নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে এবং নারী বুড়িয়ে যায়। যদিও বুড়িয়ে যাওয়ার এই ব্যাপারটা আসলে ফিটনেস এবং লাইফস্টাইল বজায় রাখার ওপর নির্ভর করে, এটা লৈঙ্গিক বিষয় না, তারপরেও পুরুষ হিসেবে যেহেতু সবসময় বিশেষ সুবিধা পেয়ে এসেছি জন্মগতভাবে তাই এক্ষেত্রেও নিজেদের সুবিধার জন্যে প্রচলিত মতটাকেই সত্যি ধরে নিলাম।
আমাদের, পুরুষদের সবার সমাজস্বীকৃত উপায়ে একাধিক যৌনসঙ্গী দরকার। আমাদের স্ত্রীরা শুধু একজনকে নিয়েই খুশি থাকবে। (যদিও ৫০ এমন কী ৪০ এর পরেও অনেক পুরুষেরই ডায়াবেটিস বেড়ে, টেস্টোস্টেরন লেভেল কমে, প্রেসার এবং অন্যান্য অনেক সমস্যায় ভুগে উড্ডয়নজনিত সমস্যা তৈরি হয়, তারপরেও নারীর খুশি থাকারই বিধান)।
তাহলে একটা ক্যালকুলেশন করে ফেলে যাক।

বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে পুরুষ আর নারীর অনুপাত হলো ১০০ঃ১০৪
জন্মের সময় অবশ্য পুরুষরা বেশি থাকে ১০৪ঃ১০০
বয়স বাড়তে থাকলে এই অনুপাত কমে আসে। ৬৫ বছরের ওপরের জনগোষ্ঠীর জন্যে উল্টো পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে কমে যায়। তখন ১০৪ জন নারীর জন্যে ১০০ জন পুরুষ থাকে।
ঝামেলার হিসাব। তারপরেও ধরে নিলাম বিবাহযোগ্য বয়সের ক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি। ৬৫ এর ওপরের বয়সে নারী-পুরুষের যে অনুপাত, ১০৪ঃ১০০ সেটাকেই আমরা মানদণ্ড ধরব। পুরুষ হিসেবে সুবিধা পেতে এই হিসাবটা দরকার।
তাহলে ধরা যাক একটা সিনারিও, যেখানে একটা এলাকায় মোট জনসংখ্যা ৫ লাখ। বিবাহযোগ্য পুরুষ যদি এক লাখ থাকে, নারীর সংখ্যা হবে এক লাখ চার হাজার।
এখন, ধরলাম সামর্থ্যবান, স্বচ্ছল, শৌর্যে-বীর্যে ভরপুর পুরুষের সংখ্যা ১০,০০০। তারা গড়ে তিনটি করে বিয়ে করল। সেক্ষেত্রে তাদের স্ত্রীর সংখ্যা হলো ৩০,০০০।
বাকি ৯০০০০ পুরুষের জন্যে থাকে ৭৪০০০ নারী।
ধরে নিলাম আরো ত্রিশ হাজার অপেক্ষাকৃত কম হর্নি পুরুষ দুইটি করে বিয়ে করল।
তাহলে বাকি ৬০০০০ পুরুষের জন্যে বাকি থাকল ১৪০০০ নারী।
১০০০০ গরীব এবং কম হর্সপাওয়ার সম্পন্ন পুরুষ একটা বিয়ে করেই সন্তুষ্ট থাকল।
তাহলে বাকি ৫০০০০ পুরুষের জন্যে বাকি থাকল ৪০০০ নারী।
এখন এই ৪০০০ নারীর জন্যে বাকি ৫০০০০ পুরুষ কী করবে?
যুদ্ধ?
মনে হয় না এটা আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্যে যথাযথ হবে।
বিকল্প ব্যবস্থা যা যা নেয়া যেতে পারে,
৪০০০ নারীকে ৪০০০ পুরুষের মধ্যে বন্টিত করে দিয়ে বাকি ৪৬০০০ জনকে খোঁজা করে দেয়া যেতে পারে।
অথবা এই ৪০০০ জনকে সরকারী জামানতে যৌনপল্লীতে রেখে দেয়া যেতে পারে। তারা বাকিদের চাহিদা পূরণ করবে। তবে এটা সম্ভবত আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্যে কাঙ্খিত সমাজস্বীকৃত সমাধান নয়।
উপরের সিনারিও থেকে দেখা যায় ৫০ হাজার পুরুষ সহজেই ১ থেকে ৩টি স্ত্রী নিতে পারবেন। সমস্যায় পড়বে বাকি ৫০ হাজার।
যদি ১ লক্ষ পুরুষের বিপরীতে ২ লক্ষ নারী না থাকে তাহলে আমাদের কাঙ্খিত বহুগামী জীবন বাস্তবায়ন সম্ভব না।
সেক্ষেত্রে পুরুষের সংখ্যা কমাতে হবে, অথবা নারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। কীভাবে এটা করা যায় সেই বুদ্ধি বাইর করেন আগে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার স্ত্রী বলেছে সে ছাড়া অন্য কাউকে চিন্তা করলে ঘাড়ের উপর মাথাটা থাকবে না। আর ঘাড়ের উপর মাথাটাই যদি না থাকে তাহলে চিন্তা করে বুদ্ধি বাইর করব ক্যামনে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তার এই ধরণের কথা বলা আদবের খেলাফ। তাকে মৃদু প্রহার করুন।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার স্ত্রী বলেছে সে ছাড়া অন্য কাউকে চিন্তা করলে ঘাড়ের উপর মাথাটা থাকবে না। আর ঘাড়ের উপর মাথাটাই যদি না থাকে তাহলে চিন্তা করে বুদ্ধি বাইর করব ক্যামনে?

নবী, খোলিফা, সাহাবাদের পথ অনুসরন না করতে দেওয়া বড়ই অন্যায় কাজ।

নবী, ৪ খলিফারা সবাই অনেক বিবাহ করেছেন। এই সুন্নত ছাড়তে বলা বড়ই অন্যায়। B-)

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: উনার সাথে রসের আলাপ বাদ দেন। আমি যে হিসাবটা দেখাইলাম, এটার সমাধানে কী করা যায় সেইটা কন।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুজুরদের জন প্রতি ১১ জন করে নারী বণ্ঠন করলে কি হিসাব মিলে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: না। সংকট আরও ঘনীভূত হবে এতে।

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মোল্লাদের এ দায়িত্ব দেয়া হলে,ওদের মত ওরা সমাধান করে ফেলবে ধর্মের সাহায্য নিয়ে।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাক।

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

নতুন বলেছেন: আগে বিয়ে বেশি করতো কারন বংস বাড়াতে হবে।

ছেলে মানেই লাঠি গুস্টি বড় এবং ক্ষমতাবান।

১ বিয়ে বাধ্যতামুলক করার দরকার নাই। কিন্তু ২য় বিয়ে করলে অনুমুতি নিয়ে করতে হবে এটা ঠিক আছে।

অনেক সময় পরিবারের পরিস্থিতিতে ২য় বিয়ের দরকার আছে। তবে ৩,৪ বিয়ে শুধুই নারী ভোগের উসিলা মাত্র।

বিয়ে এবং তালাক সহজ করা উচিত। যাতে কেউই বাধ্য হয়ে স্বামী বা স্ত্রীর অত্যাচার সইতে না হয়।

বিদেশে ডিভোর্স যেমন খুবই খচরের বিষয় তাই তারা পরকিয়াতে মজে।
তেমনি আমাদের সমাজ তালাক দিলে ছি ছি করবে ভেবে মানুষ পরকিয়াতে জড়ায়।

পুরুষ মানুষ বহুগামী এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।

তাই নিজে ৪ বিয়ে না করলেও বহু বিয়ের অনুমুতি আছে এটা ভেবেও অনেকে ওরগাজমিক সুখ অনুভব করে। =p~

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি পুরুষের পলিগ্যামির বীজ সম্পর্কে বললেন,ঠিক আছে। কিন্তু আধুনিক সমাজে এর সমাধান কী?

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: পশু পাখি জন্মেই পশু পাখি।মানুষ জন্মেই মানুষ না।তাকে মানুষ হয়ে গড়ে তোলতে হয় বা মানুষ হতে হয়।তাইতো আমাদের শিক্ষকরা বলে এতো গরু মানুষ করলাম কিন্তু তুই মানুষ হলি না।আমাদের দেশে লোক বাড়ছে কিন্তু মানুষ বাড়ছে না।

নারী পুরুষের মাঝে কেবল মাত্র লিঙ্গগত পার্থক্য ছাড়া আর কোন পার্থক্য নাই।বাকি সব সমাজের সৃষ্টি।
নারীর ভিতরে পুরুষের সমান একটা পুঃলিঙ্গ আছে।পশ্চিমে হাজার হাজার নারী সামান্য অপারেশন করে সেটা বের করে নিয়ে আসে।এবং পুরুষের মতোই সেটা দিয়ে সংঙ্গম করে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ও

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মৌ মৌলভী মৌলানাদের এই দায়িত্বটা দিয়ে দিন।
তারাই ফয়সালা করে দেবে।
তিনারা বড়ই জ্ঞানী!

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫২

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনি চ্যালচ্যালাইয়া নারীবাদী হয়ে যাবেন। ১৬ -র পরে সকল নারী বিবাহযোগ্যা। আর পুরুষ মূলতই বিবাহযোগ্য হয় ৩০ এ। যদিও আমাদের হয় ২৫ এ। তবুও কি পরিমাণ নারী বিবাহযোগ্যা থাকে? অতি ফেরেস্তা সাজার কোন সুযোগ নাই। এসব ভেক। নারীকে একের অধিক বিয়ে করা ভালো। যার মনে চায় করবে, যার মনে চায় করবে না। জৈবিক নেশায় পুরুষ যা করে করতে পারে নারী তা পারে না। বাস্তব ও বাস্তবতা বুঝুন। ফেরেস্তা হওয়া ও খোঁজা বাদ দেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন, ফেরেশতা হইতে চাইলে সমেস্যা কী! #:-S

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: Click This Link এই পোস্টের কাউন্টারে এটা লেখা। পড়েন,বুঝতে পারবেন কন্টেক্সট।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাকে দুইজন লোক বলেছে- দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, যে স্ত্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা প্রদান করবে সে স্ত্রী মুমিন নয়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকেও বলেছে অনেকে।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: বিরাট টেনশেনে আছেন দেখি!
বিষয় অতি সিম্পল! তিনিটে করে আমরা আগে করি। প্রথমে লোকাল, না পাইলে ইম্পোর্টেট (ড়েট একটু বেশি পড়বে) আমাদের সুন্নতী কাম আমরা শেষ করে বেহেশ্তের রাস্তা ক্লিয়ার করি আগে। পরের ভাবনা পরের প্রজন্ম ভাববে।
কোন মনুষ্য ডাটাই সঠিক নয়- কিছু আলেম জানেন এই দেশে পুরুষের থেকে চারগুন নারী বর্তমান আছে। যদি কম পড়ে জ্বীন জাতি সাপ্লাই দেবার জন্য সর্বদা রেডি আছে। আপনি ফাউ টেনশন না করে পটাপট চারটা বিয়া করে ফেলেন। মুশকিল আসানের দায়িত্ব আপনার না।
কতলাখ জ্বীন-পরি মানুষের কায়া ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপনি জানেন মিয়া?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাই,রাশিয়ায় এখন অনেক পুরুষ যুদ্ধে যাচ্ছে। অসহায় একলা নারীদের জন্যে কিছু একটা ব্যবস্থা করেন! আপনার বইতেই তো পড়ছি ওরা উপমহাদেশীয় পুরুষদের ভালো পায়।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:





বিয়ে প্রথা না থাকলেই ঝামেলা মিটে যায়।
তখন আর কাউন্ট করতে হবে না কার জন্য কয়জন।
একজন মানুষের জীবনে একাধিক নারী বা পুরুষ আসতেই পারে।

বিয়ে বহির্ভুত সেক্সচুয়াল রিলেশনশিপ পাপ, ধর্মীয় এই বিধিনিষেধ না থাকলে, মনে হয়না কেউ কখনো বিয়ে করতো।


১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:২৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: মহান আল্লহ রব্বুল আলামিন সেই ১৪শ বছর আগেই কোরান হাদিসে এসবের সমাধান করে গেছেন, আল্লাহ কাফেরদের কানে হৃদয়ে মোহর মেরে দিয়েছেন তারা কখনো ইসলাম কবুল করবে না, তাই তাদের প্রতি জিহাদ ফরজ করে গেছেন। পাশের পৌত্তলিক দেশে আক্রমণ করবেন পুরষদের হত্যা করবেন, তাদের মা বেটিদের কি হবে? সেই সব মা বেটিদের আল্লাহ চাইলে হত্যা করতে বলতেন কিন্তু মহান আল্লাহ রব্বুল তাদের ধরে এনে সামান্য গৃহকাজ টাজ করাতে বলেছেন, এদিকে জিহাদীদের স্মার্টনেস দেখে এই সব যুদ্ধবন্দী নারীরা হর্নি হয়ে যাবে, এজন্য মহান আল্লাহ জিহাদীদের এই সব নারীদের যৌনক্ষুদাও মেটাতে বলেছেন। সুভানাল্লহ বলেবেন না। এইভাবে জিহাদীরা যদি জিহাদ করে ৮ থেকে ১০টা কাফের নারী ভাগে পায় তাহলে তারা জিং জিং করতে করতে কাহিল হয়ে পড়বে। আপনার উপরোক্ত নারীর চাহিদা আর তেমন থাকবে না, সমাজে ধর্ষন বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাভিচার থাকবে না।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর। তিনিই সবচেয়ে ভালো নারী সাপ্লাইকারী।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমার স্বপক্ষে আমার দলিল দিলাম।

4:24
وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾
আর (হারাম করা হয়েছে) নারীদের মধ্য থেকে সধবাদেরকে। তবে তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক হয়েছে (দাসীগণ) তারা ছাড়া। এটি তোমাদের উপর আল্লাহর বিধান এবং এরা ছাড়া সকল নারীকে তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে চাইবে বিবাহ করে, অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে নয়। সুতরাং তাদের মধ্যে তোমরা যাদেরকে ভোগ করেছ তাদেরকে তাদের নির্ধারিত মোহর দিয়ে দাও। আর নির্ধারণের পর যে ব্যাপারে তোমরা পরস্পর সম্মত হবে তাতে তোমাদের উপর কোন অপরাধ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
তাফসীর

(১) কুরআন কারীমে إِحْصَانٌ শব্দটি চারটি অর্থে ব্যবহার হয়েছে। যথা, (ক) বিবাহ (খ) স্বাধীনতা (গ) সতীত্ব এবং (ঘ) ইসলাম। এই দিক দিয়ে مُحْصَنَات এর হবে চারটি অর্থঃ (ক) বিবাহিতা মহিলাগণ (খ) স্বাধীন মহিলাগণ (গ) সতী-সাধ্বী মহিলাগণ এবং (ঘ) মুসলিম মহিলাগণ। এখানে প্রথম অর্থকে বুঝানো হয়েছে। আয়াতের শানে নুযুল (অবতীর্ণ হওয়ার কারণ) সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যখন কোন কোন যুদ্ধে কাফেরদের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হল, তখন ঐ সকল মহিলারা বিবাহিতা হওয়ার কারণে মুসলিমরা তাদের সাথে সহবাস করার ব্যাপারে ঘৃণা অনুভব করল। অতঃপর নবী করীম (সাঃ)-কে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)-গণ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে এই আয়াত অবতীর্ণ হল। (ইবনে কাসীর) এ থেকে জানা গেল যে, যুদ্ধলব্ধ কাফের মহিলারা মুসলিমদের হাতে বন্দিনী হয়ে এলে, তাদের সাথে সহবাস করা জায়েয, যদিও তারা বিবাহিতা হয়। তবে গর্ভমুক্ত কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া জরুরী। অর্থাৎ, এক মাসিক দেখার পর অথবা গর্ভবতী হলে প্রসবের পর (নিফাস বন্ধ হলে তবেই) তার সাথে সহবাস করা যাবে।
ক্রীতদাসীদের মাসআলাঃ কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার সময় দাস-দাসীর রাখার প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। কুরআন এ প্রথাকে উচ্ছেদ তো করেনি, তবে তাদের ব্যাপারে এমন কৌশল ও যুক্তিময় পথ অবলম্বন করা হয়, যাতে তারা খুব বেশী বেশী সুযোগ-সুবিধা অর্জন করতে পারে এবং দাস-প্রথার প্রবণতা হ্রাস পায়। দু’টি মাধ্যমে এই প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রথমটি হল, কোন কোন গোত্র এমন ছিল যাদের পুরুষ ও নারীকে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ক্রয়-বিক্রয় করা হত। এই ক্রীত নর-নারীকেই ক্রীতদাস ও দাসী বলা হয়। মনিবের অধিকার হত তাদের দ্বারা সর্ব প্রকার ফয়দা ও উপকার অর্জন করা। আর দ্বিতীয়টি হল, যুদ্ধে বন্দী হওয়ার মাধ্যমে। কাফেরদের বন্দী মহিলাদেরকে মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হত এবং তারা দাসী হয়ে তাঁদের সাথে জীবন-যাপন করত। বন্দিনীদের জন্য এটাই ছিল উত্তম ব্যবস্থা। কারণ, তাদেরকে যদি সমাজে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হত, তাহলে তাদের মাধ্যমে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি হত। বিস্তারিত জানার জন্য দ্রষ্টব্যঃ মৌলানা সাঈদ আহমদ আকবার আবাদী রচিত বই ‘আররিক্কু ফীল ইসলাম’ (ইসলামে দাসত্বের তাৎপর্য), মোট কথা হল, (স্বামীর বিবাহ বন্ধনে থাকা অবস্থায়) সধবা মুসলিম মহিলাদেরকে বিবাহ করা যেমন হারাম, তেমনি সধবা কাফের মহিলারাদেরকেও বিবাহ করা হারাম, তবে যদি তারা মুসলিমদের অধিকারে এসে যায়, তাহলে তারা গর্ভমুক্ত কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের জন্য (যৌন-সংসর্গ) হালাল হবে।
(২) অর্থাৎ, কুরআন ও হাদীসে যে মহিলাদের সাথে বিবাহ করা হারাম বলে ঘোষিত হয়েছে, তাদেরকে ছাড়া অন্য মহিলাদেরকে বিবাহ করা জায়েয চারটি শর্তের ভিত্তিতে। (ক) তলব করতে হবে। অর্থাৎ, উভয় পক্ষের মধ্যে ইজাব ও কবুল (প্রস্তাব ও গ্রহণ) হতে হবে (এক পক্ষ প্রস্তাব দিবে এবং অপর পক্ষ কবুল করবে)। (খ) দেনমোহর আদায় করতে হবে। (গ) তাকে সব সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে রাখা উদ্দেশ্য হবে, কেবল কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থ করাই লক্ষ্য হবে না। (যেমন, ব্যভিচারে অথবা শীয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত মুতআ’ তথা কেবল যৌনক্ষুধা নিবারণের লক্ষ্যে কয়েক দিন বা কয়েক ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে চুক্তিবিবাহ হয়ে থাকে)। (ঘ) গোপন প্রেমের মাধ্যমে যেন না হয়, বরং সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ হবে। এই চারটি শর্ত আলোচ্য আয়াত থেকেই সংগৃহীত। এ থেকে যেমন প্রমাণিত হয় যে, শীয়া সম্প্রদায়ের প্রচলিত মুতআ’ বিবাহ বাতিল, অনুরূপ প্রচলিত ‘হালালা’ (রীতিমত তিন তালাকের পর অন্য এক পুরুষের সাথে বিবাহের মাধ্যমে স্বামীর জন্য স্ত্রীকে হালাল করার) পদ্ধতিও না-জায়েয। কারণ, এতেও মহিলাকে সব সময়ের জন্য বিবাহ বন্ধনে রাখা উদ্দেশ্য হয় না, বরং প্রচলিত নিয়মানুযায়ী এই বিবাহ কেবল এক রাতের জন্য হয়।
(৩) এখানে এ ব্যাপারে তাকীদ করা হচ্ছে যে, যে মহিলাদের সাথে তোমরা বৈধ বিবাহের মাধ্যমে যৌনসুখ ও স্বাদ গ্রহণ কর, তাদেরকে তাদের নির্দিষ্ট মোহর অবশ্যই আদায় করে দাও।
(৪) এখানে পরস্পরের সম্মতিক্রমে মোহরের মধ্যে কম-বেশী করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিঃ দ্রষ্টব্যঃ استمتاع ‘ইস্তিমতা’ শব্দ থেকে শীয়া সম্প্রদায় মুতআ’ বিবাহের বৈধতা সাব্যস্ত করে। অথচ এর অর্থ হল, বিবাহের পর সহবাসের মাধ্যমে যৌনসুখ উপভোগ করা; যেমন এ কথা পূর্বেও বলা হয়েছে। অবশ্য মুতআ’ বিবাহ ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে বৈধ ছিল, কিন্তু তার বৈধতা এই আয়াতের ভিত্তিতে ছিল না, বরং সেই প্রথা অনুযায়ী ছিল, যা ইসলামের পূর্বে থেকেই চলে আসছিল। অতঃপর নবী করীম (সাঃ) একেবারে পরিষ্কার ভাষায় কিয়ামত পর্যন্ত তা হারাম ঘোষণা করে দিলেন।
(তাফসীর আহসানু বায়ান – কোরআন 4:24)

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,




মাথা খাটিয়ে বুদ্ধি বের করথে হবেনা প্রকৃতিই ব্যবস্থা করে দেবে। দেখুন এইখানে্-
কপাল পোড়া পুরুষ ........ নপুংসক ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.