবি যাক ওর ঝামেল শেষ আর একদিন বড়জোর ঘন্টা খানেকের কাজ।
ওমা সেদিন সে পুরা দিনের ছুটি চায়। আমি তো রেগে টং; ব্যাডা মোরে বলদ পাইছো। হেইয়্যা মুই করি নাই মনে লয়?
আধাঘন্টার কাজে সারাদিন ফাঁকি মারার ধান্দা!! ওসব চলবে না -কাম শেষ হইলেই আমারে ফোন দিবা।
ঘন্টার পর ঘন্টা যায় সে আর ফোন দেয় না। শেষ মেষ আমিই দিলাম। রেগে মেগে বললাম, কই তুমি?
-ছার আমিতো ফিঙ্গারের লাইনে।
-কি কও কতবড় লাইন?
-তা ছার আমার সামনে ৪/৫ শ লোক আছে এখনো।
-কি কও ক্যামনে কি?
রাতে সে আবার ফোন দিল, ছার কালকেও ছুটি লাগবে?
-মানে? ব্যাপক খাপ্পা আমি।
-মানে ছার লাইনের মাথায় যাইতে যাইতে অফিস বন্ধ হয়ে গেছে।
-কাল ভোর ছয়টায় লাইনে দাড়াতে হবে।
-কাহিনী কি কও তো?
- আগে ঢাকা জেলার সব বি আর টি এ অফিসে তে ফিঙ্গার নিত ছবি তুলত। এখন সেই সিস্টেম বাদ হয়ে গেছে। এখন সারা ঢাকা জেলার লোক একখানে এসে ফিঙ্গার আর ছবি তুলতে হয়।

র টাতো শেষ হইল- এইবার আমার পালা। আর সব বাঙ্গালোর মত আমিও ফাঁক ফোঁকর খোজা শুরু করলাম! লাইসেন্সের টাইম অলরেডি আউট। গাড়ি চালাব কি চালাব না সেই নিয়ে দ্বীধাদন্দে থাকি। একদিন এক খানদানী ট্রাফিক সার্জেন্টকে ডেকে বলালাম ভাই, আমি যদি মেয়াদোত্তির্ণ লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ধরা খাই তাইলে ফাইন কি?
তিনি কইলেন, বিনা লাইসেন্সে যিনি গাড়ি চালায় তাঁর যা ফাইন আপনারও তাই হবে!
আমি তখন আমারে গালি দেব, দেশ কে গালি দেব, নাকি সিস্টেমরে সেইটা বুঝে আসছিল না।
***
যাহোক অনেক ভেবে চিনতে ফোন দিলাম কালা রানাকে। সে জবরদস্ত ঝানু লোক। বি আর টি এ তে আছে দুই যুগের উপরে। মুল পেশা দালালি- তবে হেন কাজ নাই যে চাপার জোরে সে না পারে। সে শুনে বলল, নো প্রবলেম বস, কাইল সকালে সব জেনে আপনাকে ফোন দিব।
পরদিন সকালে সে ফোন দিয়ে বলল, সরকারী জমা পাঁচ, অন্যান্য কাজে হাজার খানেক আর উপরি খরচ তিন।
ঠিক আছে দিব, আগে আপনি আমাকে বলেন,আঙ্গুলের ছাপ আর ছবি তুলতে হবে কিনা।
আরে না না বস, তাইলে আমি রানা আছি ক্যান। কিচ্ছু লাগবে না। আপনি আগের লাইসেন্সের ফটোকপি, এন আই ডির কপি আর দু চাইরখান সিগ্নেচার দিলেই হবে। আগের ছবি আর ফিঙ্গার প্রিন্টেই কাম তামাম হবে।
-তাই নাকি!! তথাস্তু।
প্রাথমিক কাজ শেষ করে সে একখান কাগজ আমারে ধরিয়ে দিয়ে মাথা চুলকে বলল, একখান সমস্যা হয়ে গেছে।
-কি সমস্যা?
-ফিঙ্গার আর ছবির জন্য যাইতেই হবে। তবে বস চিন্তা কইরেন না। শুধু রুটিন। আপনি খালি উপস্থিত থাকলেই হবে।
নির্দিষ্ট দিনের কদিন আগে আমি ফোন দিলাম, ক্যামনে কি?
-বস আপনার ড্রাইভাররে দিয়ে কাগজটা বি আর টি এ তেপাঠায় দেন। এখানকার বড় বস একটা সিগনেচার করে দিলে, সব পানির মত সহজ হয়ে যাবে। ওইখানে গেলেই কাম ফতে। আর একটা কথা আপনি কিন্তু তিনটার পরে যাবেন।
আমি দিলাম কাগজ সিগ্নেচার আসল। আমি ভাবলাম তিনটার সময় মনে হয় অফিস বন্ধ হয়ে যায় তাঁরপরে আমাদের মত বিশেষ অতিথিদের কাজকর্ম শুরু হয়।
***
নির্ধারিত দিনে ঘর থেকে বের হয়ে কালা রানাকে ফোন দিলাম। ওর ফোন বন্ধ। কুছ পরোয়া নেহি- কামেল লোকের সিগ্নেচারতো আছে।
ঢাকা জেলার এই বিশেষ কার্যক্রম চলে। মিরপুর ১২তে অবস্থিত এখনকার দারুণ রমরমা মার্কেটপ্লেস মোল্লা মার্কেটে। সোজা রাস্তার পাশের মুখের লিফটের কাছে দাঁড়িয়ে আছি ৬ তলায় যাব বলে। লিফটের পাশেই নজরে এল একটা নোটিস; যাহারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এসেছেন তারা যেন দয়া করে পেছনের লিফট ব্যাবহার করেন। আমি ঘাওড়ার মত দাঁড়ায় রইলাম।
লিফটে প্রবেশ করে জানলাম; এটা পাঁচে না হয় সাতে যাবে ছয় এ যাবে না। অগত্যা সাতে নেমে একতলা সিড়ি ভাঙলাম।
ভিতরে ঢুকে দেখি গজব অবস্থা! কোত্থেকে আল্লা মালুম বিশাল এক লাইন একে বেঁকে এসে এখানে এক টেবিলের সামনে গোত্তা খেয়েছে। আমি এখন কই যাই? লাইনের লেজ তো দেখি না। পাশেই দেখি একটা বড় দরজা সেই দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখি বিশাল হল রুম। ভিতরে কি জানি কি কর্মযজ্ঞ চলছে আর এদিকে চেয়ার পেতে শ খানেক লোক অপেক্ষা করছে। গেটের পাশেই দেখি এক গেটকিপার যার হাতে একতোড়া আমার হাতে থাকা অনুরূপ কাগজ। দুয়েকজন দেখি তাঁর হাতে কাগজ দিচ্ছে আর সে সিরিয়ালে গুছিয়ে রাখছে।
পাইছি.. আমি ব্যাপক খুশি মনে তাঁর হাতে আমার কাগজখানা ধরিয়ে দিয়ে কৌশোলে উল্টো দিকের সিগনেচারটা দেখিয়ে দিলাম।
সে কাগজ উলটে বলল, টোকেন নাম্বার কই?
-মানে? টোকেন কই দেয়?
সে লম্বা লাইনের শেষ মাথার টেবিলটা দেখিয়ে বলল, ওখানে।
বেশ- আমি সেই একে-বেঁকে যাওয়া লাইনের মাথার দিকে একজনকে বললাম, ভাই একটু দেখি-ভেতরে যাব।
তিনি মুখে কোন বিরিক্তি ভাব না এনে খুব সহজেই সরে গিয়ে আমাকে পথ করে দিলেন।
ওখানে সিরিয়াল দেবার জন্য টেবিল দুটো। আমি খুব ক্যাজুয়ালি এক টেবিলের সামনে গিয়ে কাগজ রেখে বললাম, ভাই টোকেন দেন?
পেছনের সিগ্নেচার দেখানোর আগেই তিনি কাগজটা টেনে নিয়ে একটা টোকেন নাম্বার দিয়ে আমার হাতে অত্যাধুনিক ডিজিটালাইজড একটা টোকেন ধরিয়ে দিলেন।
আমি সেই টোকেনখানা এখনো ফেলিনি। ওয়ালেটের ভাজে রেখে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা মনে পড়লেই আমি সেই টোকেনখানা দেখি আর গর্বে বুক ফুলে যায়। এমন একটা দেশে জন্মাতে পেরেছি বলে নিজেকেই নিজে হিংসে করি।
আমি সেই টোকেনের ছবিটা শেয়ার করছি। দেখে আপনারা চিত্ত ও মনকে বিমল আনন্দ দান করুণ(ন)

~এই সেই টোকেন!
***
বশেষে আমার টোকেনের নম্বর লেখা সেই কাগজখানা আমি গেট কিপারের হাতে তুলে দিলাম।
তাঁর হাতে তখন তাঁর হাতে থাকা অন্য সিরিয়ালের বিশাল কাগজের স্তুপের একেবারে নীচে বেশ অযত্নে রেখে দিল।
কি মনে করে তাঁকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, ভাই ওই লাইনটা কিসের?
সে বেশ বিরক্ত মুখে উত্তর দিল, ক্যান টোকেনের। আপনি তাইলে নম্বর পাইলেন ক্যামনে?
হেঃ আমার হয়ে অন্য লোক দাঁড়িয়ে ছিল। বলেই তাঁকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে টুক করে কেটে পড়লাম।
এবার অপেক্ষার পালা! বসে বসে চারদিকে অবলোকন করছি। ভিতরে বেশ কর্মযজ্ঞ চলছে বোঝা যায়। চেয়ারে বসা অপেক্ষারত মানুষগুলোর ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে অনেক আগেই। কেউ কেউ বিড় বিড় করে গালিগালাজ করছে। কেউবা ক্লান্ত হয়ে ঝিমোচ্ছে।
নজর ঘরতে ঘরতে চলে গেল বিশাল সেই হলরুমের শেষ মাথায়; বুক সমান উঁচু একটা দেয়ালের তাঁর ওপাশেই লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শত শত নারী পুরুষ। আমি সামনে যেই লাইন দেখেছি সেটাই এটা -এই লাইন আবার পেছন দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে কোন অজানার পানে চলে গেছে আল্লা মালুম! লাইনে দাঁড়ানো প্রতিটা মানুষই ক্লান্ত বিদ্ধস্ত।

~ ওয়েটিং রুমের একাংশ। এখানে ছবি তোলা নিষেধ- সেটা অমান্য করে অপরাধ করেছি। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে রুমের শেষ মাথায় বুক সমান দেয়ালের ওপাশে লাইনে লোক দাঁড়িয়ে আছে।
এর মাঝে লক্ষ্য করলাম, কিছু কেউকেটা লোক সাথে আমার মত আদমদের নিয়ে গটগট করে ভেতরে ঢুকছে আর মিনিট দশেকের মধ্যেই বেরিয়ে আসছে।
আমি বুঝলাম; ইঁনারা আমাদের গ্রহে থাকেন না। এদের জন্যই এদেশে জন্ম ধন্য হয়েছে।
একবারে ত্রিশজন লোক করে ডাকে। সেখান থেকে আবার যাচাই বাছাই করে কয়েকজন বাদ পড়ে ভীষণ কান্না মুখ নিয়ে প্রস্থান করে- ফের এই দোজখে আসতে হবে বলে তারা নিজের ভাগ্যকে অভিসম্পাত করে বিদেয় হয়। খোঁয়াড়ের লাইনের মত দাঁড় করিয়ে পাঁচজন করে ভাগ করে একেক টেবিলে দেয়। ঘন্টা খানেক বাদে আমার ডাক আসল।
আমার পেছনে যেই ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি দেখি বিড় বিড় করে কাকে যেন গালিগালাজ করছেন।
আমি তাঁকে মোলায়েম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, -ভাই কখন আসছেন?
সে চোখে মুখে চরম বিরক্তি নিয়ে বলল, -সাড়ে আটটায়। আপনি কখন আসছেন?
আমি তাঁর কথা আর না শোনার ভান করে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। এরমধ্যে কোন এক কেউকেটার সরাসরি ভিতরে প্রবেশ নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের সাথে এক কর্মকর্তার সাথে লেগে গেল তুমুল হট্টগোল। ওমা সে দেখি হুমকি দিচ্ছে, -ঠিক আছে দাঁড়ায় থাকেন কাউরেই ঢুকতে দিব না।
অবশ্য খানিক বাদে অন্য একজন এসে আমাদের উদ্ধার করে ভেতরে ঢুকিয়ে নিল।
ভেতরে দেখি চল্লিশটার মত বুথ! এতগুলো লোক যদি ঠিক ঠাক কাজ করে তাহলে লাইন-ই থাকার কথা নয়!!!
আমি আমার নির্দিষ্ট বুথে কাগজখানা পেশ করতেই বলল, আপনি ওদিকটায় গিয়ে দাড়ান। আপনাকে ডাকব।
তিনি যেখানে দাড়াতে বললেন, সেখানে বড়জোড় দশ-বারোজন লোক দাড়াতে পারে। আমি যাবার আগেই জনা বিশেক লোক অলরেডি ঠেলেঠূলে দাঁড়িয়ে আছে।
***
কোনমতে সেখানটা দাড়াতেই, নাকে এসে ধাক্কা দিল বাথরুমের কটু গন্ধ! আমি নাক কুঁচকে পেছনে তাকাতেই- আরেক ভদ্রলোকের সাথে চোখাচোখি। তিনি ক্লিষ্ট হেসে বললেন, সারাটা দিন লাইনে দাড়ায়ে এই বাথরুমের গন্ধে গা গুলাইছে।
একেক জনের অভিজ্ঞতার কথা শুনি আর আমি ভয়ে আতঙ্কে শিঊড়ে উঠি!
অবশেষে আমার ডাক পড়ল। কর্মকর্তার টেবিলের সামনে দাড়াতেই, তিনি বললেন, আপনি একটু বসেন আমি ওয়াশ রুম থেকে আসি।
আমি বিগলিত হেসে বললাম, অবশ্যই, আমি বসে আছি সমস্যা নেই। আপনি ধীরে সুস্থে আসেন।
আমার অপ্রত্যাশিত অমায়িক ব্যাবহারে তিনি সম্ভবত খুশী হলে।

এ মুহুর্তে তাঁকে তাঁকে খুশী করা একান্ত প্রয়োজন- কেননা এরা একেকজন দুর্ধর্ষ ফটোগ্রাফার!!! আমার ন্যাশনাল আইডির ছবি আমার নিজের মেয়ে দেখে বলেছিল, বাবা এই পাগল লোকটা কে?
আর পাসপোর্টের ছবি দেখে অন্য দেশের ইমিগ্রেশন অফিসার কমপক্ষে বিশবার আমার দিকে আর পাসপোর্টের ছবির দিকে তাকিয়ে কোন একটা মিল খোঁজার চেষ্টা করে।
এবার চাচ্ছিনা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি দেখে ট্রাফিক সার্জেন্ট অন্য কেউ মনে করে কেস ঠুকে দেয়।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমার লাইসেন্সের ছবি এতো বিশ্রী যে চেনাই যায়না; তাদের কাজের প্রতি প্রচন্ড অবহেলা লক্ষ্য করা যায়।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমার নিজের এন আই ডি, ব্লু-বুক, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সবখানেই ছবির অবস্থা তথবৈচ!
ওই ছবি দেখে নিজের প্রতি কনফিডেন্স নষ্ট হয়ে যায়!!
সহমত।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

জুন বলেছেন: আপনি কি লেমিনেটিং লাইসেন্স পাইছেন কি না সেইটা বলেন শেরজা!! আমার ছেলের লাইসেন্স ঘুষ লোকধরা সব করে বসে আছি এক বছর এখনো পাই নাই। দালালকে বললেই বলে "কাগজ দিয়া চালাইতে কন"। কানাডায় কি কাগজ দিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করা যায়! বাংলাদেশের লাইসেন্সটা দিলে ওইখানে সুবিধা হইতো। এখন আবার পরীক্ষা দিয়ে বের করার চেষ্টা করছে।
আর সেদিন দশ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করলাম তার ছবি দেখে আমি মনে মনে বলি "এইটা ক্যাডা :|


১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: লেমিনেটিং কেন হবে? এখন তো স্মার্ট কার্ড দেয়। তার উপরে একটা সেলুলয়েড কভার থাকে।
লাইন মত গেলে আর জায়গামত টাকা দিলে সব সম্ভবের দেশ এটা। আপনার ছেলের দুর্ভোগের জন্য কষ্ট লাগছে।
ওই ছবির কথা বলে আর শেষ করা যাবে না। লত সাজ গোজ করে গেলাম আর মিস্টি মায়াবি হাসি দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকাইলাম। কামের কাম কিস্যু হইল না। :(

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে হাঁপাইয়া উঠছিলাম :( মনে হচ্ছিল, আমিও সেই লম্বা লাইনে দাঁড়াইয়া আছি, আর আপনি গটগট করে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছেন :)

এই অবস্থা দেখে তো লাইসেন্স রিনিউ করার কথা ভাবতেই পারছি না :( আমার রিনিউ করতে হবে ২০২৯ সালে। ততদিন বাঁচি কিনা তারই তো কোনো ঠিক ঠিকানা নাই।

আপনি ঠিকই বলেছেন, এতগুলো বুথে সবাই যদি ঠিকঠাক মতো কাজ করে, এই ডিজিটালাইজ্‌ড সিস্টেমে এত লম্বা লাইন থাকার কথা না।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও লিখতে লিখতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তা ও বহুত কিছু কাটছাঁট করেছি!!!
২০২৯ সাল- ম্যালা দূর কি বাত।ততদিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরোপুরি এনালগ হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
দল পাল্টাইলেতো কথাই নাই- তাদের মুল এজেন্ডা হবে ১০০ ভাগ পিওর এনালগ বাংলাদেশ করা :)

এতগুলো বুথে সবাই যদি ঠিকঠাক মতো কাজ করে, এই ডিজিটালাইজ্‌ড সিস্টেমে এত লম্বা লাইন থাকার কথা না।
অবস্থা যেমন শ্লথ তেমন ছ্যাড়াব্যাড়া!!

৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: আর রানার ফোন নম্বরটা দিন দেখি কিছু হয় কি না :||

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ইটা কি কইলেন আপা ব্লগে দালালের নম্বর দিয়ে পরে কেস খাব নাকি।
দালাল ধরে আমার বিড়ম্বনাতো দেখলেন- এখন আপনারটা কতদুর কি হবে আল্লা মালুম।
দেখি আপনার জন্য ভাল কোন দুই নম্বরি উপায় পাই কি না।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

তানভির জুমার বলেছেন: আমার লাইসেন্সের মেয়াদ ২৬ সাল পর্যন্ত আছে, তাহলে তো আমার এখনই লাইনে দাড়ানো লাগবো।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: কি করবেন দৌড়-ঝাপ শুরু করে দেন!
প্রফেশনাল লাইসেন্স হইলে মরন! বিরাট প্যারা ...

৬| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার এক বন্ধু আছে, জালাল। তার সামনে যদি কখনো বলি ইস মাথা ব্যথা করতেছে, জালাল বলবে- আমারও। যদি বলি পেটা খারাপ রে, জালাল বলবে- আমারও।
তো জালালের আরেক বন্ধু তার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাবে, কয়েক মাস আগের কথা।সেই কথা শুনে জালাল বললো তারও ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে। একদিন জালাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েও গেলো। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে জালাল কিন্তু কোনো প্রকার মটরযান চালাতে জানে না।
এই দেখে উৎসাহি হয়ে আমরা আরো তিনজন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ফরর্ম ফিলাপ করে দিয়েছি। কাগজ হাতে পেয়েছি, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার তারিখ মনে নাই। আপনার এই পোস্ট দেখে সেই কথা মনে পরলো।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার গিন্নি দুইবার লার্নার করার পরে ভয়ে আর ওপথে আগায় নাই। অথচ সে বেশ ভাল ড্রাইভিং করত।

জালালকে নিয়ে একটা গল্প লিখেন- বেশ ভাল জমবে। গাড়ি চালানো না জেনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়া ভয়ঙ্কর এক ব্যাপার। তবুও এমনটা হয়ে আসছে। যারা চালাইতে জানে তাদেরও যেমন প্যারা -যারা চালাইতে জানেনা তাদেরো এক।
কি দেশে আছি রে বাপ!!!!!
লাইসেন্স পাইলে বিস্তারিত জানাইয়েন।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: কঠিন অভিজ্ঞতা! আমি আমার পাসপোর্টের জন্য নিজে লাইনে দাড়িয়েছিলাম, প্রায় কয়েকশত মানুষের পিছন পরছিলাম, অনেকের সাথে কথা হচ্ছিল তাদের অনেকেই বলল ভোর রাত থেকে নাকি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, যারা লাইনের সামনের দিকে ছিল, তাদের অনেকে দালাল, লাইনের জায়গা বিক্রি করছিল!

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ আমার পাসপোর্টের গল্প আর এক দিন কমুনে। তবে এইবার ই পাসপোর্ট পয়সা দিয়ে আর চ্যানেল ধরে ভিভিআইপি হইছিলাম :)
সরকারকে কাড়ি কাড়ি পয়সা দিয়ে কি চমৎকার সেবা-টাই না আমরা পাই।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: এখনই একজন আসবে তারপর বর্ণনা করা শুরু করবে যে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশেও এই লাইসেন্স করতে কত রকম ঝামেলা পোহাতে হয় সেই তুলনাতে আমাদের দেশে মানে তার পছন্দের সরকারের আমলে খুব জলদিই এই কাজ সমাধান হয়েছে । আমাদের এটা নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ । :D

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: তাহার অপেক্ষায় রইলাম।
আরেকজন দেখবেন হয়তো তার পোস্টে 'ভদ্রলোক দুইনম্বরি করেছেন এই কথা বলিবেন'।

চমৎকার বলেছেন।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

মোগল সম্রাট বলেছেন:

আমি গত ছয়মাস হলো লাইসেন্স করতে দিসি এখনো হাতে পাইনি ভাই! ফিঙ্গার প্রিন্ট, ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশ , টাকা জমা দেয়া সব শেষ করলাম। পোর্টালে ডুকলে সব কম্পিলিট দেখায় শুধু লাইসেন্স প্রিন্টিং ইনকম্পিলিট দেখায়। আমার এখন করনীয় কি জনাব? জানা থাকলে একটু আমারে কইয়েন।

বিআরটিএ কি বালের ডিজিটাল সেবা দোচাইতেছে বুজিনা।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ওদের জিগাইলে কইবে, স্মার্ট কার্ড শেষ ডলারের ক্রাইসিসে আমদানী করা যাইতেছে না। আপনি আপনার ন্যাকড়ায় ফি মাসে সময় বর্ধিত করিয়া লইয়া আসিবেন। একান্ত নিজ দায়িত্ব- কোন ভুংভাং করিলেই বড় অঙ্কের কেস খাইবেন!!
আপনার কামতো অনেক দূর আগাইছে। আর কিছুদিন অপেক্ষা করেন আপনার স্লিপে কি সময় বাড়িয়ে আনছেন নিয়মিত?
আমারটা সেপ্টেম্বরে ডেট। দেখি কি হয়?

১০| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি ২০০৬/৭ এ একবার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার চেষ্টা করি। ঘুষ না দেওয়ার কারণে পরীক্ষাতেই পাশ করায় নাই! মটর সাইকেলের জন্য তখন দুইটা ইটের ভিতর থেকে মটর সাইকেল চালিয়ে নিতে হতো। আমাকে বলা হয়েছিলো পরীক্ষককে ৫০০ টাকা দিতে, তাহলে দুই ইটের মধ্যের দুরত্ব ৩/৪ ফুট হবে, না হলে ৩/৪ ইঞ্চি! জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে ৩/৪ ইঞ্চি দিয়ে কি সাইকেল যাবে? উত্তর ছিলো, সাইকেল কেন, রোড রোলারও যাবে যদি ৫০০ টাকা দেন!

২০১০/১১ তে আবার চেষ্টা করেছিলাম। তখন ৫০০ টাকার এমাউন্টটা বেড়ে ১,০০০ এ দাড়িয়েছিলো! তাই আর করা হয়নি।

২০১২-১৪ পর্যন্ত সাংবাদিকের একটা আইডি কার্ড দিয়ে মটর সাইকেল চালিয়েছি। ভাগ্যক্রমে পুলিশ সপ্তাহের একটা স্টিকার পেয়েছিলাম, সেটা মটর সাইকেলের সামনে লাগানো ছিলো। ওটা দেখে কোনদিন কোন সার্জেন্ট আমাকে একটা প্রশ্নও করেন নি। বরং একবার এক পুলিশ ভাইয়ের কাছ থেকে খানা-দানা পেয়েছিলাম!

আপনার কষ্টের যে বর্ণনা পড়লাম, সেটা পড়ে স্বরণ করছি নিজের বিভিন্ন কাজে সরকারী অফিসে যাওয়ার ও সেবা পাওয়ার ঘটনা গুলিকে। সেই সাথে আপনার কষ্ট ও বাথরুমের কটু গন্ধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

ভাবছি সৌদীতে এসে কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলাম সেটা লিখবো। হয়ত তাতে আপনার একটু গা-জ্বলা বৃদ্ধি পাবে। অথবা আপনাকে নতুন কিছুর স্বপ্ন দেখাবে। :)

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ওই দুর্ভাগ্যের কথা শুনে কষ্টের পরিধি বাড়লই শুধু।
এদেশে সততা ও সহজ উপায়ে কোন কাজ করবেন তাঁর উপায় নে। সিস্টেম পদে পদে আপনাকে আটকে দিবে। আর সিস্টেমের ফাঁক গলে বের হলেও ওই ভয়ঙ্কর মানুষগুলো বসে আছে আপনাকে আমাকে আটকে আমাদের মুল্যবোধকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য।
সৌদিতে লাইসেন্স পাবার ঘটনাটা শেয়ার করবেন প্লিজ।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে সব কিছুতেই বিড়ম্বনা।
লাইসেন্স ৫ বছর পর পর করলে নতুন করে নবায়ন করলে সরকার টাকা পায়। এজন্য ।
এখন অবশ্য ১০ বছর করেছে। শুধু কি লাইসেন্স পাসপোর্টও এখন দশ বছর করেছে।

সরকারি যে কনো অফিসে গেলেই আপনি বিড়ম্বনার স্বীকার হবেন। সহজ একটা কাজ ওরা প্যাচাতেই থাকে। আপনি সিটি কর্পোরেশন অফিসে ট্রেড লাইসেন্স করতে যান। খুব সহজ কাজ। ওরা জটিল করে তুলবে।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১১

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা অবশ্য একটা কাজ হয়েছে কিন্তু ফি কতগুন বেড়েছে হিসাব করেছেন তো?
সরকারী অফিসের মত এত বেশী বিড়ম্বনা আর কোথাও নেই। সব অভিশপ্ত মানুষগুলো যেন ওইসব চেয়ার দখল করে বসে আছে।
কোন একদিন এই সিস্টেম আর এইসব দুর্নীতিবাজ মানুষগুলো সমূলে ধ্বংস হবে।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিড়ম্বনার দৃশ্যপট পড়লাম,কাজে আসতে পারে।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: কাজে কিছুটা নিশ্চয়ই লাগবে। তবে দিন যত যাবে ঝামেলা কমবেতো না-ই বাড়ার সম্ভাবনা বেশী।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাইতে হইলে অনেক পেরেশানির কথা লিখসেন। সে কারনেইতো এই দেশে যারা উন্নয়ননের মহাসড়কে বাস ট্রাক চালায় তাদের বেসিরভাগই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওনের চেষ্টাই করে না।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: এইটাতো সৌখিন ড্রাইভিং লাইসেন্সের কাহিনী- প্রফেশনাল লাইসেন্স পাওয়া বিরাট হ্যাপা-ওদের বেশীরভাগ কেউ লিখতে পারেনা বা লিখেনা বলে সে কথা আমাদের আর জানা হয় না। আপনার ধারনা কিছুটা হলেও ঠিক। তারপর ডোপ টেস্টের নেগেটিভ জাল সার্টিফিকেটের জন্য অনেক বেশী টাকা লাগে।

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব মজা করে লিখেছেন পড়লাম আর হাসলাম আর বাথরুমের কটু গন্ধ মানুষের গাঁদাগাঁদি লাইন সব অনুভব করলাম।
আমার লাইসেন্স নেয়ার কথা মনে পরে গেল।
এখন নাকি নিজেরা না গিয়েও লাইসেন্স করে ফেলা যায় শুনেছি।
আমি সাত বছর আগে এনাইডি কার্ডের জন্য এ্যাপ্লাই করে এসেছিলাম এখনও কার্ড পাওয়া হয়নি।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: না গিয়ে সব কাজ সম্ভব কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ আর ছবি তুলতে যাইতে হবেই।
আহারে দালালের আঙ্গুলের ছাপ আর স্টুডিওতে তোলা ছবি দিলেই যদি হইত ...
আগে কি জোশ করে কয়েক ভঙ্গীতে স্টূডিওতে ছবি তুলে- সেটার নেগেতিভে টাচ আপ করে সেরাখানা দিয়ে আসতাম পাসপোর্ট আর আই ডি কার্ডে। সেই দিন কই গেল!! আইডি কার্ডের ছবি দেখে কত মানুষ প্রেমে হাবুডুবু খাইত- আ হা হা :(

১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

মিরোরডডল বলেছেন:



আমার নিজের মেয়ে দেখে বলেছিল, বাবা এই পাগল লোকটা কে?

Hilarious =p~

উৎস্বর্গঃ বাংলাদেশের সকল ভুক্তোভুগী জনগণ।

এদের মধ্যে আমিও একজন :(


১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ বিশ্বাস করেন মেয়ে সত্যি বলেছিল। আমি পারতপক্ষে কাউকে এন আই ডি দেখাই না। অনেকেই ছবি দেখে গা জ্বালানো হাসি দেয়।

দের মধ্যে আমিও একজন :(
~ আপনিও?? তবে এটা যারা কাজ কর্মে বাইরে বের হন প্রায় সবার কম বেশী এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে।

১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



সাজ গোজ করে গেলাম আর মিস্টি মায়াবি হাসি দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকাইলাম। কামের কাম কিস্যু হইল না। :(

পোষ্ট যেমন ফানি, আই মিন দুঃখী মানুষের করুণ কাহিনী, সেরকম প্রতিমন্তব্যও অনেক মজার :)

১০ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই দেশের সবাই দুখী- কেউ আর কারো দুঃখের কথা শুনতে চায়না।
হাসি মুখে দুঃখের কথা কইলাম। মজা পেলাই মনে হয় আমার দুঃখ কষ্ট স্বার্থক!!

১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: এন আই ডি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আপনার চাইতে খারাপ। একবার বিকাশের একাউন্ট করতে চেয়েছিলাম, বলে এখনকার ছবির সাথে এনআইডির ছবি মেলে না!! তাই আর বিকাশ একাউন্ট করা হয়নি। ফিঙ্গারপ্রিন্টের অভিজ্ঞতা আরো ভয়াবহ। যখন বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশন করতে গেলাম তখন কিছুতেই আমার আঙুলের ছাপ পায় না। বলল আপনি মনে হয় অনেক মশলা বাটেন, আপনার আঙ্গুলের সব দাগ মুছে গেছে!!

আমারও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে কিছু ডিজিটাল অফিস নিয়ে। সেই তুলনায় আপনার অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ্য বলেই তো মনে হলো!

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১২

শেরজা তপন বলেছেন: :) হাঃ হাঃ
আপনাকেতো পুরা কামলা বানায় দিল! যারা ইট ভাঙ্গে, কামার এই টাইপের লোকের হাতের রেখা মুছে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
সত্যিই কি আপনি এত বেশী মশলা বাটেন? প্যাকেট মশলা ও ব্লেন্ডারের যুগেও যদি আপনি মশলা বাটেন তবে স্বীকার করতে হবে যে আপনি দুর্দান্ত রাঁধুনি।
একবার আপনার হাতের রান্না যার খাবার সৌভাগ্য হয়েছে সে বার বার খেতে চাইবেই।
আপনি আপনার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কিছু অংশ শেয়ার করবেন কি- আপনি লিখলেই সেটা আপনার রান্নার মত উমদা হবে।
ধন্যবাদ আপু ভাল থাকবেন।

১৮| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কঠিন বিড়ম্বনা।

গ্রামীণ ফোন যখন নতুন ছিল তখন একবার সিম সংক্রান্ত একটা সমস্যায় গিয়েছিলাম। সকালে গিয়েছিলাম ওদের অফিসে। ওদের সিরিয়াল অনুযায়ী আমার নাম আসতে বিকাল হয়ে গিয়েছিল। মাজখানে লাঞ্চ করে আবার লাইনে দাঁড়ানো।

বাংলাদেশে সব কিছু সম্ভব। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি .........।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: তখন আমার সাথে যোগাযোগব করতেন। গ্রামীন ফোন ভর্তি ছিল আমার বন্ধু বান্ধব। :)
২০১২ সালে গ্রামীন ফোন নিয়ে আমার লেখা একটা লেখা ব্লগে খানিকটা আলোড়ন তুলেছিল। সময় সুযোগ পেলে পড়বেন;
গ্রামীন ফোনের সেকাল একাল!


বাংলাদেশে সব কিছু সম্ভব। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি .........। ~ ১০০% তবে দেশ না দেশের মাল।

১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার লেখা অনেক বড়,আর আমি বড় লেখা দেখলে এড়িয়ে যাই।এসব কাজ অন লাইনে করতে পারে।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: কয়েক লাইন পড়লেই মনে হয় ভাল লাগবে- শেষ না করে উঠা কঠিন হবে।
আমাদের এখানে আংগুলের ছাপ আর ছবিতোলাটা অনলাইনে হয়নি। পুরো বিষয়টা এন আই ডির সাথে কানেক্টেড হলেই ল্যাঠা চুকে যায়।

২০| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০০

কামাল১৮ বলেছেন: সবাই বাংলাদেশী।যারা দেয় যারা নেয়।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক -সেক্ষেত্রে আমরা সবাই সেই শেয়ালের গোত্রে পড়ি।

২১| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




ভুক্তভোগী পাবলিক বুঝিতে ভুল করিয়া ফেলিয়াছে। ড্রাইভিং করিতে হৈলে মাথা ঠান্ডা রাখিতে আর ধৈর্য্য ধরিতে হৈবে, উতলা হৈলে চলিবেক না। মাথা গরম হৈলেই অকালে ওপারে যাইতে হৈবে । সেই জন্যেই এ্যালকোহল খাইয়া ড্রাইভিং করায় আইনের নিষেধ আছে।

বিআরটিএ পাবলিককে মাথা ঠান্ডা রাখিয়া ধৈর্য্য ধরার প্রাকটিস করাইতেছে। ;) সরকার যে পাবলিকের জানমালের নিরাপত্তার দিকে কত্তো খেয়াল রাখিতেছে ইহা পাবলিকে বুঝিতে পারিতেছেনা। :(( খালি সরকারের দোষ ধরে! /:)

ড্রাইভিং লাইসেন্স ? চাইলেই তো বিআরটিএর লোকজন ড্রাইভ করিয়া আপনার দরজায় ইহা পৌছাইয়া দিতে পারে , কোনও ব্যাপার না! মেশিনের এপাশে আঙুল ঢুকাইবেন , মুখখানা দেখাইবেন শুধু, মেশিনের ওপাশ দিয়া সড়াৎ কৈররা লাইসেন বাইরাইয়া আইবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ না ? :#) শুধুমাত্র পাবলিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিতেই আপনাদের শিখাইয়া - পড়াইয়া লৈতেছে সরকার....... :)
যতোই আপনি ধৈর্য্য ধরিতে পারিবেন ততোই আপনার লাইসেন প্রাপ্তি নিকটবর্তী হৈবে :|

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারন ডিজিটাল বাংলাদেশের আর খানিকটা অগ্রগতি হইলে -লাইসেন্স পাইতে পাইতে আপনার আমার স্বর্গপ্রাপ্তি হইতে পারে।
ধৈর্য ধরিতে ধরিতে আমরা সবাই পরিশেষে আরো বেশী অধৈর্য্য হইয়া যাইতেছি। এত ধৈর্য্য যে আমাদের পেটে সয় না!

যাহারা ধৈর্য্য ধরাইবার এই মহান ও মানবিক উদ্যোগ লইয়াছেন।-তাহারাই ফের মহা অধৈর্য্যের সাথে ক্ষমতার দাপটে ফুরুৎ করে গিয়ে সুরুৎ করে কাম সেরে নিচ্ছেন!!

আহা আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক ভাই। আ হা রে এমন দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
এমন স্যাটায়ারপূর্ণ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।

২২| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

নিমো বলেছেন: [link||https://www.youtube.com/watch?v=3VNdDtRY4K0]

১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত ভুল লিঙ্ক দিয়েছেন আপনি। দয়া করে ফের সঠিক লিঙ্কটা শেয়ার করুন

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




ইফতির পোষ্টে করা কমেন্ট এখানেও কপি দিলাম, কি যে দুর্ভোগ তাই শেয়ার করেছি।

বাধ্যতামূলক করেছে বার্থ সার্টিফিকেট ডিজিটাল করতেই হবে, ওকে ফাইন দিলাম করতে।
প্রতিটা শব্দে বানান ভুল করে দিয়েছে, আমার নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম সবগুলোতে।
এই সার্টিফিকেট ইউজলেস।

তিনমাস আগে ঢাকা থেকে ঘুরে এলাম।
ওটা ঠিক করার জন্য নগরভবনে গেলাম কিন্তু দিলোনা ঠিক করে।
বুজতে পারছিনা ওদের ডিম্যান্ড কি :(

ভুলগুলো ইচ্ছে করে করে, যেন আবার তাদের কাছে যেতে হয়।
টাকা ছাড়া কোন কাজ করেনা, টাকাতো অবশ্যই দিতে হবে।
কিন্তু এখনও বলছে না, ঘোরাচ্ছে হয়রানি করছে, তারপর চাইবে।
অথচ এটা তাদের রেস্পন্সিবিলিটি।

আমার মা কয়েকবার এখানে এসে ঘুরে গেছে কিন্তু এখন আর আনতে পারছিনা কারণ পাসপোর্ট এক্সপায়ার্ড।
আইডি কার্ডের সাথে নাম ম্যাচ করেনা, আইডি কার্ডে নামের বানান ভুল।
রিনিউ করতে দিয়েছিলাম ওখানে ৫০ হাজার চেয়ে বসে আছে।
এতো টাকা কেনো দিবো!!!!
এ কাজ তাদের দায়িত্ব।
এসব দেখে আমি ভয়ঙ্কর হতাশ!!!
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ভালো ও সৎ লোক পাওয়া বিরল।


এরকম আরো আছে শেরজা।
এগুলো এত বেশি ফ্রাস্ট্রেইটিং কি বলবো !!!!!


১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: এ নিয়ে আমারও বলার আর কোন ভাষা নেই। কি যাচ্ছেতাই হচ্ছে এ দেশে।

* দেখি উনার আম্মার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তনের জন্য সস্তার কামেল কোন দালালের খোঁজ দিতে পারি কি না।

২৪| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক বড় লেখা তাই পড়লাম না।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: কোন কিছু পড়তে মন না চাইলে না পড়াই ভাল। জানিয়েছেন যে এই ঢেড়।
ভাল থাকুন। আপনার, কামাল ভাই সহ আরো কিছু ব্লগারের কথা মাথায় রেখে মাঝে মধ্যে সংক্ষিপ্তাকারে লিখার চেষ্টা করব।

২৫| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ বলেছেন: এটা নিত্য দিনের ঘটনার একটি।তবুও আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ঠিক হবে।মানুষ গুলো ঠিক হবে ।নৈতিকতার শিক্ষার পরিমাণ বাড়াতে হবে।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২২

শেরজা তপন বলেছেন: সেই আশায় আশায় তো এক জীবন কাটিয়ে দিলাম ভাইডি।
আপনার সপ্ন পুরণ হউক। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।


*আপনি কি প্রথমবার আমার ব্লগবাড়িতে আসলেন?

২৬| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম। কে কি বলেছেন সেটা জানতে।

আপনার পোষ্ট মানেই মন্তব্যের পাহাড়।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ফের। আপনার গুরু ক'দিন আগে বলেছিলেন;
আমার লেখা দুর্বল ও খুব নিঁচু মানের। আমি নাকি অতি শীঘ্রই হতাশ হয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে যাব।
সম্ভবত ব্লগের বেশীরভাগ ব্লগার এমন দুর্বল ব্লগারের নিচু মানের লেখা পছন্দ করে!!!!!

২৭| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, চরম লেবেলের অভিজ্ঞতা ।

"দেশ ভাসছে ডিজিটালের জোয়ারে,
আপনি লাইনে দাড়িয়ে -------সু'র গন্ধ নেন আরামে" ---------------

আর ভাবেন , হায়রে আমার দেশ :(( আমার ডিজিটাল দেশ।

আপনার মত আমিও গত কয়েকদিন যাবত পেরেশানীতে আছি পাসপোর্ট নবায়নের এক মামলায়।
একটানা কয়েকদিন ধরে শুধু একটু কথা বলার জন্য ট্রাি করে যাচছি যা অপারেটর-স্যার এবং বাংলা-ইংরেজী সব কিছুতে তয় তাগো কাউকেই রিচেবল না। খালি বাজেরে বাজে , তার পর লাইন কাটে ।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: এ লাইন আর পাইবেন না- হয় মামুর খোঁজ করেন না হয় দালাল ধরেন।

*এদেশে আমরা সবাই বেশ্যা হয়ে যাব একদিন*

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।

২৮| ১১ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



* দেখি উনার আম্মার আইডি কার্ডের নাম পরিবর্তনের জন্য সস্তার কামেল কোন দালালের খোঁজ দিতে পারি কি না।

এই উনিটা কে?

১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ভুলে একটু মিসটেক হয়ে গেছে- এটা উনার মানে আপনার! :)

২৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের যে ছবি তা দেখে মনে হয় এটা আমি নৈ আমার বড় আব্বু ( জেঠু ) ।

আমার বাবাকে বলেছিলাম যে ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে এটা আমি না । কী এক ছবি তুললো এরা !!

বাবা বলেছিল , " কার্ডটা যে পেয়েছো এতেই খুশি হও , কত কষ্ট করে কার্ডটা পেলে এবার ছবি নিয়ে অভিয়োগ করলে তোমার নাতিও কার্ডটাও পাবে কিনা সন্দেহ আছে ! "

একটা অভিযোগ আছে ভাই , আপনি পুরুষের যন্ত্রণা নিয়ে লিখেন । সেই আপনি সন্তানের কথা আসলে মেয়েরটাই আগে বলেন , এটা ভালো কিন্তু ছেলের কথা বলেনই না এটা কী ঠিক ? মেয়েরা বাবার আহ্লাদে হয় তা ঠিক তবে ছেলের কথাও কী তুলতে নেই ??

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ধ্যাত পুরুষ হবার যন্ত্রণার সাথে নিজের কন্যাকে মিলিয়ে ফেললে হবে।
তা ঠিক তবে ছেলেতো বেশ বড় হয়ে গেছে- ওর সাথে কাঠখোট্টা আলোচনা হয়। আর মেয়েতো ছোট এখনো আদর আবদার অভিমান চলে সারাক্ষণ। তাইও ওঁকে নিয়ে লেখা হয় বেশী।

আপনার আব্বা খারাপ কথা বলেন নি :)

৩০| ১২ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: মশলা বাটবো আমি!! আমার বাড়িতে কোনদিন শিলপাটাই ছিল না, এখনও নেই!!

রান্না করতেও পছন্দ করিনা। পছন্দ করি শুধু ব্লগিং করতে। কে জানে ব্লগিং করতে করতে আঙ্গুলের ছাপ মুছে গেল কিনা!!

১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে ওই ব্যাটারে কইষ্যা একটা থাপ্পড় মারলেন না কেন! সে তো আপনার ইজ্জতের দফা-রফা করে দিয়েছে :)

কি কন রান্না করতেও পছন্দ করেন না। ব্লগেতো আর তেমন দেখা যায় না- কোন কোন ব্লগে যান শুনি?

৩১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ফের। আপনার গুরু ক'দিন আগে বলেছিলেন;
আমার লেখা দুর্বল ও খুব নিঁচু মানের। আমি নাকি অতি শীঘ্রই হতাশ হয়ে ব্লগ ছেড়ে চলে যাব।
সম্ভবত ব্লগের বেশীরভাগ ব্লগার এমন দুর্বল ব্লগারের নিচু মানের লেখা পছন্দ করে!!!!!


দেরী হোক যায়নি সময়।

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিও কি তাহলে আমার হতাশ হবার অপেক্ষায় রইলেন??

৩২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

শায়মা বলেছেন: হা হা হাসতে হাসতে মরে গেছি।

মেয়ে এতদিনে বাবাকে চিনলো ভাইয়ু!!! হা হা হা হা

যাইহোক এই ছবি আর লাইন আর সকল গল্পই আমার পাসপোর্ট নবায়নের সাথে মিলে গেলো। যদিও আমি এমন সাজুগুজু করে গেছিলাম যে আমাকেও তাহারা অন্য গ্রহের বাসিন্দা ভেবেই একটু আমতা ওমতু করেছিলো। হা হা

এর পরের বার তুমিও নাম্বার ওয়ান সাকিব খান সেজে গিয়ে একটু টেরাই করে দেখো তো!!! :P

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আরে তাইতো বেটি অবশেষে বাপের আসল রূপের খোঁজ পাইল!
আপনার মাথার মধ্যে বিজিগিল্টি ( বেজায় জটিল) বুদ্ধি শুধু গিজগিজ করে।

আপনার স্পেশাল সাজুগুজু মানেতো পুরা পার্লার উজার করে দেয়া। দেখেছেন মানুষ যে ভিন গ্রহের বাসিন্দা ছিল সেটা ফের প্রমাণ হইল :)
আফসোস আমরা স্বাভাবিক জীবনে মেক আপ লাগাইতে পারিনা! ছবি তোলার সময়ে চশমাখান খুলে নিজেকে আরো অচেনা লাগে।

৩৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

শায়মা বলেছেন: জন্ম আমার ধন্য হল- আ হা রে!!


হা হা ভাইয়া এই গানের লাইনের সাথে আহারে দেখে আবারও হাসতে আসলাম

হা হা হা হা হা আহা :P

১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আজ হাসি রোগে ধরেছে :)
আহা কত কষ্টে আ হা রে লিখেছি এইটা শুধু আপনি বুঝলেন (যে কি হাস্যরস আছে এর মধ্যে) অন্য কেহ বুঝলই না। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.