নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা (বাংলা) তুমি কার?? (ভাষা নিয়ে আমার মত আধা মূর্খ লোকেদের ভাবনা)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০২


*এই পোস্টটা এখন দেবার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু মডারেটররের নির্দেশে আগের পোস্টটি তুলে নেবার জন্য এটা তাড়াহুড়ো করে দিলাম।
(ত কয়েকদিন আগে আমার একটা লেখায় ব্লগার অর্ক বাবু বানান ভুলের জন্য ভীষন বকা দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বানান ভুলের সর্দার উপাধিতে ভুষিত করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন আমি যেন ব্লগিং বাদ দিয়ে একমাস বানান রীতি, ব্যাকারন ও যতিচিহ্ন নিয়ে নিবিড় সাধনা করে তবে যেন সাহিত্যচর্চায় ব্রত হই। ভাল পরামর্শ। কিন্তু এই বয়সে এভাবে আর সাধনা করে আর কোন উন্নতির সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই আমি ভাবলাম আমার ভাষা আমার আমার ভুল-ভাল ধারনার উপর ভিত্তি করে কিছু লেখা দেই ব্লগে। অর্ক বাবু ও তাঁর মত পন্ডিত বিজ্ঞজন ঋদ্ধ সু-সাহিত্যিক সেখানে যদি এসে কান মলে বকে দিলে ভুল ধরিয়ে নতুন করে কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায় তবে শুধু আমি নই ব্লগে আমার মত বা আমার কাছাকাছি বাংলা ভাষায় কম দক্ষ যারা আছেন তারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তবে অর্ক বাবুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আমরা এখানে শিখতে এসেছি; দয়া করে মোলায়েম কন্ঠে মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে যাবেন।)
****
ভাবুনতো ‘ কথ্য ভাষা- গন মানুষের কিন্তু লেখ্য ভাষা কাদের?’ অবশ্যই গনমানুষের নয়- যদি গন মানুষের হোতো তবে এটা কথ্য ভাষার মত সহজ সরল ও সাবলীল হোতো। এত জটিল ব্যাকারণের মারপ্যাঁচ, বাগধারা সমাস প্রত্যয় ণত্ব নিধান ষত্ব বিধান থাকত না। পৃথিবীর জটিলতম ভাষার একটা বাংলা ভাষা- এটা মোটেও কোন গর্বের বিষয় নয়। হ্যাঁ পন্ডিত ব্যাক্তিদের কাছে এই জটিলতা অতীব প্রয়োজনীয়, না হলে তাদের পান্ডিত্য ফলাবেন ক্যামনে? ক্যামনে জাহির করবেন – তারা আম জনতা থেকে অনেক বেশী চোস্ত সুক্ষ্ণ ও শুদ্ধভাবে যে সবকিছু জানেন? সেটা তো বোঝাতে হবে-নাকি?
বাংলা ভাষা জটিলতম একথা শুনেই কতজন কান পর্যন্ত হাসছেন- বলছেন ব্যাটা গাধা; চায়নিজ ম্যান্ডারিন, সংস্কৃতিক, তামিল আর হিব্রুর কাছে এ ভাষা নেহায়েত শিশু!!
হুমম এখন আসেন তর্কটা জমাই তবে, 'আমার আছে গুগোল, চ্যাট জিপিটি আর কিছু নিয়ম কানুন ব্যাকারণের বই পত্তর'। আমি আদপে মূর্খ হলেও ‘তারা’ আমায় শিক্ষিত করার ভার নিয়েছে।
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ন ক’খানা?
১২ খানা, নাহ্‌ ১১ খানা ‘শুর’ সহ ৯ এর মত ‘লি’ এর মত উচ্চারণে যে বর্ণখানা ছিল সেটা অপ্রয়োজনীয় বিধায় তাকে পরিত্যাজ্য করা হয়েছে। তবে ছোটবেলায় আদর্শলিপিতে সুর দিয়ে ঢলে ঢলে যে পড়েছি ‘লি’ ঝোলে গাছের ডালে- এটা এত দেরিতে বুঝে আসল যে বর্ণ দিয়ে ভাষায় কোন শব্দ নেই সেটা কেন এতদিন শিক্ষা নবিসদের গেলানো হোল?( ৪০ বছর আগেও বাংলা ভাষায় এই স্বরবর্ণটা ছিল)
আমি যদি বলি এটা রাখা হয়েছিল অত্যাচারের জন্য। ভাষাকে অযথা কাঠিন্যতার মোড়কে ঢাকার জন্য- আমাদের ভাষা যে কুলীন ভাষা সেটা বোঝানোর জন্য। এমন আরো কুলীনের মোড়কে আরো অনেক বর্ণ আছে যার এই ভাষাতে দরকারই নেই।

১২ খানা স্বরবর্ণ আছে তামিল ভাষায়। কিন্তু ইংরেজী মাত্র ৫ খানা স্বরবর্ণ দিয়ে দিব্যি চলছে। আপনি কি জানেন কোরিয়ান ভাষায় ক’খানা স্বরবর্ণ আছে?
১০ খানা। কিন্তু মশায় ওদের ব্যাঞ্জনবর্ণ মাত্র চৌদ্দখানা! বিস্মিত হচ্ছেন- পাপুয়ানিউগিনির বোভোনাইল দ্বীপবাসীরা রোটোকাস নামে একটা ভাষায় কথা বলে সেটায় ১১ খানা স্বর বর্ণ কিন্তু ব্যাঞ্জন মাত্র ১২ টা! এরপরেও দুটো বর্ণের উচ্চারণ প্রায় এক। ওদের ‘ন’ জাতীয় নাসিকা বা নাসাল নিঃসৃত কোন বর্ণই নেই।
এটা পৃথিবীর অন্যতম সহজ ভাষা। আমার জানা নেই এত সহজতম ভাষা দিয়ে তাদের জীবন যাত্রায় ভীষন রকম বাজে প্রভাব পড়ছে কি না? আপনার জানা থাকলে জানাবেন?
আরো অল্প বর্ণের ভাষার কথা শুনবেন?
বর্তমান হাওয়াইয়ান ভাষার অফিশিয়াল বর্ণ মাত্র ১৩ খানা তাঁর মধ্যে ৫ খানা স্বর বর্ণ(A a, E e, I i, O o, and U u) আরা ব্যাঞ্জনবর্ণ (H h, K k, L l, M m, N n, P p , W w, and ʻ)
কি আশ্চর্য আমাদের মত এত্তো এত্তো স্বরবর্ণ আর ব্যাঞ্জনবর্ণ ছাড়া তারা ক্যামনে চলছে? ওদের জীবনযাত্রা তো ওরাং ওটাং এর মত

সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন;
বাংলা ভাষার দুরূহতম জটিলতম ব্যাপারের মুলে আছে স্বর ও যুক্ত বর্ণ। এটা বেশ ভালভাবে উপলব্ধি করেছিলেন ‘বড়বাবু’ মানে রবি ঠাকুরের বড়দাদা। তিনি বাংলা ভাষা থেকে আ’কার ও’কার, হ্রস্ব’ই দীর্ঘ’ঈ কার তুলে ফেলতে চেয়েছিলেন। ঠিক যেমন শিক্ষিত আরবি ভাষীরা- জের, জবর, নোক্তা ছাড়া আরবি পড়ে-লিখে। কিন্তু নানাবিধ চাপে এবং সময়ের অভাবে তিনি সফলকাম হতে পারেননি। তবে ভাবুন; শত বছরের অধিক সময় আগে একজন মানুষ কতটা আধুনিক চিন্তাধারার হলে এমন দুঃসাহসী পদক্ষেপ নেবার কথা ভাবতে পারে! 'বড়বাবু'কে নিয়ে গল্প হবে অন্য এক পর্বে।

আমরা আজ প্রথম পর্ব-তে আমরা ভাষার সীমাবদ্ধতা নিয়ে একটুখানি খোশ গল্প করব। যেহেতু আপনাদের সাথে আমার সরাসরি কথোপকথন হচ্ছে না সেহেতু প্রশ্ন-উত্তরের পর্বগুলোতে প্রশ্ন আমি করব ফের উত্তরও আমি দিব। আপনাদের উত্তর ভিন্ন হলে বা দ্বিমত থাকলে অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন?

বলুনতো বাঘ ক্যামনে গর্জন করে?
আপনি তড়িৎ উত্তর দিবেন; শিশু বাচ্চাও জানে, হালুম হালুম করে ডাকে।
এবার ভাবুনতো বাঘের গর্জন- আসলেই কি বাঘ হালুম হালুম করে গর্জন করে?
ইউটিউবে গিয়ে সত্যিকারে বাঘের গর্জনটা শুনুন তো, দেখেন ভাষার সাথে সেটা কোনভাবে মেলানো যায় কি না?
ভাষা প্রকৃতি ও প্রানের প্রায় কোন শব্দই সঠিকভাবে ধরতে পারে না। বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে এলোমেলো এই ছড়াটা শুনুন( সুকুমার রায়ের আবোলতাবোলে’র অনুপ্রেরণায়)

শব্দ জব্দ
সাপে জিভ বের করে লিক লিক
টিকটিকি কিনা ডাকে টিক টিক টিক!
ঢং ঢং করে বাজে কোন দেশী ঘন্টা
ছ্যাৎ করে উঠে বল; কার মনটা?
সুরুৎ করে ঝোল খায়
ফুরুৎ করে উড়ে যায়
থপ থপ করে চলে কি কোলা ব্যাঙ
মট করে ভেঙ্গে যায় বল কার ঠ্যাং?
ঝন ঝন করে পড়ে নাকি চাবির গোছা
হাঁউ মাউ করে কাদছ কেন তুমি বাছা?
শোঁ শোঁ করে কি বাতাস বয়
সাঁ সাঁ করে গাড়ি?
রিম ঝিম করে কভু বৃষ্টি কি পড়ে
টাপুর টুপুর শব্দে কখনো খেয়াল হলে ঝড়ে!
দড়াম করে আছাড় খেল কাদার উপড় ছোড়াটা
ফট ফট শব্দে কাঠ জালিয়ে পোড়ায় কোন মড়াটা?
হ্যাচ্চো বলে নাকি হাঁচি দেয়
খক করে কাশে?
হো হো করে হাসে নাকি হাঃ হাঃ করে হাসে!
হাম্বা করে কি গরু ডাকে
ম্যা ম্যা করে ছাগল?
চিঁ হিঁ করে যেমনি ঘোড়া চেঁচায়-জানে এটা পাগল!

ড়াখানা টেনে আরো অনেকখানি লম্বা করা যায় কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একটাই কথা ভাষার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা ভাষা প্রকৃতির কোন শব্দই সঠিক উচ্চারণে ধরতে পারে না।
***
এইবার একখানা ভিডিও দিচ্ছি। ভিডিওটার মালিক আমি। আচ্ছা মেটিং এর সময়ে কখনো কাঠ বিড়ালির ডাক শুনেছেন? আপনার আবাস স্থলের আশে পাশে যদি কাঠবিড়ালি থাকে তবে নিশ্চিত শুনেছেন কিন্তু আপনি ভাবেননি সেটা কাঠ বিড়ালির ডাক। আপনি নিশ্চিত প্রথমে ভেবেছিলেন সেটা পাখির ডাক।
এবার আমি বলছি কাঠবিড়ালি কি সুরে ডাকে, চিরিক... চিরিক... চিরিক...
এবার মনে মনে কল্পনা করুনতো এই চিরিক চিরিক ডাকের শব্দটা আসলে সত্যিকারে কেমন? কল্পনা করুন কাঠ বিড়ালির ডাক- তারপরে ভিডিওটা দেখুন ও শব্দটা শুনুন;
সঙ্গীর খোঁজে কাঠবিড়ালির ডাক]

মিলল কি আমার ভাষা ও আপনার ভাবনার সাথে?
আমার উত্তর; আপনি যদি ডাকটা আগে থেকে না শুনে থাকেন তবে সম্ভাবনা খুবই কম।
এবার আপনি বলুন; যে শোনেনি কখনো তাকে কাঠ বিড়ালির ডাকের শব্দটা আপনি কিভাবে বয়ান করবেন?sb
?




* প্রথম পর্ব শেষ

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্লগে একজন প্রুফ রিডার নিয়োগ দেওয়া হোক :)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: পরামর্শটা খারাপ না কিন্তু বেতন ভাতা দিবে কে?

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: মাফ করবেন আমি নিজে কিছুটা অসুস্থ সেজন্য আপনার এই পোষ্টটা মন দিয়ে পড়তে পারি নি - নাকি আমার বুদ্ধিমত্তা কমে যাচ্ছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আপনার এই পোষ্ট-টা ঠিক কি নিয়ে? বাংলা ভাষার পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে সেটা নিয়ে? নাকি বাংলা প্রমিত বানানরীতি নিয়ে? নাকি বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও জন্ম-প্রবাহ নিয়ে? অথবা অন্যান্য ভাষার সাথে তুলনামূলক বাংলার বানান ও
বর্ণমালা নিয়ে আলোচনা?

যে বিষয় নিয়েই হোক, বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা ভালো লাগে। কারণ এই ভাষাটা আমার কাছে অনেকটা প্রথম প্রেমের মতন, আর তারচেয়েও এই ভাষাকে স্নেহ করি কারণ, ভাষাটা কিছুটা মরে যাচ্ছে বলা যায়। তাই মরণাপন্ন এই একটা জিনিসের প্রতি কেবল মাত্র দূর থেকে দেকে আর্তনাদ, হায় হায় করা আর মনে মনে কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই তেমন এই জামানায় করার নেই।

পোষ্টের টপিক ভালো লেগেছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এটা তো শুরু সবে- সব কিছু নিয়ে আলোচনা হবে। সময় সুযোগ পেলে ভাষার শুরু থেকে শেষ তক যতটুকু আমার মগজে ধরবে ও কাজের ফাঁকে সময় পারমিট করবে। সেই সাথে আপনাদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ একটা ব্যাপার নিশ্চিতভাবে থাকবে। এখনে কোন যুদ্ধ তো হচ্ছে না। তেমন কোন তিক্তকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে, আলোচনাগুলো শালীনতা রুচিশীলতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলতে থাকবে।
আমরাতো বরাবর জ্ঞানী-গুনী বিচক্ষন পণ্ডিত মানুষের কথা শুনি, ভাষা নিয়ে আমাদের মত সাধারন মানুষের ভাবনা কী সেটাও তো শোনা উচিৎ না কি?
আপনি সুস্থ হয়ে দ্রুত ফিরে আসুন- ভুল ভ্রান্তি অনেক আছে, আলোচনার মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হবে-অনেক কিছু শিখব জানব। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ভাল থাকুন।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: ভাষা অন্য আর দশটা বিষয়ের মতই পরিবর্তনশীল।বঙ্কিম যুগের বাংলা ভাষার সাথে আজকের ভাষার অনেক পার্থক্য।বানানেও অনেক পরিবর্তন আসছে।আরো পরিবর্তন হবে সামনে।মাইকেল মধুসূধন দত্ত যে শব্দ ব্যবহার করতেন তার ব্যবহৃত অনেক শব্দের অর্থই আজকে আমরা হুঝতে পারবো না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তো রবীন্দ্রনাথের শেষবেলায় জন্মেছিলেন। আপনার ছোটবেলার ভাষা শিক্ষা আর এখনকার ভাষা শিক্ষা নিয়ে পার্থক্যটা শেয়ার করতে পারেন- শিক্ষা ও ভাষার পরিবর্তনটা বর্তমান প্রজন্মের জানা জরুরী।
বঙ্কিমেরা গন-মানুষের জন্য লিখেননি, তারা ছিল উচ্চ-বংশীয় আর্য লেখক। সবাই তাদের লেখা পড়তে ও বুঝতে পারলে তারা চরম হতাশ হয়ে লেখালেখি ছেড়ে দিতেন। মধুসূদন এর ব্যতিক্রম নন। এরা জিনিয়াস ছিলেন নিশ্চিত কিন্তু এরা আপামোর মানুষের কথা কখনো ভাবেননি।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বেশ জটিল একখান পোস্ট, মতামত জানিয়ে নিজের দৈণ্যতা প্রকাশ করতে চাই না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: উঁহু এটুকু বললে হবে না- আলোচনা করতে হবে। একজন ব্লগার হিসেবে মতামত দিতে হবে স্বাধীনভাবে

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার প্রিয় টপিক। আলোচনার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু আমি এখন ভীষণ ব্যস্ত, স্ত্রীর আদেশ ছাড়াই বাইরে বের হতে হচ্ছে। সময় নিয়ে কিছু বলতে চেষ্টা করবো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমি জানি এটা আপনার প্রিয় টপিক! তবে বেশুমার ভুলে ভরা
তবে এসব পোস্টে বিস্তৃত আলোচনার অনেক বিষয় থাকে যা আপনার মত বাংলা ভাষায় ঋদ্ধ ব্লগারদের কাছ থকে আশা করি।
আমরা অল্প জানি কিন্তু জানার আগ্রহ আছে; ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন, শেখাবেন, তর্ক হবে, যুক্তি তর্কে জমে উঠবে ব্লগ।
মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে নতুনভাবে হৃদ্যতা ভালবাসা আন্তরিকতা হবে।
কামটা ভাল করেন নাই, তাড়তাড়ি ঘরে ফিরে আসুন- আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ...

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পোষ্টটি পড়লাম , এতে অনেক গুরুত্বপুর্ণ কথা ও সেগুলি নিয়ে ভাবনার অবকাশ আছে ।
মনে হল এতদিনে সঙ্গি একজন পাওয়া গেল । এতদিন বানান প্রমাদের বিষয়ে আমি
একাই বানান নিয়ে টানাটানি করে বানান রীতি সংস্কারের কথা বলতে ছিলাম ।
প্রায় একই রকম বিষয়ে এই সামুতে নীচে উল্লেখিত নামে আমার একটি পোষ্ট রয়েছে-
হরির উপরে হরি হরিকে দেখে হরি হরিতে পালায় : বাংলা ভাষা হতে সমগোত্রীয় ও সমউচ্চারলমূলক বর্ণ লিপি কমানো প্রসঙ্গ
বানান প্রমাদের মুল ক্ষেত্র ও কারণগুলি নিয়ে অল্প বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে সেখানে ।
আপনার এই পোষ্টটি দেখে এই ভাষার মাসে সেটিকে রিপোষ্ট করার বিষয়ে ভাবছি ।
বাংলা লেখায় বানান প্রমাদ নিরসনের জন্য বাংলা বর্ণ ও বানান শুদ্ধিকরন রীতি সংস্কার করা এখন সময়ের দাবী
হয়ে পড়েছে।

এই পোষ্টের টপিকের বিষয়ে পরে এসে আলোচনা করার প্রয়াস নিব ।

শুভেচ্ছা রইল


১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
কি যে ভয়ে ভয়ে পোস্টটা দিয়েছি, আমি ভেবেছিলাম কে জানে আক্রমনটা কোন দিক দিয়ে কিভাবে যেন আসে- সেটা সামাল দিতে গিয়ে আবার বেসামাল না হয়ে যাই :)
আমি একটা কথাই মনে করি; ভাষা মানুষের জন্য, ভাষার জন্য মানুষ নয়। আমি ভাব প্রকাশ করার জন্য বর্ণের ব্যবহার করার জন্য কথার থেকে যদি কয়েকগুন বেশী ভাবতে যাই তবে এই জীবনের বেশীরভাগ কথাই বলা হবে না। আমাকে আমার ভাষা ব্যবহারের কিছু স্বাধীনতা তো দিতেই হবে। বর্ণ ও ব্যাকারণের জটিল মারপ্যাঁচে শুধু অল্প কিছু মানুষের দখলে যদি শিল্প সাহিত্য থেকে যায় তবে পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা রয়ে যাবে।
ভাষাকে করতে হবে আধুনিক, সহজ সরল সুন্দর ও প্রাঞ্জল। শিশু থেকে বৃদ্ধ উচ্ছলতা আন্তরিকতা নিয়ে ভাষা শিখবে।
সবচেয়ে বড় কথা লেখ্য ভাষা এখন ধীরে ধীরে যন্ত্রের কব্জায় চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সাহিত্যে মানুষের অবদান থাকবে শুধু মৌলিক ভাবনায়। এত কষ্ট শুধু পণ্ডশ্রম হবে।( আমার পরের এক পর্বে থাকবে এ বিষয়ে)
আপনার লেখাটি আমার নিজের স্বার্থেই পড়তে হবে। দয়া করে যদি রিপোস্ট করতেন তো ব্লগের সবাই উপকৃত হোতো। অপেক্ষায় রইলাম আপনার সৃজনশীল মন্তব্যের।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ভাষার মাসে, প্রিয় বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা। চমৎকার লাগলো তপন দা...
অনেক কিছুই জানার আছে এখনও....
লিখে যান দাদা...

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভাষাগত দক্ষতা বেশ। আপনি আরো বেশী আলোচনা করলে উপকৃত হব। এভাবে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট্ট করে কাম সারলে হবে না; আলোচনা করেন

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যারা বেশি জ্ঞান দিতে আসবে এদের ধুয়ে দিবেন।
ভাব দেখলে মনে হয় ব্লগটা একেক জনের বাবার।বানান ভুল কেউ ইচ্ছা করে করে না।ভুল হলে উনাদের শুদ্ধ করে পড়ে নিতে বইলেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: না না এখানে তো যুদ্ধ বা ঝগড়া করতে আসিনি। আমাদের মত সাধারণ বাংলা ভাষা জানা মানুষেরা কি ভাবে কেমন ভাষা চায় তাদের ভাষা নিয়ে কি সমস্যা হচ্ছে এই নিয়ে ভাষা সাহিত্যে জ্ঞানী গুণী পণ্ডিত ব্যাক্তিবর্গের সাথে আলোচনা মাত্র।
বানান ভুলের একটা মাত্রা আছে - সেই মাত্রার বাইরে গেলে অভিব্যাক্তি আমূল পালটে যায়, সেগুলো অবশ্যই পরিত্যজ্য।
লেখার ভুল আছে কয়েক প্রকার; যেগুলোকে আমরা এ বি সি হিসেবে চিহ্ণিত করতে পারি। সি গ্রেড অবশ্যই মারাত্মক ভুল।
যেমন আজ একজন লিখেছেন; অভিননদন ( উচ্চারণ হয়; অভিননোদোন), আর কিছু ভুল শব্দের মানেই পাল্টে দেয়।
ধন্যবাদ ভাই্ডি সাথে থাকবেন

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:






লেখার জন্য বাংলা ভাষা আসলেই খুব জটিল ভাষা। মধ্যন্ন, দন্তন্ন, অথচ বলার সময় এগুলো ধরা যায়ই না বলা চলে। আবার তালব্য-শ, মধূন্ন্য-ষ, দন্ত-স, তিনখান ‘শ’ । এগুলোও বলার সময় তফাৎ করা যায়না। শাপলা অথচ লিখতে গিয়ে সাপলা লিখলে ভাষায় বলাৎকার হয়ে যাবে।

সুতরাং লেখক যদি শতভাগ নির্ভুল লেখা লেইখ্যা ফালায় তাইলে দ্যাশে প্রুফ রাইটার পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই লেখক লিখে যাক বানান পরে ঠিক করে নেয়া যাবে।

তবে ব্লগে লেখার বানান নিয়ে মেট্রিক পরিক্ষার খাতার মতো নম্বর দিতে যাদের মুঞ্চায় তারা আসলেই পন্ডিত প্রজাতির । তাদের জন্য ‘বিশুদ্ধ বানান বিভাগ’ নামে আলাদা বিভাগ খোলা যেতে পারে। তাতে তারা এ পাড়া মাড়াবে না।

শুভকামনা তপন ভাই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ওই তিনখানা 'শ' বাংলা ভাষাভাষিরা জটিল 'শমশ্যায়' আছে। তৎসম তদ্ভব অ-তৎসম খাঁটি দেশী নিয়ে ব্যাপক এক তেলেসমাতি আছে, ষ-তত্ত্ব বিধান নামক বাংলায় ভয়ঙ্কর এক জটিল অধ্যায়যুক্ত আছে। এই রাহু থেকে ভাষাকে মুক্ত করে সহজ সাবলীল প্রাঞ্জল করতে হবেই। আগে কি হয়েছে ভুলে যাই- এইটা সময়ের দাবি।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ভাষা প্রকৃ্তি ও প্রাণের কোন শব্দই সঠিক উচ্চারণে ধরতে পারে না" - কথা তো ঠিকই; উদাহরণ ও ছবি (ভিডিও) সহ বুঝাইয়া দিলেন! :)

তবে, লিখিত কোন নিবেদনে বানান যথাসম্ভব শুদ্ধ রীতিতেই লেখা সমীচীন। কেউ যদি একান্তই এতে অপারগ হন, তার লেখা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে, কিংবা তাকে মার্জিতভাবে শুদ্ধ বানানটা বাতলিয়ে দেয়া যেতে পারে। গত আট বছরের ব্লগিং এ আমি দেখেছি, পরের পরামর্শটা সচরাচর সাদরে গৃহীত হয় না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: তবে, লিখিত কোন নিবেদনে বানান যথাসম্ভব শুদ্ধ রীতিতেই লেখা সমীচীন। কেউ যদি একান্তই এতে অপারগ হন, তার লেখা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা যেতে পারে, কিংবা তাকে মার্জিতভাবে শুদ্ধ বানানটা বাতলিয়ে দেয়া যেতে পারে। গত আট বছরের ব্লগিং এ আমি দেখেছি, পরের পরামর্শটা সচরাচর সাদরে গৃহীত হয় না।
আপনার কথা না মেনে উপায় নেই, তবে পরামর্শ যদি সহনীয় পর্যায়ের হয় তবে বেশীরভাগ ব্লগার সেটা নিয়ে খুব বেশী ট্যা ফ্যা করেন না। আমাদের সমস্যা নিজেকে জাহির করার জন্য খুব বেশি পণ্ডিতি ফলানো নিয়ে। এখানে সবাই মোটামুটি পরিণত বুদ্ধিমান শিক্ষিত, এরা যার যার অবস্থানে নিজেদেরকে সেরা বা একটু ব্যতিক্রম ভাবে। যখন তাদের আঁ-তে ঘা লাগে তখন নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে যায়। বেশিরভাগ ব্লগার একে অপরের অপরিচিত হওয়ায় কারো বয়স শিক্ষা সামাজিক অবস্থান সন্মন্ধে না জানায় সহজেই অপমানিত বোধ করে।
তবে অনেক ব্লগার অনেক কঠিন কথাও অবলীলায় হজম করে নেন। আপনাদের মত ব্লগার যখন পরামর্শ দেন তখন দেখবেন কেউ কিছু বলবে না। কারন সবাই মোটামুটি লেখার মাধ্যমেই আপনাদের ব্যাপারে অবগত।
সাথে থাকবেন আপনার মুল্যবান মন্তব্য ও পরামর্শ দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করবেন। ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার মনের মতো একটা পোস্ট। আমার লেখার সময় অনেক বানান ভুল হয়। এই যেমন ন যেখানে হবে সেখানে কখনো ণ লিখে ফেলি-- বা যেখানে ি হবে সেখা ী লিখে ফেলি--- এমন ধরনের আরো কিছু ভুল হয়। আমি জানি এটা ঠিক নয়। লিখা পড়তে এসে অনেক বিরক্ত হয়। কিন্তু আমার কি উচিত বলেন। এই বয়সে আমি আর শুদ্ধ লেখা লিখতে পারবো না। অফিসের ব্যস্ততা--পারিবারিক ব্যস্ততা--- এখন কি আর করা।
যাইহোক, আমি যখন বই বের করবো তখন প্রুপ রাইটার রাখবো--যাতে তিনি আমার লেখার বানানগুলো শুদ্ধ করে দেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্রস্ব-ই আর দ্বীর্ঘ-ঈ নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই!
পরে কোন এক পর্বে দুটো 'ই' এর জন্ম নিয়ে একটা গল্প বলার ইচ্ছে ( বানানো গল্প)
প্রুফ রিডার/রাইটার রেখেই লাভ নাই। ওরা বড় ফাঁকিবাজ, গুগোল দিয়ে কাজ চালাইতে চায়- টাকা পয়সা নিয়ে কিছু একটা করে এনে আপনাকে বলবে ঠিক আছেকিনা দেখে দেন? পড়বেন ফ্যাসাদে!
মেলার আগে একেকটা বইতে ৭/৮ হাজার টাকা ফ্রিল্যান্স প্রুফ রিডার নেয় কিন্তু কামে লবডঙ্কা! পরে আমার মত গালি শুনতে হয়।

১২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

প্রামানিক বলেছেন: বানান নিয়ে বাহাদুরি করতে পারবো না, আমার নিজের লেখাতেও অনেক বানান ভুল থাকে। তবে একসময় খুব ডিকশনারি ঘাটতাম এখন সেটাও করি না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

শেরজা তপন বলেছেন: ডিকশনারি ঘেটে লাভ কি আর, সব কিছু এ আই এর কব্জায় চলে যাচ্ছে!
আর কয়দিন পৃথিবীতে থাকেন, আপনি খালি ভাববেন আর কইবেন লিখে ফেল ব্যাটা; সঙ্গে সঙ্গে আট দশখানা প্লট সাজিয়ে চোখের সামনে ধরে বলবে বস কোনটা চলবে?
আপনি কইবেন, পড়তে পারুম না চোখে ব্যাথা- পইড়া শুনাও?
শুনানোর পরে কইবেন, এই ভাষায় চলবে না খাঁটি বঙ্কিমীয় ভাষা লাগবে- কোন শালায় যেন না বোঝে।
জ্বী বস আপনি চাইলে চন্ডিদাস কিংবা কালিদাসের ভাষাও দিতে পারি।

কি মজার দিন আসতেছে ভাই রে :) :)

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

নতুন বলেছেন: বাংলা বলা কিন্তু অনেক সহজ। অনেক বিদেশী কিন্তু বাংলা খুবই সহজে রপ্ত করে ফেলে।

আরেকটা কথা বিদেশীদের কাছে শুনে ভালো লেগেছে তা হলো বাংলা শব্দের উচ্চারন এবং বলার ভঙ্গি সব মিলিয়ে বাংলা ভাষার কথা বলা নাকি সুন্দর । কিছু ভাষা আছে দুজন কথা বললে মনে হচ্ছে ঝগড়া করছে নিজেদের মাঝে...।

প্রবাসে থাকায় বাংলা কাগজ কলমে লেখা হয় না। তাই সামু ব্লগের কাছে কৃতঙ্গ ( বানান ভুল হইছে :) ) বাংলার কি অবস্থা হইছে সেটা টের পাই দেশে গেলে যখন কিছু লিখতে হয় তখন।

ভাষা নদীর মতন চলমান, ভাষা কত পরিবর্তন হয়েগেছে সেটা বুঝতে হলে বঙ্কিম চন্দ্রের লেখা পড়লেই বোঝা যায়। সামনে আরো পরিবর্তিত হবে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বলায় তো সুমধুর আর সহজ - কিন্তু লেখায় এমন হবে কবে রে ভাই?
তামিল ভাষা আমার কাছে তেমন মনে হয়- জাপানিজ ও মনে হয় ঝগরাটে ভাষা :)
কৃতজ্ঞ বানান ভুল লিখলেন কেন? আপনাকে ফাইন করা হইল, কি সেইটা পরে জানানো হইবে।

আমি খুব বেশি খাঁটি আর্যদের লেখা পড়ি না।

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বানান ভুল করি আমি।
সেই তুলনাত আপনার বানান ভুল নেই বলা চলে।
অর্ক ভালো ব্লগার নন। তার ব্লগিং শেখা উচিৎ বলে মনে করি।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন আমি তো জানি আপনি বাংলা আমার থেকে সহস্রগুণ ভাল জানেন, কতবার আমার বানানে ভুল ধরলেন আপনি!

আপনি ভাল লেখক শুধু মাঝে মধ্যে লাইন লেন্থ ভুল করে নো আর ওয়াইড দেন :)

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: আগে বলুন গরু লিখবও না গোরু লিখবো?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কোনটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেইটা বলেন আগে? যদি দেশি ভাই হয় তবে 'গরু' লেখেন আর বিদেশী কাউরে বুঝাইতে 'গোরু' লিখতে পারেন । বাংলা ভাষায় অনেক কিছু ভাবে বুঝে নিতে হয় কিন্তু কিছু পোক্তভাবে ব্যাকারণ না মানলে চলে না- যেমন চাঁদ-এর উপর চন্দ্রবিন্দু দিতেই হবে চ-এর উপরে একটা কাস্তের মত বাকা চাঁদ আর তারা না থাকলে নাকি চাঁদ চাঁদ ভাব আসে না :)

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫২

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার সরিয়ে ফেলা শেষ পোস্টে একটা কমেন্ট করেছিলাম। বানান নিয়ে,ব্যাকরণ নিয়ে আপনার এই পোস্ট নিয়মিত দিয়েন।

আপনার এই পোস্ট দেখে, আমারও একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছা মনে আসছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাষার মাসেই তো সেরা সময় এমন পোস্ট দেবার, ব্লগ জমে উঠুক ভাষা নিয়ে আলোচনায়।
আমি ব্লগাসক্ত (ব্লগ এডিক্টেড) মানুষ- যতই চেষ্টা করি দূরে থাকার, ঘুরে ফিরে বেহায়ার মত ফের আসি।
এমন লেখায় অনেক সময় লাগে-একটু এদিক ওদিক হলেই খবর আছে :)

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: দৃষ্টি আকর্ষন করছি-
এখানে ভলটা ধরতে পারলে- আপানি ফেলক্সি পাবেনদৃষ্টি আকর্ষন করছি-
এখানে ভলটা ধরতে পারলে- আপানি ফেলক্সি পাবেন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

শেরজা তপন বলেছেন: ভুলটা তো আমি ধরতে পারলাম না রে ভাই- তবে কি ফেলক্সি পাব না? :(

১৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

জুন বলেছেন: আমিতো যখন দেখি মানুষ রস্বিকার দীর্ঘিকার নিয়ে ঝগ্রা করে আমি বিস্মিত হই শেরজা। আমার মাথাতেই আসেনা ইহা কি করিয়া সম্ভব :-* আর কেউ কেউ যখন বলে যতিচিহ্ন আমি তো তখন একেবারেই বেকুব। এগুলা অবশ্য কোন গর্বের কথা না। তবে মোটাদাগে বানান ভুল কম করি বাট বানান নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমি আমার লেখার মাধুর্য্যকে রসকষহীন করে ফেলি না। তখন মনে হৈবে আমি ব্যাকরণ বৈ ল্যাকতে বসছি :P
আপ্নে লেক্তে থাহেন, আমরা পড়তে থাহি। আম্নের লেহা মুই ভালা পাই শেরজা X((

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ওই যে বললেন মোটা দাগের বানান - হ্যা ওইটে না হইলেই হয়।
ওই দুই 'ই'-কার নিয়ে আপনার বক্তব্যটা যদি একটু শুনতাম তবে আমার 'ই' বিষয়ক আলোচনায় আমি আর বিস্ময়কর বিষয়টুকু আনতাম না।
আমি না কৈরা কৈরা ও লেখতেই আছি- লজ্জা হায়া শরম কিচ্ছু নাই ক্যা!
শুকরিয়া -মাহাতারমা ( ভুম না আসলেই হৈল) :)

১৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: অর্ক ভুল করেছে , এর জন্য অর্ক কে খোলা মাঠে দুঃখীত বলতে হবে। সে ভুল মানুষ কে ভুল উপাদি দিয়েছে । বানান ভুলের সর্দার হলাম আমি । আমাকে না দিয়ে আপনা কে দিয়েছে এটা মানা যায় না । এটা মানা যায় না । কক্ষনো না ! কক্ষনো না!! কক্ষনো না!!!। বিচার চাই ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

শেরজা তপন বলেছেন: সে আগেই স্যরি বলেছে- তবে সেই পোস্ট মডারেটর মহাশয় আমার হেফাজতে বেশ ভক্তি-সহকারে পাঠিয়ে দিয়েছেন ড্রাফটে রাখার জন্য। ব্লগ বলে এই পোস্ট ধারন করার উপযোগী বয়সে এখনো পৌছায়নি।
আরে হৈল আপনি হৈলেন সর্দার নম্বর টু- আমরা জমজ সর্দার :)

২০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বানান ভুল নিয়ে কথা বলা উচিত আবার না বলাও ভাল। এই আমি টাইপ করি অভ্র ফেনেটিক দিয়ে। লেখার সময় ভুল চোখে দেখি না, পোষ্ট হয়ে গেলে দেখি অনেক বানান ভুল, তখন আর ঠিক করতে ইচ্ছা হয় না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০

শেরজা তপন বলেছেন: এটা মনে হয় প্রায় সবার ব্যাপারে হয়। অন্যের পোস্টে শুধু ভুল চোখে পড়ে নিজের পোস্টে তেমন একটা নজরে আসে না- আর আসলেও পাবলিশ হবার পরে আসে :)
খুব বিশ্রী রকমের ভুল হলে না হলে আমি রেখে দেই। মানবীয় কিছু ব্যাপার থাকা উচিৎ।

২১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

নীল আকাশ বলেছেন: রেফঃ ১৭ - ব্লগের নোটিফিকেশনে এইসব বানান ভুল অনেক আগে থেকেই আছে।
আমি এটা জানিয়েছিলাম কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

রেফঃ ১৫ - আপনি সম্ভব সরল মন নিয়ে আমার মন্তব্য পড়েছেন। আমরা কেন গোরু লিখবো যখন গরু বানান আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে ও জেনে এসেছি? কেন জোর করে অন্যের বানান আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এই দেশে কে কবে গোরু ডেকেছে?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: যেগুলো এতদিন জেনে এসেছি সেগুলো তেমন থাকলে সমস্যা দেখি না তবুও আমি যতদুর সম্ভব উচ্চারণের সাথে বানানের পক্ষপাতি। আমাদের পরের প্রজন্ম গোরু শিখলে সমস্যা নেই।

২২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

আরইউ বলেছেন:




ব্লগে বা অন্য যেকোন জায়গায় লিখতে গেলে যতটুকু সম্ভব বানান ভুল কম করার চেষ্টা করি। তবুও ভুল রয়ে যায়—হয়ত কোন শব্দের সঠিক বানান জানিনা তাই; কখনো টাইপোর কারণে। তবে সচেষ্ট থাকি জেনেশুনে বানান ভুল না করতে। কেউ যদি বলে এই বানানটা ভুল তাহলে আমি ইতিবাচক হিসেবে নেবো এবং সঠিক বানানে পরবর্তিতে লেখার চেষ্টা করবো।

অর্ক সেদিন আপনাকে বানানের বিষয়টা ভিন্নভাবে বলতে পারতেন। তবে যেহেতু উনি পরবর্তিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সেহেতু বিষয়টা চুকেবুকে গেছে বলেই মনে করি।

১৪ নাম্বার মন্তব্যের বিষয়েঃ রাজীব নুর বলেছেন “অর্ক ভালো ব্লগার নন। তার ব্লগিং শেখা উচিৎ বলে মনে করি।” কে ভালো ব্লগার আর কে মন্দ, কার ব্লগিং শেখা উচিত তার সার্টিফিকেট কেন রাজীব দিচ্ছেন ঠিক বুঝতে পারছিনা। একজন প্রমানিত কুম্ভিলক ব্লগারদের ভালো মন্দ নিরুপণ করছে দেখে বেশ আনন্দ পেলাম।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে তো শুধু মন্তব্যেই দেখি লিখেন আর কই?
জেনেশুনে বানান ভুল কেউ করতে চায় না। ইদানিং 'অটো স্পেলিং কারেকশানে' আরেক সমস্যা হয়েছে- অদ্ভুত সব ভুল ধরে। শুদ্ধ বানান ভুল ধরে ভুল করে দেয়, দ্বীধায় ফেলে দেয়! তারপরে ফোনেটিকে এতবেশী 'O' ফন্ট এ চাপতে হয় যে বিরক্ত লাগে, একটু এদিক ওদিক হলেই যুক্তাক্ষর হয়ে যায়। আমি আবার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে লিখতে পারি না, সেটা লেখা ভুলের আরেক সমস্যা।
নাহ্‌ অর্কের কোন দোষ নেই, অনেকেই মনে মনে রাগ হয়-মুখে বলে না, সে বলেছে। তাঁর জন্যই তো ব্লগে ভাষা নিয়ে একটা আলোচনা শুরু হয়েছে, এত ব্লগার অংশগ্রহন করছে।
ব্লগার রাজীব এন্ড গং খুব ক্ষেপে আছে ব্লগার অর্কের উপর :)

২৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বানান ভুল নিয়ে কথা বলা উচিত আবার না বলাও ভাল। এই আমি টাইপ করি অভ্র ফেনেটিক দিয়ে। লেখার সময় ভুল চোখে দেখি না, পোষ্ট হয়ে গেলে দেখি অনেক বানান ভুল, তখন আর ঠিক করতে ইচ্ছা হয় না। ধন্যবাদ ভাই মনের কথা বলার জন্য ।

লেখক বলেছেন: আরে হৈল আপনি হৈলেন সর্দার নম্বর টু- আমরা জমজ সর্দার

বলেন চাঁদে কে দ্বিতীয় হয়েছিলো ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

শেরজা তপন বলেছেন: কইলে তো মাইন্ড খাবেন।
থাউগ্‌গা তাইলে আপনি সর্দার নাম্বার টু-ই থাকেন। আমি একটা পদ পদবী নিয়ে আছি আপনার কি হিংসা হয়?

২৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপানার এটা ভুল ধারনা-
আমি কখনো আপানাকে বন্চিত করবো না। =p~

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি বঞ্চিত হতে চাই- প্লিজ ফ্লেক্সি কইরেন না। গত পরশু নাকি এমনি এক ফ্যাকড়ায় নায়িকা দীঘির এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস হারুন সাহেব ছিল- না হলে জাতির যে কি হইত!

২৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: বাংলা ব্যাকরণ খুবই খটমটে। ণত্ব, ষত্ব, স শ ষ, ঋস্বইকআর, দীর্ঘীকার, বিভক্তি,কারক, সমাস এগুলো খুবই গোলমাল লাগায়। ব্যঞ্জনবর্ণের প্রতি বর্গের প্রথম শব্দের সাথে হ যোগ করে হয় তৃতীয় শব্দ, দ্বিতীয় শব্দের সাথে হ যোগ করে চতুর্থ শব্দে... দুইটা ন এর দরকারটাই বুঝতে পারলাম না! এটাকে সহজ করে তোলা এখন সময়ের দাবি। ভাষা ব্যাকরণ এইসব খটমটে জিনিস নিয়ে পড়ে না থেকে আগে যেমন পোস্ট দিতেন তেমন পোস্ট দ্যান, আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকি সবসময়।

রাশিয়ান ভাষা শেখা কি সহজ, বাংলার তুলনায়?

লেখা বোধগম্য হলেই হলো। বানান কোনো ব্যাপার না। আমার প্রিয় ব্লগার ছিলেন মানবী। তার লেখায় ছিল অজস্র বানান ভুল। তা সত্ত্বেও সবাই তার পোস্ট "লাইক" করতেন। "মানবী" র অসংখ্য ভুল বানানে ভরা একটা পোস্টকে স্টিকি করার জন্য মডারেটর দীর্ঘ সময় ধরে বানান ঠিক করেছেন। এই পোস্টের ৫৪ থেকে ৬১ নম্বর মন্তব্য দেখুন (৫৫ নম্বর আমার মন্তব্য)। মূল কথা এই যে, বিষয়বস্তু ভালো হলে বানান ভুল কোনো ব্যাপার না। আমরা সবাই বানান ভুল করি।view this link

আগের পোস্ট নিয়ে কিছু বলার ছিল, সুযোগ পেলে পরে বলবো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: এত বুঝে আর কি হবে, আর কয়দিন আছি এই দুনিয়ায়?
(আমাদের আড্ডার রতন ভাই খুব জ্ঞানী-গুণী মানুষের পরিচয় করিয়ে দেন এইভাবে, উনার সাথে পরিচয় হন,
-উনি মামুন ভাই,উনি একজন জানোয়ার!
সবাই তখন বিব্রত হয়ে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে।
রতন ভাই তখন ফিক করে হেসে বলে, উনি প্রচুর জ্ঞানী জানতে জানতে 'জানোয়ার' হয়ে গেছে।)

মানবীর ওই পোস্ট দেখে আসলাম। এতবার সংশোধনের পরেও বেশ কিছু ভুল চোখে পড়ল কিন্তু সেগুলো সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। আপনার সৌজন্যে মন্তব্যগুলোও পড়ার সুযোগ হল। ওই সময়কালে আমি ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম, তাঁর তাঁর লেখার সাথে তেমন পরিচিত নই।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ণ-ত্ব বিধান ও ষ-ত্ব বিধান বাংলা ব্যাকারণের অন্যতম কঠিনতম অধ্যায়, এই বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে আছে। ইনফ্যাক্ট লিখে রেখেছি- সামনে শেয়ার করব।
আপনার আরো কথা শোনার অপেক্ষায় রইলাম...
( *আইসক্রিম নিয়ে আপনার গল্প পড়ে আমার কত কথা মনে পড়েছিল- কিন্তু মন্তব্য থেকে নিজেকে কয়েকদিন বিরত রেখেছিলাম বলে কিছু বলা হয়নি।)

২৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

নিজের মতো ব্লগিং করুন। ব্লগিং করা মানে অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো। নেহাতই শখের বশে লেখালেখি। সেখানে অন্য কেও নিয়ন্ত্রক হবে কিংবা নিজের লেখালেখি প্রভাব ফেলবে এটা আমার ব্যক্তিগত কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বা আমি কাউকে ঠিকা দিয়ে বসেনি যে তাকে আমার লেখালেখির দায়িত্ব নিতে হবে।যিনি নির্ভুল লেখালেখি করেন তিনি তার লেখনিতে নিজের নির্ভুলত্ব তুলে ধরবেন।আর যিনি ভুল লেখালেখি করেন তিনিও তাকে বলবেন,ভাই আমার ভুলের লজ্জার পতাকা বহন করবার দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে না।আমারটা আমাকে বুঝতে দিন।
ব্যাস কেল্লা ফতে।
কাজেই এনজয়িং ব্লগিং.....

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে মাঝে এমন ধাক্কা খাইতে হয় ভাইজান- নাইলে জং ধরা গাড়ি চলবে কেমনে?

আমি সবসময় ব্লগিং এনজয় করি। ফ্রি টাইমে আড্ডা বাচ্চাকাচ্চা আর এই নিয়ে থাকি।
লেখালেখির মত মজার স্বার্থপর বিষয় আর নাই এই দুনিয়ায়।

অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য। শুভকামনা নিরন্তর।

২৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাষার একটা নিজস্ব ওজন আছে। শুদ্ধ বানান ভাষার ওজনবাহী খুঁটি। যে কোন লেখায় ভাষা তার সেই নিজস্ব ওজন নিয়ে নির্ভার দাঁড়িয়ে থাকে ত্রুটিহীন ও শুদ্ধ বানানের উপর। বানান নড়বড়ে হলে ভাষাও নড়বড়ে হয়। অত্যধিক হলে দুটোই মুখ থুবড়ে পড়ে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা অবশ্যই ঠিক- কোন ভাবেই সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই কিন্তু আমাদের বানান ও ব্যাকারণে প্রচুর গোঁজামিল আছে। কোন কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন কিছু নিজ জ্ঞানে বুঝে নিতে বলা হয়েছে আবার কোন কোন স্থানে উচ্চারণে নেই কিন্তু বানানে সেটা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনটা হয়তো সব ভাষাতেই কম বেশী আছে। যদিও পৃথিবীর কোন ভাষাই শতভাগ শুদ্ধতম নয়। সব ভাষা-ই কাটাছেড়া হচ্ছে পরিবর্তন হচ্ছে, আর যে ভাষা তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না সেটা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে!
মানুষের জন্য যেহেতু ভাষা -সেহেতু মানুষের প্রয়োজনে ভাষাকে পাল্টাতেই হবে, না হলে মাতৃভাষা ছেড়ে অন্য ভাষায় আগ্রহী হয়ে উঠবে। পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়- মানুষ খুব সহজেই নিজেকে পাল্টে ফেলতে পারে।
ধন্যবাদ ফের আসার জন্য।

২৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার অর্ক যদি আপনার ছাপানো কোন বই এর রিভিউ দিতে গিয়ে বানান ভুলের বিষয়টা উল্ল্যেখ করত তাহলে কিছু বলার থাকত না। কিন্ত ব্লগের একটা পোস্টে এই জাতীয় ভুল ধরে আক্রমনাত্মক কমেন্ট করা কোন ভদ্রলোকের কাজ নয়।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: না সে তেমন অভদ্র তো নয়। ভাষা নিয়ে তাঁর বিশেষ স্পর্শ-কাতরতা আছে।
সবাইতো আর সবখানে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারে না। আপনাকে কম কম দেখা যাচ্ছে মন্তব্যে ইদানিং- ব্যস্ত নাকি বেশী?

২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

জুন বলেছেন: আমার ছেলে যখন ছোট মানে যেই ক্লাশে অ আ পড়ায়। একদিন বই নিয়ে তার অক্ষর জ্ঞ্যানের উপর পরীক্ষা নীরিক্ষা চালাচ্ছি মানে স্বরবর্ণ আর কি। সেই সময় আমার ছেলে দুইটা ন, দুইটা র ঢ় পড়া পর্যন্ত ধৈর্য নিয়ে দেখলো। যখন স শ ষ আসলো আমার ছেলে চিৎকার করে বই ছুড়ে কান্না জড়িত গলায় বল্লো এত স ক্যানো :((

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: সে ঠিক বলেছে। আমার ছেলে মেয়েরও সেই এক দশা! আমাদের দশাও তেমন, ছিল তবে বেতের সামনে প্রকাশ করার সাহস হয়নি। বাংলায় টেনে-টুনে পাশ করেই শান্তিতে ছিলাম। যে পড়াইত সে-ই বুঝত ঘোড়ার আন্ডা!
আপনার ছেলে দেশ ছেড়ে ভেগে গিয়ে বেঁচেছে- এমন ক্যাচালের ভাষা আর প্যাঁচালো লেখা দুনিয়াতে কয়েকখানা আছে মাত্র।

৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পোস্টে একটা সুন্দর কথা বলেছেন। ব্যাপারটা কখনো ভেবে দেখি নি। আপনার কথাটা পড়ে চমৎকৃত হলাম - ভাষার সবচাইতে বড়ো সীমাবদ্ধতা ভাষা প্রকৃতির কোনো শব্দই সঠিক উচ্চারণে ধরতে পারে না। কথাটা কতখানি মনে ধরলো তা বুঝিয়ে বলতে পারবো না। আপনার ছড়াটাতেও যে-শব্দ শব্দ বা ধ্বনির কথা বলেছেন, তা কিছু কিছু প্রকৃত উচ্চারণের কাছাকাছি হলেও কিছু আছে একেবারেই যায় না। এরকম সমস্যার প্রথম সম্মুখীন হই নীচের ক্লাসে, সম্ভবত ক্লাস সিক্স/সেভেনে হবে - এক কথায় প্রকাশ করার সময়। ঘোড়ার ডাক - হ্রেষা, ময়ূরের ডাক - কেকা, হাতির ডাক - বৃংহিত, পাখির ডাক - কূজন, নূপুরের ধ্বনি - নিক্বণ, কোকিলের ডাক - কুহু, ইত্যাদি। তো, ঘোড়ার ডাক শুনতাম অহরহ, কিন্তু মিলাতে পারতাম না, ঘোড়ার ডাক 'হ্রেষা' হয় কীভাবে। কোকিলের ডাক কিছুটা মিলতো বলে মনে হতো। এগুলো এখন হয়ত কিছুটা বোঝে এসেছে যে, ঘোড়ার ডাক-কে বোঝানোর জন্যই এ শব্দটার অবতারণা, তার মানে এই না যে ঘোড়া 'হ্রেষা হ্রেষা' করে ডাকে। ঘোড়া ডাকে চিহিহিহি করে চিৎকার দিয়ে ?

আমার কাছে মনে হয়, মানুষ যে-সব শব্দ বা ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারে, ওগুলোর সংকেত বা লিখিত রূপের ক্ষুদ্রতম অংশই হলো বর্ণ। আবার, আবহাওয়া এবং ভূ-তাত্ত্বিক অন্যান্য কারণে সব অঞ্চলের মানুষ সব ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারে না। আমার জানা মতে, সউদি অঞ্চলের মানুষ 'প' উচ্চারণ করতে পারে না, এজন্য তাদের বর্ণমালায় 'প' ধ্বনির কোনো বর্ণ নেই। আবার, ইংলিশরা T, K, Q, P (এরকম আরো আছে) বর্ণগুলো উচ্চারণ করে, বাংলায় ট, ক, প হুবহু ঐ ধ্বনিগত উচ্চারণ নয় এবং 'বাতেন' উচ্চারণ যত শুদ্ধ করেই করুক না কেন, ওটা 'বাটেন' হয়ে যায়। আবার tsunami শব্দটাকে আমরা সুনামি উচ্চারণ করলেও ts ধ্বনিটা এমন যা আমার ঠোঁট দিয়ে সঠিক উচ্চারণে বের হয় না।

এবার আমরা ট্রাই করে দেখতে পারি - আমাদের শব্দভাণ্ডারে এমন কী কী শব্দ আছে, যা উচ্চারণের জন্য কোনো বর্ণ নাই? ছোটোবেলায় আমরা ফান করে কিছু কিছু শব্দ বলতাম বানান করার জন্য, যেমন 'রাইং'। রাইং হলো মাটির হাঁড়ি :) যেভাবে লিখলাম, উচ্চারণটা ঠিক এরকম না।

আমার ধারণা, এতদ্‌অঞ্চলের মানুষ মুখ দিয়ে যে-সব ধ্বনি প্রকাশ করতে পারে, ওগুলোর প্রায় প্রতিটা ধ্বনিরই লিখিত রূপ দেয়ার জন্য আলাদা আলাদা বর্ণ দেয়া হয়েছে। কয়েক বছর আগে 'ঈদ' ও 'ইদ' নিয়ে দেশব্যাপী ক্যাচাল লেগে গিয়েছিল। তখন একটু স্টাডি করে জানতে পারি, শুরুতে 'ঈ' বর্ণটাই ছিল না। বর্ণ সংস্কার ও সংক্ষিপ্তকরণের কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায়। ঈ-কার, ঊ-কার, কয়েকটা জ, কয়েকটা র, কয়েকটা স বাদ দিয়ে একটা করে বর্ণ রাখার পক্ষে জনমত তৈরি করছে। লি, ডাবল-লি নামক কিছু বর্ণ ছিল। এগুলোও বাদ দেয়া হয়। এসব সংস্কার ও আধুনিকায়নের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদানই সবচাইতে বেশি।

আধুনিকায়ন ও সহজীকরণের সাথে সাথে বানানরীতি জটিলও হয়েছে অনেক। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমী প্রমিত বানানের রীতি প্রকাশ করা হয়। এ রীতি দ্বারা বানানকে করা হয়েছে অনেক সহজ। আপনি কোনো শব্দ যেভাবে উচ্চারণ করেন, ওভাবেই লিখুন, এভাবে একটা প্যারাগ্রাফ লিখলে আপনার বানান ভুলের সংখ্যা অনেক কম হবে। কিন্তু, লিখতে যেয়ে যদি ৪০/৫০ বছর আগে আপনি স্কুলে যে বানান-রীতি শিখেছিলেন, সেটা মনে করে লিখতে থাকেন, আপনার ভুলের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। কিন্তু আশ্চর্য, এই চমৎকার বানানরীতিটা অতি-পণ্ডিতদের কাছে খুব 'বাজে কাজ' হিসাবে গণ্য হলো।

কোনো বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য অন্যকে উগ্রভাবে আক্রমণ করা ভদ্রতার মধ্যে পড়ে না। আমি সেই পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম। আমার কমেন্টে কোনো বানান ভুল ছিল বলে চোখে পড়ে নি। আমার আগের ও পরের কমেন্টেও কোনো বানান ভুল আমার চোখে পড়ে নি। হঠাৎ পোস্টে ঢুকে পূর্বাপর কিছু না ভেবে আক্রমণাত্মক কমেন্ট করা এবং পরে তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করার ঘটনা একবার/দুবার ঘটলে মানা যায়, এটা যদি কারো ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্টলি ঘটতে থাকে, তখন তার নিজেরই বরং কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে তারপর ব্লগে আসা উচিত। :) :)

গতকালের পোস্টে যে দুটি লিংক দিয়েছিলাম, সেটি আবারও দিচ্ছি।

কেউ যদি শুদ্ধ বানানে লিখতে চান, এই প্রমিত রীতিটা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিলে বানান ভুল অনেকাংশেই কমে যাবে। কেউ যদি বানানের ব্যাপারে কনফিউশনে থাকেন, তাহলে শব্দটা যেভাবে উচ্চারিত হয়, ওভাবেও লিখে দেখতে পারেন, শুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস

অনেক লম্বা কমেন্ট হয়ে গেল, তাই আর বাড়লাম না :)

শেষ কথা : আমি বানানের ব্যাপারে বেশ কেয়ারফুল, আমি বানানগুলো বুঝিও ভালো। তারপরও কমেন্ট সাবমিট করার পর দেখি, কিছু ভুল হয়ে গেছে। এটা হয় কম্পিউটার বাগের জন্য, ভুলবশত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও যদি এখন ব্লগিঙে নামতেন, আমিও তার পোস্ট থেকে প্রচুর ভুল বের করতে পারতাম :) কিন্তু তা দ্বারা প্রমাণিত হতো না যে আমি তার চাইতে পণ্ডিত ব্যক্তি :) যা প্রমাণিত হতো তা হলো - মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়।

কাজেই, আপনি এত উত্তেজিত ও অস্থির না হয়ে নিজের লেখালেখিতে মনোযোগী হোন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেবার আগে আমি ভাবছি, আপনার এই মন্তব্য গাজী সাহেবের চোখে পড়লে উনি কি ভাববেন;
সকালে আপনার মন্তব্য দেখে বলেছিলেন চা-কফি নিয়ে বসতে, এখন মনে হয় রাতের খাবার নিয়ে বসতে বলবেন :) :)

বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম

বাংলা বানান প্রমিতীকরণের ইতিহাস

এ দুটো লিঙ্ক দিয়ে খুব ভাল করেছেন, আমার বেশ দরকার ছিল-কষ্ট করে আর খুঁজতে হল না। আন্তরিক ধন্যবাদ সেজন্য।

আমি এখন অস্থির আর উত্তেজিত নই। আগে ভয় পেতাম- এখন বানান আর ব্যাকারণ পড়তে গিয়ে মজা পাচ্ছি। মানুষের মাথায় কত ভজঘট প্যাঁচ থাকে তাই দেখে হাসি পাচ্ছে।
আচ্ছা বলুনতো আদি ভাষা কেন এত জটিল হল? এর কোন উত্তর আছে- সেটা তো সহজ সরল স্বচ্ছ পানির মত হবার কথা ছিল!
দেখেন, এমন একটা লেখা না দিলে এত কিছু কি জানতে পারতাম- ভাষা নিয়ে আপনার দারুণ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার না করলে অনেক ব্লগারেরা বঞ্চিত থেকে যেত।
আরো আরো জানার মত মন্তব্য চাই - বড় বলে ডড়াই ন।

৩১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




সেইরাম একখানা পোস্ট হয়োছো! এই যে "সেইরাম" শব্দটি দিয়ে যা বোঝালুম বা আপনারা যা বুঝলেন, তা কি কোনও কেতাবে আছে? :P অথচ কি বোঝাতে চেয়েছি তা কিন্তু ঠিকই বুঝেছেন। ভাষা যদি মনের ভাব প্রকাশের জন্যে হয় তবে " সেইরাম " শব্দটা কি অপাংতেয় হবে ?

বেশ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে লেখা। আমার জ্ঞানের পরিধি কিছুটা বাড়লো। বাকী সবার কি হয়েছে জানিনা। তবে মোগল সম্রাট এর মন্তব্যটি যথাযথ।

সবচেয়ে দাগ কেটেছে আপনার এই কথাটি "ভাষার সবচাইতে বড়ো সীমাবদ্ধতা ভাষা প্রকৃ্তি ও প্রাণের কোন শব্দই সঠিক উচ্চারণে ধরতে পারে না" কখনও এমন করে ভেবে দেখিনি। এ বিষয়ে আপনার উদাহরণ, লিংক দেয়া ভিডিও দেখে বুঝলুম কথাটি কতো বিশালাকারে সত্য।
এমন লেখা পড়ে বুক "ধড়ফড়" করছে, কি সাংঘাতিক লেখা! এই যে "ধড়ফড়" করে বুক তাহলে হার্ট কি আসলেই ধড়ফড় শব্দটির উচ্চারণের মতো করে শব্দ করে? রেলগাড়ী কি শুধু "ঝিকঝিক" শব্দেই চলে? যদি রেলগাড়ীর "ঝিকঝিক" শব্দটির বদলে আপনি " যাচ্ছি যাবো...খাচ্ছি খাবো..... ( একটা ছড়া আছে এরকম) বলতে থাকেন দেখবেন রেলগাড়ী হবহু সেই কথাটিই বলছে। :|

পোস্ট সুপার লাইকড..................

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু বাংলা ভাষা নয় মানব জাতির ভাষা নিয়েই আমার মনে ব্যাপক দুঃখ! ভাবে দেখুনতো কেন পৃথিবীতে সাত হাজারের উপর ভাষা এখনো বেঁচে আছে( বিলুপ্ত হয়ে গেছে আরো হাজার হাজার ভাষা)? পুরো মানব জাতির মনের ভাব প্রকাশের জন্য একটা ভাষা নয় কেন?
এর একটাই উত্তর; পণ্ডিতদের দলাদলি কিলাকিল, ক্ষমতার দ্বন্দ, দেশ নামে একটা আজাইর‍্যা বিভক্তি, আর্য অনার্যের দুরুত্ব সৃষ্টির প্রয়াস, নিজেকে ব্যাফক জ্ঞানী প্রমানের চেষ্টা, সম্পদ রক্ষা সহ ভিন্ন ভিন্ন সঙ্কেতে মানুষ নিজেদের গোপন রাখার প্রয়াসে নতুন নতুন কোড় করে আরো কঠিন জটিল ও নিত্য নতুন ভাষার সৃষ্টি করেছে।
এখন তাঁর ভার আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম অসহায় হয়ে মাতৃভাষার ( জার্মানদের মত জাতির পিতৃভাষা) নামে পরম শ্রদ্ধাভরে বহন করছি।
তবে আসা কথা ভাষা বিজ্ঞানীরা ধারনা করছে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৯০ভাগ ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাবে! যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সু-খবর বটে।

৩২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,


হায় হায় .... বানান নিয়ে এতো সাবধানে থাকার পরেও "সেইরাম একখানা পোস্ট হয়োছো" লেখা হয়ে গেছে! :((
এটাক কি বানান ভুল বলবো না কি টাইপো বলবো ? :(

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি হয়েছে-ই তো পড়েছি। পরে ভুল দেখে পড়ে দেখি -হয়োছো লিখেছেন :)
ওটা-কে ইগ্নোর কররেও এটাক ইগ্নোর করা যায় না :)

৩৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক সুন্দর।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আফসোস -বড়ই আফসোস!! সাজ্জাদ ভাই বেশী সুন্দর হয়ে গেছে!! :)

৩৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



খুব ছোটবেলায় আমি যেই প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম সেখানে বি- ক্লাশ নামে একটা ক্লাস ছিল।
এই ক্লাসে মূলত স্বরে-অ, স্বরে- আ ক খ ১২৩ এগুলো পড়ানো হতো।
বি প্লাস টা বর্তমানের প্রাক প্রাথমিক টাইপের কিছু একটা হবে হয়তো ।

সেখানে আমার জন্য একটা বই কেনা হয়েছিল।
বইটার নাম হচ্ছে আদর্শ লিপি সরল বর্ণপরিচয় সীতানাথ বসাক ।
সেই বইটা ছিল আমার জীবনের কঠিনতম বই। প্রথম চ্যাপ্টারে ছিল স্বরবর্ণ। এর মধ্যে আপনি যে রকম বলেছেন সেরকম একটা জিনিস ছিল ।

একটি ছিল লি-৯। আরেকটা জিনিস ছিল ডাবলি- ৯৯ অনেকটা বাংলা পেঁচিয়ে ধরা ডবল নয় এর মত । দুই বার নয় লেখা ছিল কেন কে জানে!?

আবার ব্যঞ্জনবর্ণের ক্ষেত্রে দেখেছি সেখানে ও কিছু কিছু অক্ষর ছিল একাধিক দুইটা বা তিনটা। এরকম নানান কিসিমের ঝামেলা ।আমাদের দেশের রাজারা বানান ভাষা প্রবর্তন সংস্কার তথা বানান প্রবর্তনের ক্ষেত্রে মনে হয় রাজপণ্ডিতদেরকে দিয়ে বিশাল ভূমিকা রাখিয়া ছিলেন । এই দিকটি তারা হয়তো কখনোই বিবেচনা করেন নাই । অন্যদিকে রাজপন্ডিতগণ রাজাকে খুশি রাখিবার জন্য ভাষাকে ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতার উপরে তুলেছিলেন যে আজও বাংলাদেশের শিশু কিশোর তথা বয়স্ক সমাজ দারুণ ভাবে ভোগেই চলেছে।
আফসোস!!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি একটাই 'লি' নিয়ে বেজায় বেকায়দায় ছিলাম- জোড়া 'লি' দেখার দুর্ভাগ্য হয় নাই।
আপনার কথা গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়ার মত। ওই পণ্ডিত আর এখনকার মৌলভীরা একই কিসিমের - কাম কাজ করত না,
আজাইর‍্যা বসে বসে খাইত আর দুনিয়ার জটিল জটিল যত ধারা, আইন বানাইত যাতে সাধারণ মানুষেরা বুঝতে না পার
সভ্যতা নামক বিষয়টা কি আসলেই মানুষকে সভ্য করেছে এইটা বিশাল একটা প্রশ্ন?
মানুষের জন্য যে ভাষা ছিল এক সময় সেই ভাষার জন্য মানুষ হয়ে গেছে।

৩৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:০১

এমজেডএফ বলেছেন: ব্লগে আমরা যারা লেখালেখি করি প্রায় সবাই প্রাপ্তবয়স্ক ও আশাকরি মানসিকভাবে সুস্থ। তাই কারো ভুলত্রুটি ধরতে গিয়ে যদি কেউ অভদ্র ও অশালীন আচরণ করে তবে ধরে নিতে হবে সে মানসিক বিকারগ্রস্থ! তার ভুল ধরার উদ্দেশ্য নিজেকে জাহির করা ও অন্যকে অপদস্থ করা। কেউ মহৎ উদ্দেশ্যে ভদ্রভাবে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিলে লেখকের জন্যই মঙ্গল।

বাংলাভাষার বর্ণ, শব্দ ও উচ্চারণের দুর্বলতা নিয়ে লেখা আপনার পোস্টটি অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। সময়ের সাথে ভাষা পরিবর্তন হয়। সুতরাং যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভাষার নিয়মকানুনকে সংস্কার ও আধুনিকায়ন করতে হলে মুক্ত মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা করতে হবে, জনমত গড়ে তুলতে হবে। তবে যে কারণে আপনি এই পোস্টটি লিখেছেন তাতে আমার কিছুটা মনে হয়েছে বাংলা ব্যকরণ/বানানগত ভুল লেখার পক্ষে সাফাই বা ওজর (excuse) হিসাবে এটি লিখেছেন। যদি তাই হয়ে থাকে সেটি দুঃখজনক। আরো দুঃখজনক হলো এই পোস্টের সব মন্তব্যকারী (ব্যতিক্রম: খায়রুল আহসান ভাই ও সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই) ভুল লেখার পক্ষেই মত দিয়েছেন।

পৃথিবীতে একমাত্র ভাষা বাংলা - যার জন্য আন্দোলন হয়েছিল, মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিল (আসামের বরাক উপত্যকায় ১১জন, পূর্ব বাংলার ঢাকায় ৪ জন)। তাই জেনে বা না জেনে কিংবা নিজে পন্ডিতী করে সবাই ভুলভাবে বাংলা লিখলে অচিরেই প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের বাংলা ভাষা বিশৃঙ্খলার অপঘাতে বিকলাঙ্গ হয়ে পরিত্যক্ত ভাষায় পরিণত হবে।

উন্নত বিশ্বের সব দেশে নিজ দেশের ভাষা সংস্কার ও আধুনিকায়ন করার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্রতিষ্ঠান থাকে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে এই প্রতিষ্ঠানগুলো মিডিয়ায় ঘোষণা দেয় আজ থেকে ভাষাটির পুরানো ও অপ্রচলিত কোন শব্দগুলো বাদ যাবে এবং কোন নতুন শব্দগুলো যোগ হবে। আমাদের বাংলা ভাষার প্রাতিষ্ঠানিক অভিভাবক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। তাই দ্বিমত থাকলেও সবার উচিত বাংলা ভাষার ব্যাপারে বাংলা একাডেমির দিক নির্দেশনা মেনে চলা। কারণ সবাই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও যুক্তিতে নিজের ইচ্ছানুযায়ী বানান ও ব্যকরণে বাংলা লিখলে বাংলা ভাষায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করেন, সমালোচনা করেন। মানুষ অনুকরণপ্রিয়। তাই বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত এসব ভুল বানান ও রীতিকে অনেকে সঠিক মনে করে নিজেরাও সেভাবে লিখবে। এতে একাধিক ভুল বানানের জোয়ারে একমাত্র শুদ্ধ বানানটি হারিয়ে যাবে!

ভুল হওয়াটা কোনো অপরাধ নয়। ভুলকে শুদ্ধ করার চেষ্টা না করাটাই অপরাধ। অন্ততপক্ষে যারা নিয়মিত লেখালেখি করে তাদের উচিত যতটুকু সম্ভব শুদ্ধ লেখার চেষ্টা করা। কারণ লেখার বিষয়বস্তু যতই গভীর হউক না কেনো অতিমাত্রায় বানান ভুল ও বাক্য ভুলের কারণে লেখার গভীরতা যেমন কমে যায় তেমনি লেখকের ওজনও হালকা হয়ে যায়।

"পৃথিবীর জটিলতম ভাষার একটা বাংলা ভাষা - এটা মোটেও কোনো গর্বের বিষয় নয়।" আপনার এ কথার সাথে আমি একমত নই। পৃথিবীর জটিল ২৫টি ভাষার মধ্যেও বাংলা স্থান পায়নি।
সূত্র:
১। 25 Of The Most Difficult Languages To Learn In The World
২। 25 Hardest Languages to Learn, Ranked

লিঙ্কে উল্লেখিত ২৫টি ভাষা যেসব কারণে জটিল হয়েছে সেসব কারণগুলোর একটিও বাংলা ভাষায় নেই। এখানে একটা উদাহরণ দিয়ে আমাদের অতি পরিচিত হিন্দি ভাষার জটিলতা বুঝাবার চেষ্টা করলাম:
হিন্দি সিনেমার বদৌলতে বাংলাদেশের অনেকেই হিন্দি বুঝতে পারে, আবার অনেকে বলতেও পারে যদিও ব্যকরণগত অনেক ভুল থাকে। হিন্দি বাংলা থেকে অনেক জটিল ভাষা। যেমন হিন্দিতে সব বিশেষ্য হয় পুঃলিঙ্গ অথবা স্ত্রীলিঙ্গ। জীবজন্তু, পোকামাকড়, গাছপালা, খাল-বিল-নদী, বই-খাতা-কলম অর্থাৎ পৃথিবীর যাবতীয় সবকিছু আগে থেকেই নির্ধারন করা আছে কোনটি পুরুষ এবং কোনটি স্ত্রী :P! শুদ্ধভাবে হিন্দি বলতে ও লিখতে হলে পৃথিবীর সব জীব ও জড় পদার্থের লিঙ্গ মুখস্ত থাকতে হবে :-*
হিন্দী ভাষার ব্যাকরণে নাক [নাক] স্ত্রীলিঙ্গ, বাল [চুল] পুংলিঙ্গ।
আমার নাক - মেরী নাক (নাক স্ত্রীলিঙ্গ তাই 'মেরী'।
আমার চুল - মেরা বাল (বাল পুংলিঙ্গ তাই 'মেরা';)

যাই হোক, কমেন্ট বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আর লেখা বাড়ালাম না। যারা বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে লিখতে চাই তাদের সুবিধার্থে এই লিঙ্কটি দিলাম:
শুদ্ধ বাংলা বানানের নিয়ম ;বাংলা বানান শেখার ২০টি বইয়ের লিস্ট এবং ৪৯ টি গুরুত্বপূর্ণ লিংক !! (একের ভিতর সব) - লিখেছেন রাকু হাসান


১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে আমরা যারা লেখালেখি করি প্রায় সবাই প্রাপ্তবয়স্ক ও আশাকরি মানসিকভাবে সুস্থ। তাই কারো ভুলত্রুটি ধরতে গিয়ে যদি কেউ অভদ্র ও অশালীন আচরণ করে তবে ধরে নিতে হবে সে মানসিক বিকারগ্রস্থ! তার ভুল ধরার উদ্দেশ্য নিজেকে জাহির করা ও অন্যকে অপদস্থ করা। কেউ মহৎ উদ্দেশ্যে ভদ্রভাবে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিলে লেখকের জন্যই মঙ্গল।
আপনার মন্তব্যের এই অংশের সাথে পুরোপুরি একমত। তবে ওই অংশটুকুর উপর জোর দেয়া উচিৎ 'ভদ্র ও শালীনভাবে' ওই যে, প্রাপ্তবয়স্ক বললেন-সেজন্যই সহজে আঁ-তে লাগে।

ভুল লেখার ব্যাপারে এখনো আমি কোন সাফাই বা ওজর কিছু জানাইনি, ভাষার দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা শুরু করলাম সদ্য। পুরো লেখ্য ভাষাটাইতো বিরাট একটা ভুলের উপর দাঁড়িয়ে থাকা বিষয়, আমার মত পুঁচকে জ্ঞানহীন মানুষের অত গভীরে ঢোকার সাধ্যিতো নেই, তবে ভুল করেই হোক ভুল দিয়ে ভুলের পক্ষে বিপক্ষে কিছু আলোচনা চালিয়ে যাবার ইচ্ছে রইল সামনের দিনে।
বকা দিলেও আলোচনার মাধ্যমে এভাবেই অনেক কিছু জানব আমরা। অনেক ভুল ভেঙ্গে যাবে আমাদের আশা করি।

"পৃথিবীর জটিলতম ভাষার একটা বাংলা ভাষা - এটা মোটেও কোনো গর্বের বিষয় নয়।" আপনার এ কথার সাথে আমি একমত নই। পৃথিবীর জটিল ২৫টি ভাষার মধ্যেও বাংলা স্থান পায়নি।

এইখানে আমার আপত্তি আছে; এখানে বাংলা ভাষার মত ভাষা নিয়ে কতটুকু গবেষণা হয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্ব ইউরোপের কোন ভাষাই ব্যাকারণ বর্ণ ও লেখায় আমাদের থেকে কঠিন নয় সেটা আমি হলফ করে বলতে পারি।
দেখুন ভাষার কাঠিন্য শুধু তাঁর ব্যাকারণ নয় লেখার কারনেও হতে পারে। রুশ ভাষা ধরুন; আপনি যে বললেন, হিন্দীতে বিশেষ্য স্ত্রী ও পুং লিঙ্গ আলাদাভাবে নির্ধারন করে সেইভাবে জড় নির্ধারন হয়, ঠিক রুশ ভাষা তেমনি। কিন্তু ব্যাকারণের একটা সুর ধরতে পারলে আপনার কাছে আর কঠিন মনে হবে না। সবচেয়ে সহজ বিষয়টা হচ্ছে তাদের লেখন পদ্ধতি, এই নিয়ে আমি আলোচনা করব। একবার কলম ধরলে শব্দ শেষের আগে আর কলম তুলতে হয় না। কিন্তু বাংলা হিন্দী সিঙ্ঘলী ভিন্ন, বারবার কলম তুলতে হয়। এইটাই ভাষার কাঠিন্যতা।
যারা ভাষা নিয়ে গবেষণা করে তারা সাত হাজার ভাষা জানার মত জ্ঞান ধারন করে না। এখানে অনেক কিছুই হাওয়ায় হাওয়ায় চলে- সেটা আমিও জানি আপনিও জানেন। আপনি কিছু ভাষা সন্মন্ধে ভাল জানেন, আমি কিছু জানি, অন্যজন কিছু জানেন- আসেন এই নিয়ে আলোচনা করি। কিভাবে বাংলা ভাষাকে আরো আধুনিক, যুগপোযোগী প্রাঞ্জল, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করা যায় সেই নিয়ে আমাদের ভাবনাটা অন্তত রেখে যাই।

ভাল থাকবেন ভাই। আপনার মুল্যবান সময় দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আপনাকে পাশে পাব বলে আশা রাখি।

৩৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



হাতে একটু সময় নিয়ে আবার এই পোষ্টে ফিরে আসলাম । বানান রীতি একটি বেশ ব্যপক বিষয় । এটা
একান্তই ভাষা ও ব্যকরণ বিদের কাজ। তবে তাঁদের কাজের প্রভাব সরাসরি এসে পরে আমাদের মত
সাধারণের উপর। আর এখানেই যত সমস্যা । এ কথা বলতেই হয় -
বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দসমূহের মধ্যে যেগুলি সংস্কৃত ভাষা হতে অপরিবর্তিতভাবে এসেছে তাদের বানান
প্রায় সুনির্দিষ্ট। কিন্তু যে সকল শব্দ সংস্কৃত নহে, অর্থাৎ যেগুলি দেশজ বা অজ্ঞাতমূল, বিদেশাগত, অথবা সংস্কৃত
বা বিদেশী শব্দের অপভ্রংশ, তাদের বানানে বহুস্থলে বিভিন্নতা দেখা যায়। এর ফলে লেখক, পাঠক, শিক্ষক ও
ছাত্র সকলকেই কিছু কিছু অসুবিধা ভোগ করতে হয় যেমনটি দেখা যায় এই সামু ব্লগেও । বাংলা বানানের
একটা বহুজনগ্রাহ্য নিয়ম দশ-বিশ বৎসরের মধ্যে যে আপনা হতেই গড়ে উঠবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা ।
বাংলা ভাষার লেখকগণের মধ্যে যাঁরা শীর্ষস্থানীয় তাঁদের সকলের বানানের রীতিও এক নহে। সুতরাং মহাজন-
অনুসৃত পন্থা কোন্‌টি তা সাধারণের বুঝবার উপায় নাই।

বাংলা একাডেমী গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিও বলতেছেন তাঁরা ‘বানান বা লিপির সংস্কারের প্রয়াস’ করেন নাই।
যা করেছেন তা বানানকে নিয়মিত, অভিন্ন ও প্রমিত করার ব্যবস্থা মাত্র। ভাবতেছিলাম এই কমিটিকে বিশ্বাস
করা যাবে, কি যাবে না?
বাংলা একাডেমীর দ্বিচারিতার অনেক উদাহরণ দেয়া যায়। এখানে মাত্র একটি দিলেই অন্যান্য উদাহরণের পথ
পরিচ্ছন্ন হবে। ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমী বাংলা বানানের মাত্র তিনটি নিয়ম স্থির করেছিলেন। একটি সংস্কৃত
(বা ‘তৎসম’) শব্দ বিষয়ে। আরটি অসংস্কৃত (বা ‘তদ্ভব, দেশী, বিদেশী ও মিশ্র’) শব্দ বিষয়ে। শেষ নিয়মটির নাম
‘বিবিধ’। এই বিবিধের মধ্যেই এখনো যতসব গন্ডগুল রয়ে গেছে ।

সবশেষে ‘চলতি ভাষায় ক্রিয়াপদের কতকগুলি রূপ’ নামে একটি অধ্যায়ও যোগ করা হয়েছে । বাংলা ভাষায় ‘কি’
শব্দের বিকল্প ‘কী’ বলে আরেকটা শব্দ সৃজন করা হয়েছে সঙ্গে আদি ‘কি’ শব্দটিও থেকে গেছে । ব্যবহারভেদে
বানানভেদের এই ব্যাকরণ অভিনব বটে।

সর্বনাম পদরূপে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন : কী করছ?
কী পড়ো? কী খেলে? কী আর বলল? কী জানি? কী যে করি? তোমার কী? এটা কী বই? কী করে যাব?
কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে। কী আনন্দ! কী দুরাশা!’
অন্য ক্ষেত্রে অব্যয় পদরূপে ই-কার দিয়ে কি শব্দটি লেখা হবে। যেমন : তুমিও কি যাবে? সে কি এসেছিল?
কি বাংলা কি ইংরেজি উভয় ভাষায় তিনি পারদর্শী।’
কি’ ও ‘কী’ বানানের নিয়ম কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তো আদপেই নির্ধারণ করেন নাই। অথচ বাংলা একাডেমীই
এই বিকল্প বাড়াইতেছেন। আমরা দেখা যায় এই সহজ কি এবং কী এর মধ্যেও বেশ সমস্যার মধ্যে আছি ।

বাংলা একাডেমীর বানান বিশেষজ্ঞরা আরও এক কাঠি সরেস হয়েছেন। বাংলা যে সকল শব্দ সংস্কৃত হতে এসেছে
অথচ শুদ্ধ উচ্চারণেই নহে, বানানেও বদলাইয়া গিয়াছে তাদিগকে পণ্ডিতেরা ‘তদ্ভব শব্দ’ নাম দিয়েছেন। সেগুলির
বানানে উদাহরণস্বরূপ শ, ষ, না স- কোন অক্ষর বসবে সে বিষয়েও গোল আছে। অথচ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
নিয়ম করেছিল ‘অংশু’ হতে এসেছে বলে ‘আঁশ’ শব্দে ‘শ’ হবে। আর ‘আমিষ’ হতে আগত ‘আঁষ’ বানানে ‘ষ’
থাকবে। একই যুক্তিতে ‘শাঁস’ হবে ‘শস্য’ হতে আগত বলে। আর ‘মশক’ হতে এসেছে বলে ‘মশা’ হবে।
কিন্তু কতকগুলি শব্দে আবার ব্যতিক্রম বা নিয়মের অতিক্রম হয়েছে। যথা ‘মনুষ্য’ হইতে ‘মিনসে’, ‘শ্রদ্ধা’ হতে
‘সাধ’ ইত্যাদি। ‘মৎস্য’ হতে এসেছে বলে ব্রাহ্মণ কিন্তু ‘মাস’ খাচ্ছেনা , ব্রাহ্মণ-শুদ্র সকলেই খাইতেছে ‘মাছ’।
বানান বিষয়ে আর কত বলব । এখানে অনেক নিয়ম ও তাদের ব্যতিক্রম রয়েছে । সঠিক বানান চর্চা পন্ডিতের
কাছেও বেশ কষ্টকর বটে ।

এমতাবস্থায় আমাদের ব্লগের বানান বিশারদ সকলের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এখানে অনেকেই
অনেক ধরনের লিমিটেশন যথা লেখার ডিভাইস ( কম্পিউটার, নোটবুক , আইপ্যাড বিভিন্ন মানের স্পার্ট ফোন )
ব্যবহার করে থাকেন , এগুলিতে বাংলা লেখার সফটোয়ার সব সময় সঠিক ভাবে সারা দেয় না । তার পরে আছে
বিভিন্ন কারণে লেখার মাঝপথে এম এস ওয়ার্ড তার কিছু তুঘলকি কান্ড ঘটিয়ে লেখায় বিঘ্ন ঘটায় , অনেক ক্ষেত্রে
লেখার সময় কোন শব্দের সঠিক বানান দেখার জন্য অভিধান ঘাটাঘাটি করে এসে দেখা যায় লেখার ডিভাইস অফ ,
তখন আবার একে আবার লেখার পজিজনে এনে দেখা যায় আগের লেখা উধাও , হয়ত কোনখানে চুপটি করে বসে
আছে তখন লেখাটিকে জায়গামত এনে লেখা শুরু করতে হয় । তার পরে আছে এডিট সমস্যা. যা ইংরেজী লেখার
সময় ভুল শব্দটির নীচে লাল দাগ এসে সংশোধন নির্দেশিকা জানায় ও এক খুচাতেই তা সংশোধন করা যায় । কিন্তু
বাংলা লেখায় তা সম্ভব হয় না ।

তাই বিবিধ কারণে শত ইচ্ছা থাকলেও এখানে লেখায় বানান প্রমাদ থেকেই যায় । অবশ্য বাক্যে ব্যবহৃত যে সকল
শব্দে কোন পাঠক যে ভুলগুলি ধরে থাকেন তার বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় হ্রস্ব ইকার/ দীর্ঘ ইকার ,ন/ণ ,য/জ/ঝ ,
শ/ষ/স , র‌/ড়/ঢ়, ড/ঢ, এগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ । অথচ বাক্যে ব্যবহৃত এ সকল প্রমাদময় শব্দ গুলির অর্থ বুজে
নিতে কোন বিজ্ঞ পাঠকের কাছেই খুব কঠিন কর্ম নয়। তাদের কাছে এ ধরনের প্রমাদ দৃষ্টিকটু লাগে এই পর্যন্তই ।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মুল পোষ্ট দাতার লেখার বিষয়ে কোন পাঠক মন্তব্যের ঘরে কোন বানান প্রমাদ ঘটিয়ে
ফেললে তা সংশোধনের কোন উপায় থাকেনা বলে পরের মন্তব্যের ঘরে ভুল বানানের শব্দের স্থলে সঠিক শব্দটি কী
হবে তা বলে দিলে পোষ্ট দাতা অতি বিনয়ের সাথে বলেন অসুবিধা নেই আমি বুঝে নিয়েছি এবং আশা করি অন্য
পাঠকেরাও এই প্রমাদটুকু বুঝে নিবেন। এখানে তারা হয়ে যান বিনয়ের অবতার ,তখন তা তেমন দৃষ্টি কটু দেখায়
না তাঁদের কাছে ।
অপরদিকে, দেখা যায় সেই পোষ্ট দাতাই অন্যের পোষ্টে গিয়ে যদি কোন বানান প্রমাদ দেখতে পান তখন সেই
পোষ্টের বিষয়বস্তু নিয়ে কোন কথা না বলে বেশী মনযোগ দেন বানান প্রমাদের দিকে । বিনয়ের সহিত কিংবা অন্য
যে ভাবেই বলেন না কেন, তখন তা অনেকের কাছেই বেশ বিরম্বনামুলক বলেই মনে হয় ।
ইত্যাকার বিবিধ দৃষ্টিকোন হতে ব্লগের পোষ্টে থাকা বানান প্রমাদের দিকে সকল পাঠকই যদি একটু সহনীয়ভাবে
এ দিকটি ভাবেন তাহলে ভাল হয়। কোন পোষ্টদাতা যদি তাঁর লেখা প্রকাশকের মাধ্যমে প্রকাশ করেন তখন যেভাবে
কয়েকটি ধাপে প্রুফ দেখা হয় তা ব্লগের লেখায় হয়ে উঠেনা , এ বিষয়টি সকলেই আশা করি অনুধাবন করবেন ।
যাহোক, এটা সত্য যে নির্ভুল বানান চর্চার কোন বিকল্প নেই, তাই এ বিষয়ে আমাদের সকলের সচেতনতা একান্ত
প্রয়োজন ।
এ কথাও মানতে হবে যে, এই প্রযুক্তির যুগে এখন ভয়েজ স্পীচ- টু- টাইপিং/রাইটিং পদ্ধতি বেশ প্রসার লাভ করছে ।
আমি তো গুগল ভয়েজ -টু -টাইপিং পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করি । সেখানে বাংলা বর্ণের সমউচ্চারণমুলক
বর্ণগুলি বেশ ঝামেলায় ফেলে দেয় । তাই বাংলা লেখার নির্ভুল টাইপিং গতি বড়াতে হলে বাংলা লেখার বানান
রীতিতে বেশ মোটা দাগের সংস্কার ঘটাতে হবে । বানানের প্রতি কঠোর সংরক্ষনশীলতা মেনে চললে এর একদিকে
লিখন গতি যেমন ঠাই দাঁড়িয়ে থাকবে অন্যদিকে সময়ের সাথে তাল রেখে এর বানান রীতিকে সহজ করা না হলে
একটা সময় আসবে যখন তা এ উপমহাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী সংস্কৃত ভাষার মত মুখ থুবরে পড়বে । জায়গা
নিবে অন্য কিছু । তার লক্ষনও দেখা যাচ্ছে অতি মাত্রায় ইংরেজীর ব্যবহার ও হিন্দি সিরিয়াল থেকে নেয়া কিছু
শব্দের প্রসারের মাধ্যমে । তাই এ দিক সমুহ নিয়েও আমাদের ভাবনার সময় এসেছে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: হাতে একটু সময় নিয়ে আবার এই পোষ্টে ফিরে আসলাম ।
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফের আসার জন্য।
বানান রীতি একটি বেশ ব্যপক বিষয় । এটা একান্তই ভাষা ও ব্যকরণ বিদের কাজ। তবে তাঁদের কাজের প্রভাব সরাসরি এসে পরে আমাদের মত সাধারণের উপর। আর এখানেই যত সমস্যা ।
সমস্যাটা আমাদেরই, আসলে এর ভুক্তভোগী আমরাই। ঘুরে ফিরে আমাদের উপরেই খড়গ নেমে আসে।

বাংলা বানানের একটা বহুজনগ্রাহ্য নিয়ম দশ-বিশ বৎসরের মধ্যে যে আপনা হতেই গড়ে উঠবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা
অবশ্যই আসা উচিৎ নাহলে, বাংলা ভাষা কিন্তু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ভাষার তালিকায় থাকবে।

বাংলা একাডেমীর পরিবর্তিত বানান ও ব্যাকারণনীতি নিয়ে অনেক কিছু শুনেছি, পুরোটা পড়া হয়নি- সোনাবীজ ভাই লিঙ্ক দিয়েছে; পড়ে মন্তব্যে আসব।

কি আর কী নিয়ে ইদানিং খুব বেশী আলোচনা দেখছি। হুমায়ূন আহমেদ ও দেখি এই নিয়ে বেশ খানিকটা আলোচনা করেছেন।

বাংলা ভাষায় অটো স্পেলিং এ এখনো আঁতুড়ঘরে আছে সেটা আমাদের জন্য লজ্জার ও ব্যার্থতা। তবে এর দায় প্রায় সবটাই বিজয় নামক অথর্ব সফটওয়্যারের মালিক বনে যাওয়া জনাব জব্বার ও অভ্রের দ্বন্দের ফল। বাংলা ভাষাকে অনেক্ষানি পিছিয়ে দিয়েছেন তারা। ভবিষ্যত প্রজন্ম এই জব্বার নামক লোভী মানুষটিকে কখনো ক্ষমা করবে না।

৩৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলা ভাষা বাংলা ভাষায় কথা বলা সব মানুষের। অনেক ভিনদেশিও আছেন যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তারাও ভালোবাসে বাংলা ভাষা।
অনেক তথ্য দিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের বর্ণমালা সম্পর্কে জানা হলো আধামূর্খ মানুষের থেকে :)
পণ্ডিত হলে কি যে অবস্থা হতো, বুঝতে পারছি না।
ইচ্ছা করে কেউ বানান ভুল করে না। তবে ভুল কিছু হয়েই যায়। অনেকে লেখায় মন্তব্য না দিয়ে বানান নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে যান। আবার অনেকে লেখায় মন্তব্য দিয়ে সাথে সঠিক বানানটা দেন যা সাহায্য করে। ভুলবানান ঠিক করে দিতে।
আবার অনেক সময় দেখেছি অনেকে ভুল বানান সঠিক হিসাবে সাজেশন করে যাচ্ছেন।
তাই আর বেশি ভাবি না।
আমার সব সময় বানান ভুল হয়। তা নিয়ে আর ব্যাস্ত হই না। সময় করে ভাবনা নামাতে পারি এই সময়টা বের করা যে কি কঠিন, তারা জানেন না।
আদিবাসী একদল কেবল কয়েকটি শব্দ করে কথা বলে। ওদের কথা মনে হয় পাখির মতন।
বেশ আগে একটা পোষ্ট দিয়ে ছিলাম লিঙ্কটা দিলাম।
https://www.somewhereinblog.net/blog/Somudrojol/preview/30183349

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলা ভাষা বাংলা ভাষায় কথা বলা সব মানুষের। অনেক ভিনদেশিও আছেন যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তারাও ভালোবাসে বাংলা ভাষা।
-কথ্য বাংলা নিয়ে আমার খুব বেশী কষ্ট নেই। এটা বেশ গোছালো প্রাঞ্জল আর মিঠে।
আধা-মূর্খের স্থলে গো-মূর্খ লেখা ইচ্ছে ছিল :) আচ্ছে গো-মূর্খ মানে তো গরুর মত মূর্খ নাকি? গরুর থেকে ছাগল-কে তো নিকৃষ্ট প্রাণী হিসেবে ধরা হয়, তবে এটা ছা-মূর্খ হওয়া উচিৎ ছিল না?
আমি বানান ভুল ধরা নিয়ে আর কিছু বলব না। আমি চাই সবাই এই আলোচনায় অংশগ্রহন করুক।

হ্যাঁ পাখির ভাষায় মনের কথা কইরে নামে অনেক নিবন্ধ পড়েছিলাম। আপনারটাও পড়েছি। সবসময় সাথে থাকবেন।

৩৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: @সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, (৩০ নং মন্তব্যের প্রথমাংশ প্রসঙ্গে) -- একটু অফ-টপিক হলেও বলছিঃ
ঘোড়ার ডাককে এক কথায় 'হ্রেষা' বলা হলেও, ছোটবেলায় আমাদের বাল্যশিক্ষা বই এ ঘোড়ার ডাক নিয়ে নিম্নলিখিত দুই লাইনের ছড়াটা পড়েছিলাম বলে মনে পড়েঃ
"ঘোড়া ডাকে চিহিহিহি,
হ্রস্ব ই আর দীর্ঘ ঈ"।

এই 'অফ-টপিক' এর কথাটুকু জাস্ট মনে পড়লো বলে বলা, তেমন কিছু নয়। তবে আপনার চমৎকার, স্বব্যাখ্যাত ও বিশ্লেষিত মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ না জানালেই নয়।

@ডঃ এম এ আলী, (৩৬ নং মন্তব্য প্রসঙ্গে) -- মন্তব্যে উল্লেখিত অসুবিধাগুলোর সম্মুখীন হই আমরা ব্লগাররা কমবেশি সবাই। সকলের হয়ে কথাগুলো বলার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার কথার সার কথা হলো সব লেখাতেই শুদ্ধ বানান ও ব্যাকরণ রীতি দেখতে চাই, লেখার সঠিক মূল্যায়নের জন্যই। তবে ব্লগে সেটা না দেখতে পেলে চীৎকার চেঁচামেচির প্রয়োজন নেই; খুব বেশি দৃষ্টিকটু হলে (বিশেষ করে শিরোনামে ভুল বানান) মার্জিত ভাষায় সেটা শুধরে দিয়ে লেখককে তা সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা যায়, তবে তা পাণ্ডিত্য জাহির করার উদ্দেশ্যে নিশ্চয়ই নয়। কতটা প্রযুক্তিগত প্রতিকূলতা নিয়ে আমরা ব্লগে লেখালেখি করি, সেটা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। অভ্র কি-বোর্ড না হলে হয়তো আমি জীবনেও কখনো কোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় লেখালেখি করতে পারতাম না; সেজন্যে এর আবিষ্কারক ডাঃ মাহবুবকে (?) এই ভাষার মাসে জানাচ্ছি হার্দিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।

@এমজেডএফ, (৩৫ নং মন্তব্য প্রসঙ্গে) -- আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটির সাথে আমি বহুলাংশে একমত। তবে "বাংলা একাডেমির দিক নির্দেশনা মেনে চলা"র ব্যাপারে শুধু এটুকুই বলবো যে তাদের সব 'নির্দেশনা' সব সময় সর্বজনগ্রাহ্য হয়নি, হয়তো সব ক্ষেত্রে সেটা হতেই হবে, এমনটিও নয়। আপনি অবশ্য এটাও বলেছেনঃ "বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করেন, সমালোচনা করেন"। জ্বী, সেটাই সঠিক পন্থা। আপনার সুচিন্তিত ও সুবিশ্লেষিত ভাবনাগুলো সূত্র ও উদহরণসহ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার কথা একটা মানুষ স্বাধীন জীব, বঙ্কিমের সময়ে, মাইকেলের সময়ে, রবী ঠাকুরের সময়ে এত আইন কানুনের বেড়াজাল ছিল না। তারা অনেকটা স্বাধীন ছিল, বিদেশী ভাষার প্রয়োগ করেছেন তারা সুক্ষ ও সুচারুরূপে, ভাষাকে ভেঙ্গেছেন গড়েছেন ভাষাকে নিয়ে খেলেছেন।
উনিশ শতকের শুরুতে বাংলা ভাষার লেখকেরা ইচ্ছেমত তদ্ভব ও তৎসম শব্দ প্রবেশ করিয়েছেন, এখন তাঁর উপরে ব্যাকারণ মুখস্ত করতে হচ্ছে। সত্যিই সেলুকাস!!! ওদিকে এখনকার বাচ্চারা বাংলায় দুটো ইংরেজী শব্দ বললে আমরা কটুক্তি করি।
ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চারা তাদের মত করে বাংলা বলছে আর আমরা তাদের রঙ্গ ব্যাঙ্গ করে বাংলিশ বলছি, কিন্তু দিনে দিনে তাদের দল ভারী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। সাধু সাবধান।
ভাষাকে ছেড়ে দিন, ভাষা নিজেই নিজের পথ খুঁজে নিবে- এটা প্রবাহমান নদীর মত।
ইংরেজী ফন্টে এখন দেদারছে বাংলা লেখা হচ্ছে। অনেক টপ ক্লাস কর্পোরেট বসেরা এইভাবে ম্যাসেজ চালাচালি করছে। কোথায় গেছে বানান আর ব্যাকারণ, কেউ আটকাতে পেরেছে?
আমরাই অভ্র লিখছি ইংলিশ ফন্ট টাইপ করে, ভুলেই গেছি কি-বোর্ডে বাংলা ফন্টের কথা। কদিন পরে ক-থেকে বি-স্বর্গ পর্যন্ত বলতে পারব না নিশ্চিত।

৩৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: অন্তর্জালে বাংলা লেখায় কত বর্ণ কত রঙ

লিঙ্ক যোগ হয়নি তাই আবার দিলাম।
পারদর্শি না তাই ভুল হয়েছে আগে
হলো কিনা প্রকাশ করার পর জানব :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল করেছেন- খুঁজে পেতে সহজ হল।
ধন্যবাদ ফের আসার জন্য। একেবারে ঠিকঠাক :)

৪০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কেম কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

আপনার কাছে অনুরোধ মাল্টিদের সুযোগ দেবেন না। যারা ব্লগে ক্যাচাল করে তাদের উৎসাহ দিবেন না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি চাই সঠিক টপিক নিয়ে আলোচনা। ওভাবে আগের মত নোংড়া আলোচনা আর প্রশ্রয় দেব না- অকারণে আমার পোস্ট-টা হারালাম! :)
তবে আমি কিন্তু মাল্টি-ফাল্টি বুঝি না।

৪১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বানান নিয়ে এখানে একটি সুন্দর অলোচনা হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি ।
হাতে সময় নিয়ে বানান প্রসঙ্গে অনেক বিজ্ঞ ব্লগারের মুল্যবান মন্তব্যে
থাকা কথামালা হতে শিক্ষা গ্রহনের জন্য হাতে সময় নিয়ে আবারো
আসব ইনসাল্লাহ । কামনা করি এ বিয়য়ে গঠনমুলক আলোচনা
এগিয়ে চলুক ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী সামুর ব্লগার হিসেবে আনন্দিত ও গর্ববোধ করতেই পারি আপনাদের মত ঋদ্ধ ব্লগারেরা নিঃসন্দেহে দারুন প্রানবন্ত ও চমৎকার আলোচনায় ভাষার এই মাসে ভাষা বিষয়ে এই অতি সাধারণ লেখায় আলোচনা জমিয়ে তুলেছেন। কৃতজ্ঞতা রইল আপনাদের প্রতি। ফের আসবেন এই প্রত্যাশা রইল।

৪২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনামটা পছন্দ হয়েছে। তবে বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার সময় বোধহয় এখনও আসেনি এই পর্বটাতে।

উপরে জুন আপুর ছেলের গল্পটা শুনে বাংলা বর্ণমালায় তিনটি "স" সম্পর্কে রামকৃষ্ণ পরমহংসের গল্পটা মনে পড়লো। গল্পটা আপনার এই পোস্টের ব্রাকেটে বলা কথার প্রতিত্তোর হিসেবেও নিতে পারেন! বর্ণমালায় তিনটি "স" থাকা সম্পর্কে রামকৃষ্ণ বলেছেন "স...শ.. ষ... এর মানে হচ্ছে - সহ্য করো, সহ্য করো, সহ্য করো" । :)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে সময় আসলে -বলবেন না হয়।
চমৎকার একটা উদাহরণ এনেছেন :)

মন্তব্যে আসার জন্য আন্ত্রিক ধন্যবাদ- অপেক্ষায় রইলাম পরের পোস্টগুলোতে মন্তব্যের।

৪৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: এটা কি ক্যাচাল পোস্ট B-) ?

শুরুটা গোছানো হলেও শেষের দিকে তাড়াহুড়া ছিল। বানানের বিষয়ে আমিও বরাবরই উদাস। তবে পাবলিক প্লাটফর্মে বানান ও ব্যকরনের বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। কিন্তু সেই সচেতনতা পুলিশিং এর দিকে চলে গেলে বিপদ। আর ব্লগে এমন ভাষা পুলিশ থাকলে আরো বিপদ। বাশের চেয়ে কঞ্চি বড়র মত আপনার পোস্টের চাইতে মন্তব্য সেকশনে কন্টেন্ট বেশি মনে হল। আবার ফিরে এসে সময় করে মন্তব্যগুলো পড়তে হবে।

ক্যাচাল চলুক। ক্যাচাল না থাকলে ব্লগ কেমন মরা মরা লাগে ;)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগারদের সাথে নিয়মিত মিথস্ক্রিয়া থাকলে, হৃদ্যতা থাকলে এরকম মাঝে মধ্যে বাঁশের কঞ্চি বড় হয়ে যায় :)
ফের ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলাম। শারিরিক অসুস্থতার কারনে- উত্তর দিতে দেরি হল বলে দুঃখিত।

এটা কি ক্যাচাল পোস্ট? যে যেভাবে নেয় :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.