নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে করোনা ভাইরাস শরীরের কোষ ছিনতাই করে

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫০


করোনা ভাইরাস।

করোনা নামক যে ভাইরাস টি পৃথিবী জুড়ে মৃত্যুর তান্ডব চালাচ্ছে সেই ভাইরাসটি দেখতে বেশ সুন্দর, একটা গোলকের গায়ে সজারুর মতো কাঁটা লাগানো! এই কাঁটা গুলোর কারনেই এর নাম হয়েছে করোনা, প্রাচীন গ্রীসের রাজারা এধরনের কাঁটার মুকুট পরতেন, যাকে বলা হত করোনা।

করোনা ভাইরাসের বাইরের আবরণ এক ধরনের চর্বি জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরি,(ছবিতে হলুদ বৃত্ত) সাবানের সংস্পর্শে যা নষ্ট হয়ে যায়, তাই বলা হয় সাবান দিয়ে হাত ধুতে!


এই ভাইরাস বেঁচে থাকার জন্য দরকার শ্বসনতন্ত্রের কোষ। মুখ, নাক বা চোখ দিয়ে এরা ঢোকে শ্বাসতন্ত্রে, (চোখ দিয়ে ঢোকাটা অদ্ভুত লাগলেও ভেবে দেখেন চোখে ড্রপ দিলে মুখে তার স্বাদ পাওয়া যায়) একবার ঢুকে পড়লেই শ্বাসতন্ত্রের কোষ ACE2 নামের এক ধরণের প্রোটিন উৎপন্ন করে ভাইরাস গোলককে কোষের সাথে আটকে ফেলে।



এরপর কোষের আবরণের সাথে ভাইরাসের আবরণ মিশে যায়, ফলে করোনা ভাইরাস কোষের ভেতরে ঢুকে কোষের দখল পুরোপুরি নিয়ে নেবার পর কোষের ভেতরে RNA নামের একরকম জিন নিঃসরণ করে। নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে চর্বির আবরণ ভেঙে RNA বেরোচ্ছে।



ফলে কোষ থেকে প্রোটিন উৎপন্ন হতে থাকে, যে প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাঁধা দিতে থাকে, আর সাথে সাথে বিপুল বেগে  ভাইরাসের নতুন কপি তৈরি করতে থাকে। এই কপি- ভাইরাস কোষের বাইরের অংশে জমা হতে থাকে, একেকটা কোষে কয়েক লক্ষ কপি- ভাইরাস তৈরি হবার পর কোষটি ধ্বংস হয়ে যায়।



এই ভাইরাসের কিছু অন্য কোষকে আক্রান্ত করে, কিছু হাঁচি কাশির সাথে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

দেহ যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তখন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গিয়ে ফুসফুসের কোষগুলোকে আক্রমণ করে। এতে ফুসফুসে তরল আর মৃত কোষ জমা হয়; শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এই শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সঙ্কট সিন্ড্রোম হয়, তখন মৃত্যুকে বরণ করা ছাড়া আর উপায় থাকে না।

ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি- কাশির মাধ্যমে বাতাসে ভেসে ভাইরাস আশেপাশের নানা জিনিস বা মানুষের শরীরে, কাপড় জামায় আশ্রয় নেয়, তারপর কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন ধরে সেখানে বাড়তে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির দরকার মাস্ক পড়ে থাকা, আক্রান্ত হননি এমন কেউ মাস্ক পড়ে থাকলেও ঝুঁকি কমবে না। বরং ভালো করে হাত ধোয়া, চোখে মুখে হাত না দেয়া- এই ব্যাপারগুলোতে সতর্ক থাকতে হবে।

পুরোটাই নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেয়া। view this linkছবি বড় করতে পারলাম না। এত কাঁটা মাটার কথা জেনে কী লাভ জানিনা। লাভ হতো যদি জানতে পারতাম আর কতদিন এই যন্ত্রনা চলবে...

বিভিন্ন দেশে এই সংক্রমণ নিয়ে গাণিতিক মডেল বানানো হচ্ছে, একটা মডেল যাকে প্রায় নির্ভুল বলা হচ্ছে, সেই মডেলের গণনায় দেখা গেছে, এপ্রিলের ৫ তারিখের মধ্যে বিশ্বে দশ লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করবে এই ভাইরাস।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।

=================================

এই পোস্ট উৎসর্গিত রাজীব নুরের প্রতি। বেশ কিছুদিন ধরে আমার একই ধরণের পোস্ট পড়তে হচ্ছে তাকে, বিরক্তি চেপে মন্তব্যও করতে হচ্ছে। আশাকরি এই পোস্ট এতটা একঘেয়ে লাগবে না। :)

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আশা করছি ব্লগার রাজীব নুর ভাই ব্লগার করুণাধারা বৃষ্টিধারা আপাকে উৎসর্গ করে একটি লেখা অতি দ্রুত পোষ্ট দিবেন।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা ঠাকুরমাহমুদভাই।

দেখি রাজীব নুরের দেখা কখন মেলে! উনি সত্যিই এক বিষয় নিয়ে আমার ক্রমাগত লেখায় বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট আপু। আমাদের সবারই এখন একটাই চিন্তা যে কবে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে মানুষ?

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৫

করুণাধারা বলেছেন: আসলেই একটা দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। কাউকে কাশতে দেখলে সন্দেহ হচ্ছে, দোকানের খাবার খেতে ভয় হচ্ছে, এভাবে আর কতদিন কাটাতে হবে জানিনা।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান। শুভকামনা রইল।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,





সুন্দর পোস্ট হয়েছে।

এটা কি খেয়াল করেছেন, করোনা ভাইরাস হলো কারিনার মতো নবাব বংশীয় ? নবাবীয় চালচলন তাদের। আমাদের মতো
আম জনতা খয়রাতিদের পাশাপাশি এবার পড়েছে পৃথিবীর তাবৎ ভি-ভি-ভি-ভি-আই-পিদের নিয়ে আগের কোনও ভাইরাসের যে সাহস হয়নি কখনও? মায় প্রেসিডেন্টদের ঘরের মধ্যে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে। :(
এই ভাইরাস কি এটাই বোঝাতে চাচ্ছে যে, বোঝ ব্যাটারা আম পাবলিককে কতো ধকল সইতে হয় এই সব রোগবালাই নিয়ে?


সাথে দেয়া সুন্দরী করোনার ছবি দেখে আপনাদের জন্যে এইগুলো ------
সুন্দরী মুখের আড়ালে মৃত্যুর পরোয়ানা...........

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া তব মুখখানি.....

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: আম জনতা খয়রাতিদের পাশাপাশি এবার পড়েছে পৃথিবীর তাবৎ ভি-ভি-ভি-ভি-আই-পিদের নিয়ে আগের কোনও ভাইরাসের যে সাহস হয়নি কখনও? মায় প্রেসিডেন্টদের ঘরের মধ্যে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে।
সুখের কথা এটাই। B-) এই সাম্যবাদী ভাইরাস সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভালো লাগছে দেখে, এদেশের নবাবরা পর্যন্ত এখন অন্য কোথাও যেতে পারছেন না- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় যেমন যেতে পারতেন!!

আপনার সুন্দরীদের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। করোনা এদের তুলনায় একেবারেই সাদামাটা।

সময়ের অভাবে সুন্দরীদের পোস্টে আপাতত লাইক দিয়ে এসেছি, পরে আবার পড়তে যেতে হবে।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো, সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: যে ভয় পাচ্ছিলাম, তাই শুরু হয়েছে চাল, ডাল, তেলের দাম বেড়ে গেছে বোন। করোনার ভয়ের থেকে এটাই বেশি ভীতিকর আমার কাছে। আপনার পোষ্টে খুব সুন্দরভাবে করোনা ব্যাপারটা তুলে আনছেন। মৃত্যুদুতকে বুজলাম কিভাবে কাজ করে।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৫

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন কী দিয়ে তৈরি বড় জানতে ইচ্ছা হয়; যে কোন উছিলায় এরা অতি প্রয়োজনীয় খাবারের দাম বাড়িয়ে দেয়। যে সব দেশে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে সেসব দেশে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে একবারে খাবার জিনিস বেশি কিনছে বলে দোকানে এসবের অভাব দেখা দিয়েছে, কিন্তু কোথাও কেউ দাম বাড়িয়েছে বলে শুনিনি। আমাদের দেশে এটা এখন মনে হচ্ছে চলতেই থাকবে...

আল্লাহ আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুন।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
প্রথম কয়েকদিন খুব আতঙ্কে ছিলাম যখন আমাদের দেশে তিনজনের এই রোগ ধরা পড়লো । এখন ভয় কিছুটা কমেছে
বাকিটা আল্লাহ ভরসা । আর তিন মাস পরই তো আসছে
ডেঙ্গুর সিজন ,সেটা নিয়েও ভয় হচ্ছে ।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, আমরাতো সারা বছর জুড়েই ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়া নিয়ে বসবাস করি, সবসময়ই মশা কামড়ায়, আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা দিন যাপন করি। এখন এই নতুন ভাইরাস আর কতটা ভয়ংকর হবে!! পশ্চিমারা আতংকিত হচ্ছে, কারণ এমন রোগ ওরা এই প্রথম দেখছে।

আল্লাহই এখন ভরসা। ভালো থাকুন, শুভকামনা।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বোন প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার মতো তুচ্ছ মানুষকে আন্তরিকতা দেখানোর জন্য।
আমি মোটে আপনার কোনো পোষ্টে বিরক্ত হই না। শুধু আপনার না কাও পোষ্টেই বিরক্ত হই না।
ব্লগাররা কি বলতে চায়, সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। তাদের মন মানসিকতা বুঝতে চেষ্টা করি। এটা আমার এক ধরনের খেলা।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সাথেই আছি। জয় বাংলা।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আপনি বরাবরই আমার পোস্টে থাকেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
সপরিবারে সুস্থ থাকুন।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: করুণাময় পৃথিবীর সকলকে ভালো রাখুন।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫০

করুণাধারা বলেছেন: করুণাময় পৃথিবীর সকলকে ভালো রাখুন।
আমীন।

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫১

সোহানী বলেছেন: আপুরে, আমাগো হ্যান্ডসাম প্রধানমন্ত্রীর বউরে ধরছে। আজকের পর থেকে ৩ সপ্তাহ স্কুল বন্ধ। শপিংমলগুলা মাছি মারে.....।

আর আমি আছি জ্বালায়, পোলাপান ঘরে থাকলেই বলে বোরিং, বাইরে চলো ঘুরে আসি। ৩ সপ্তাহ এর ভয়ে আমি কাবু :(( :((

যাহোক, করোনা কেমনে কাজ করে বুঝলাম আপাতত:.............

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৭

করুণাধারা বলেছেন: আমাগো হ্যান্ডসাম প্রধানমন্ত্রীর বউরে ধরছে।

এইটা আমার কাছে খুবই আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছে! যে দেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার তেমন প্রাদুর্ভাব দেখা যায় নি, সেদেশে
প্রধানমন্ত্রীর বউ কি করে সংক্রমিত হয়! মনে হয় কোথাও ভ্রমণে গিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন...

পোলাপানের জন্য আসলেই তিন সপ্তাহ ঘরে কাটানো কঠিন! আমার বুড়ো খোকা পর্যন্ত তিন সপ্তাহের ছুটি, আর একশ ডলারে নিউইয়র্কের রিটার্ণ টিকেট পেয়ে নিউইয়র্ক যাবার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে, কিছুতেই বিপদের কথা মাথায় আনছে না।

এমনিতে শুনেছি ছোটরা এতে ইনফেকটেড প্রায় হচ্ছেই না, এটার কারণ নিয়ে গবেষণার জন্য ফান্ড এপ্রুভ হয়েছে। কিন্তু সাবধান তো থাকতেই হবে... পোলাপনের জন্য রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারেন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর। অবশ্যই দুটা প্রাইজ থাকতে হবে তাদের মনোমত... বেচারাদের জন্য মায়া লাগছে, শিগগিরই অবস্থার উন্নতি হয় যেন।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:১৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক সরল ভাষায় করোনার বৈজ্ঞানিক ব্যবচ্ছেদ করেছেন | করোনা নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও প্রশাসন যন্ত্রের গৃহীত পদক্ষেপকে অতিরিক্ত বা বাড়াবাড়ি বলে ব্লগে অনেকেই ইতিপূর্বে মন্তব্য করেছেন - অনেকটা না বুঝেই | উন্নত বিশ্ব আসলে এর অশনি সংকেত অনুধাবন করতে পারছিলো শুরু থেকেই | তবে এটাকে যে ঠেকানো যাবে না, আজ হোক কাল হোক করোনা আসবেই সেটা মোটামুটি ধরে নিয়েই এর দ্রুত বিস্তারকে কিভাবে শ্লথ করা যায় সেই প্রচেষ্ঠাই করে আসছিলো গত কয়েক মাস ধরে |

মানুষের আতঙ্কও রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না | গত কয়েকদিন ধরে গ্রোসারি স্টোরগুলোতে যে লঙ্কা কান্ড চলছে তা ভাবনারই বিষয় | আমি কয়েকটি স্টোরে গিয়ে আমার প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই পাই নি - জ্বর, কাশির ঔষধ, থার্মোমিটার পেলাম না অনেক স্টোরেই | আমার কন্যাদের বিশ্ববিদ্যালয় আজ থেকে অনলাইনে ক্লাসের ঘোষণা দিয়েছে - ক্লাসে যাওয়া বন্ধ | আমার অফিসে যাওয়া বন্ধ - ঘর থেকে লগইন |

১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১০

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের দেশে মনে হয় উল্টো হচ্ছে, করোনা নিয়ে ঠিক কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা ধোঁয়াশার মধ্যে আছে। গতকাল দুজন আত্মীয় ভারত থেকে ফিরেছেন, শুনেছি এয়ারপোর্টে তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ছেড়ে দিয়েছে, একই ব্যবস্থা ইটালী ফেরত এক প্লেন ভরা যাত্রীর জন্য!! সুতরাং আমাদের আতংকিত হওয়ার কারণ আছে।

আর আপনাদের যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক আছে, সাবধানের মার নেই। তবে খারাপ লাগে বিদেশি ছাত্রদের ডর্ম থেকে চলে যেতে বলেছে শুনে। এরা কোথায় যাবে!!

ভালো থাকুন।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

চমৎকার ব্যাখ্যা , চমৎকার পোস্ট। ++
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
ভালো থাকবেন আপু।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
সেটাই প্রার্থনা করি সবসময়। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: এই পর্যন্ত যতগুলি এই বিষয়ে পোস্ট পড়েছি এটাই সেরা।
ছবি সহ খুব সুন্দর করে এটার কর্ম কান্ড লিখে দিয়েছেন। অরিজিনাল পোস্টও দেখলাম।
ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ। আমি আপনার মতো ছবি নিয়ে কারিগরি করতে পারিনা, তাই ছবিগুলো বড় করতে পারিনি, পারলে হয়ত আরেকটু বোধগম্য হত। টাইমসের পোস্ট পড়ে মনে হল শেয়ার করি, যাতে হাত ঠিকমত ধোওয়ার ওপর সকলে জোর দেন। শুনেছি কোন কোন পরিবারে সকলে ইনফেকটেড হলেও বাচ্চারা সুস্থ থেকেছে। এর কারণ খোঁজার জন্য এখন আমেরিকায় গবেষণা শুরু হচ্ছে। জানি না এর শেষ কোথায়!!

ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

রাশিয়া বলেছেন: সব ভাইরাসের কর্মকান্ড একই রকম। তবে এক এক ভাইরাস এক এক ধরণের কোষকে আক্রমণ করে।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ করে লোহিত রক্তকণাকে। তাই রক্ত কমে গিয়ে পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়
- এইচ আই ভি আক্রমণ করে শ্বেত রক্তকণিকাকে। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিলে সামান্য সর্দি কাশিতে রোগি মারা যাবার ঘটনা ঘটে।
- ডেঙ্গু আক্রমণ করে অণুচক্রিকাকে। তাই রক্তপাত হলে তা আর জমাট না বেঁধে অব্যাহত থেকে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।
- ইবোলা আক্রমণ করে মস্তিষ্কের নিউরনে। তাই দেহ কাঠামো ঠিকভাবে কাজ না করে ডিসফাংকশনাক হয়ে পড়ে।
- সার্স আর করোনার শিকার প্রায় একই।

সতর্ক বার্তাঃ করোনা ভাইরাস চামড়ার কোষের কোন ক্ষতি করেনা। তাই নাক-মুখ-চোখের সংস্পর্শে আসেনা - এরকম কোন অঙ্গ সাবান দিয়ে বার বার ধৌত করার প্রয়োজন নেই।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০০

করুণাধারা বলেছেন: তবে এক এক ভাইরাস এক এক ধরণের কোষকে আক্রমণ করে।
এই কথাটা আমি জানতাম না, আমার ধারণা অনেকেই জানেন না। আপনি এ নিয়ে পোস্ট দিলে সবাই জানতে পারতেন।

আপনার মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম রাশিয়া। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বরাবরই আমার পোস্টে থাকেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
সপরিবারে সুস্থ থাকুন।

দোয়া করবেন।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

করুণাধারা বলেছেন: নিশ্চয়ই, দোয়া রইল।

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫১

আমি সাজিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, বলেছেন "কোষের ভেতরে RNA নামের একরকম জিন নিঃসরণ করে। নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে চর্বির আবরণ ভেঙে RNA বেরোচ্ছে।"

RNA কি কোন জিনের নাম? এইটা কি ননকোডিং RNA?

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: আমি যতদূর জানি, RNA বলা হয় রিবো নিউক্লিক এসিড কে। আমি যেখান থেকে এই লেখার উপাদান নিয়েছি, সেখানে লেখা ছিল
The virus infects the cell by fusing its oily membrane with the membrane of the cell. Once inside, the coronavirus releases a snippet of genetic material called RNA.

আমি ঠিক বুঝতে পারিনি, তাই উপরে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি।

১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময় যেদিন প্রথম ভাইরাস আর ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য পড়েছিলাম, সেদিন থেকেই ভাইরাসের প্রতি এক ধরনের দূর্বলতা অনুভব করি। সব সময়েই ভাবি, এতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা জিনিস.....এতো চালাক-চতুর হয় কিভাবে? আচ্ছা, ভাইরাসের কি ব্রেইন আছে বলে আপনার মনে হয়? এখনও বিজ্ঞান ব্যাপারটা জানে না, তবে একদিন জানবে। ব্রেইন জাতীয় কিছু একটা এদের না থেকেই পারে না! :P

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

করুণাধারা বলেছেন: ভাইরাসের প্রতি এক ধরনের দূর্বলতা অনুভব করি।
আপনার এই দূর্বলতা অনুভবের খবর যেন করোনা না পায়, নাইলে খবর আছে। :D

ভাইরাসের কি ব্রেইন আছে!! আমার এক আপনজন ক্যান্সার গবেষণা করে, সে বলছিল ক্যান্সার কোষগুলোকে দেখলে মনে হয় এদের ব্রেইন আছে। যতভাবেই এদের ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, দেখা গেছে খুব চতুরতার সাথে তাদের কেউ কেউ নিজেকে রক্ষার উপায় বের করে ফেলে! আপনার মন্তব্য দেখে এই কথাটা মনে হল। অবশ্য ১৮ নম্বর মন্তব্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে।
সুস্থ থাকুন।

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। এবার আমরা এই ভাইরাসের সায়েন্টিফিক ব্যপারটিও জানতে পারলাম।



*আমি সাজিদ বলেছেন: RNA কি কোন জিনের নাম? এইটা কি ননকোডিং RNA? -- আপনি একটি ভালো প্রশ্ন করেছেন। না, এখানে RNA জিন নয়। এটা জিনের পরিবর্তে 'জিনোম' বা 'জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল' লিখলে সঠিক হত। কারণ করোনাভাইরাস একটি RNA ভাইরাস। তাই এর জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল হচ্ছে RNA...।
এটি ননকোডিং RNA নয়। এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনটি হোস্ট সেলের এসিই-২( এনজিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম-২) রিসেপ্টরের সাথে বাইন্ড করে ভাইরাসটি সেলের ভিতরে প্রবেশ করে। সেখানে সে উন্মক্ত হয়ে (ছবিতে দেখছেন) আরএনএ জিনোমটি হোস্ট সেলের সাইটোপ্লাজমে রিলিজ করে।
সেই রিলিজ হওয়া RNA সাইটোপ্লাজমে প্রথাগতভাবেই ট্রানস্লেশনের মাধ্যমে অনেকে প্রোটিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে নানারকম এসেম্বলীং এর মাধ্যমে পুনরায় নতুন ভাইরাসে রূপ নেয় এবং হোস্ট সেল থেকে রিলিজ হয়ে নতুন সেলকে আক্রমন করে যা আপা লেখাতে বর্ণনা করেছেন।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

করুণাধারা বলেছেন: প্রশংসা করায় ধন্যবাদ আখেনাটেন। আমি আমার অল্প বিদ্যা নিয়ে পোস্টটা দিয়েছিলাম, (নিয়ত ভালোই ছিল, সকলকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে উদ্বুদ্ধ করা), RNA কাকে বলে সেটা না জেনেই। আপনি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়ায় এখন পরিষ্কার বোঝা গেল। অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার ব্যাখ্যার জন্য।

সুস্থ থাকুন, শুভকামনা।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

রাশিয়া বলেছেন: @ ভূয়া মফিজ, ভাইরাসের যদি ব্রেন বলে কিছু থেকে থাকে, তবে বলতে হবে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের আলাদা আলাদা ব্রেন আছে। আসলে ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। প্রকৃতিতে যা কিছু আছে, তা এক অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে কাজ করছে। একটা গাছের ব্রেন বলে কিছু নেই - তাতে তার শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া থেমে নেই। প্রকৃতির নিয়মে সে জন্মাচ্ছে, খাচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একটা ভাইরাস জন্মানোর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এই সময়ের মধ্যে সে যদি তার উপযুক্ত কোষটির সংস্পর্শে আসে, তাহলে বংশ বিস্তার করতে পারে, নচেৎ এমনিতেই মারা যায়। একটা ডেঙ্গুর ভাইরাস যদি ফুসফুসের কোষের সংস্পর্শে আসে, তাহলে কোষের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তদ্রুপ, একটা করোনা ভাইরাস মানবদেহের ততক্ষণ কোন ক্ষতি করতে পারবেনা - যতক্ষণ না এটি ফুসফুসের কোন কোষের সংস্পর্শে আসে। এখানে ব্রেনের কোন কাজ নেই - মূল কাজটি হচ্ছে তার সংবেদনশীল বহিঃত্বকের।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

করুণাধারা বলেছেন: এত সুন্দর করে জিনিসটা বুঝিয়ে বলায় অসংখ্য ধন্যবাদ রাশিয়া। ভুয়া মফিজের সাথে সাথে আমারও জানা হল।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ রাশিয়া, আপনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা মোটামুটিভাবে আমার জানা আছে। ব্লগিং করতে করতে কিছু ব্লগারের সাথে বিশেষ সম্পর্ক তৈরী হয়ে যায়, যাতে করে একটু মজা করার সুযোগ থাকে। করুণাধারা আপার সাথে আমার সম্পর্ক অনেকটা সে ধরনের। ব্লগিং করতে থাকুন। আস্তে আস্তে জেনে যাবেন। আমি যে উনার সাথে মজা করে এটা বলেছি সেটা আমার দেয়া ইমো দেখলেও বোঝার কথা!
আরেকটা কথা। ভাইরাস সম্পর্কে বিজ্ঞান কি সব জেনে গিয়েছে? আপনি যেটা বলেছেন, সেটা আজকের জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। আপনি কি নিশ্চিত ভবিষ্যতে ভাইরাস সম্পর্কে আর কোন আপগ্রেডেড নলেজ আসবে না?

তারপরেও, আপনার স্বতপ্রনোদিত ব্যাখ্যার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৮

করুণাধারা বলেছেন: রাশিয়াকে ধন্যবাদ, তাঁর ব্যাখ্যার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ, ফিরে এসে ব্যাখ্যা দেবার জন্য। :)

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার এবং সময়োপযোগী পোস্ট। অল্প কথায় করোনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণে এই মুহূর্তে ব্লগে অনেকটা পিছিয়ে আছি। আপনারই চার-পাঁচটা পোষ্টে এখনও পড়ার সময় পাইনি। আরো অনেকের প্রচুর প্রচুর জমে গেছে।

করোনা নিয়ে কলকাতায় মারাত্মক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব বন্ধ। শুধুমাত্র বোর্ড এক্সাম গুলো চলছে।
স্যানিটাইজার ও mask বাজার থেকে উধাও। বেলেঘাটা আই ডিতে চারজন সংক্রমণ ব্যক্তির মধ্যে একজন বিদেশী আছেন। বারাসাতে আইসোলেশন সেন্টার চালু হয়েছে। সব মিলিয়ে একপ্রকার গৃহবন্দি হওয়ার অবস্থায়।

শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।


১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৮

করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি, উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম। প্রার্থনা করি, আপনাকে যেন আবার ব্লগে নিয়মিতভাবে পাই।

ভালো লাগলো আপনি অল্প কথায় যেভাবে আপনার পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। আমাদের এদিকে আতঙ্ক নেই, বরং সকলের মধ্যে একটা ঢিলেঢালা ভাব। এটা মোটেও ভাল নয়। পরিস্থিতি হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়তে পারে।

ভালো থাকুন পরিবারের সকলকে নিয়ে।

২১| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪২

রাশিয়া বলেছেন: আমি এক ব্লগে তৃতীয়বার আসিনা। এই ব্লগে কেন বারবার ঘুরেফিরে আসছি, আমি নিজেও জানিনা। যাই হোক, একজন জানা মানুষকে জ্ঞান দেবার চেষ্টা করায় লজ্জিত :`> তারপরেও মনে করি আমার জ্ঞান দান প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। আরো একজন জানলো। এবার উত্তর দানের পালা।

জ্ঞান সবসময় আপগ্রেডেড হয়। কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যাও এক এক যুগে এক এক রকম ভাবে দেওয়া হয়। ভাইরাস সম্পর্কে এখন যা জানি, তাই বললাম। একই ধরণের ভাইরাস সব সময় একই আচরণ নাও করতে পারে। ডেঙ্গুর কথাই ধরুন। ২০১০-১১ সালের দিকে ডেঙ্গু ভাইরাস কেবল প্লেটিলেট আক্রমণ করে নষ্ট করে দিত। কিন্তু গেল বছর এই ভাইরাস সারা দেশে কি তান্ডব চালিয়ে গেল মনে করুন তো! ২০১৯ সালের ডেঙ্গূ ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মত আচরণ করতে শুরু করল। রক্ত থেকে তার জলীয় অংশ আলাদা করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে শুরু করল। এর অবধারিত ফলাফল কিডনি ফেইলিওর এবং লিভার ইনফেকশন। ফলশ্রুতিতে আক্রান্ত হবার ৫ দিনেই মৃত্যু। এখন করোনা ভাইরাস কেবল ফুস্ফুসের সেল ধ্বংস করছে। ভবিষ্যতে একই ভাইরাস যে রেসপিরেটরি সিস্টেম ধ্বংস করে দেবেনা - তা কে বলতে পারে?

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: রাশিয়া, আপনার মন্তব্যে শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে, তাই আপনি যতবার এসেছেন ততবারই জ্ঞান ভান্ডারে নতুন কিছু যোগ হয়েছে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই, সুন্দর মন্তব্য করে আমার পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
ভালো থাকুন, শুভকামনা।

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন হেফাজত করুন এই দোয়া করা ছাড়া আর কী উপায়

ধন্যবাদ আপি

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন হেফাজত করুন এই দোয়া করা ছাড়া আর কী উপায়
নাহ্, আর কোন উপায় নেই। বিভিন্ন অবস্থাণের মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারনে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

ভালো থাকুন সপরিবারে, দোয়া করি।

২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কি চমৎকার করেই না বুঝিয়ে দিলেন, খুব সুন্দর এই পোস্ট 'লাইক' না করে পারা যায় না।
পোস্টের শেষে এসে গাণিতিক মডেল এর যে হিসাব দিলেন, তাতে রীতিমত আঁৎকে উঠলাম! আমাদের মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় উদাসীন সরকার এবং বেপরোয়া নাগরিকদের কারণে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, তা ভয়ে কল্পনাই করতে পারছি না।
আপনার পোস্টের মত রাশিয়া'র সবগুলো মন্তব্যেও উপকারী তথ্য আছে। মন্তব্যের মাধ্যমে তার এই জ্ঞানটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর আখেনাটেনকেও ধন্যবাদ, তার জ্ঞানটুকু শেয়ার করার জন্য।


১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: করোনা নিয়ে পোস্ট দেবার ইচ্ছা ছিল না, ভাবলেই উদ্বেগ বেড়ে যায়। দুদিন আগে আমার এক প্রতিবেশীর মেয়ে বিদেশ থেকে এসেছে ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষে। এয়ারপোর্টে নাকি মেয়ের বাবা লিখিত প্রতিজ্ঞা করেছেন, ১৪ দিন মেয়েকে কোয়ারেন্টাইনে রাখবেন। অথচ বাড়ি এসেই মেয়ে বেড়ানো, শপিং, বিউটি পার্লার নিয়ে ব্যস্ত। ঘরে ঘরে এমন ঘটনা ঘটছে, ফলে আমার মনে হচ্ছে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।

ভালো থাকুন সপরিবারে, শুভকামনা রইল।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪২

জুন বলেছেন: করোনা নিয়ে আপনার সুলিখিত ব্যখ্যা সাথে ব্লগার রাশিয়ার মন্তব্যে অনেক অজানা বিষয় জানা হলো করুনাধারা। একটু আগে জানলাম ঢাকা শহরের মাঝেই আমাদের গাড়ি চালকের এলাকায় এক প্রবাসী জ্বর আর ঠান্ডায় মারা গেছে। সন্দেহের তীর করোনার দিকে। এটা শুনে এলাকার লোকজন দলে দলে দৌড়াচ্ছে তার বাড়ির দিকে তাকে এক নজর দেখার জন্য। বোঝেন আমরা কত কৌতূহলী জাতি।
+

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৩

করুণাধারা বলেছেন: এটা মনে হয় আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য- বিপদকে হালকা ভাবে নেয়া। আমার প্রতিবেশীর যে মেয়েটি বিদেশ থেকে বোনের বিয়ে উপলক্ষে এসে সমানে শপিং, বেড়ানো এসব চালিয়ে যাচ্ছে সে অবশ্যই পার্লারে যাবে। ও যদি করোনার বাহক হয়ে থাকে, তাহলে ওর ব্যবহৃত লিপস্টিক, আই লাইনার আরো অনেকজন পার্লারে ব্যবহার করবে, ফলে যতই হাত ধোক না কেন, তারা সবাই চোখেমুখের মাধ্যমে আক্রান্ত হবে। শিক্ষিত মানুষের এই অবস্থা, অশিক্ষিতদের কাছ থেকে আর কী আশা করবো!!

ভালো থাকুন সপরিবারে, দোয়া রইল। আমাদের জন্যও দোয়া করবেন।

২৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৩

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট পড়লেই মানুষ বুঝতে পারবে তার গলায় শ্বাসতন্ত্রে বসে কি কারুকাজ করে চলেছে এই শয়তান ভাইরাস!!!!!

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: বাদ দাও শয়তান ভাইরাসের কথা, এতদিন পর তোমাকে দেখে দুশ্চিন্তার ভিতরেও আমার খুব ভালো লাগছে! :)

আশাকরি আবার উধাও হয়ে যাবে না!!

২৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৭

শায়মা বলেছেন: আপুনি আমিও অনেক ঝামেলায় ছিলাম সেই ডিসেম্বর থেকে.......
এখন একটু ফ্রি হতেই আবার পুরা পৃথিবীর মহা ঝামেলা.......

২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৯

করুণাধারা বলেছেন: এখন তো সবাই বড় একখানা ঝামেলায় পড়ে গেলাম...

শেষ পর্যন্ত কি হবে জানিনা! ভালো থাকো, শুভেচ্ছা থাকলো।

২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: করুণাধারা,
জ্ঞান অর্জনেই তাগিদ দেয়া আছে ধরো সংস্কৃতিতে । আপনার এই লেখাটা পরে ভেবেছিলাম যাক কোরনা সম্পর্কে কিছু জ্ঞান হলো । ভেবেছিলাম এখন পড়া বইয়ের মতো ঝেড়ে মুছে সেলফে রেখে দিলে ক্ষতি নেই । কিন্তু কি ভুলই যে ভাবলাম । লোক ডাউনের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে । অল্প যে সময় গ্রোসারির জন্য বাইরে যেতে হয় তার পরেই এসে আপনার লেখাটা ভাবতে হয়। যাতে গ্রোসারিতে দেখে আসা আসে পাশের মানুষ গুলোর সুস্থ্যতা অসুস্থ্যতা সম্পর্কে আরেকটু ভালো ধাৰণা করে আমার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার সিন্ধান্তটা টাইমলি ঠিক ভাবে নেওয়া যায় ! এই যে দুনিয়ায় কি যে সময় আসলো !

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই, কী সময় যে আসল!! গতকাল পড়ছিলাম শার্লটে থাকা এক তরুণীর কথা, অসুস্থ বলে যে একাকী ঘরে থাকতে। এভাবে ২১ দিন থাকার পর দেখা গেল সে কোভিড১৯ আক্রান্ত। পরে দেখা গেল অনলাইন কেনাকাটার সময় তাকে জিনিস পৌঁছে দিয়েছিল এক মেয়ে, সে করোনায় আক্রান্ত ছিল আর তার হাতে ধরা জিনিস নিয়ে তরুণী সঙক্রমিত হয়েছে। এ বড় কঠিন রোগ, কোন দিক দিয়ে ধরে বোঝার উপায় নেই।

ভালো থাকুন, নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটিতে ভাল লাগা রইল।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

করুণাধারা বলেছেন: একমাস আগে যখন এটা লিখেছিলাম, তখনো আমেরিকায় হানা দেয়নি করোনা, আমাদের দেশে উৎসবের আমেজে মেতে বুঝতেই পারিনি কী ভয়ংকর বিপদ এগিয়ে আসছে।

মন্তব্যে অনেক ভাললাগা আমি তুমি আমরা। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

২৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর পোস্ট :)

আছেন কেমন ?

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

করুণাধারা বলেছেন: রবীন্দ্র সংগীত মনে পড়ল, মাঝে মাঝে তব দেখা পাই... অনেক দিন পর আপনাকে দেখে আনন্দিত হলাম।

ভালো আছি আর্কিওপটেরিক্স। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ওটা আমার প্রিয় একটা গান।

ভালো আছেন জেনে খুশি হলাম :)

নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ☺

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার কাজে লাগতে পারে এমন কিছু পোস্ট আছে। সময় পেলে দেখতে পারেন !

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: ইন শায়া আল্লাহ যাবো। অনেক ধন্যবাদ আমন্ত্রণের জন্য।

৩২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: করুনা ধারা করোনার ভয়ে সারা পৃথিবী তটস্থ। বলা চলে আমরা জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে। করোনা মুক্ত বিশ্ব টা হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি পৃথিবী। আশা করছি সেই পৃথিবী অনেক বেশি মানবিক হবে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

করুণাধারা বলেছেন: আশাব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
করোনা মুক্ত বিশ্ব টা হবে সম্পূর্ণ নতুন একটি পৃথিবী। আশা করছি সেই পৃথিবী অনেক বেশি মানবিক হবে। আমিও তাই আশাকরি। প্রতিদিন অমানবিকতার কাহিনী পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠেছি।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.