নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রগতিশীলতার পীড়ন নয় - চাই পেশাদারিত্বের পরিচয়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

প্রগতিশীলতার পীড়ন নয় - চাই পেশাদারিত্বের পরিচয়।


আপনার হাতের স্মার্টফোন ব্যবহার করে ভিডিও, ছবি তুলে আমাদের কাছে পাঠিয়ে আপনিই হয়ে উঠুন একজন সাংবাদিক --- কিছুদিন আগে এইরকম একটা বিজ্ঞাপন চিত্র দেখে ভাবছিলাম কি সাংঘাতিক! স্মার্টফোন থাকলেই সাংবাদিক ? এত কি সহজ একজন সাংবাদিক হওয়া ? একজন সাংবাদিকের পথ কতটা সংগাম, সংশয়, ডেডিকেশন, প্রশিক্ষণ, সামাজিক দায়- দায়িত্বের কিন্তু প্রগ্রেসিভ বা প্রগতিশীল সমাজে তা এত সহজ হয়ে গেলো? কিন্তু সহসাই আমার অবাক হওয়ার ঘোর কেটে গেল যখন দেখি কোথাও আগুন লাগলে সবাই সাংবাদিক সেজে আগুন নিভানোর চাইতে ভিডিও বা ছবি তুলে প্রচার করাটাই জরুরি মনে করে । কেবলই প্রোপার্টিজে আগুনের তীব্রতার চিত্র নয় অনেক নির্লজ্জ ও বেগানা প্রোডাক্টসদের শরীরের উত্তাপ ছড়ানো ফেইসবুক লাইভ নামক আগুনের কুন্ডলীতে শরীরকে পাক খাওয়ানোকে কোন অবস্থায় বিকৃত রুচিবোধ বলা যাবে না! যার ফলশ্রুতিতে দেখা যায় কত শত নিজস্ব মিডিয়া চ্যানেল- প্যানেল, পেয়ার টিভি,পীর টিভি, মুরীদ টিভি, মহব্বত টিভি , এ টু জেড টিভি আরও কত শত রঙিন মিডিয়া হাউস খুলে বসেছে তার কোন হিসাব নেই !
শুধু কি তাই -

মৃত ব্যক্তির কবর খুঁড়া থেকে মাটিচাপা পর্যন্ত সচিত্র প্রতিবেদন, কোরবানির পশু জবাইের রক্তসহ দেহ থেকে মাংসের ভাগ বন্টন, নারীর বিকিনি থেকে ব্রন, বেডরুম থেকে পাকঘরের ছবি এমনকি রাষ্ট্রের কর্তা ব্যাক্তিকে আজেবাজে গালি, যেকোন ছোট, বড় এমনকি স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে শুরু হয় রঙ বেরঙের ট্রল,বানোয়াট খবর,ছবি, ভিডিও, সমালোচনা, বিভিন্ন মিডিয়ায় যে যার মতো করে প্রকাশিত করছে - তাদেরকে আবার বিকৃত-মস্তিস্ক বা রুচিহীন বলা যাবেে না তাদের সপক্ষে কড়া যুক্তি হলো তারাই নাকি প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী এবং সমাজের সকলের বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

বিকৃত- বিব্রত প্রসৃতবাক্য শুধু কি সংবাদমাধ্যমে সীমাবদ্ধ - পেশার দিক থেকে সবচেয়ে নোবেল পেশা হলো চিকিৎসা আর সেক্ষেত্রে দেড় যুগ সফল বিশেষজ্ঞ হিসাবে রোগীর ঔষধ পথ্য দেওয়া থেকে অপারেশন করা চিকিৎসক যদি হয় সাবেক রেল কর্মচারী বা ওয়ার্ডবয় তবে কি অবাক হবেন ! সে তো মামুলি ঘটনা রোগীর ভেঙেছে ডানপা আর ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে দেয়া হয় বামপায়ে। না অবাক হবার কিছু নেই। চেম্বারে ডাক্তার নেই, ডাক্তারবাবু দীর্ঘদিন ছুটিতে বা অবসরে থেকেও কাজে উপস্থিত দেখিয়ে বেতন নেয়া , আর এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন করতে গেলো কিডনি হারানো, রোগীনীকে জোড় করে সিজারিয়ান অপারেশনে বাধ্য করানো, কমিশন বাণিজ্য, এইতো গত সপ্তাহে ফ্রান্স বেইজড প্রেসক্রিপশন বিক্রিতে বিশ্বের চতুর্থ ঔষধ কোম্পানি যাকে আগে এভেনটিস (Aventics ) বর্তমানে সানোফি (Sanofi) নামে পরিচিত সেই লাভজনক একটি কোম্পানি বাংলাদেশ ছাড়ার কারণ হিসাবে, এ দেশের অতি আধুনিকায়ন বা প্রগতিশীলতার ধ্বজাধারী বিপণন বিভাগের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে।বলা বাহুল্য ওষুধ কম্পানিগুলোকে তাদের ওষুধ প্রেসক্রাইবে করার জন্য ডাক্তারদের বড় অঙ্কের কমিশন, মাসোহারা ও উপহারসামগ্রী দিতে হয়। তবেই শুধু রোগীদের ওই কম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। সানোফি সহ যেকোনো প্রতিষ্ঠান যদি এইসব কমিশন বা উপঢৌকন না দেয় তাহলে উদ্ভাবন ও মার্কেটিং কোনোটিতেই এদেশে টিকতে পারবে না। কেবল ঔষধ কোম্পানি থেকে নয় মৃত লাশ থেকেও নেয়া হয় কমিশন, এম্বুলেন্স কোম্পানি, প্যাথলজিকাল সেন্টার, মুলত কমিশন বাণিজ্যের উপর ভর করে টিকে আছে। এসবের সামান্যই খবরে প্রকাশ হয় আর এমন অনেক মহৎকর্মের অজানা,অদেখা রহস্যময় কত উৎপাত রয়ে গেছে তবুও তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা অপরাধ কারণ এগুলো চলছে সমসাময়িক কালের বিবর্তনে।
এবার আসি সকল বিভাগের চালিকাশক্তি বা প্রাণশক্তিপূর্ণ বিভাগ হিসাবে খ্যাত শিক্ষাখাতে,

একটি জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতটি অসৎ চরিতার্থের লোকবল ও অস্ত্র ঝনঝনাতির ফলে অনিয়ম, অপবাদের বোঝা নিয়ে অক্ষম-অসহায় অবস্থায় পরিণত হয়ে গেছে। এমন কোন পাবলিক পরীক্ষা নেই যেখানে পরীক্ষার অনেক আগেই প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়। কিছুদিন আগে এক সাংবাদিক একজন ছাত্রকে জিজ্ঞেস করছিলো আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি এর ইংরেজি কি, ছাত্র উত্তরে বলেছিল- I am GPA 5. এটাই হচ্ছে তথাকথিত জিপিএ -৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীরা নমুনা। প্রশ্নফাঁস ছাড়াও মরন ফাঁদ রাজনীতি কোমলমতি ছাত্রদেরকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে চলছে। দেখা যায় আমাদের এমন কোন দিন নেই যেদিন কোনও না কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ছাত্র রাজনৈতিক নিপীড়ন বা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। একজন সহপাঠীকে এক গ্রুপ কোন ঠুনকো কারণে অমানুষিক ভাবে পেটালে অন্য সহপাঠী হয় ছবি ও ভিডিও তুলাতে ব্যস্ত কিংবা দাড়িয়ে উপভোগ করবে। এই অধঃপতন ও অমানবিক মনোভাবাপন্ন জংলিদের সংখ্যা যে হারে এসব বেড়ে চলছে তার ভয়াবহতা বলতে গিয়ে প্রগতিশীল ঘরনার লেখক, ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ বলেন, অচিরেই বাংলাদেশের ৩৬৫ দিনই কলঙ্কের দিন হিসাবে গণ্য হয়ে যাবে। তার উপর জোর যার মুল্লুক তার নীতি, সব পাশ ও নকলের মহোৎসব, পেশী শক্তির ইশারা, দেহব্যবসা, ইয়াবা, ড্রাগস, হল-দখল,জবর - দখল জীবনের কানাগলি, চোরাগলি আরও অজানা কতকিছু!
শুধু কি ছাত্র -
"মানুষ গড়ার কারিগরি" বলা হয় যে সমস্ত শিক্ষকদের তারাই ''মানুষ মারার কারখানা" হয়ে গেছে। শিক্ষক কতৃক ছাত্রছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, গ্রুপিং, শিক্ষক রাজনীতির নামে সাদা আর নীল দলের কাঁদা ছুঁড়াছুঁড়ি , মত আর মিলের চরম বিভক্তি শিক্ষক সমাজকে আলোকিত করার বদলে কলুষিত করছে তবুও তাদের বিকৃতরূপ বলা যাবে না। জাতির মেরুদণ্ড বলা হয় যে শিক্ষা খাতকে প্রগতিশীল সময়ে তাকে 'জাতীয় ক্যান্সার ' বললে ভুল হবে কি? শকুন শাবকের বুভুক্ষু থাবার শিকার এ খাতে প্রগতিশীলতার নামে বোধের দেয়ালে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হয়েছে।
প্রগতিশীলতা ও পেশাদারিত্ব কি পরস্পর সাংঘর্ষিক -
মোটেই না। বরং পেশাদারিত্বর প্রভাব থাকলেই প্রগতিশীলতার আসল সৌন্দর্য ওঠে আসে। যেখানে পেশাদারিত্বের অভাব যতবেশি সেখানে সকল জাল ও ভেজালের রূগ্নরুপ ততইটাই আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। একজন ছাত্রের কাছে অধ্যায়ন হলো মূলকথা কিন্তু দুঃখজনক হলেও তাকে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার যন্ত্রপাতি হিসাবে ব্যবহার হতে। যাট ফলে মুলধন হারিয়ে যা হবার তাই হয় তাদের কেউ কেউ হয় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ কিংবা পকেটমার। ঠিক তেমনি একজন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা তার কাজের স্বচ্ছতাকে সিঁকেয় তুলে শক্ত হাতে আঁকড়ে ধরে ঘুষ, নীতির বদলে দূর্নীতি, অহেতুক চামচামি,তেলা তেলি, রেশারেশি ও ব্যক্তি বন্দনা ফলে পাবলিক সার্ভিসের নাম হয়ে যায় পাবলিক ভোগান্তি। এ প্রসঙ্গে প্রফেসর ইউভাল নোয়া হারারি Sapiens: A Brief History of Humankind বলেছেন, প্রগতিশীল এ সময়ে যদিও মানুষ অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অধিক ক্ষমতাবান কিন্তু কারো কোন দায়বদ্ধতা নেই ফলে বর্তমানে মানুষ নিজেকে ঈশ্বরভাবে তাই এখনকার সময়ের মানুষ সেইসঙ্গে সবচেয়ে বেশি দায়িত্বজ্ঞানহীন। আর একটু বেশি সুখ, আর একটু বেশি আমোদের জন্য আমরা আমাদের আশেপাশের প্রাণীকুলের জীবন ও পরিবেশের প্রতি ক্রমাগত হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছি। এতকিছুর পরেও কিন্তু আমরা তৃপ্ত নই, সন্তুষ্ট নই। আমরা অতৃপ্ত, অশান্ত।

আমাদের সমস্যার মূল কোথায় -


প্রতিটিকে কাজে, প্রতিটি সাজে জড়িয়ে আছে এথিক্স (Ethics) বা মূলনীতি নির্ধারনী সারবস্তু।এথিক্সকে বলা হয় নৈতিক দর্শন। নীতিগতভাবে একজন মানুষ ভালো-মন্দের তুলনা,কোনটি সঠিক -আর কোনটি ভুল তা অনুধাবন করবে যা তার (Moral Value or Principles) মূল্যবোধের সাথেও জড়িত। টপ জব থেকে লো' জব যথাযথ প্রশিক্ষণ, যাচাই- বাছাইয়ের পর নিয়োগের সময় হাতে একটা নিয়োগপত্র আবার কারো কারো শপথ বাক্য পাঠ করতে হয় তাতেই বলা হয় চাকরির বিশদ দায়দায়িত্ব । যেমন সেবাই ধর্ম, অতন্দ্র প্রহরী, জানমালের নিরাপত্তা এসব মূলমন্ত্র - মূলনীতির পরবর্তী সময়ে মুলা ঝুলানোর মতো মনে হয়। সমাজের সবাই যার যার পজিশন থেকে এথিকস ধরে রাখলে দেখা যাবে সবক্ষেত্রেই অস্তিত্বশীল মূল্যবোধ,কর্তব্যনিষ্ঠা,পক্ষপাতমুক্ত কালচার তৈরি হয়ে যাবে ফলে সমাজিক বিপর্যয়ের অনিবার্য পরিণতি থেকে মুক্তি সম্ভব । আপনি প্রগ্রেসিভ হন, প্রগতিশীল হোন ভালো কথা কিন্তু দয়া করে নিজের দায় অস্বীকার করবেন না। প্রতিটি পেশার মানুষ নিজের কাজের দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠুর হওয়ার বদলে নিষ্ঠাবান হলে অমানিশার ঘোর কেটে যাবে, নতুন দিগন্তে উদিত হবে রক্তিম সূর্য.....

রহমান লতিফ, লন্ডন, অক্টোবর ২০১৯.
কৃতজ্ঞতা - সামু কতৃপক্ষ।
ঋনের দায় - ব্লগার ঠাকুর মাহমুদ।।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: অত্যান্ত সময়োপযোগী পোষ্ট । আরো বার কয়েক পড়ে মন্তব্যে আসছি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪১

বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভোরের পাখি।।।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: ছবিটার মর্মার্থ বুঝতে পারি নি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

বলেছেন: পুরোটা পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





লম্পট চরিত্রের মানুষের কাছে কি আশা করেন? মধ্যরাতে ফেন্সিডিল খেয়ে টাল হয়ে বিকট শব্দে মটর বাইক হাকিয়ে যাওয়া ছেচড়া গুন্ডা বহর গ্রেফতার হলে, পরদিন প্রতিমন্ত্রী ফোন দেন, ছেলেগুলো নামাজী - নামাজ পড়তে ভোর রাতে বের হয়েছিলো!!!

মধ্যরাতে উগ্র সাজে উগ্র তাপে সিএনজি করে যেতে দেখা যায় কোনো এক তরুণীকে, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থার্ড ক্লাস নিয়োগে থার্ড ক্লাস পুলিশের আন প্রফেশনাল আচড়নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় কোনো এক (সন্দেহজনক) দাগী আসামী!!!



১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

বলেছেন: এই লেখাটির শিক্ষাখাতে আপনার পয়েন্টটি কোট করেছি।।।।

আজকের এই মন্তব্যের পয়েন্টি কোট করবো আগামী এক লেখায় -- মনে থাকার মতো কথা।।।


৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসল এবং যোগ্য সাংবাদিক আমাদের দেশে নাই। বেশির ভাগ সাংবাদিকই চাটুকার হয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

বলেছেন: মুলতঃ -এরা সবাই সাংঘাতিক ।।। আর বিনোদন।।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগার রাজীব নুর আমার পোষ্টে মন্তব্য করেছেন, ভাই এই দেশ নিয়ে আশা ছেড়ে দেন। এই দেশ নষ্ট হয়ে গেছে। পচে গলে গেছে।

আমারও একই মত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০২

বলেছেন: সবকিছু নষ্টদের দখলে -- তার উপর ফিরিস্তি চলছেই।।।


রাজীব নূর ভাই চমৎকার কথা বলেছেন -- সবার মনের কথা।।।


৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রসঙ্গক্রমে মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে কিছুটা অশালীন মন্তব্য চলে আসতে পারে, তা ব্লগের অংশ হিসেবে দেখার জন্য সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।
=======================================================================

বাংলাদেশে উগ্র আর বিকৃত রুচির ছেলেমেয়ে যেভাবে বাড়ছে তার অন্যতম কারণ পরিবার, ছেলেমেয়ে ক্লাসে পড়ালেখায় সামান্য ভালো করতে পারলে “মাতাপিতা ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশার লাইসেন্স প্রদান করেন”। যার কারণে ইউটিউব ফেসবুক ও হয়েছে নোংরা পর্ণ সাইট। রাতভর ছেলেমেয়ে ফোনে কি করেন মাতাপিতা খবর রাখেন না। যখন খুন হত্যার মতো ঘটনা ঘটে তখন সবার আগে যারা নিখাদ নিষ্পাপ সাজেন তারা “তথাকথিত মাতাপিতা”।


১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

বলেছেন:
ফেইসবুক, ইউটিউবের পাশাপাশি টিকটিক সহ প্রসিদ্ধ, নিষিদ্ধ যত সাইড তাতে আবার সেলিব্রিটি আছে, ফেবু সেলিব্রি, ইউটিউব সেলিব্রিটি, টিকটক সেলিব্রিটি, ইনসটাগাম সেলিব্রিটিদের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশীর নাম
পরিসংখ্যান দেখা গেছে এইসব সাইডের ইউজার বাংলাদেশী তরুন তরুণীদের সংখ্যা বেশি।
পিতামাতা সন্তানদের স্মার্ট হবার জন্য অতি উৎসাহী মনোভাব ও উদাসীনতাকে কোনভাবেই হেলা করা যাবে না।

আমরা কেন নেগেটিভ জিনিস সহজে নেই -- তা হয়তো অজানা থেকে যাবে!!

ফিরতি মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।।।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




ঠ্যাংয়ে জোর না থাকলে পরে বেতালে ডিসকো নাচলেই প্রগতিশীল হওয়া যায়না। দু'কলম পাশ দিয়ে আমরা প্রগতিশীল হওয়ার ভান করি মাত্র। তাই পেশায় আমাদের বিদ্যাবুদ্ধির, নিষ্ঠার দেখা মেলেনা। যা মেলে তা ঔদ্ধত্যের, আশংকার, অনিশ্চয়তার, অবিমৃষ্যকারীতার, অনাচারের।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৭

বলেছেন: অল্প কথায় অনেক কিছু বলে দিয়েছেন।।।

নাহ, এটা কোন ফ্যাদরা প্যাচাল নয় -- রাতভর ডিসকো আর ডুগডুগি বাজালেই প্রগতিশীল নয় বরং প্রগৌতিহাসিক বলা যায়।।

দু'কলম পাশ দিয়ে আমরা প্রগতিশীল হওয়ার ভান করি মাত্র। তাই পেশায় আমাদের বিদ্যাবুদ্ধির, নিষ্ঠার দেখা মেলেনা। যা মেলে তা ঔদ্ধত্যের, আশংকার, অনিশ্চয়তার, অবিমৃষ্যকারীতার, অনাচারের।৷ এমন মেসেজ দেওয়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।।।

ভালো থাকুন।।।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে সেবা খাত হিসেবে না দেখে শিক্ষাকে দেখা হচ্ছে সলিড ইনভেষ্টমেন্ট ফান্ড অথবা এফডিআর হিসেবে - যেখান থেকে মূলধন সহ সুদ আসবে। চিকিৎসা শিক্ষায় একটি ছাত্রছাত্রীর বেসরকারী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্স করতে কতো টাকা খরচ হয়? যেই পরিমান টাকা খরচ করেন একজন ছাত্রছাত্রী, তারপর পাশ করে সমাজে একজন ডাক্তার আসেন না! আসেন একজন ডাক্তার নামক খুনী! খবরে প্রায়ই দেখি মৃত লাশ আইসিইউতে রেখে ১০-১৫ লক্ষ টাকা বিল!

সরকারী মেডকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য হন্য হয়ে ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক রাজনৈতিক নেতা নেত্রী সহ আমলাদের পেছনে যেভাবে ঘুষের টাকা নিয়ে ছোটেন তা বলা বাহুল্য - যখন ভর্তি হতে পারেন তখন কোনো ছাত্রছাত্রীকে “জার্মান নাৎসি রিমান্ডে” নিয়েও মুখ খোালানো যাবে না, কখনো জানা যাবে না - তারা কাকে কতো টাকা ঘুষ দিয়েছেন! সবাই তখন মেধাবী ছাত্রছাত্রী। (i am gpa 5)

সরকারী মেডিকেল কলেজ গুলোতে ঘুষের বিনিময়ে ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ছাত্রছাত্রী দেদারসে ভর্তি হচ্ছে বলে শোনা যায়। - তাদের কাছেই আমরা কি আশা করতে পারি?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৫

বলেছেন: এই কর্পোরেট যুগে সেবা বলতেই সলিড ইনকাম বুঝতে হবে।।

এখন আর মাদার থেরেসারা আসবে না আসবে মার্গারেট থেচাররা -
সবাই বিনিয়োগের বদলে বিনিময় চাইবে ভালো কথা তাই বলে বাবার কাছ থেকে ষোলকলা উসুল করে নিবে।।

মেডিকেল আর বুয়েটে বলুন সব এখন এক একটা - বুলেট।।।
ভর্তি বানিজ্য রমরমা ব্যবসায়ের অংশ।। এর দায়টা আসলে কার -???-।।।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:১৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন। কিছুদিন আগে দেখছিলাম, এক ভবনে আগুন লেগেছে আর অনতিদূরত্বের কোন এক ছাদে দাঁড়িয়ে কেউ একজন সেই জ্বলন্ত আগুনকে ব্যাকগ্রাউন্ড বানিয়ে টিকটিক ভিডিও বানিয়েছে।এমন অসুস্থ একটা জেনারেশন তৈরী হবার দায়ভারটা কার ?! শুধু বাবা -মা নাকি স্কুলের শিক্ষক না অন্যকিছু। 'নৈতিক মূল্যবোধ' শব্দটি না শেষপর্যন্ত জাদুঘরে স্থান পায় !! :(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০

বলেছেন: আপনাকে জানাই সাধুবাদ।।
আপনার বিচিত্র অভিজ্ঞতার চিত্র যখন পড়ছিলাম তখন সুনামগঞ্জের এক অজপাড়াগাঁয় তুহিন নামের এক নিস্পাপ শিশুকে নাকি বাবা,মা, ও চাচার নির্মমভাবে হত্যা করেছে - এ কেমন বাবা মা? কোথায় যাচ্ছি আমরা?
আসলে সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কেবল পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব নতুন সব গুড়ে বালি।।।

মূল্য ও বোধ দুটি শব্দ এ ঘুনেধরা সমাজে অলিক চাওয়া ব'লেই মনে হচ্ছে।।।


ভালো থাকুন।।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই,

অত্যন্ত যুগোপযোগী পোস্ট ; চেতনশীল মননের পরিচায়ক। আমরা হয়ে গেছি একটা হুজুগে পাগলা জাতি। গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিয়ে বা অন্যভাবে বলতে গেলে নিজেদেরকে শিরোনামে তুলে ধরার তীব্র বাসনা পূরণ করতে নামিয়ে ফেলি এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। আর এর ফলেই আমরা প্রায়ই ক্ষেত্রে হারিয়ে ফেলি নিজস্ব বোধ-বুদ্ধি এমনকি মানবিকতাও। জানিনা এর পরিত্রাণ মিলবে কিভাবে। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। কল্যাণ হোক সকলের।
শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩

বলেছেন: দাদা,
আপনার হলিডে সময়ে হকিস্টিক কমেন্টে রবী ঠাকুরের কথাটাই মনে হলো ---
হয়ে গেছি একটা হুজুগে পাগলা জাতি। গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিয়ে বা অন্যভাবে বলতে গেলে নিজেদেরকে শিরোনামে তুলে ধরার তীব্র বাসনা পূরণ করতে নামিয়ে ফেলি এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। আর এর ফলেই আমরা প্রায়ই ক্ষেত্রে হারিয়ে ফেলি নিজস্ব বোধ-বুদ্ধি এমনকি মানবিকতাও --- আমদের কারো এখন আর মানবিকতার বালাই নেই......

""গাছ বেড়ে ওঠার পর গাছের ছায়ায় বসা হবে না জেনেও যে গাছ লাগাচ্ছে সে অন্তত জীবনের অর্থ বুঝতে শুরু করেছে""।
The one who plants trees, knowing that he will never sit in their shade, has at least started to....
understand the meaning of life.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)

এখন জীবনের মানেই হলো নিজে বাঁচি, মাস্তি করি, আর লুটেপুটে খাই।৷

নাহ সহজে মুক্তি সম্ভব নয়।।

আপনার মতো সাধুজন আছেন ব'লেই এখন চন্দ্র, সূর্য ওঠে।।।

ভালো থাকুন।।।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১২

ইসিয়াক বলেছেন: অভিধানে সীমারেখা বলে একটা কথা আছে । খুব দ্রুত তালে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে সীমার সেই রেখাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি ।
ভদ্রতা , রুচিবোধ , শালীনতা সব আজ বইয়ের ভাষা । আমাদের সমাজে এতদ্রুত মূল্যবোধের অবক্ষয় এর আগে কখনো দেখা যায়নি ।
নিজেকে তুলে ধরা প্রচার প্রসারই হচ্ছে এখনকার ছেলেমেয়েদের জোয়ারে গা ভাসানো ।তা সে যেমন করেই হোক না কেন । পরিবারের সমর্থন তারা পাচ্ছে সামগ্রিক ভাবে ।ধিক ! এর নাম কি আধুনিকতা! চাইনা এমন উগ্র ,বেলাজ , বেহায়াপনার আধুনিকতা। যা এখনকার ইউ টিউব ,ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে খুব দ্রুত। ........। বন্ধ হোক এসব।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০১

বলেছেন: ভোরের পাখি,
খুব সুন্দর করে বর্তমান তরুণদের এক চিত্র তুলে ধরেছেন।।।

”"আমাদের সমাজে এতদ্রুত মূল্যবোধের অবক্ষয় এর আগে কখনো দেখা যায়নি.
নিজেকে তুলে ধরা প্রচার প্রসারই হচ্ছে এখনকার ছেলেমেয়েদের জোয়ারে গা ভাসানো। তা সে যেমন করেই হোক না কেন...
৷৷
According to world Economic Forum,, বাংলাদেশ ১৮-২৫ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা বেশি আর এই তরুনদের সঠিক পথে পরিচালনা করা রাষ্ট্রের একার দায়িত্ব নয় এবং সম্ভব নয়।। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হলে এমনটা হতো না।।।

আজকে দেখুন পিতা সন্তানকে, ছেলে মা'কে অনাদর, অবহেলা, নির্যাতন, হত্যা করছে তাতে রাষ্ট্রের চেয়ে মানুষের দায় বর্তায় বেশি।।।
আসুন সবাই সচেতন হই।।।।। এটাই হোক চাওয়া।।


ভালো থাকুন।।।

পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এঁদের বলা হয় সাংঘাতিক।
অসচেতন অভিভাবক নিয়ে কী বলব? কারণ, নিজেও একজন অভিভাবক। বাচ্চা, কাচ্চাকে ঠান্ডা করার জন্য মোবাইলের চেয়ে বড় ওষুধ এখন নেই। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুকে দেখলাম দেশে থাকা তার ৯ বছরের ছেলের জন্য ইন্টারনেট বিল রিফিল করছে। বাড়িতে ছেলের মায়ের কাছেও আলাদা মোবাইল আছে। ছেলে নাকি ইউটিউব দেখবে...

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৮

বলেছেন: আপনার টুকরো অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।

প্রযুক্তি আমাদের বোধকে ভূলুণ্ঠিত করে চলছে।।।

আপনাকে একটা ছোট উদাহরণ দেই।।।


আমার এক বন্ধু বেনিফিটের টাকা ও ব্যবসা করে লন্ডন থেকে ভাইয়ের জন্য ম্যাকবুক নিয়ে গেছে। রাতে অনেক ভাব নিয়ে ছোট ভাইকে ম্যাকবুক দিলে কিন্তু তার ভাইয়ের এক্সপ্রেশনস তেমন ভালো ছিলো না। ভাব যেন দায়সারা ধন্যবাদ।।
মাঝ রাতে ভাইয়ের রুমে ঢুকে দেখে ভাই নিউ ম্যাক বুক প্রো ব্যবহার করছে। ভাইকে বললো কিরোজ তোর আমার গিফট কি পছন্দ হয়নি।। ভাইয়ের উত্তর ওটা একটু পুরাতন মডেল হয়ে গেছে ভাই, আমি তো নিতিন মডেল ব্যবহার করি।। কোন অসুবিধা নেই।।।

ভাই তো পুরাই বেয়াকুফ বনে গেলো।।।।

একতু বুঝা যায় আমরা এডভান্স হচ্ছি আর চেতনাবাহী সৈনিক হচ্ছি।।

এগিয়ে যাক দেশ ও জনপদ।।


ভালো থাকুন।।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পেশাদারিত্বের অভাব সব জায়গায় তাই চরম হতাশার চিত্র সমাজে বিদ্যমান।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:০৯

বলেছেন: হতাশার ঘোর একদিন কেটে যাবে।।
নোবেল শান্তি পুরস্কার আমরা পেয়েছি, আরো পাবো তবে সন্দেহ হলো

ঘরে শান্তি আসবে তো???


সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

ভালো থাকুন।।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





এই দায় ১৭ কোটি সাধারণ - অতি সাধারণ মানুষের। এদের সঠিক পথে আনার জন্য সরকারের পক্ষে সম্ভব না প্রতিটি মানুষের পেছনে একজন করে রাইফেলধারী ইউনিফর্মড আইনী লোক নিয়োগ দেওয়া। এই দায় একমাত্র এই দেশের জনগণের। তারা ঘুষ না দিলেই পারে নিজ যোগ্যতায় চেষ্টা করুক। তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় না গেলেই পারে নিজের উপর ভরসা রাখুক। ফেসবুকে মিলিয়ন শেয়ার করা বন্ধ রাখুক - “ভরসা রাখুন নর্দমায়” ভরসা রাখুন ডাষ্টবিনে” ভরসা রাখুন প্লাস্টিক বালতিতে” - ভরসা রাখুন হিড়িকে আমি একজনকেও দেখিনি শুনিনি “ভরসা রাখছি নিজরে উপর” - এই কথাটি বলতে লিখতে।

এই দেশের ১৭ কোটি মানুষ করাপ্টেড, যে যেখানে সুযোগ পাচ্ছে করাপশন করে যাচ্ছে।।

সম্প্রতি ত্রিভুজ প্রেম মিন্নি রিফাত নয়ন বন্ড (বলতে ঘৃণাবোধ করছি বিয়ের পর মিন্নি পরপুরুষের সাথে মাল্টিপল সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো এবং তার ইশারায় খুনটি হয়, সে মদ্যপ মাদকাশক্ত উগ্র নয়ন বন্ডকে বলেছিলো রিফাতকে সামান্য চড় থাপ্পড় দেওয়ার জন্য) সে যাক, রিফাত হত্যার সময় যারা ভিডিও ধারণ করেছে “ল ভাই” বাংলাদেশের সমস্ত রাস্তা ভাঙ্গা, সারা দেশে ইটের আধলা, ইট পাটকেল ছড়াছড়ি। ইটপাটকেল রাস্তায় নাই এই কথাটি যে বলবে তার জেল ফাঁসি হওয়া উচিত। তথাকথিত মোবাইলে ভিডিও সাংবাদিক নামক বাষ্টার্ডগুলো যদি একটি করেও ইট পাটকেল ছুড়ে মারতো নয়ন বন্ড ও তার সহোদর আস্ত থাকে না।

ঘটনার তিনদিন পর, আহত রিফাত সরকারী হাসপাতাল ওয়ার্ডে ২৫১ নম্বর বেডে শুয়ে নতুন করে জীবন তৈরি করতে শিখতো, আর নয়ন বন্ড একই হাসপাতালের মর্গে বেওয়ারিশ লাশ হয়ে বাঁশের পাটিতে মোড়ানো প্যাকেট হয়ে ১০০ ওয়াটের ফিলিপস বাত্তির নিচে পড়ের থাকতো - - - - - - - - - - ঘটনার তিনদিন পর!

আপনার কাছে প্রশ্ন দায়ী কে? মিন্নি / নয়ন বন্ড ও তার সহোদর / নাকি তথকথিত মোবাইলে ভিডিও ধারণকারী বাষ্টার্ড ও খেলার দর্শক?

ব্লগার আহমেদ জী এস ভাই বলেছেন: ল, প্রগতিশীল হওয়া যায়না। - মেরুদন্ডহীন “পিচ্ছিল জাতির প্রজন্ম কিয়ামতের পরও প্রগতিশীল হবে না। পরিবার মাতাপিতা বেঠিক হলে সন্তান এমনি হবে। আহমেদ জী এস ভাই, মাকাল গাছে মাল্টা ফলে না। দোষটা মাকাল গাছের মাল্টার নাহ , মাটির দোষ না, দেশের দোষও না।

তথাকথিত নারীবাদীরা মিন্নির রাতভর ফোনালাপ, অনলাইন চ্যাট, ও মাল্টিপল সম্পর্ক নিউজে সুন্দর করে চেপে গেছেন লুকিয়ে দিয়েছেন, গুম করেছেন - কেনো? - আগামীকাল তাদের নিজের মাল্টিপল সম্পর্কের কাহিনী সমাজের সামনে চলে আসবে সেই ভয়ে?


১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৩

বলেছেন: গুরু,আজকে একটা সেমিনারে এই কথাগুলো বলেছি,

আপনার কথা,,৷

""মেরুদন্ডহীন “পিচ্ছিল জাতির প্রজন্ম কিয়ামতের পরও প্রগতিশীল হবে না। পরিবার মাতাপিতা বেঠিক হলে সন্তান এমনি হবে। মাকাল গাছে মাল্টা ফলে না। দোষটা মাকাল গাছের মাল্টার নাহ , মাটির দোষ না, দেশের দোষও না""


আমার কাছে আপনি একজন উঁচু মানের দার্শনিক।।

আপনাকে ভালোবাসার কারণ হলো স্পষ্টবাদিতা ও জ্ঞানগর্ভ লেখা।।

১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: আমরা কোন সমাজে আছি?

অনেক আগেই বলেছিলাম বাংলাদেশের অবস্থা খুব খারাপ হবে।
এখন তার উত্তর পাচ্ছি।

ভাল লেখা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৮

বলেছেন:
কবি প্রাণ,৷

কবিতায় কি আরও লিখবো
যখন চারিদিকে নরপশুদের হুঙ্কার
দিনে দিনে বাড়ছে অস্ত্রের ঝংকার ।।
বাড়ছে যপ অর্থের তোরজোর আর অহংকার
কেউ শুনে নাম কারো কথা, করে শুধু বলৎকার।।
মানুষ কেবলই যন্ত্রণার সৎকার ।।


ভালো থাকুন।।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা
।।

১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: বেশ বড় পোস্ট। পুরোটা পড়ার পর মন্তব্য করবো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

বলেছেন: ফাটাফাটি গল্প দিলেন তো।।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বিষয়। কিন্তু বাক‍্যগুলো দীর্ঘ ও জটিল মনে হয়েছে। তবে মোটের উপর চিন্তার খোরাক আছে নিবন্ধটিতে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২০

বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা আপু,
আশাকরি আপনার মন ভালো হয়ে গেছে।।

ভালো থাকুন।।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫২

মা.হাসান বলেছেন: ল ভাই , এখন সব কিছু সর্টকাটে করার জামানা।

সাত দিনে অনর্গল ইংরেজি বলুন।
Teach yourself Java in 21 days
ধনী হইবার সহজ উপায়
বেহেশতে যাইবার সহজ উপায়
Tier 2 visa in 7 days

যাহারা সিনিয়র ব্লগার তাহাদের অনুরোধ করিব- ৭ দিনে জনপ্রিয় ব্লগার হউন - নামে একটি লেখা পোস্ট করার জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

বলেছেন: হা হা,

ঠিক বলেছেন,, সর্টকাটে জামানা।
সর্ট করতে পারলেই স্টার হওয়া যায়।।। আর সাথে এক বোতল চেতনা হলে কে ঠেকায়।।

আপনার চেয়ে ভালো রম্য এ সংসারে কেউ পারিবেক না।।। আপনি লিখুন।।

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ল ভাই, আপনার চমৎকার বর্ণনা মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান পেয়েছে। সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত পোষ্টে স্থান দেওয়ার জন্য। লেখাটি এক কথায় প্রথম শ্রেণীর, এই ধরণের লেখা ব্লগে লেখার জন্য শক্তি ও সাহস থাকতে হয় সেটি আপনার আছে। ধন্যবাদ।

আর অনুরোধ পরবর্তীতে আমাকে উৎসর্গ করে কোনো লেখা লিখবেন না, আমার নামও উল্লেখ করবেন না। তাতে পাঠক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সহজ - এই দেশের মানুষ যেমন “ধার্মীক তেমন রাজনৈতিক”। আমি কোনো রাজনৈতিক পকেটে থাকার মানুষ কখনো ছিলাম না, আজো নেই। আজ আমি আ্ওয়ামী সমর্থক হলে পোষ্টে আ্ওয়ামী সমর্থকদের মন্তব্য পেতেন। বিএনপি জামাত সমর্থক হলে বিএনপি জামাত সমর্থকদের মন্তব্য পেতেন। কিন্তু নাম উল্লেখকরণ দোষে পোষ্ট ফ্লপ হয়ে গেছে। আমি চাই না রহমান লতিফ ভাইয়ের জোরালো পোষ্ট ফ্লপ হোক।

বিএনপি জামাত আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দলের তিনটি ভগ্নাংশ মাত্র। - এটি প্রমাণিত।।

ব্লগে অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন আমি রাগ করেছি, সবার অবগতির জন্য বলছি সামনা সামনি বাস্তব পরিবেশেও আমি কারো সাথে রাগ করি না। আমার হয়ে রাগ করার জন্য মানুষজন আছেন। এই কাজটি থেকে আমি অবসর।।

*****
সর্বশেষে পরিবেশটি হালকা করার জন্য তাহেরী হুজুরের মতো চা দিচ্ছি। আমাদের অফিসের একজন ইয়ংষ্টার যুবক “সহকারী হিসাব রক্ষক” হিসেবে ছিলেন। তিনি অফিসের নানা তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করতেন, যেমন এনবিআর অফিসে আছেন আপডেট, ভ্যাট অফিসে আছেন আপডেট, অফিসে সেলস মিটিং আপডেট - ইত্যাদি। ফেসবুকের কারণে তার চাকরি হারাতে হয়। বেশ কিছুদিন পর আমার সাথে দেখা বসুন্ধরা কনভেনশন হলে, একটি এক্সিভিশনে তিনি আমাকে দুর থেকে দেখেই বন্ধু বান্ধবী সহ সামনে এসে কুশল জানতে চান -

আংকেল কেমন আছেন?
ভালো আছি তো। আমার ভাবী ভালো আছেন?

তারা অবাক হয়ে একজন আরেকজনের মুখ দেখছেন দেখে আমি সহজ করে দেই। “আমি আপনার আংকেল হলে আপনার আম্মা আমার ভাবী হবার কথা”।


ধন্যবাদ ল ভাই, ধন্যবাদ যারা সময় ব্যায় করে মন্তব্য করেছেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩১

বলেছেন: (সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ শত প্রতিকূলতায় ব্লগটি চালু রাখার জন্য)
আপনার মতো গুণী ও জীবনের অলিগলি ছুটে বেড়ানো মানুষের কথা পাড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

কেউ পড়লো, কেউ মন্তব্য করলো তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।।

যা মনে আসে তা লিখি --

একবার চাঁদগাজী বলেছিলেন, ""কেউ না কেউ তো পড়ছে "" সংখ্যার বিচারে নয় জানার ও বুঝবার একজন হ'লেই হলো। এই আমার ভোরের পাখি যখন পুরাতন পোস্ট পড়ে ভালোবাসা জানান দেয় তখন মনে হয় একসময় এ প্রজন্ম যারা লেখাগুলো পড়বে তারা জীবন সমন্ধে জানবে। আমি আজকের জন্য নয় আগামীর জন্য লিখি।।


আপনার অনুরোধ রাখতে পারবো কি না -- সময় বলে দিবে।।

""ভালোবাসা ""

২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: কর্পোরেট বেনিয়াদেরকে নিয়ে একটা লিখা অনেক আগে লিখেছিলাম। তারা কিভাবে আমাদেরকে মানুষ থেকে অমানুষ, সভ্য থেকে অসভ্য বানাচ্ছে তার উদাহরন আপনার চমৎকার লিখার প্রতিটি লাইনে লাইনে ফুটে উঠেছে। ছবি তোলো, ফেইসবুকে পোস্ট করো, সেলিব্রেটি হওয়া কে ঠেকায়.......।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৩

বলেছেন: আপু,

আপনিও তো সেলিব্রিটি ব্লগার
কিন্তু
আমাদের কাছে একজন আদর্শ মানুষ।।


আমরা ভুল মানুষকে অনুকরণ, অনুসরণ করি এটাই সমস্যা।।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।।

ভালো থাকুন।।

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



--------------------------------------------একটি বিশেষ অনুরোধ----------------------------------------------
=======================================================================
অনুরোধ পরবর্তীতে আমাকে উৎসর্গ করে কোনো লেখা লিখবেন না, আমার নামও উল্লেখ করবেন না। তাতে পাঠক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সহজ - এই দেশের মানুষ যেমন “ধার্মীক তেমন রাজনৈতিক”। আমি কোনো রাজনৈতিক পকেটে থাকার মানুষ কখনো ছিলাম না, আজো নেই। আজ আমি আ্ওয়ামী সমর্থক হলে পোষ্টে আ্ওয়ামী সমর্থকদের মন্তব্য পেতেন। বিএনপি জামাত সমর্থক হলে বিএনপি জামাত সমর্থকদের মন্তব্য পেতেন। কিন্তু নাম উল্লেখকরণ দোষে পোষ্ট ফ্লপ হয়ে গেছে। আমি চাই না রহমান লতিফ ভাইয়ের জোরালো পোষ্ট ফ্লপ হোক।
=======================================================================


১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯

বলেছেন: মায়ের কথা,,

((যার পাপে তারে খাইবো)) --
যে পাপ করে তাকে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত বহন করতে হবে।।।

আমার গুরু ও আমি,
"কোন রাজনৈতিক পীর,
দলান্ধ,
ধর্মান্ধ,
হাক্কানী,
ফুরকানী
সোলেমানী
সহীহ
বাতেনি

চামচামির ধ্যানধারণাকে

সমর্থন ও পোষণ করি না।।।


।।।জয় হোক মানবের, ক্ষয় হোক দানবের।।।

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় ভায়া

অসাধারন একটা উপস্থাপনা।
প্রথম লাইকটি আমার হলে মন্তব্য সবার শেষে!

কারণ, যতবার পড়েছি - থেমে গেছি ! এত দারুন প্রতিটা লাইনের বিপরীতে আমি কি লিখব?
কি বলবো? আমাদের সবার মনের কথাই যেন ভায়া বলে দিয়েছেন।

উত্তরণের পাথেয়টাও সঠিক। কিন্তু প্রয়োগিক দায়ে রাষ্ট্র চিন্তকের স্থান থেকে কাজ টুকু আঞ্জাম দেবার যে কেউ নেই!
একজন দক্ষ চালকের মতো নির্দেশকের মতো, রাধূনির মতো সময় সময় নিত্য পরিবর্তনশীলতায় খাপ খাইয়ে
বিবেকর জাগরনের দুয়ার খোলার জন্য যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক আন্দোলনের, চেতনা বিকাশের যে কাজগুলো
করা দরকার, সাপোর্ট দেয়া দরকার, উৎসাহিত করা দরকার .. তাকে বড় বেশী প্রয়োজন।

দু;খজনক হলো উল্টোটাই বিকশিত হচ্ছে!
ইউটার্ন নেয়ার জন্য চাই একজন বিপ্লবি। হ্যামিলনের বাঁশীোয়ালার মতো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

বলেছেন: প্রিয় কবি,

ফিরে এসে স্বভাবসুলভ বিদগ্ধ মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।।

""একজন দক্ষ চালকের মতো নির্দেশকের মতো, রাধূনির মতো সময় সময় নিত্য পরিবর্তনশীলতায় খাপ খাইয়ে
বিবেকর জাগরনের দুয়ার খোলার জন্য যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক আন্দোলনের, চেতনা বিকাশের যে কাজগুলো
করা দরকার, সাপোর্ট দেয়া দরকার, উৎসাহিত করা দরকার .. তাকে বড় বেশী প্রয়োজন""' -

এদেশেের উর্বর মাটির মতো অনেক উর্বর মস্তিষ্কের মানুষ আছে কিন্তু বেনিয়া খুনিদের জন্য আসল মানুষগুলো আড়ালেই থেকে যায়।। একটু ঘাড় ত্যাড়া করলে সে ঘাড় কেটে দেওয়া হয়।। আমরা পাওয়ার পলিটিক্সের শিকার।।

আমাদের বাঁশরীয়া আছে কিন্তু বাঁশি ভেঙে পড়ে আছে।।
ভালো থাকুন।।

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নজসু বলেছেন:




প্রিয় লতিফ ভাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৮

বলেছেন: ব্যাস্ততা তোমাকে দেয়নি অবসর
তাই বলে ভাবিনা
তুমি হয়ে গেছো স্বার্থপর।।।।


ভালো থেকো।।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ল ভাই, আসুন কিছু নাস্তা করা যাক।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

বলেছেন: জিহ্বায় জল এসে গেলো।।।

২৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: মিরপুর-১০ থেকে বাসে উঠেছি। পল্টনে যাবো। আমার পাশের সিটটি তখনো খালি। একটু পরে একটি মেয়ে উঠলো বাসে। মেয়ে তো নয়...। আসলে তার জন্য সঠিক কোন শব্দ ব্যবহার করবো জানা নেই। এলোমেলো শ্যাম্পু করা সিল্কি চুল। পরনে টাইট-ফিট জিন্সের প্যান্ট। গায়ে শর্ট ফতুয়া। ওড়না কেনার পয়সা হয়তো হয়নি। ওড়না নেই গলায়। পিঠের বড় অংশ খোলা। আর বুকের কথা কী বলবো? বলতে লজ্জা হচ্ছে। স্পর্শকাতর ও প্রধান আকর্ষণীয় অংশটুকু চরমভাবে উন্মুক্ত। বাসের যাত্রীগুলোর দৃষ্টি যেন এক সঙ্গে মেয়েটির ওপর গিয়ে আবদ্ধ হলো। দৃষ্টিগুলো যেন মেয়েটিকে গিলে খাচ্ছে। আমার পাশের সিটটি ছাড়া আর কোনো সিট খালি ছিল না। মেয়েটি ইতিউতি তাকিয়ে আমার পাশের খালি সিটেই বসে পড়লো। অনেক দিন বাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছি, কিন্তু এরকম কোনো মেয়ে তো দূরের কথা; সাধারণ কোনো মেয়ের পাশের সিটেও বসিনি। আর আজকে আমার বসতে হলো না, আমার পাশেই কোনো এক মেয়ে বসেছে। তার পোশাকের এই চরম উদারতা আমাকে এতোটা অস্বস্তির মধ্যে ফেললো যে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কখন মেয়েটি নামবে বা আমি আমার গন্তব্যে এসে পৌঁছবো, মনে মনে তীব্রভাবে সেই অপেক্ষাই করছিলাম। - উপরের অংশটুকু এক জন হুজুরের কাছ থেকে শোনা। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর মনে হচ্ছে আমি দৌড় দিতে পারছি না, পিছিয়ে পড়ছি। এখন যদি এই মেয়ের পোষাক নিয়ে কিছু বলেন তাহলে সাথে সাথে আমি হয়ে যাব তালেবান, আইএস কিংবা জংগী।

বাচ্চাদের স্কুলে অনেক অভিভাবক আসেন, যাদের চাল-চলন দেখলে ভয় লাগে। মধ্যবয়সী একেকজন মহিলার সাজগোজ দেখলে বমি পায়, এইসব মহিলাদের চালচলন বেশ দৃষ্টিকটু। যে সব সাজগোজ তাদের বয়সের সঙ্গে মানায় না, সেসব সাজগোজই তারা করে থাকেন নিজেদের বয়সের ভারত্বকে আড়াল করার জন্য। তাদের এই জোর করে ইয়াং সাজতে যাওয়া রুচিহীনতারই পরিচয় প্রদান করে। এসব কথিত আধুনিকাদের সন্তানরা আরো কতোটা আধুনিক হবে ভবিষ্যতে? ভেবে দেখুন?

ক্ষয়িষ্ণু সমাজের যে অবক্ষয়ের চিত্র উপরে তুলে ধরলাম তা হয়তো অনেকেই জানেন। অনেকেরই চোখের সামনে ঘটছে এসব ঘটনা। জানেন ঠিকই, কিন্তু আপনি গভীরভাবে ভাবছেন না। বিবেকের দরজা খুলে কেউ উপলব্ধি করছেন না। আসলে একটি সমাজ অবক্ষয়ের দিকে দ্রুত ধাবিত হয় তখনই, যখন সমাজের মানুষগুলোর বিবেকের সামনে পর্দা পড়ে যায়। অথবা বিবেকবান মানুষগুলো বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়। এই সমাজ ও এই প্রজন্ম তো আপনারই। এই নোংরামি ও কদর্যতার সয়লাবে যখন সমাজ পুরোপুরি প্লাবিত হবে, তখন ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য কি রেখে যাচ্ছি আমরা? নষ্ট কিছু সময় তাদের জন্য রেখে যাওয়া ছাড়া তাদেরকে তো কিছুই দিয়ে যেতে পারছি এখন!

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছিলেন, ‘কোনো দেশকে যদি ধ্বংস করতে হয় তাহলে সেদেশের যুবক-যুবতিদের মধ্যে অশ্লীলতা ও নোংরামি ছড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট।’ তাঁর এ কথার যথার্থতা আজ আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছি। আমাদের সমাজ শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হলেও নৈতিকতার দিক দিয়ে চরমভাবে ধ্বংসের মুখে। বিভিন্ন দিবসে, অনুষ্ঠানে, কনসার্টে ও যুবক-যুবতিদের নির্লজ্জ উন্মাদনা ও বেহায়াপনা আমাদের দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করছে। তারা নিজেরা হচ্ছে বিপদগামি, সমাজ ও নতুন প্রজন্মকে করছে বিভ্রান্ত, সর্বোপরি ধর্মীয় বিধানকে লঙ্ঘন করে করছে চরম নাফরমানি।

অহেতুক কথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ধর্মীয় জীবনযাপনকে তুচ্ছ ও সেকেলে বলে জানবে, সে জাতির এভাবে নৈতিক পদস্খলন, সর্বশেষে জাতীয় পদস্খলন অনিবার্য। ইউরোপ আমেরিকা এ বিষফল ভোগ করতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই।
আর আমরাও এখন অনেক দ্রুতই সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা কি বলব? লেখাপড়ার পবিত্র স্থান টিকে অপবিত্র ও দুষিত করে বিবিধ নামদারী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নামদারী অংগ সংগঠন সাথে রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষক নামদারী দলবাজেরা শুধু লেখাপড়ার পবিত্র স্থান নয় সারা দেশটাকেই কলুষিত করে ফেলেছে।

সততা এবং দেশপ্রেম এই শব্দগুলি আমি ছোটবেলায় পড়েছি। তখন স্কুলের শিক্ষকরা খুব আদর করে এই সব নীতিজ্ঞানের লাইনগুলি পড়াতেন এবং শেখাতেন। আজও আমি আমার সেই সব শিক্ষকদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি।

সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই দ্রুতই বদলে গেছে। আজকালে শিক্ষকরাই আজ নিজের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করে কিন্তু কিছুই হয় না। চাকুরি নেয় ঘুষ দিয়ে যারা তার কিভাবে নীতিজ্ঞান শিখাবে বলুন তো?

দেশে এখন আইন কানুন নিয়ম নীতি বলে কিছুই নেই। বাবামা'রা নিজের মেয়ে বিয়ে দেন ছাত্রনেতাদের বেছে বেছে, যেন রাজনীতি করা একটা বড় জীবিকার রাস্তা! ফলাফল তো পত্রিকাতেই দেখেন! প্রডাক্ট আর কি বের হবে এখান থেকে?

বর্তমান সরকার এসেছে পিছনের দরজা দিয়ে, দেশে জনগনের মৌলিক ভোটাধিকার বিলুপ্ত করে লির্লজ্জ বেহায়ার মতো জোর করে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। আর এর বিনিময়ে নামমাত্র মুল্যে সারা দেশই বিক্রি করে দিচ্ছে। এই দেশে এখন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে এম্পি মন্ত্রী.... প্রায় সবাই দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতিবাজদের মাধ্যমে প্রশাসনে ঢুকা আমলা, কামলারাও দুর্নীতিবাজ; চরিত্রহীন হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন গোড়াতেই দুর্নীতির আসল আখড়া। দেশপ্রেম শব্দের অর্থও এরা জানে না কিংবা জানলেও মানে না।

এই দেশে যেখানে ডিবি কিংবা পুলিশের কাজ অপরাধের রহস্য উন্মোচন, সেখানে তারাই নিরাপরাধকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে একদম অপরাধীর মত করে। আমরা তাহলে যাব কার কাছে? ভরসার জায়গাগুলো আমাদের আর ভরসা দেয় না। দেয় ভয় আর আতংক সে সাথে ঘৃণার খোরাক।

দেশে এখন দূর্নীতিবাজ, সুবিধাবাদী, লম্পট, রাজনৈতিক টাউট/বাটপারে দেশ ভরে গেছে। ভাল মানুষ দেশে থেকে কি করবে?

দেশের বাইরে আছেন বেঁচে গেছেন। আমরা যারা এই দেশে আছি তারা প্রতিনিয়ত পঁচে গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছি।

এই দেশে কোনদিনও হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো কেউ আসবে না, যত দিন পর্যন্ত আমরা নিজেরা ভালো না হচ্ছি।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

বলেছেন: বাহ।।।


এত দীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা।।


এটা কি আলাদাভাবে পোস্ট দিতে পারেন।।।

২৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

আরোগ্য বলেছেন: সবকিছুতে ঘুণে ধরেছে। না, আগেই ঘুণে ধরেছেন , এখন ফাটল দেখা দিচ্ছে।

বিলম্বিত মন্তব্য করার জন্য আমি দুঃখিত বড় ভাই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

বলেছেন: এমন, পি দেখলাম নিজের পরীক্ষায় প্রক্সি ব্যবহার করতেছে.....

ভালো থেকো ভাইটি।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.