নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

মি. বিকেল

আমি মোঃ মেহেদি হাসান, কলম নাম মি. বিকেল।

মি. বিকেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একা হওয়া অপশন নয়, কারো কারো জন্য চয়েস

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬



অনেকসময় খেয়াল করবেন ভীড়ের মাঝেও কিছু কিছু মানুষ একা থাকেন। নিজের সঙ্গ কে বেছে নেন সময়টুকু কে সবার সাথে উপভোগ করে কাটানোর চেয়ে। তাদের গায়ে সবচেয়ে বেশি ট্যাগ বা তকমা লাগে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ হিসেবে। এক ধরণের আলোচনা-সমালোচনা ব্লগে/সোশ্যাল সাইটে চলে; ইন্ট্রোভার্ট/এক্সট্রোভার্ট ব্যাখ্যায় কে কাকে কতটুকু এগিয়ে রাখতে পারা যায় সেসব নিয়ে। শুধু তাই নয়, সমাজ তাকে আলাদা চোখে ভাগ করে বিবেচনায় নেয় বা দেখা শুরু করে। অথচ, এই ইন্ট্রোভার্ট/এক্সট্রোভার্ট ধারণাই ভুয়া ধারণা।

আবার আমরা হয়তো আত্মকেন্দ্রিকতা বুঝি, তার ক্ষতিকর দিক/মন্দ দিক সমূহের তালিকা জানি বা বুঝি। কিন্তু একটা বড় অংশ জুড়ে এসব মানুষের সবাই আত্মকেন্দ্রিক নন। হতে পারে এই সংস্কার, সমাজ, পরিবার এবং প্রতিষ্ঠান সমূহ তাকে ওমন বানিয়েছে। আমরা যেটা বুঝি না বা সহজে ধরতে পারি না সেটা হলো ‘Rise of The Culture of Victimhood’। অথবা ব্যক্তিত্বের নানান রকম ধরণের মধ্যে ‘Tendency for Interpersonal Victimhood’ নিয়ে চিন্তাও করি না।

বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে আত্মকেন্দ্রিক মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ নিয়ে দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘প্রথম আলো’র (বাংলাদেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক পত্রিকা) এক পরিসংখ্যানে সেটি ৭৫% শতাংশেরও বেশি মানুষ এমনটাই বলছেন বলে দেখানো হয়েছে এবং ২০% শতাংশ মানুষ মনে করছেন বা আংশিক স্বীকার করেছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভুল তথ্য বেশি দেখবেন, সাজানো-গোছানো কিছু লেখায় যা আমার কাছে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়।

এদেশের মানুষ এখনো Good Touch/Bad Touch অথবা শরীরের প্রাইভেট পার্ট নিয়ে কথা বলাটা ট্যাবু মনে করেন। খুব সম্ভবত এ বিষয়ে আপনি পুরোপুরি সহমত না হলেও আংশিক সহমত হলেও হবেন আশা করি। এখানে একজন মেয়ে বা ছেলে ছোট থেকে বড় হওয়ার সময় নানান রকমের ‘Bad Touch’ পেয়ে থাকেন; যা স্বীকার করা বা বলাও এক ধরণের ট্যাবু।

কিন্তু যার সাথে এমন হয় (বিশেষ করে আমি যে দু’চারটে কেস নিয়ে অন্তত আলোচনায় গেছি) তাদের মানসিক অবস্থা অত্যন্ত অগোছালো হয়ে পড়ে এবং ট্রমাটিক এক্সপেরিয়েন্স পর্যন্ত হয়েছে বলে জানি। এই ট্রমার জন্য ভীড় কে সে ভয় পায়, ভীড় কে নিজের শক্রু মনে করে, ভীড় মানেই বাজে লোকে ভরপুর চিন্তায় মগ্ন থাকে। ফলতঃ ঐ অনুষ্ঠান/আয়োজন উপভোগ করা আর তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

এ সমাজের আরো একটি কালো অধ্যায় হচ্ছে, ‘Parental Blessing’; যার স্বাভাবিক অর্থ হওয়া উচিত ছিলো, বাবা-মা’র আশীর্বাদ। যে আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে সন্তান ভালো কাজে অংশগ্রহণ করবে, এবং পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য নিজের অবদান রাখবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিত্রটি উল্টো। বাবা-মায়ের সম্পদ-সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত আশীর্বাদ সন্তানকে ভুল পথে ধাবিত করার একটি অন্যতম কারণ। এই সন্তান জানে না তার আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়াটা কতটুকু কল্যাণকর। তাই চলার পথে নিচু স্তরের মানুষদের ছোট করেন। বলার সময় ‘Mannerism’ নামকও যে একটি শব্দ আছে তা বেমালুম ভুলে যান।

ফলতঃ সে সমাজের ঐ নিচু স্তরের ছেলে/মেয়েটি নিজের জায়গা/অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে পড়েন। তুলনামূলক ভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে ভয় পান। আয়োজন একটু বড় হলে, তার হৃদয় বলে, “বোধহয়, এই আয়োজন উপভোগ করা আমার সাধ্যে বা সামর্থ্যের নয়।” পুঁজিবাদী সমাজে কিঞ্চিৎ অংশ আশীর্বাদ কে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করলেও বাকিদের জন্য শ্রেণী ভাগ হয়ে ওঠে ক্ষতিকর এবং নিচু বা ছোট স্তরের বলেই তিনি/তারা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে নিজ পরিবার ও সমাজ থেকে অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

নব্বই দশকের পর ঝন্টু সাহেব (বাংলাদেশের এক সময়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা) সিনেমা পরিচালনায় যেমন ব্যর্থ হোন ঠিক তেমন করে এই প্রজন্ম কে বুঝতেও ব্যর্থ হোন আমাদের তথাকথিত সমাজ। তারা তাদের উত্তরসূরী থেকে পাওয়া কিছু নোংরা সংস্কার যা বাস্তবতা বিবর্জিত সেসব কে দাম অনেকক্ষেত্রে বেশি দিয়ে থাকেন। বাদ পড়ে না তাদের নিজ ছেলে/মেয়ে। একের পর এক তার ব্যর্থতার জন্য তাকে ঢিল ছুঁড়বেই। এজন্য বর্তমানে সামগ্রিক যে আত্মহত্যার চিত্র তার স্পষ্ট প্রমাণ। আর যারা আত্মহত্যা করতে পারেন না, তারা হলেন ঐ তথাকথিত তকমা পাওয়া আত্মকেন্দ্রিক মানুষগুলো।

আসলে একটি সমাজ যখন কেউ ভালো করে তার প্রতি প্রত্যাশার যে চাপ রাখেন তা অনেকক্ষেত্রে মেটানো অসম্ভব এবং অবাস্তব হয়ে পড়ে। এ সমাজের নব্বই দশকের আগের চিন্তাগুলোর সাথে বর্তমান প্রজন্মের যে দা-কুমড়া সম্পর্কের বিষয় সেটা বোধকরি অজানা নয়। সমাজ যখন কাউকে কেন্দ্র করে ক্রমান্বয়ে তাকে ছোট করে, তাকে ঘিরে বাজে কথা বলে, তার আত্মসম্মানে চোট পৌঁছায়, তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মজে ওঠে এবং হঠাৎ তার প্রকৃত চেহারা যখন অত্যন্ত আত্মকেন্দ্রিক যা ‘Narcissistic' পর্যায়ে চলে যায় তখন পুনরায় তাদের কপাল ঘর্মাক্ত হয়।

সমাজ তখন এটি বুঝতে পারে না যে, যে আয়নায় সে আজ নিজেকে অমসৃণ ও মলীন দেখছে প্রকৃতপক্ষে সে আয়না টি খোদ নিজেদেরই তৈরি করা। সুতরাং আত্মকেন্দ্রিক হওয়া সবার জন্য অপশন হতে পারে না। কারো কারো জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে। সকল ডিস্টার্ব নয়েজ থেকে বাঁচতে এ যেন একটি স্বস্তির চয়েস!

ছবি: Wise Seed Health Solutions

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
আমারও একা থাকার অভ্যাস আছে। এটাতে আমি শান্তি পাই, সুখ পাই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

মি. বিকেল বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

মি. বিকেল বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় ব্লগার!

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার আজকের লিখাটা অনেক অব্যক্ত কথা বলে দিল !

আপনার এই লিখাটা অনবদ্য ! ভালো থাকবেন সবসময় !!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

মি. বিকেল বলেছেন: বিশ্বাস করুন, আপনার মতন কিছু পাঠক আছে বলেই এই পরিশ্রম কে সফল মনে হয়। ভালো থাকুন, সবসময়।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

শায়মা বলেছেন: সবারই নিজের জন্য সময় প্রয়োজন। সে নিজের কাজে হোক নিজের আত্ম সমালোচনায় হোক বা নিজের জন্য যে কোনো কারণেই হোক না কেনো।

আমার ধারণা সমাজে ইন্ট্রোভার্ট মানুষের সংখ্যাই বেশি।

আমিও ইন্ট্রোভার্ট কিন্তু সেই কথা কেউ মানতেই চায় না। :(

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

মি. বিকেল বলেছেন: সমাজে ইন্ট্রোভার্ট বেশি কিনা তার সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই। কিন্তু একজন সহ-ব্লগার হিসেবে বলতে পারি, আপনি মোটেই ইন্ট্রোভার্ট নন।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন করতে হয়।যদিও এটা সহজ না।সব সময় নিজেকে আপডেট করতে হয়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

মি. বিকেল বলেছেন: জি, নিশ্চয়

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা নাচুনে বুড়ি বলে সে ইনট্রোভারট!!! :-P

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

মি. বিকেল বলেছেন: হা হা হা...

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯

জনারণ্যে একজন বলেছেন: হয়তো আমার বোঝার ভুল - আপনি শুরু করলেন আত্মকেন্দ্রিকতা দিয়ে, মাঝে গুড টাচ-ব্যাড টাচ তারপর প্যারেন্টাল ব্লেসিংস সবশেষে ঝন্টু সাহেবের উদাহরণ দিয়ে যা বোঝাতে চাইলেন তা একটু এলোমেলো লেগেছে।

জাস্ট বুঝতে চাইছি - সমাজ কিংবা মানুষের ব্যবহারগত কিছু অসঙ্গতি নিয়ে লিখতে চেয়েছিলেন? সেক্ষেত্রে প্রতিটা টপিক দিয়ে কিন্তু পৃথক পৃথক চমৎকার পোস্ট দেয়া যেত।

অন্তর্মুখিতা এবং আত্মকেন্দ্রিকতা এক ব্যাপার নয়। কোনো মানুষ কথা কম বলেন, এর অর্থ এই না ওই মানুষটা আত্মকেন্দ্রিক।

আত্মকেন্দ্রিক তারাই যারা সব কিছুতেই নিজেকে টেনে নিয়ে এসে বিশেষ কিছু প্রমান করার চেষ্টা করেন। তাদের জগত শুধুই তারা-কেন্দ্রিক।

ব্যক্তিগতভাবে বেশি কথা বলা মানুষ আমার পছন্দ নয়, সেই মানুষদের'ও পছন্দ নয়, যারা সবজায়গাতেই নিজেকে বিশেষ কিছু প্রমান করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন এবং যারা এটা করেন, তারাই আত্মকেন্দ্রিক। তাদের জগৎ শুধুই নিজেকে নিয়ে।

এই ব্লগেই এরকম কিছু মানুষ দেখেছি।

কিংবা হয়তোবা বুঝতেই ভুল করেছি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৫

মি. বিকেল বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনা। প্রথমে আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন। এবার আসি আপনার পয়েন্টগুলো ব্রেক-ডাউন করতে,

১. আমরা ব্লগার, আমাদের শুধু লেখা জমা দেওয়া উদ্দেশ্য নয়। আমাদের কিছু মিশনারী মোটিভ থাকে বা থাকা উচিত বলে অন্তত আমি মনে করি।
২. গুড টাচ/ব্যাড টাচ আমাদেরকে আত্মকেন্দ্রিক বানায়। পারেন্টাল ব্লেসিং শ্রেণি ভাগ বুঝাতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং ঝন্টু সাহেব কে আমাদের নিকট প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বুঝাতে চেয়েছি। পাশাপাশি উনার ব্যক্তিত্ব রক্ষাও করেছি।
৩. অসঙ্গতি নিয়ে একাধিক পোস্ট - সত্যি বলতে আমি হাতে খুব কম সময় পাই তাই সম্ভব নয়।
৪. No, Narcissistic Personality Disorder এবং Self-Centered কে গুলিয়ে ফেলেছেন এই মন্তব্যে।
৫. এই ব্লগেই... ব্লা... ব্লা... ব্যক্তি আক্রমণ হিসেবে নিচ্ছি।

তবুও আমি চাই ভুল ধরুন। ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: @ জনারণ্যে একজন , আপনি নতুন ব্লগার, আপনি পোস্ট দিচ্ছেন না কেন আপনার ব্লগে।

পোস্ট করুন আমরা মন্তব্য করি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬

মি. বিকেল বলেছেন: নিশ্চয়, @জনারণ্যে একজন, প্রিয় ব্লগার, আপনিও লিখুন।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একা থাকা অত্যন্ত বিপদজনক, মানুষ যদি একবার বুঝতে শুরু করে একা থাকাটা কতটা শ্বান্তিপুর্ণ তখন এই সমাজ ব্যবস্থাই ধ্বংস হয়ে যাবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থুল বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন একাকীত্বকে ঠিক উপভোগ করতে না পেরে উল্টো ডিপ্রেশনে ভুগে, তাই একাকীত্ব সবার জন্য যুতসই নাও হতে পারে, কারো জন্য এটা শ্বান্তিপুর্ণ আবার কারো জন্য এটা ডিপ্রেশণের কারণ।

ভালো পোস্ট।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮

মি. বিকেল বলেছেন: আমরা Loneliness বুঝি, কিন্তু Solitude কি বুঝি!

সুন্দর মন্তব্য!

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫২

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ বিজন রয়, আপাততঃ ফুলটাইম ঘোড়ার জন্য ঘাস কাটা আর পার্ট টাইম মৃত-মুরগির গা' থেকে পালক-চামড়া ছাড়ানোর কাজ নিয়ে খুবই ব্যস্ত আছি।

এত ব্যস্ততার মাঝেও এখানে এসে মাঝে মাঝে মন্তব্য করি, এটাই কি যথেষ্ট নয়?

বর্তমান কাজ বাদ দিয়ে যেদিন গরু চরানোর মতো ফুল টাইম কাজে প্রোমোটেড হবো, সেদিন হয়তো পোস্ট দেয়ার মতো দুঃসাহস দেখতে পারবো।

ধন্যবাদ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৯

মি. বিকেল বলেছেন: প্রার্থনা করি আপনি গরু চরানোর মতো ফুল টাইম কাজে প্রোমোটেড হোন।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১২

সোহানী বলেছেন: "জনারণ্যে একজন" সাথে একমত। অনেকগুলো বিষয় চলে এসেছে বিকেল, তাই কিছুটা খাপছাড়া মনে হয়েছে পড়তে পড়তে। প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আলাদাভাবে পোস্ট দেন তাহলে পাঠককুলকে ভাবতে সাহায্য করবে।

তবে যা লিখেছেন তা নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। বা বলা যায় খুব কম মানুষই এ বিষয়গুলো বুঝতে পারে বা ভাবতে পারে।
ধন্যবাদ এ ধরনের টপিক্স নিয়ে লিখার জন্য। আমার এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেই কিন্তু লিখতে বা পড়তে ভালোবাসি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

মি. বিকেল বলেছেন: জি, সোহানী, আপনার জন্যই আমি উনাকে ব্যাখ্যা দিয়েছি। নতুবা দিতাম না। ধন্যবাদ।

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইন্ট্রোভার্ট / এক্সট্রোভার্ট কোন ভুয়া ধারণা না। এগুলি প্রতিষ্ঠিত ধারণা। তবে ইন্ট্রোভার্ট মানে আত্মকেন্দ্রিক হওয়া বুঝায় না। আত্মকেন্দ্রিক বলতে বুঝায় যে ব্যক্তি অন্যের সমস্যার ব্যাপারে উদাসীন বা যার মধ্যে উদারতা কম। সবাই কম বেশী আত্মকেন্দ্রিক আমরা। কিন্তু মাত্রা ছাড়া হলে সেই ব্যক্তিকে আত্মকেন্দ্রিক বলে।

ইন্ট্রোভার্ট মানুষ মানে আত্মকেন্দ্রিক এটা ভুল ধারণা। ইন্ট্রোভার্ট মানে যে ব্যক্তি নিজের আবেগ, অনুভূতি সহজে অন্যের কাছে প্রকাশ করে না, বেশী মানুষের সমাগমে অস্বস্তিবোধ করে, হইহুল্লর, আড্ডা, পার্টি, আড্ডা ইত্যাদিতে কম স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে ইত্যাদি। তার মানে এই না যে সে স্বার্থপর বা আত্মকেন্দ্রিক। ইন্ট্রোভার্ট / এক্সট্রোভার্ট উভয়েই আত্মকেন্দ্রিক হতে পারে সামাজিক হতে পারে। সৃষ্টিশীল কাজে যারা পারদর্শী সাধারণত তারা ইন্ট্রোভার্ট বেশী হয়। নেতৃত্ব বা সাংগঠনিক কাজ যারা পছন্দ করে তারা সাধারণত এক্সট্রোভার্ট হয়।

একা থাকা কোন সমস্যা না যদি সে নিজের জন্য বা অন্যের জন্য কোন সমস্যা তৈরি না করে। একা থেকে কেউ যদি নিজের পরিবার এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে সে একা থাকতে পারে। তবে অনেকে একা থাকতে গিয়ে খেই হারিয়ে বিষণ্ণতায় ডুবে যায় বা আত্মহত্যার মত রাস্তায় যায়। এটা কোন সমধান হতে পারে না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৫

মি. বিকেল বলেছেন: ভুলভাল মন্তব্য। অনেক অফেনসিভ

যাকগে,

১. Introvert/Extrovert ভুয়া ধারণা নিয়ে অনেক ব্লগ আছে, অনুগ্রহ করে সেসব একটু পড়ে দেখবেন।
২. যখনই আপনি ক্যাটেগরাইজড করবেন মানুষকে 'মায়ার্স ব্রিগ' ব্যক্তিত্বের মত করে তা রেসিস্ট ধারণা বা Apartheid চিন্তাভাবনা। Self-Centered এবং Narcissistic আলাদা-আলাদা বিষয়।
৪. মানুষ এত বৈচিত্র্যময় যে তাদের সামান্য কয়েকটি ক্যাটেগরিতে ফেলানোতে আমি বিশ্বাসী নই।

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৯

পাজী-পোলা বলেছেন: আত্মকেন্দ্রিক এর ইংরেজি হল narcissism। আর ইন্ট্রোভার্ট হল অন্তর্মুখী। যে সর্বদা নিজের প্রশংসা শুনতে চায়, কেবল নিজেকেই গুরুত্বপূর্ণ মনেকরে, কেবল নিজেকেই সর্বগুণ সম্পূর্ণ মনেকরে, যে কেবল নিজেকেই ভালোবাসে তাকে আত্মকেন্দ্রিক বলে। আর যে নিজের মধ্যে থাকতে পছন্দ, মানুষের সাথে মিশতে ভালো লাগে না, অতিরিক্ত কথা পছন্দ করে না, একা একা থাকতে পছন্দ করে সে ইন্ট্রোভার্ট।

আর আপনি যে বিষয়ে লিখছেন, সেটা হীনমন্যতা inferiority complex। লোকে কী বলবে বা ভাববে সেটা নিয়ে ভয় করে। এটা সাধারণত কোন ঘটনা থেকে আসে, যা অতীতে তার সাথে ঘটেছে।

সব গুলো আলাদা। আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৬

মি. বিকেল বলেছেন: No, আমি সমাজের Self-Centered ব্যক্তিত্বের মধ্যের কিছু বিশেষ ক্যাটেগরি নিয়ে আলোচনা করেছি যা Interpersonal Victimhood নামে পরিচিত। Read some research papers! Plz!

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩২

পাজী-পোলা বলেছেন: আমি নিজেও inferiority complex এ ভুগি। তার মানে কিন্তু আমি ইন্ট্রোভার্ট ও না, আবার narcissist ও না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৭

মি. বিকেল বলেছেন: কিন্তু ঐ Inferiority Complex এসছে কোথা থেকে! এক্সাক্টলি! ওটাই আমার আলোচ্য বিষয় ছিলো।

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি সব সময় শব্দ সংঘাতে পড়ি। কঠিন কিছু বুঝতে আমার খুব বেশি সময় লাগে, প্রায় কিছু লেখা আমি পাই যেগুলো পড়তে গেলে আমাকে বার বার পিছনে যেতে হয়। আমি ভাবি আমি মনে হয় পড়তে পড়তে অন্য মনষ্ক হয়ে গেছি তাই ধরতে পারিনা।

আত্মকেন্দ্রিক - এটা কে মনে হয়না সরাসরি ইন্ট্রোভার্ট দিয়ে সঠিক ভাবে ব্যখ্যা করা যাবে। আত্মকেন্দ্রিক হলো একটা মানুষ সব কিছুর মধ্যে থাকবে সবার সাথেই চলবে বসবে কিন্তু সব কিছু সে নিজের দিকে নিবে নিজের জন্য করবে। বলতে চলতে গিয়ে যেটা তার নিজের ধ্যন ধারণার বাইরে যাবে অথবা একটু কঠিন ভাবে বললে বলা যায় যেটাতে তার স্বার্থ নেই সেখান থেকে সরে যাওয়া মানুষকেই আত্মকন্দ্রিক বলা হয়। ইংরেজি শব্দ ইন্ট্রোভার্ট আমরা সাহিত্য দেখেছি শুধু মাত্র নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে রাঝা বোঝাতে বলা হয়। সে যাই হোক

আপনি কি হবেন ? ইন্ট্রোভার্ট নাকি এক্সট্রোভার্টা।
আমি নিজেকে নিজের মধ্যে রাখা ছেলে ছিলাম, সবাই আমাকে ভালো জানতো কিন্ত পছন্দ করতোনা।বিশেষ করে মেয়েরা। কেউ ভাবতো আমি অহংকারি কেউ ভাবতো মদন। বলতে জানেনা। কলেজে নির্বার্চনে আমি গো হারা হারি। মঞ্চে দাড়িয়ে জয়ী ব্যক্তিকে সমর্থণের এক ফাঁকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম অডিয়ন্সের উদ্দেশ্যে যে- তোমরা কি কেউ বলতে পারো আমার এই চরম ধশের কারণ কি? সবাই তখন চুপ ছিলো কিন্তু একটা মেয়ে ছিলো যে আমাকে বুঝতে পারতো। ইন্ফেক্ট মেয়েদের মধ্যে একমাত্র সেই আমাকে একটা ভোট দিয়েছিলো। মাঠের কোণায় সরল সহজ ভাবে বললো - শার্দূল আমরা সামাজিক জীব। সমাজের বাইরে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে পারিনা। তাহলে অসামাজিক হয়ে যাবো। আমি জানি তোর সব কিছুর মধ্যে পুরাতনের প্রভাব আছে, বর্তমানে রং চং তোকে টানেনা। আর আমরা রং চং এ ভরপুর। এই অবস্থায় তুই শুধু একটা মুসকি হাসি দিয়ে সবার হাসির জবাব দিয়ে গেলেই হবে। আর কিছু পারিস আর না পারিস। সেই থেকে আমি বদলাতে শুরু করি। নিজেকেতে তুলে ধরি সেখানে যেখানে আমাকে কেউ বুঝবে। যেখানে বুঝবেনা আমি তার কথা শুনি।

সুখের বিষয় হলো আমি মোটেও আত্মকেন্দ্রিক নই।

শুব কামনা

৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯

মি. বিকেল বলেছেন: অন্তত একজন তো বুঝেছেন!


ধন্যবাদ

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৯

মি. বিকেল বলেছেন: আমার মনে হয় আমার এই লেখাটি আপনাদের অনেকের কাছেই ঠিক পরিষ্কার নয়। আমি আমার এই ব্যর্থতা স্বীকার করছি। কিন্তু নিজ পক্ষের ব্যাখ্যাও দিতে চাই। অনুগ্রহ করে একটু সময় দেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.