| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারেক রহমান কেন মায়ের মুমুর্ষ অবস্থায়ও দেশে ফিরতে পারছেন না — একটি রাজনৈতিক বাস্তবতার চিত্র
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্ত—এমন সময়ে একজন সন্তানের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত মায়ের পাশে ছুটে আসা। কিন্তু তারেক রহমানের ক্ষেত্রে বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই একটি জটিল রাজনৈতিক, আইনি ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ। এই ঘেরাটোপই আজ মায়ের মুমুর্ষ অবস্থাতেও তাঁর দেশে ফেরা কঠিন করে তুলেছে।
বিগত দেড়–দুই দশক ধরে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও আদালতের রায় রয়েছে—এটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বহুবার তুলে ধরেছে। অপরদিকে বিএনপি সবসময় দাবি করেছে, এসবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এবং আওয়ামী লীগের ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি’র কারণেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না। এই অভিযোগ বহু বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনার একটি স্থায়ী উপাদান।
কিন্তু সময়ের প্রবাহে একটি নতুন চিত্র সামনে এসেছে—যা বিএনপির প্রচলিত বক্তব্যের সঙ্গে নিজ দলনেতার সাম্প্রতিক মন্তব্যকেই যেন বিরোধে দাঁড় করিয়েছে। তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে, দেশে ফেরা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না; বরং আইনি, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক নানা পর্যায়ের বাধা-বিপত্তি রয়েছে, যেগুলোর সমন্বয় তাঁর একার হাতে নেই। এই স্বীকারোক্তি প্রকাশ করেছে, যে বিষয়টিকে এতদিন এককভাবে সরকারের ওপর চাপানো হয়েছিল, বাস্তবতা আসলে আরও বহুস্তরীয়।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখন একটি বহু মাত্রিক সংকটের প্রতীক—
একদিকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তাঁর অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী শূন্যতা তৈরি করেছে; অন্যদিকে তাঁর উপস্থিতি দেশের আইনি কাঠামো, আদালতের রায় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণে নতুন অস্থিরতা যোগ করতে পারে—এমন আশঙ্কাও রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
মায়ের পাশে ছুটে আসার মানবিক আহ্বান একদিকে যেমন প্রবল, অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া তাকে দেশে ফিরলেই তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা তৈরি করে। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের জন্য এটি শুধু রাজনৈতিক ঝুঁকি নয়; তাঁর জীবনযাপন, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক আশ্রয়ের জটিলতাও এতে জড়িয়ে আছে।
এ অবস্থায় বিএনপির রাজনীতিও একটি দ্বৈত সংকটের মুখে। একদিকে দলকে দেখাতে হয় যে তারা তাদের নেতাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে; অন্যদিকে বাস্তবিক পরিস্থিতি এমন যে সেই ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দলীয় বক্তব্য ও বাস্তবতার মাঝে একটি দৃশ্যমান ফাঁক তৈরি হয়েছে—যা এই সংকট মুহূর্তে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মায়ের জীবন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সন্তানের দেশে ফিরতে না পারার এই ঘটনাটি একটি বড় রাজনৈতিক প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে—তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে যে বয়ান গড়ে উঠেছিল, সেটি শুধু বিরোধী দলের একপাক্ষিক অভিযোগ ছিল না; বরং বাস্তব পরিস্থিতি বহুলাংশে আইনি, আন্তর্জাতিক ও রাজনৈতিক বহু দেয়ালে আটকে আছে।
এই দৃশ্যপটটাই আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন করে প্রশ্ন তুলছে:
বহু বছর ধরে যেই অভিযোগটি আওয়ামী লীগের দিকে তোলা হয়েছিল—তারেক রহমান দেশে ফিরতে না পারার জন্য তারাই দায়ী—সেই অভিযোগের ভিত্তি কতটা টেকসই?
তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই প্রশ্নের উত্তরই যেন অজান্তেই দিয়ে দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সত্যের পর্দা সরেছে, এবং অন্তত এই অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে আর রাজনৈতিক যুক্তির আশ্রয় নিতে হয়নি—ঘটনাই নিজে নিজে সেই সত্যকে সামনে এনেছে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হলো—কেন সে দেশে আসতে পারছে না, তাও সে জাতিকে বলতে পারছে না, কারণ সেই স্বাধীনতা তার নেই। তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো?
তারেক রহমানের “স্বাধীনতা” কার কাছে বন্দি?
২|
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৯
কিরকুট বলেছেন: তারেক রহমানের “স্বাধীনতা” কার কাছে বন্দি?
বাংলাদেশ আর্মী ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
আওয়ামী লীগের আমলে সাড়ে পনেরো বছরে তারেক রহমান দেশে ফিরেনি। সে বিষয়ে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের যুক্তি দেখিয়েছে। তর্কের খাতিরে যুক্তিগুলো মেনে নিলাম। কিন্তু গত সাড়ে পনেরো মাসেও কেন তারেক রহমান দেশে ফিরছে না? এমনকি এখন, যখন তার মা খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তখনও সে দেশে আসতে পারছে না কেন?
৩|
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বাস্তবতা আর রাজনৈতিক কূটচাল এক নয়
বাংগালি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৪
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
হায়াত ও মউতের মালিক আল্লাহ
তিনিই জীবন ও মৃত্যুর সময় নির্ধারক।
৪|
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: গ্রেনেড হামলার সাথে তারেক জড়িত।সে মামলায় তার জাবত জিবন কারাদন্ডের রায় আছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
৫|
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২২
কামাল১৮ বলেছেন: সে যাবতজীবন কারাদন্ডে দন্ডিত।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৩
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
৬|
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:১৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: তারেক রহমান একজন রিফিউজি স্ট্যাটাস ধারণ করা ব্যক্তি। উনি রাজনৈতিক আশ্রয় পাননি। এই জন্য এখনো বৃটিশ সরকারের কাছে কোনো গুরুত্ব নাই। সে দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করলে আর বৃটেন ফিরে যেতে পারবে না।আমেরিকার গ্রিন সিগন্যাল নেই তার জন্য। কাজেই কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ফিরবেন তিনি⁉️
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ৫ আগষ্টের পরপরই তারেক খুব দ্রুত দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু, এমন কিছু ইনফরমেশন তার কাছে গেলো - যেটা জানার পর তার হাত পা পাথরের মতো অনড় হয়ে গেছে।
তিনি দেশে ফিরতে আরেকটু সময় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
কিন্তু, সেই সময় সম্ভবত আর কখনোই ফুরোবে না।
তারেকের আর বাংলাদেশে ফেরা হবে না।
৭|
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত তারেক জিয়া আসামী। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। এজন্য সে আসতে পারছে না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১২
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: শুধু এটুকু বলতে চাই -
আগামীর বাংলাদেশ হবে আফ্রিকার চেয়ে ভয়ংকর ত্রাসের, মাফিয়ার দেশ।
সেখানে পিনাকী হবেন বড় খেলোয়াড়।
ভয় পাওয়ার ব্যাপার আছে। অন্তত অভ্যাস করে রাখা ভালো।
৮|
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ফেসবুকে দেখলাম সবাই অন্যকে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
নিজে দোয়া করেছেন কিনা তা জানাননি।
বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় অধ্যাপকও জাতিকে দোয়া করতে বলেছেন।
রাষ্ট্রের যিনি পতি তিনিও নাকি সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।
কেউ নিজে দোয়া করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
যখন এক জন ডাক্তার সবার দোয়া চান তখন বুঝতে হবে তিনি কোন লেভেলের চিকিৎক।
তিনি পানি পড়া আর কালিজিরা দিয়ে চিকিৎসা করলে ভালো করতেন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১০
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ৫ আগষ্টের পরপরই জামাত খুব দ্রুত বুঝতে পারলো - আওয়ামীলীগের মাথার উপর থেকে শেখ হাসিনাকে সরানো গেলো, এবার বিএনপির মাথার উপর থেকে তারেককে সরানো গেলে জামাত উর্বর মাটিতে নির্বিঘ্নে বিকশিত হতে পারবে।
অর্থাৎ, সেই 'মাইনাস টু' এর সহজ সমীকরণ-২।
৯|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা জানতে।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫
কিরকুট বলেছেন: উনি আসবেন । অবশ্যই আসবেন , ওনার মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত হবার পর । চোখে পানি গলায় আহাজারি নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবেন । কারণ বাংলাদেশীরা নাটক খুব পছন্দ করে । ওনার এই পথ ছাড়া অন্য কোন পথ নাই । সবাই জানে তাহার খাম্বা চুরির গল্প ।