নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক। ‘জল পরীর ডানায় ঝাপটা লাগা বাতাস’ (২০১৩), ‘সাদা হাওয়ায় পর্দাপন’ (২০১৫) দুটি কবিতার বই প্রকাশিত। তার লেখা নাটকের মধ্যে ফেরা, তৎকালীন, আদমের সন্তানেরা উল্লেখযোগ্য। লেখালেখির জন্য ২০১৫ সালে হত্যার হুমকি প্রাপ্ত হন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান

আমার পরিচয় খুঁজচ্ছি জন্মের পর থেকেই। কেউ পেলে জানাবেন কিন্তু....

সৈয়দ মেহেদী হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক কেন খুন করতে যাবেন?

২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৮



উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে-চাপানোর অভ্যাস আমাদের দেশীয় পলিটিসিয়ানদের পুরানো। সেই অভ্যেসমত তারা মাঝে মাঝে এমনসব কাজ করে থাকেন যা দেখলে লজ্জিত হয়েই শেষ করা যায় না, পাশাপাশি ঘৃণাও করতে হয়।

করোনা মহামারি শুরুর পিরিয়ডে দেশে যখন চালচোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেলো তখন হঠাৎ করে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চালচোরদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনের নির্দেশ দেওয়ায় শেষ ধাপে এসে চোরদের পরাজয় হয়েছিল; রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে বিজয়ী হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। যদি প্রধানমন্ত্রী চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ না দিতেন তাহলে যেমাত্রায় নির্যাতন আরম্ভ হয়েছিল তা কত দুর্বিঃসহ পর্যায়ে গিয়ে শেষ হতো বলা মুশকিল। কিন্তু জাতিগত দুঃসময়েও কেন হঠাৎ সাংবাদিক নির্যাতন বাড়বে? উত্তরটা ক্লিয়ার; গোমড় ঢেকে রাখতে। বাঙালী স্বভাব যে মহামারিতেও আড়াল করা যায় না সেটাই আড়াল করতে দেশের নানান প্রান্তে নির্যাতন শুরু হয়েছিল সাংবাদিকদের ওপর। বাস্তবতায় দেখবেন, সাংবাদিকরা কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার মাঝেও কাজ করে যাচ্ছেন। কতটাকা আর বেতন-বোনাস পান তারা? কিসের লোভে মহামারি উপেক্ষা করে ছুটছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত? কেন তারা অহেতুক নির্যাতনের বলি হবেন?

আমি মনে করি, দেশপ্রেমের তাগিদে নিজ নিজ স্থান থেকে করোনার করুন সময়েও অবিচল দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকদের কাছে এখন মৃত্যুভয় তুচ্ছ। ডেডিকেটেট সাংবাদিকতা নিয়ে দেশও এখন প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। ঠিক তখন আরেকটি সংবাদ দৃষ্টি কেড়েছে।

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় মেয়র ও জাতীয় সংসদের হুইপের বিরোধে একজন রাজনৈতিককর্মীর খুন হওয়ার মামলায় ২০ নম্বর আসামী করা হয়েছে সাংবাদিকদে। এবিএম মিজানুর রহমান, তিনি প্রথম আলোর উপজেলা প্রতিনিধি। খটকা লাগে, সাংবাদিক কি করে খুনের মামলার আসামী হয়? এর একটি সহজ সমীকরণও আছে বটে



মিজানুর রহমান যে এবারই প্রথম মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত তা কিন্তু নয়, এর আগেও তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ উপজেলার ওসি নরেশ কর্মকার স্থানীয় সাংসদ আসম ফিরোজের বর্শবর্তী হয়ে গ্রেফতারের পর মিজানকে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে মিজান দ্বিতীয় দফায় আবার হয়রানির জালে পড়লেন।

আমার মতে দুটি কারনে হত্যা মামলায় আসামী হতে পারেন প্রথম আলোর এই সাংবাদিক। প্রথমত ২০১৫ সালের ঘটনার পর আ.স.ম ফিরোজের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করা এবং ফিরোজের বিরোধীয় আওয়ামী লীগের গ্রুপ মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সাথে সুসম্পর্ক অটুট রাখা। দ্বিতীয়ত আ.স.ম ফিরোজের খালা শ্বাশুরি চালচুরি করে কারাদন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেই সংবাদ করেছিলেন।

যদি এই কারন দুটি হত্যায় অভিযুক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ না হয় তাহলে আর কোন কারন এখন চোখে পরে না। সাংবাদিকরা লিখে অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করেন। কিন্তু কখনো কি সাংবাদিকরা অস্ত্র হাতে গুন্ডামি করতে গেছেন; দেখেছেন কখনো? সচারচার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ আনা হয়। আর তাতে কাজ না হওয়ায় নতুন করেতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমদানী করা হয়েছে। কিন্তু বাউফলের ওই সাংবাদিকের ওপর তার কােনটাই প্রয়োগ হলো না, হলো সরাসরি হত্যার অভিযোগ প্রয়োগ?

‘ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেওয়া’ বলতে আমাদের সমাজে একটি কথা আছে। অর্থাৎ ঘটনা বা দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত নন এমন লোককে ফাঁসিয়ে মনের ক্ষোভ মেটানোকে এই উপমা দিয়ে বুঝানো হয়। তেমনি বাউফল আওয়ামী লীগে গৃহদাহ বা ঘরে আগুনের ঘটনা নতুন নয়। এমপি ও মেয়রের মধ্যকার বিরোধ কমপক্ষে একযুগ ধরে বিদ্যমান। সেই গৃহদাহে খুন হলো যখন রাজনৈতিককর্মী তাপস, তখন সেই লাশকে পুঁজি করে ঘায়েল মিশন মোটেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়। যুক্তিগ্রাহ্য না হলেও দেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতা করুন ও কঠিন। আমরা যা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করি।

সেই বাস্তবতার সম্মুখে দাড়িয়ে বলবো, রাজনীতি ছাড়া জীবন এবং রাষ্ট্র চলে না। রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ না করে রাষ্ট্রের পাওয়ার হাউজ হিসবে গড়ে তোলা সবার কর্তব্য। তা না করে রাজনীতির প্রতিহিংসা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ঘায়েল করার অভিপ্সা লজ্জিত করার চেয়ে ঘৃণার উদ্রেক ঘটাবে।

সুতরাং রাজনীতিবিদদের বিরোধ তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিহিংসায় শিকার করবেন না। শেষতক, তাপস হত্যার অভিযোগ থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং তাপসের প্রকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক; এই দাবী জানাচ্ছি।

উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে-চাপানোর অভ্যাস আমাদের দেশীয় পলিটিসিয়ানদের পুরানো। সেই অভ্যেসমত তারা মাঝে মাঝে এমনসব কাজ করে থাকেন যা দেখলে লজ্জিত হয়েই শেষ করা যায় না, পাশাপাশি ঘৃণাও করতে হয়।

করোনা মহামারি শুরুর পিরিয়ডে দেশে যখন চালচোরের উৎপাত বৃদ্ধি পেলো তখন হঠাৎ করে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চালচোরদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনের নির্দেশ দেওয়ায় শেষ ধাপে এসে চোরদের পরাজয় হয়েছিল; রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করে বিজয়ী হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। যদি প্রধানমন্ত্রী চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ না দিতেন তাহলে যেমাত্রায় নির্যাতন আরম্ভ হয়েছিল তা কত দুর্বিঃসহ পর্যায়ে গিয়ে শেষ হতো বলা মুশকিল। কিন্তু জাতিগত দুঃসময়েও কেন হঠাৎ সাংবাদিক নির্যাতন বাড়বে? উত্তরটা ক্লিয়ার; গোমড় ঢেকে রাখতে। বাঙালী স্বভাব যে মহামারিতেও আড়াল করা যায় না সেটাই আড়াল করতে দেশের নানান প্রান্তে নির্যাতন শুরু হয়েছিল সাংবাদিকদের ওপর। বাস্তবতায় দেখবেন, সাংবাদিকরা কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার মাঝেও কাজ করে যাচ্ছেন। কতটাকা আর বেতন-বোনাস পান তারা? কিসের লোভে মহামারি উপেক্ষা করে ছুটছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত? কেন তারা অহেতুক নির্যাতনের বলি হবেন?

আমি মনে করি, দেশপ্রেমের তাগিদে নিজ নিজ স্থান থেকে করোনার করুন সময়েও অবিচল দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকদের কাছে এখন মৃত্যুভয় তুচ্ছ। ডেডিকেটেট সাংবাদিকতা নিয়ে দেশও এখন প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। ঠিক তখন আরেকটি সংবাদ দৃষ্টি কেড়েছে।

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় মেয়র ও জাতীয় সংসদের হুইপের বিরোধে একজন রাজনৈতিককর্মীর খুন হওয়ার মামলায় ২০ নম্বর আসামী করা হয়েছে সাংবাদিকদে। এবিএম মিজানুর রহমান, তিনি প্রথম আলোর উপজেলা প্রতিনিধি। খটকা লাগে, সাংবাদিক কি করে খুনের মামলার আসামী হয়? এর একটি সহজ সমীকরণও আছে বটে।

মিজানুর রহমান যে এবারই প্রথম মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত তা কিন্তু নয়, এর আগেও তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ উপজেলার ওসি নরেশ কর্মকার স্থানীয় সাংসদ আসম ফিরোজের বর্শবর্তী হয়ে গ্রেফতারের পর মিজানকে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে মিজান দ্বিতীয় দফায় আবার হয়রানির জালে পড়লেন।

আমার মতে দুটি কারনে হত্যা মামলায় আসামী হতে পারেন প্রথম আলোর এই সাংবাদিক। প্রথমত ২০১৫ সালের ঘটনার পর আ.স.ম ফিরোজের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করা এবং ফিরোজের বিরোধীয় আওয়ামী লীগের গ্রুপ মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সাথে সুসম্পর্ক অটুট রাখা। দ্বিতীয়ত আ.স.ম ফিরোজের খালা শ্বাশুরি চালচুরি করে কারাদন্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেই সংবাদ করেছিলেন।

যদি এই কারন দুটি হত্যায় অভিযুক্ত হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ না হয় তাহলে আর কোন কারন এখন চোখে পরে না। সাংবাদিকরা লিখে অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করেন। কিন্তু কখনো কি সাংবাদিকরা অস্ত্র হাতে গুন্ডামি করতে গেছেন; দেখেছেন কখনো? সচারচার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানীর অভিযোগ আনা হয়। আর তাতে কাজ না হওয়ায় নতুন করেতো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমদানী করা হয়েছে। কিন্তু বাউফলের ওই সাংবাদিকের ওপর তার কােনটাই প্রয়োগ হলো না, হলো সরাসরি হত্যার অভিযোগ প্রয়োগ?

‘ঘরপোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দেওয়া’ বলতে আমাদের সমাজে একটি কথা আছে। অর্থাৎ ঘটনা বা দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত নন এমন লোককে ফাঁসিয়ে মনের ক্ষোভ মেটানোকে এই উপমা দিয়ে বুঝানো হয়। তেমনি বাউফল আওয়ামী লীগে গৃহদাহ বা ঘরে আগুনের ঘটনা নতুন নয়। এমপি ও মেয়রের মধ্যকার বিরোধ কমপক্ষে একযুগ ধরে বিদ্যমান। সেই গৃহদাহে খুন হলো যখন রাজনৈতিককর্মী তাপস, তখন সেই লাশকে পুঁজি করে ঘায়েল মিশন মোটেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়। যুক্তিগ্রাহ্য না হলেও দেশীয় রাজনৈতিক বাস্তবতা করুন ও কঠিন। আমরা যা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করি।

সেই বাস্তবতার সম্মুখে দাড়িয়ে বলবো, রাজনীতি ছাড়া জীবন এবং রাষ্ট্র চলে না। রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ না করে রাষ্ট্রের পাওয়ার হাউজ হিসবে গড়ে তোলা সবার কর্তব্য। তা না করে রাজনীতির প্রতিহিংসা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে ঘায়েল করার অভিপ্সা লজ্জিত করার চেয়ে ঘৃণার উদ্রেক ঘটাবে।

সুতরাং রাজনীতিবিদদের বিরোধ তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিহিংসায় শিকার করবেন না। শেষতক, তাপস হত্যার অভিযোগ থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং তাপসের প্রকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক; এই দাবী জানাচ্ছি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকে দেখি লোকজন সাংবাদিকের বিচার চাচ্ছে।

২| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: সাংবাদিকতা আমাদের দেশে বর্তমানে অত্যন্ত ঝুকিপুর্ন একটি পেশা। এই পেশায় এখন সত্য বলা মহাপাপ।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দেশর লোক যেমন দুই ভাগে বিভক্ত সাংবাদিকরাও দুই ভাগে বিভক্ত।মানুষ যা যা পারে একজন সাংবাদিকও তাই পারে,কারন সে মানুষ।এখন দেখতে হবে সে কাজটি করেছে কিনা।আপনি বলছেন করেনি,আরেকজন বলছে করেছে।এটার সমাধান কি আপনিই বলুন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.