নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টআমি জানিনা আমি কে?আমি আপনার দিকে দৌড়াতেই থাকবো,যতক্ষন না আপনার রহস্য এবং হাকিকত জানতে পারি,আর আপনি তা না জানালে আমাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়,আয় আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাত দিয়েন,আর আপনার পবিত্র সুন্দর চেহরা দর্শনের তৌফিক দিয়েন,তারও বহু বৎসর পর আপনার রহস্য এ

সুলাইমান হোসেন

সামুতে যা প্রকাশযোগ্য নয় তা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে লিখে রাখি যেমন আত্মজীবনি,কবিতা ইত্যাদি https://hridoyeralo.blogspot.com/

সুলাইমান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মার তীরে সন্ধার পরে,একটুকরো স্মৃতি

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮



নিন্মোক্ত লেখাটি সন্ধার পরে পদ্মানদীর চরে একটি পুরোনো ভাঙা নৌকার উপর বসে লিখেছি,সম্পূর্ণ নিরিবিলি পরিবেশ।
আমার আশেপাশে অনেকদূর পর্যন্ত কোনো মানুষজন নাই,ফুরফুরে বাতাশ বইছে,শীতের একসন্ধা।মোটকথা খুবই মনোরম পরিবেশে বসে নিচের লেখাটি লিখেছি।পাঠক তৃপ্তি পেলে এবং উপকৃত হলে আমার শ্রম সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।
২০ ডিসেম্বর ২০২৫(শনিবার)সন্ধা ৬ টা বাজতে এখোনো ১ মিনিট আছে।

শিরোনাম :আগের সেই পদ্মা আজ আর নেই।

হে পদ্মা,
তুমি আমার মাতৃভূমির সৌন্দর্য,
অপলকে চেয়ে থাকি তোমার দিকে,
যখন তোমার উপর দিয়ে হাজারো পাখী,
উড়ে যায়,তোমাতে ওঁদের রিযক খুঁজে।
হাজারো জেলে,দিন রাত
তোমার বুকে জ্বাল ফেলে,মাছ ধরে,
অপলকে তাকিয়ে থাকি তোমার ঢেউ,
এবং বয়ে চলা অনন্ত স্রোতের দিকে।

হে পদ্মা,
তুমি আমার দেশের প্রান এবং জীবন।

যদিও৷ তোমার গর্ভে বিলিন হয়েছে,
হাজারো স্বপ্ন হাজারো ঘরবাড়ি,
তবুও তুমি আমার দেশের প্রান।
যতকাল তুমি বয়ে চলবে এ বুকে,
ততকাল প্রশান্তি থাকবে এ চোখে,
জীবন থাকবে এই মাটিতে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বা! নিঝুম সন্ধায় পদ্যা নদী পারের দৃশ্যাবলি আর নীজের অন্তরের অন্তস্থলে জমে উঠা ভাবের সাথে অভিজ্ঞতা
মিশিয়ে একটি সুন্দর লেখায় পদ্যার প্রতি ভাল লাগার অনুভুতির সাথে দেশাত্ব বোধের একটি সুন্দর বিবরণ
তুলে ধরেছেন লেখাটিতে । পাঠে ভাল লাগল ।

অসলেই পদ্মা নদীর তীরে সন্ধ্যার পরে যেন পৃথিবী ধীরে ধীরে নিজের গল্প শেষ করতে বসে। আকাশের রঙ
বদলে যায়, নীলের ভিতর থেকে এক নিঃশব্দ বেগুনি উঠে আসে, আর তার ভেতর লুকিয়ে থাকে অগণিত নরম
সোনালি কণা। দূরে কোথাও ভেসে আসে নদীর বুক চিরে ছোট নৌকা বেয়ে পল্লিগীতি সম্রাট প্রয়াত আবদুল
আলীমের সুরের গাওয়া মাঝির কন্ঠ হতে ভেসে আসা গান, তার সঙ্গে মিলিয়ে নদীর বুকের ওপর ঢেউয়ের
নিঃশ্বাস। যেন জল আর আকাশ, দু’জন গানে গানে কথা বলছে।

সন্ধায় নদী তীরে বসে হঠাৎ মনে পড়ে যায় কিছু টোকরো স্মৃতি খুবই স্বাভাবিক , তারপরে তার সাথে যদি ভিজে
বাতাসে ভাসে পরিচিত হাসির শব্দ, শৈশবের ছোট ছোট দৌড়, কারও ডেকে ওঠা নাম, কারও হাত ছুঁয়ে থাকা মুহূর্ত।
পদ্মার ঢেউ যেন সে সব স্মৃতি আলতো করে তুলে আবার নামিয়ে রাখে পদ্যার পারে নিঝুম সন্ধায় । কাশবনের
ভিতর দিয়ে বাতাস বয়ে গেলে মনে হয় পুরোনো দিনের কথাগুলো এখনও কোথাও আটকে আছে যেন কেউ
শোনার অপেক্ষায়।

আরেকটু অন্ধকার নামলে নদীর বুক যেন রূপ নেয় কালো আয়নায়। সেই আয়নায় ভেসে ওঠে ম্লান তারার আলো,
দূরের নৌকার ক্ষীণ লণ্ঠন, আর মানুষের চিরচেনা অপেক্ষার মুখ। মনে করিয়ে দেয় মানিক বন্দোপধ্যায়ের লেখা
বিখ্যাত উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝির কথা । সময় যেন থেমে যায় ,না ফিরতে চায়, না এগোতে চায়। কেবল
পদ্মা বয়ে চলে, তার সঙ্গে বয়ে যায় কিছু আনন্দ , কিছু অদেখা বেদনা, অঘোষিত ভালোবাসা, আর এক গোপন
শান্তি।এইভাবে সন্ধ্যার পর পদ্মার তীরে দাঁড়ালে মনে হয় আমরা সবাই যেন একটু নদী,একটু আকাশ, আর
অনেকটা স্মৃতি।

যাকোক , এবার নীজের কথা একটু বলি । বছর ছয়েক আগে এক পড়ন্ত বিকালে ফেরীতে করে দিয়েছিলাম
পদ্যা নদী পাড়ী । সেসময় দেখা দৃশ্য ও অনুভুতি বুকে নিয়ে পরে লিখি একটি লেখা যা নিন্মোক্ত নামে সামুতে
প্রকাশ করি । হাতে সময় থাকলে লিংক ফলো করে দেখে আসতে পারেন তা।
পদ্মার সর্বনাশা নাম ও তার বুকের কলঙ্ক তীলক দুরীকরনার্থে পরিবেশবাদীদের কর্মপ্রচেষ্টার একটি নিকট পর্যালোচনা

শুভেচ্ছা রইল

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৯

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আমার ব্লগে আগমনের জন্য যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।এম আলী ভাই,আপনারা তো পদ্মার ভয়ংকর রুপ দেখেছেন।৭৫সালে ফারাক্কা বাধ দেওয়ার আগে পদ্মার রুপ কেমন ছিলো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.