| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব, ভয়, আড়ালের গল্প ছিল নিয়মিত।
কিন্তু সময় বদলেছে।
এখন আলোচনার কেন্দ্রে—
তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা MIT।
জামায়াত তাদের রাজনৈতিক যোগাযোগে MIT–কে নতুন শক্তি হিসেবে তুলে ধরছে,
আর বিএনপি এই নতুন বাস্তবতায় ভেতরে ভেতরে অস্বস্তি অনুভব করছে।
প্রশ্ন উঠছে—
এটা কি কেবল গুজব?
নাকি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন কোনো “গোপন খেলোয়াড়” প্রবেশ করে ফেলেছে?
এই ব্লগে আমরা দেখবো—
সত্য-মিথ্যে বাদ দিয়ে এই আলোচনার পেছনের বাস্তব কারণ,
এবং কেন এটা রাজনৈতিক কৌশলের নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে।
১. কেন তারেক রহমান উদ্বিগ্ন?—রাজনীতির বাইরে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বাস্তব ব্যাখ্যা
তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন।
যে কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য এটি সুবিধাও, আবার সমস্যাও।
তার উদ্বেগের তিনটি মূল সূত্র আছে—
ক. দলের ভেতরের ভাঙন ও অস্থিরতা
বিএনপি এখন ঐক্যের চেয়ে বিভক্তির জায়গাতেই বেশি পরিচিত।
নেতৃত্ব সংকট, কৌশলগত দুর্বলতা, একাধিক গ্রুপ—
এসব কারণে তারেক রহমানের অবস্থান আরও দুর্বল হচ্ছে।
খ. আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনিশ্চয়তা
বিশ্ব রাজনীতিতে ভয়ানক রোলার-কোস্টার চলছে।
একদিন কেউ মিত্র, পরদিনই সমীকরণ পাল্টে যায়।
এই অবস্থায় বিদেশে থাকা নেতারা স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকিতে থাকেন।
গ. ব্যক্তিগত নিরাপত্তা
বিদেশে বসে রাজনীতি করলে “সিকিউরিটি ম্যাটার” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তুরস্ক বা অন্য কোনো দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম উঠে আসলে
যে কোনো নির্বাসিত নেতাই উদ্বিগ্ন হবেন—এটাই বাস্তব।
এটা শক্ত নেতার দুর্বলতা নয়—
এটাই আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রকৃতি।
২. জামায়াত–তুরস্ক সংযোগ: নতুন নয়, শুধু আলোচনায় নতুন
অনেকে ভাবেন জামায়াত হঠাৎই তুরস্কের দিকে ঝুঁকেছে।
আসলে এটা বহু পুরনো।
জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ইসলাম ঘরানার তুর্কি মডেলকে অনুসরণ করে আসছে।
এরদোয়ানের AKP পার্টির সঙ্গে অনেক মতাদর্শিক মিলও আছে।
কেন তুরস্ক দক্ষিণ এশিয়ায় আগ্রহী?
** রাজনৈতিক ইসলামপন্থী নেটওয়ার্ক
** মধ্যপ্রাচ্যের সম্প্রসারণ নীতি
** কূটনীতিতে নতুন প্রভাব সৃষ্টি
** আন্তর্জাতিক মুসলিম রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা
তাই জামায়াত–তুরস্ক যোগাযোগ তত্ত্বগতভাবে অস্বাভাবিক নয়—
সম্প্রতি কেবল আলোচনায় বেশি এসেছে।
৩. তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা MIT—“গুজবের সংস্থা” নয়, স্ট্র্যাটেজিক শক্তি
MIT এখন আন্তর্জাতিকভাবে খুব সক্রিয়।
কেবল দেশের ভেতর নয়—
তারা সীমান্তের বাইরেও সক্রিয় অপারেশন চালানোর জন্য পরিচিত।
MIT–এর আলোচিত কর্মকাণ্ড—
** সিরিয়ায় অভিযান
** লিবিয়ায় অপারেশন
** কাতারে নিরাপত্তা তত্ত্বাবধান
** ইউরোপে গুপ্তচরবিরোধী কার্যক্রম
MIT এখন তুরস্কের আন্তর্জাতিক ক্ষমতা–প্রদর্শনের প্রধান হাতিয়ার।
তাই MIT–এর নাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে এলে
এটা “গুজব” শুনে হাসার বিষয় না—
বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের বাড়তি আগ্রহের সংকেত হতে পারে।
৪. “রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা” আসলে কী?—এটাই সবচেয়ে রহস্যময় অংশ
বাংলাদেশের নিরাপত্তা কাঠামো বহুস্তরীয়।
এখানে—
** সকল সংস্থা
** কর্মকর্তারা
** ভেতরের প্রভাবশালী গোষ্ঠী
সবাই একই মতে কাজ করে না।
যখন বলা হয় “রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা”—তা মানে...
এটা খুব কমই সরাসরি সরকারের নির্দেশ।
বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের কোনো অংশ,
কোনো গোষ্ঠী,
বা প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি
নিজেদের ভূরাজনৈতিক লাভের দিকে তাকিয়ে
নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
এটাই রাজনীতির Hidden Dynamics।
৫. কেন এই প্রসঙ্গ এখন এত গরম?—বড় ছবির ব্যাখ্যা
কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি নতুন খেলোয়াড় পাচ্ছে।
আগে বাংলাদেশের ভূরাজনীতি ছিল তিন শক্তির হাতে—
ভারত – চীন – যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু এখন—
তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে।
এটা রাজনৈতিক power map পুরো বদলে দিচ্ছে।
যারা শুধু “র”-এর গল্প শুনে বড় হয়েছে, তারা এখন বিভ্রান্ত
আজ হঠাৎ
MIT
Qatar Intelligence
Saudi GID
এসব নাম আসায় অনেকে যেন নতুন প্রশ্নপত্র দেখে ফেলেছে।
এটাই স্বাভাবিক।
এ ঘটনা শুধুই গোয়েন্দা সংস্থার নাম–খেলা নয়
এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক শক্তিসমীকরণের ইঙ্গিত—
** নতুন alliance তৈরি হচ্ছে
** পুরনো শত্রু-মিত্রের হিসাব বদলে যাচ্ছে
** আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় বাড়ছে
** দেশীয় রাজনীতি তার চেয়েও দ্রুত পাল্টাচ্ছে
এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলো শুধু নিজেদের শত্রু নিয়ে চিন্তিত নয়—
বরং কে কোন বিদেশি শক্তির সাথে যুক্ত হচ্ছে—
এই প্রশ্নটিই এখন ক্ষমতার কেন্দ্রে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
দেশীয় রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় বাড়ছে, আর পুরনো শত্রু-মিত্রের হিসাব বদলে যাচ্ছে দ্রুত।
২|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০০
নতুন বলেছেন: রাজনিতিকদের কাছে শত্রু মিত্র নাই। যাদের সাথে ধান্দাভালো হবে তারাই মিত্র।
আমলীগের কাছে ভারত মিত্র, জামাতের কাছে পাকিস্তান মিত্র।
দেশে বাংলাদের জন্য রাজনিতি করছে খুবই কম মানুষ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: বাংলাদের জন্য রাজনিতি করছে খুবই কম মানুষ
সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৩|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১
জেন একাত্তর বলেছেন:
এরদেগান 'কামাল পাশার' দেশকে ইউরাপের জংগী দেশে পরিণত করেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
৪|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তুরস্ক জামায়াতকে সহযোগিতা দিচ্ছে জানতাম
তাই বলে গোয়েন্দা কার্যক্রম চলছে জানতামনা ।
..........................................................................
শুনা যাচ্ছে এরই মধ্যে বেশ কিছু গোয়েন্দা সদস্য মারা
গেছেন অন্য একটি গ্রুপের হাতে, তার তথ্যগত
বিবরন জানা আছে কি ???
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
আমেরিকার সেনা গোয়েন্দার মৃত্যুর পর পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এজেন্টের সৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা শেরাটন হোটেলে। তথ্যগত বিবরন জানা নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮
নতুন বলেছেন: "বাংলাদেশের রাজনীতি এখন R থেকে MIT–এর যুগে"
বাংলাদেশের রাজনীতিতে “R–এর ভয়” এখন পুরনো গল্প। নতুন গল্প হলো—তুরস্কের MIT, কাতার–সৌদির প্রভাব, এবং বিদেশি শক্তির নতুন অক্ষ। এই অঞ্চলে ভারত–চীন–আমেরিকার ত্রিমুখী চাপের ভেতর এখন তুরস্ক ঢুকে গিয়ে খেলাটা আরও জটিল করে দিয়েছে।
জামায়াত–বিএনপি ঘরানার সঙ্গে তুরস্কের আদর্শিক ও সাংগঠনিক যোগাযোগ বহুদিনের, তাই MIT–এর নাম আসা আসলে কোনও রহস্য নয়—এটা শুধু নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
বিএনপি–জামায়াত বিষয়টি অস্বীকার করছে—কারণ তারা জানে, রাজনৈতিক ভাঙন ও নেতৃত্ব সংকটের সময় এমন খবর তাদের আরও দুর্বল দেখায়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো—
বাংলাদেশে কোনো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ মানেই সরকার অনুমোদন দিয়েছে—এটা শিশুতোষ যুক্তি।
রাষ্ট্রযন্ত্র অনেক স্তরের, আর প্রত্যেক স্তরের নিজস্ব ‘রাজনীতি’ আছে।
অনেকে নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে—এটাই বাস্তবতা।
আজকের রাজনীতি গোয়েন্দাদের লুকোচুরি খেলা নয়—এটা ক্ষমতা–ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমীকরণের ঠান্ডা যুদ্ধ।
যে দেশের সঙ্গে আগে সম্পর্ক ছিল না, সেই তুরস্ক–কাতার–সৌদি আজ বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাব ফেলছে—এটাই বড় ঘটনা।
এবং সত্যি কথা হলো—