| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রু
মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য।

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি স্রেফ একটা পরিবর্তনের হুজুগ?
হাদি ভাই কিন্তু এসবের ধার ধারতেন না। তার স্বপ্নটা ছিল একটু অন্যরকম, যাকে তিনি বলতেন... ‘বাংলাদেশীয় নতুন ইথিকাল রেনেসাঁস’। খটমট লাগছে শব্দটা? সহজ করে বলি।
তার পুরো দর্শনের মূলে ছিল একটা মাত্র শব্দ... ইনসাফ।
তিনি বলতেন, “Insaaf is not ideology, it’s orientation.” মানেটা খুব গভীর, জানেন? আমরা সাধারণত দৌড়াই দল, স্লোগান, ব্যক্তি বা ধর্মীয় প্রতীকের পেছনে। উনি বলতেন, ওসব বাদ। ওগুলো তো বাইরের খোলস। আসল ফোকাস হওয়া উচিত ন্যায়ের ওপর। ইনসাফ কোনো দলের সম্পত্তি না, এটা একটা দিকদর্শন। ঠিক যেন কম্পাসের কাঁটার মতো, যেটা সব সময় সত্যের দিকে মুখ করে থাকবে।
হাদি ভাইয়ের লজিকটা একদম ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ছিল: “রাজনীতি বদলাতে চান? আগে চিন্তার জগতটা বদলান।”
আমরা হুট করে রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙি, স্লোগান দেই, ভাবি সরকার উল্টে গেলেই সব ঠিক। কিন্তু হাদি ভাই বলতেন, সংস্কৃতি যদি পচে যায়, মানুষের মগজে যদি ঘুণ ধরে থাকে, তবে সেখানে হাজারটা বিপ্লব হলেও কিচ্ছু টিকবে না। ভিৎ নড়বড়ে হলে কি আর ১০ তলা বিল্ডিং দাঁড়ায়?
ঠিক এই কারণেই তিনি কোনো প্রথাগত “দল” খোলেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটা সাংস্কৃতিক আন্দোলন। তার ভাষায়, “Cultural Revolution before Political Revolution.”
তিনি চেয়েছিলেন এমন একটা ইকোসিস্টেম বা কাঠামো তৈরি করতে, যাকে উনি নাম দিলেন "ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার"। এমন একটা জায়গা যেখানে মানুষ বদলাবে, মানুষ তৈরি হবে, কিন্তু নীতিগুলো অটুট থাকবে। এটা কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা বা ভোটের রাজনীতির খেলা ছিল না; এটা ছিল একটা নন-পার্টিজান রিফর্ম, সোজা কথায় মানুষকে ভেতর থেকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা।
আর ঠিক এই কারণেই... ঠিক এই কারণেই তিনি সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে বড় থ্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
একটা কথা আছে না? Power doesn’t fear noise, it fears continuity.
সিস্টেম চেঁচামেচি ভয় পায় না, ভয় পায় ধারাবাহিকতাকে। হাদি ভাই সেই ধারাবাহিকতার বীজ বুনছিলেন। তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেরে ফেলা হয়েছে নির্মমভাবে। হয়তো তারা ভেবেছিল, মানুষটাকে শেষ করে দিলেই ঝামেলা চুকে গেল।
কিন্তু তারা ভুল ছিল। মারাত্মক ভুল।
শহীদি মানে তো শুধু মরে যাওয়া নয়। শহীদি মানে হলো... মৃত্যুর পরও যখন কোনো আইডিয়া বেঁচে থাকে, শ্বাস নেয় এবং আরও শক্তিশালী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মাঝে। হাদি ভাইকে কবর দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার দর্শন? ওটা তো এখন হাজার হাজার তরুণের মগজে।
এগুলো সবই আমার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি। আবেগের বশে হয়তো একটু বেশিই বলে ফেললাম। আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতেই পারে। আর সেটাই স্বাভাবিক।
বাকিটা? বাকিটা তো সেই ওপরওয়ালাই ভালো জানেন।
২|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
রাসেল বলেছেন: তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।
দালালির মাধ্যমে দুইটা পয়সা আয় করার জন্য, আমরা অহরহ তাই করে যাইতেছি।
৩|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
শরীফ ওসমান হাদি একটি বিপ্লবের নাম। যে বিপ্লব কারও হুমকিতে টলে না। কারও সামনে মাথা নোয়াতে জানে না। পরোয়া করে না কোন রক্তচক্ষু। ভীত হয় না বুলেটের সামনে বুক চেতিয়ে দিতে।
হাদি বেঁচে থাকবে যুগ যুগান্তরে এদেশের গণমানুষের আধিপত্যাবাদ বিরোধী মন ও মননে।
৪|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকলে তার মুখোস বোঝা যেত।
৫|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: ইনসাফ একটি বিতর্কিত শব্দ।
৬|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৮
কিরকুট বলেছেন: আর কতো এই পচা জিনিস টানবেন। ব্লগের মান দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭
আদিবাসী শামুক বলেছেন: হাদি ভাই ওসবের ধার ধারতেন না, ইহা সত্য নহে। উনি মবসম্রাট ইলিয়াস ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়েছিলেন যে তার এলাকায় সাদিক কায়েমকে জামাত এমপি হিসেবে দিতে চায়, এই ব্যাপারে কিছু করা যায় কি না। ইলিয়াস ভাই হাদি ভাইকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে বিষয়টি তিনি দেখবেন। হাদি ভাই এমপির গদিতে বসতে চাইছিলেন।