নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট ফ্যাক্টসমূহ

১৭ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

#কর্পোরেট_ফ্যাক্ট_৮

আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে বলা হয়। স্বপ্ন দেখানো হোল মাত্র ৫ বছর লাগবে ম্যানেজার হতে। স্যালারি ১০০কে+ হয়ে যাবে যদি এভাবে এভাবে কাজ করেন। আপনিও আপনার লক্ষ্যে অটুট। এগিয়ে চলছেন দুর্বার গতিতে। ম্যানেজমেন্টের মিটিং হ্যান্ডেল, নিজের সেকশন হ্যান্ডেল করছেন টাইম টু টাইম। এতই ব্যস্ততা যে, নামাযের কথা বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন। অথবা দায়সারাভাবে নামাযের টাইম ওভার হয়ে যাওয়ার পরে কোনরকম আদায় করছেন। তবে আপনাকে স্মরন করিয়ে দেই,
"আলী ইবন খাশরাম (রহঃ) ....... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজেকে ফারেগ করে নাও আমি তোমার হৃদয়কে অভাব মুক্ততা দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিব এবং তোমার অভাব বন্ধ করে দিব। আর তা যদি না কর তবে তোমার দু’ হাত আমি ব্যস্ততা দিয়ে ভরে দিব আর তোমার অভাব দূর করব না।" [১]



বিশ্বাস করেন কল্যান ঐ মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনিতে যে দৈনিক পাঁচবার আপনাকে কল্যানের পথেই ডাকে। আপনি যখন আল্লাহকে সময় দিবেন আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনাকে নেয়া'মত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিবেন। আপনি আল্লাহকে সময় না দিয়ে বড় এমাউন্ট ইনকাম করছেন কিন্তু আপনার ছেলেটা মাদকাসক্ত কিংবা মেয়েটার প্রতি মাসে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এটাকে নিয়া'মত বলেনা। নিয়া'মত কি জানেন? আপনি আল্লাহকে সময় দিচ্ছেন আল্লাহর নিকটা চোখের পানি ঝড়াচ্ছেন দেখবেন দিনশেষে সামান্য স্যালারিতে আপনার পরিবার খুব আরাম আয়েশে চলে যাচ্ছে। দিনশেষে রাতে একটা প্রশান্তি নিয়ে ঘুমাতে পারছেন। আমাদের প্রিন্সিপাল স্যার আমার একটা লেখায় কমেন্ট করেছিলেন "Dogs also earn more!"। কথাটার গভীর মিনিং আছে। হ্যাপিনেস আসলে লাখ টাকার ভিতরে নেই, হ্যাপিনেস আল্লাহর দেওয়া নেয়া'মতে সন্তুষ্ট থাকার মধ্যে।

এতটুকু পোস্ট পড়ে আবার হোই হোই করে উঠবেন না। কারন দ্বিতীয় অংশ এখনও বাকী।
আল্লাহ বলেছেন,
"অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।" [২]
অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য আপনার যতটুকু দরকার ততটুকুর জন্য ঘাম ঝড়াতেই হবে। আল্লাহর উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে ঘরে বসে থাকবেন আর আল্লাহ আপনার ঘরে খাবার পৌঁছে দিবে এটা ভাববেন না। বেশী উপার্জন করা মানেই শান্তিতে থাকা এটা চরম পর্যায়ের ভুল একটা কথা। দুনিয়াটা মুমিনের জন্য মুসাফিরের জীবন। মুসাফির অবস্থায় আপনি কি কি করতে পারবেন এবং কি কি পারবেন না ভেবে দেখবেন।

[১] সূনান তিরমিজী (ইফাঃ) হাদিস নম্বরঃ ২৪৬৯, ইবনু মাজাহ ৪১০৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদিসের মানঃ সহিহ
[২] সুরা জুমআ : আয়াত ১০

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট বুঝতে আমাকে বেগ পেতে হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.