নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১২




যে পরিমাণে বাচ্চারা নুনু কাটাতে গিয়ে মারা যাচ্ছে তাতে শঙ্কিত না হয়ে পারা যাচ্ছেনা। মুসলমানি করতে গিয়ে যদি প্রাণ যায় তবে সেই পরিবারের বাবা মা সেটা কিভাবে মেনে নেবে ? দায় কার ?

সিজার করো এখন পান্তাভাত। কিন্তু তারপরও অনেক মা বা শিশু মারা যাচ্ছে কি দুঃখ জনক। সেদিন নিউজে দেখলাম সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার পিঠ কেটে ফেলেছে, কি মর্মান্তিক !


অ্যানেস্থেসিয়ার যাচ্ছে তাই ব্যবহার। নামকরা হাসপাতালগুলোতে ঘটছে এর অপব্যবহার। বাড়ছে মৃত্যুর হার, মরছে রোগী।


রোগী দরিদ্র হলে অবহেলার শিকার হচ্ছে, তাকে ফেলা রাখা হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা । ফলে অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে রোগী। অনেক বছর আগের কথা- সময়টা ২০০৮ সাল। আমার মেঝ ভাইয়ের এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন হল ঢাকা মেডিকেলে। আমি আর মা আছি ওর সাথে। একদিন সন্ধ্যায় নামাজ পড়ে হাসপাতালে ফিরছি এমন সময় দেখি দুটি লোক একটি বৃদ্ধর পাশে দাড়িয়ে কথা বলছে বারান্দার করিডোরে। জানতে পারলাম অসহায় অসুস্থ্য বৃদ্ধকে কে বা কারা ফেলে গেছে এখানে। বৃদ্ধর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। অনেক নার্স পাশ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু ফিরেও তাকাচ্ছেনা। একজনকে বললাম ওনাকে দেখে ব্যবস্থা নিতে বা ডাক্তারকে দেখানোর ব্যবস্থা করতে। সে রেগে গিয়ে বলল এগুলোকি আমার কাজ নাকি ?

তাহলে আমাদের কাজ। ঠিক আছে আমরা ওনাকে ধরাধরি করে ডাক্তার রুমে নিয়ে যাচ্ছি তখন সেই নার্স এসে লোকটিকে দেখে স্যালাইন লাগানোর ব্যবস্থা করলেন তার চিকিৎসা হলো। এভাবেই অবহেলায় অনেকে মারা যায়।


গ্রামে ডাক্তারের অভাব। সবাই শহরে থাকতে চায়, টাকা চায়, ভাল লাইফ কাটাতে চায়। ইদানিং কিছুটা উন্নতি হয়েছে দিনের বেলায় ডাক্তার যাচ্ছে উপজেলা পর্যন্ত দিনে দিনে রোগী দেখে সন্ধ্যায় আবার ঢাকায় ফিরে যায় কিন্তু রাতে কেউ থাকতে চায়না।


কঠোর আইন করা দরকার । ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগী মারা গেলে দায় ভার সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের।

একজন প্রবাসী ব্লগার বলেছিলেন দেশে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়না এবং ডাক্তারদের ব্যবহারও ভাল নয় তাই বিদেশেই চিকিৎসা নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।


দেশে স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলাই বাহুল্য।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



নতুন করে ভাবুন, সব ব্লগার ভাবুক, দেশের সবাই ভাবুক।

দেশে আইন কে বা কাহারা করে, এই ব্যাপারে আপনার কোন ধারণা?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সরকার ও জনগন ভাববে সেটা কি আবার নতুন করে বলতে হবে ? কে বা কারা আইন করে এটা আমাকে আলাদা বলতে হবে কেন, এটা সবাই জানে।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: কেবল স্বাস্থ্য খাত ? সব খাত নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে । কোন খাতই ঠিকঠাক চলছে না ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দেশ ভাল চলুক, এই কাম্য। ধন্যবাদ।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রশ্নপত্র ফাস জেনারেশন।
দেশবাসী ফল ভোগ করছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দেশ ভাল চলুক।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দেশে ভাল চিকিৎসা পাওয়া যায়না এবং ডাক্তারদের ব্যবহারও ভাল নয়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেকেই এই অভিমত ব্যক্ত করেন। ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১১

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোতে যেই সুবিধা আছে সেটার সঠিক ব্যবহার করলে দেশের মানুষ ঠিকই স্বাস্থ সেবা পেতে পারে।

কিন্তু দালাল/দূনিতিবাজ/টেন্ডারবাজদের হাতে নিয়ন্ত্রন থাকে তাই মানুষ বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলিতে যায়।

খুবই নোংরা একটা ব্যবসা হয় আমাদের দেশের গরীব রোগীদের নিয়ে... নৈতিকতা, মানবিকতা থাকলে এমনটা করার কথা না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাচ্চা পর্যন্ত বিক্রি করে ফেলে, কোথায় নিয়ে যাচ্ছে দেশকে ?

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আইন প্রণয়ন যেমন জরুরী, ঠিক তেমনি আইনের সঠিক বাস্তবায়নটা আরো জরুরী।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সহমত। ধন্যবাদ।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান জরিপ ২০১৭’। জরিপ প্রতিবেদন বলছে, প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই নারীদের প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা, অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টিসেবা দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু মানসম্পন্ন সেবা দেওয়ার জন্য যে ছয় ধরনের মৌলিক সরঞ্জামের দরকার, তার সব কটি আছে মাত্র ২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। সরঞ্জামগুলো হচ্ছে স্টেথোস্কোপ, থার্মোমিটার, রক্তচাপ পরিমাপ যন্ত্র, বয়স্কদের উচ্চতা পরিমাপ স্কেল, শিশুদের স্কেল ও আলোর উৎস। ৭২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে কোনো না কোনো সরঞ্জামের ঘাটতি আছে।
হিমোগ্লোবিন, রক্তের শর্করা, প্রস্রাবে শর্করা, প্রস্রাবে প্রোটিন ও প্রস্রাবের মাধ্যমে গর্ভ পরীক্ষা—প্রতিবেদনে এই পরীক্ষাকে রোগ শনাক্তের মৌলিক পরীক্ষা বলা হয়েছে। মাত্র ৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে সব কটি পরীক্ষা হয় বলে জরিপে জানা গেছে। বাকি ৯৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে একটি বা একাধিক পরীক্ষার ঘাটতি আছে।
এই সামান্য কিছু সুবিধা যে দেশের স্বাস্থখাত দিতে অপারগ সেই দেশে স্বাস্থ স্বাস্থ করে চেচালেই বা কি লাভ হবে?

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তবুও আওয়াজ তুলতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে তবেই হয়তো একদিন পরিবর্তন আসবে। ধন্যবাদ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আমি যখন ইন্টার্নশিপ করি তখন ওয়ার্ডের নিয়ম ছিল রাত ১০ টার পর থেকে রোগীর সব লোক কে চলে যেতে হবে। একজন এটেন্ডেন্ট শুধু থাকতে পারবে। সেই সময় একজন কোলন ক্যান্সার রোগীর দুই ছেলের একজন রোগীর কাছে ছিল এবং অপরজন বার বার অনুরোধ করলেও তাকে রাতটা বাবার পাশে বসার অনুমতি দেয়া হয়নি। আমি উনাকে আসার অনুমতি দিলে ওয়ার্ড বয় বলল উনাকে আসতে দিলে সব রোগীরই দুই তিনজন করে ভেতরে চলে আসবে। আমি ম্যানেজ করতে পারব না। বাধ্য হয়ে আমি তাকে বাইরে ফেরত পাঠাই। রোগী ভোর রাতে মারা যান। আরও জানতে পারি ওয়ার্ড বয় তার কাছে ভেতরে আসার অনুমতির জন্য টাকা চেয়েছিল এবং বলেছিল এই টাকা ডাক্তারদের দিলে তারা অনুমতি দেয়!! সেই দিনই প্রতিজ্ঞা করি, নিজের বিবেক কে জাগিয়ে তোলার। মানবিক কারণে কিছু করলে যদি কমপ্লেইনের মুখামুখি হতে হয় হব। আইন মানুষের সুবিধার জন্য, মানুষ আইনের জন্য নয়!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা সেই ছেলেটি বাবার পাশে শেষ সময় থাকতে পারলনা। ওয়ার্ড বয় গুলো একেকটা বদের হাড়ি, অবশ্য দুই একজন ভাল আছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মের বাহিরেও কাজ করতে হয় মানবিক খাতিরে। যাক আপনার কোন দোষ নেই। টাকার জন্য বয়, নার্সরা অনেক কান্ড করে থাকে। ভাল ডাক্তারের সুনাম সবাই করে, ভাল থাকুন। শুভ কামনা।

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দেশের অবস্থা খুবই খারাপ :(

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একদিন ভাল হবে সেই আশায় থাকি।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: স্বাস্থ্যখাত উচ্ছন্নে যাবে নি:সন্দেহে।
কারন বহুজায়গায় গোড়াতে গলদ থেকে যাচ্ছে।
বিস্তারিত লিখব কোন একদিন।
বহু ঘাটের জল খেয়ে, রোগী-রোগীর সংগী এবং ডাক্তার এই তিন অবস্থান থেকে যে অভিজ্ঞতা, সেটা লিখব একদিন।
প্রসংগের অবতারণা করার প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার ব্লগে স্বাগতম। লিখুন একদিন এইসব প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে, মানুষের কষ্ট আর নিদারুন অভিজ্ঞতার কথা। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.