নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব আন্দোলন আসলে আন্দোলন নয়, সব দাবী, দাওয়া সত্যিকার অর্থেই কোন অর্থই বহন করে না

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৫



শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন দেখে, আমার ছোট বেলার একটি আন্দোলনের কথা মনে পরে গেলো । সেটি ছিলো আমার জীবনের প্রথম কোন আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহন । আমি তখন দশম শ্রেনীর ছাত্র । আমাদের স্কুলে প্রধান শিক্ষের বিরুদ্ধে তখন একটি আন্দোলন গড়ে উঠে ছিলো । সে কি আন্দোলন ! সে কি বিরোধ ! সে কি উত্তেজনা! দফায় দফায় মিটিং, মিছিল আরো কত্ত কি। কিছু শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির একটি অংশ নানা কারণ দেখিয়ে তখন স্কুলের হেড স্যারের পদত্যাগ দাবী করে আন্দোলন শুরু করেছিলো ।

স্কুলের উন্নয়ন , নিয়োগসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে স্কুল পরিচালনা কর্মিটির নেতাদের ব্যক্তিগত দলাদলি, তাদের একটি অংশের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষকের বিরোধীতা, মতো বিরোধ ই ছিলো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণ । বাস! আর যায় কোথায় ? শিক্ষকদের সেই একটি অংশ নানান ভাবে ফুসলিয়ে, ফাসলিয়ে আমাদেরকেও দলে টেনে নিলো । ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় আন্দোলনের গতি বেড়ে গেলো । যার পরিনতিতে প্রধান শিক্ষক স্যার এবং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কবির কাকা স্কুল থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হলেন।

সেই বিজয়ের অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলাম, যে আমাদেরকে শুধুই ব্যবহার করা হয়ে ছিলো। পথের কাটা সরিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটেছে নতুন কমিটি। নিয়োগ দিয়েছে নিজেদের ভাই ব্রাদার আত্মীয় স্বজনদের । আজো সে কথা মনে হলে, বিদায়ের আগে স্যারের সেই করুণ মুখের কথা মনে পরে গেলে বুকের ভেতরটা টনটন করে উঠে ।

কেননা সেই আন্দোলনে শুধু স্যার,কবির কাকা হেরে যাননি আমিও হেরে গিয়েছিলাম । যতো বড় হয়েছি, "ততোই বুঝতে পেরেছি, সব আন্দোলন আসলে আন্দোলন নয় । সব দাবী, দাওয়া সত্যিকার অর্থেই কোন অর্থ বহন করে না । "

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বহুদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের কিছু ঘটনা রীতিমতো টক অব দ্যা টাউন । বাবা, মা অনেক আশা করে শরীরের রক্ত পানি করে । উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় । তাদের আশা সন্তান লেখা পড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে, পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করবে । জাতীর জন্য সম্মান বয়ে আনবে । কিন্তু হায় ! দেশের লেখা পড়ার যেই শ্রী তাতে সম্মান তো দূরে থাক সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তায় অভিভাবকদের বেচে থাকায় ই দায় । পরিস্থিতি এমন যে, সন্তানের পিতা মাতা হওয়াই যেনো এখন মস্ত বড় শাস্তি , সব চেয়ে বড় অপরাধ ।

রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক সামাজিক সব কিছু মিলিয়ে এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি যে, প্রতিটি মুহূর্তে আতংক গ্রস্ত হয়ে থাকতে হচ্ছে । এক দিকে সিন্ডিকেট ও আমলাদের দুনীতির কারণে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্ব গতি । অন্যদিকে করোনার কারণে, আয় রোজগার কম কমতে কমতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অবস্থা এমন একটি জায়গায় এসে থেমেছে যে, এর চেয়ে মৃত্যুও যেনো অনেক শ্রেয় ।

এতো কিছুর পরে ও যদি কারো ঘরে সু সন্তান থাকে তাহলে, পিতা - মাতার দু:খ, কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়ে যায় । সু সন্তান আল্লাহ্‌ তালার নেয়ামত । শুধু পরিবারের জন্য নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ও ।

বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আগে যে, যুদ্ধটা শুরু হয়ে যায় সেটা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয় । অভিভাবকের টাকা পয়সা পানির মতো খরচ করে শুধু মাত্র একটি ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্তানদের ভর্তি করার জন্য । কোন সন্দেহ নাই, দেশে যে কটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তার মধ্যে শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম । কিন্তু গত কয়েকদিনে , সেখানে যা চলছে তাতে মনে হয় না বিশ্ব বিদ্যালয়টি তার পূর্বের সম্মান ধরে রাখতে পারবে । তারা যখন ভিসির বিরুদ্ধে লড়ছে , ব্যাক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা তখন আন্ত:জাতিক রোবটিক কম্পিটিশনে অংশ গ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম কুড়িয়ে আনছে ।

তাহলে, দেশের জনগণের টাকায় কেন এসব ছাত্রছাত্রীদের পেছনে খরচ করা হবে ।? সস্তার তিন অবস্থা । সস্তা লেখা পড়ার সুয়োগ পেয়েছে বলে , গ্রায্য করছে না কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে শেষ করতে হবে । প্রথমে হলের প্রভোস্ট'কে নিয়ে আন্দোলন ছিল তাকে সরানো হয়েছে । এখন আন্দোলন হচ্ছে, ভিসিকে নিয়ে । ভিসি কি হাতের মোয়া যে চাইলেই সরাতে হবে ? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে তো দুণীতির হাজারটা অভিযোগ ছিলো কই তাকে কি সরানো গেছে ? যায়নি । পুলিশের লাঠি চার্জের বিরুদ্ধে যে, অভিযোগ ছিলো , সেটার জন্য ভিসির কাছে অভিযোগ দিয়েই প্রতিকার পাওয়া যেতো বলে মনে করি । সেই সাথে এটাও জানি যে, প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ লাঠি চার্জ করে নাই । ইটা মারলে তো লাঠি খেতেই হবে । এটা ভুলে গেলে চলবে না । ভিসি তো শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া পদত্যাগ করবেন না, তাহলে কি এখন ছাত্রছাত্রীরা, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য আন্দোলন করবেন ? আছে সেই হেডাম? দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য শুধু অসাধু, সুবিধা ভোগী লোকেরাই ই দায়ী নয় এর জন্য কিছু ফাঁকিবাজ, আন্দোলন প্রিয় ছাত্রছাত্রীও দায়ী ।

দেড় বছর পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে পরীক্ষা নিতে চাইলে পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রী পায়নি চিটাগং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ । অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের ব্যাপারে আরো সর্তক হওয়া । নীতি, আদর্শের জন্য বড়, বড় কথা সবাই বললেও সুবিধা নেবার বেলায় কিন্তু সেটা সবাই চায় । এ কারণেই সমাজের সার্বিক পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন ঘটে না । আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে । এমন স্বপ্ন এখন আর কেউ দেখে না । সন্তান বললেই এখন ভয় লাগে । চাই সন্তানটা যেনো শুধু বেচে থাকে ।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সুন্দর লেখেছেন------

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শুভ কামনা প্রিয়

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: নৈতিকতার বালাই নাই.অপরাধী সনাক্ত করাও একটা অপরাধ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অপরাধ প্রমানিত হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী বলা ও অপরাধ ভাই। নৈতিক অধঃপতনের কারনেই তো এতো অবক্ষয় এতো সমস্যা। শুভ ব্লগিং

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

সাজিদ! বলেছেন: শাহজালাল থেকে কি রোবোট বানানো হয় নাই? এখন শাহজালালের আন্দোলনের সাথে ব্র‍্যাকের শিক্ষার্থীদের রোবোট বানানোর তুলনা কেন দিতে হবে? ভিসি পদত্যাগ করলেই তো হয়। সরকার চাপ দিয়ে ভিসিকে পদত্যাগ করাক, নতুন দলীয় ভিসি দিক।কারন এই ভিসি গ্রেনেড মারিয়েছে, ছাত্রলীগ দিয়ে পিটিয়েছে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছে। তার আর ভিসি থাকার মতো অবস্থান নাই।

আপনার অবস্থানের সাথে মোটেও একমত নই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভিসি গ্রেনেড মারিয়েছে, ছাত্রলীগ দিয়ে পিটিয়েছে ! ভিসির গ্রেনেড নিক্ষেপের ছবিটা দেবেন প্লিজ । ভিসি কারো হাতের মোয়া নয় যে, চাইলেই ছুরে ফেলে দিবেন । তার বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগও নাই ..........এটা ভুলে যাবে না ।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: যে ভিসি পুলিশ ডেকে শিক্ষার্থীদের পিটালো, তার কাছেই নালিশ দিতে বলছেন যে পুলিশ লাঠি চার্জ করছে ? বোঝাই যাচ্ছে আপনি স্কুল জীবন থেকে আন্দোলনে পারদর্শী।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যে কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভাল, মন্দ দেখার দ্বায়িত্ব শিক্ষক ও ভিসির। উনি যে ভাল মনে করেছেন সেটা করেছেন। নিরাপত্তার জন্য যদি পুলিশকে খবর দেন তাহলে সেটা ও ছাত্রদের ব্যথতা যে তারা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেনি।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: শাবির ভিসি দলীয় ভিসি কিনা জানা নাই। তবে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হলে জোড়ালো অভিযোগ থাকতে হবে । এখন পর্যন্ত ছাত্ররা তেমন জোড়ালো অভিযোগ দেখাতে পারেনি। ২০০০ সালে জাবির ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্যতো আর ২০২২ সালের আন্দোলনের ইস্যূ হতে পারে না। আপনার পোস্টের সাথে একমত পোষন করছি। কেন যেন মনে হচ্ছে সাধারন ছাত্ররা ব্যবহ্রত হচ্ছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। দলীয় ছাড়া এই দেশে এখন আর কিছু নাই ভাই। ব্যক্তিগত যোগ্যতার চেয়েও দলীয় লেজুড়বৃত্তি যোগ্যতার মূল চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে। তাই সহজে মুক্তি নাই

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টার দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: না, এখানে আপনার সাথে আমি একমত নই। কারণ সরকার হস্তক্ষেপ করলেই তাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। তারাও চাইছে সেটা। বর্তমানে তাদের আন্দোলনের যে অবস্থা তাতে বেশ বোঝা যাচ্ছে যে, তারাও চাইছে কোন মতে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে। কারণ এ আন্দোলনের কোন যৌক্তিক মোটিভ নেই। তাই গুরুত্ব না দিলে হাতে পায়ে ধরে এমনিতেই বাড়িতে ফিরে যাবে।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: আমার মতে প্রথাগত শিক্ষার যে কাঠামো আমাদের দেশে চালু আছে এর আমূল সংস্কার করা উচিত। শিক্ষাক্রম থেকে শুরু করে শিক্ষক ট্রেইনিং এইসকল বিষয়াদি নিয়ে আমেরিকা থেকে এজুকেশন নিয়ে একটি নিরিক্ষা কমিটি করা লাগবে। এরপর তাদের সুপারিশক্রমে একাডেমিক পুনঃসজ্জা/বিন্যাস করা প্র‍য়োজন।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন । আমি ও মনে করি সংস্কার একান্ত জরুরী কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয় । সংস্কার করতে হলে সবার আগে ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে । সেটা আদতেও সম্ভব ?

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৯

সাজিদ! বলেছেন: ওমা আইনের লোক ওখানে সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে এইটা কি এখন অস্বীকার করছেন নাকি? এই যে সে ছেলেরা আন্দোলন করছে এদের আন্দোলনের পেছনের ক্ষোভ গুলো কেন শুরুতেই প্রশমিত করা হলো না নাকি তাদের আভিযোগ কখনই পাত্তা পায়নি দেখে তারা এমন অবস্থানে গেল? এদের আপনি ফাঁকিবাজ বললেন, এর পেছনে আপনার যুক্তি কি? আন্দোলন করলেই ফাঁকিবাজ? আর পিঠে মার - সাউন্ড গ্রেনেড খেলে সয়ে যাও তাই না?

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০

সাজিদ! বলেছেন: উন্নত চিন্তা আশা করি ব্লগারদের কাছ থেকে। ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার মতের সাথে না মিললে সেটা অ-উন্নত চিন্তা হয়ে যায় কি করে ভাই ? অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে শিখুন তবে ই তো ব্লগিং করে মজা পাবেন । শুভ ব্লগিং

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সরানো হয়েছিলো দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে। কাছের লোককে দিয়ে কাজ করিয়েছিলেন এমন অভিযোগও আনা হয়েছিলো।

তিনি চলে যাওয়ার পর পরের কমিটি উনার আর্ধেক করা বিল্ডিং এর বাকি অংশ করেছিলো উনার সময়ের বাজেটের থেকে প্রায় ৮গুন বেশী খরচে। এখানে অবশ্য দুর্নীতি হয়নি বলেই প্রচার করা হয়।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এমনটাই হয় ভাই । দুনীতিবাজদের সরানো যায় না কারণ তারা সব জায়গায় গুটি রেডি করে রাখে । সরে যেতে ভাল মানুষগুলোর এটাই নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে আর সেই কাজ সহজ করে দেই আমরাই ........।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: স্কুল-কলেজ জীবনে কিছু না বুঝে আন্দোলন এর নামে ব্যাবহৃত হওয়ার কিছু স্মৃতি যখন মনে পরে তখন নিজের কাছে নিজেই লজ্জা পাই l

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হ্যা , আমাদের এই লজ্জা বোধটা তৈরি হয়েছে বলেই এখনো আমরা মানুষ বলে পরিচয় দিতে পারি । শুভ ব্লগিং প্রিয়

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৬

সাজিদ! বলেছেন: ভিসি বোধহয় আপনার আত্নীয় লাগে বা সম মানসিকতায় বিশ্বাসী আপনারা দুইজন তাই ৪ এর প্রতিউত্তরে বলেছেন ভিসি যা ইচ্ছা হয়েছে করেছে।

আপনার পোস্ট পড়ে আর আপনার ভিসি ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ছাত্র সংঘটনের দোষগুলো ঢাকার চেষ্টা খুবই চোখে লাগছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: হাস্যকর কথাবার্তা বলছেন ভাই .....।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১০

সাজিদ! বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে হাত দিয়ে মিলিটারিকে মাফ চাইতে হয়েছিল, আর ভিসি ঘটনাপ্রবাহকে হ্যান্ডেল করতে না পেরে পুলিশ আর ছাত্রলীগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মারালো, এরপরও আপনি বলেন ভিসির অপরাধ নাই আর আন্দোলনের কোন গ্রাউন্ড নাই!

আপনার কথা বলার ধরন দেখে আপনাকে তো নিরপেক্ষ স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। আর মন্তব্য করবো না। মনটাই খারাপ হয়ে যায় ব্লগে এসব দেখলে।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদ্যালয়গুলো প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আবার যখন সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল তখন আশা করা হয়েছিল যে বিগত সময়গুলোর শিক্ষা ক্ষতি দ্রুতই পুষিয়ে নেয়া যাবে। কিন্তু লেখাপড়া বাদ দিয়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একের পর এক তামাশা আন্দোলন চলছেই।
এর আগে হয়েছে কথিত চুলকাটা নিয়ে।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আন্দোলন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। ছিল মুলত একটি ছাত্রী হলের দুর্বল ওয়াইফাই নিয়ে কিছু অভিযোগ। হইচই।
এটা নিয়ে হল প্রভোষ্টের সাথে বৈঠকে আরোকিছু দাবি যোগ হলো
শিক্ষার্থীদের হলের ডাইনিংয়ের খাবার কথিত নিম্নমান মানে কম ক্যালরি খাবার, করনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া বাহিরের খাবার দোকান চালু হচ্ছে না কেন? আর কমগতির ইন্টারনেট মতো মামুলি দাবি।
হল প্রভোষ্টের সাথে বৈঠকে সন্তুষ্ট না হয়ে মিছিল জটলা শুরু।
এরপর ছাত্রী আন্দোলনে একদল ছাত্র যোগ দিয়ে মিডিয়াকে ডেকে এনে আন্দলোন আরো বেগবান করা হলো। এরপর ভিসি ও শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে ৭ দিনে সব সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিলেও সেটা আমলে না নিয়ে উলটো শিক্ষকদের অকথ্য গালাগালি ভিসিকে ঠ্যালাঠেলি করে একটি হলে ঢুকিয়ে তালা বদ্ধ করলো। মিডিয়াও এসব চেপে গেল।
পুলিশ গেছিল তালা ভেংগে ভিসিকে উদ্ধার করতে, কিন্তু প্রবল ইটপাটকেল নিক্ষেপে নারীপুলিশ দলকে আহত করলো, মাথামোটা পুলিশও বাড়াবাড়ি করেছে।
ভিসির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ছাত্ররা দুর্নিতি নারীনির্জাতন অযোগ্যতা ইত্যাদি তেমন একটিও জোড়ালো অভিযোগ দেখাতে পারেনি।
বর্তমানে বহিরাগতদের (শিবির) সর্বরাহকৃত অর্থ টুপি ও সাদাকাপড় পরে তামাসা করতে করতে কাফনের কাপড় দিয়ে হরর সিনেমা শুটিং করে জাতীয় ইস্যু বানিয়ে ছাড়া হল।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন ।

বাপের আগে সেইভ করলে যা হয় এদের তাই হয়েছে । এতোদিন করোনার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে এদের প্রাণ বের হয়ে গেছে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না সেই চিন্তায় । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর পরীক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না -বলছে করোনার কারণে প্রস্তুতি নাই । অথচ হলের আশে পাশ থেকে ঠিক ই নব জাতকের লাশ পাওয়া যাচ্ছে । কি বুঝলেন ?

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৪

সাজিদ! বলেছেন: ব্লগে এন এস আই / ডিজিএফআইয়ের এজেন্ট আছেন আগে জানতাম না। ব্রাভো হাসান ভাই। আপনি উত্তর আমেরিকায় থেকেও এত সব কিছু জানেন। এবং আমরা খেয়ে পড়ে বাঁচা সাধারণ মানুষ তাই বিশ্বাস করি। উহু, কোন সন্দেহ করা যাবে না। আপনার কথা আর লেখকের কথাই একমাত্র সঠিক।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: লগে এন এস আই / ডিজিএফআইয়ের এজেন্ট থাকলে দোষের কি ভাই ? তাদের বক্তব্য ও তো শোনার দরকার আছে ।

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৭

সাজিদ! বলেছেন: কথিত নিম্ন মানের খাবার৷ B-)

কিসের বেয়াদব ছাত্র ছাত্রী। যা দিল তাই খাবি। আবার নিম্নমানের খাবার নিম্নমানের খাবার বলে আন্দোলন করিস? এই খাবার কে দিয়েছে? ( আল্লাহ মাফ করুন)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এই বিষয়টার তো সুরাহা হয়েছে । তবুও বলবো, এতো ফ্রি খেতে চান কেন ? জনগনের ট্যাক্সের ফ্রি খাওয়া বন্ধ করতে হবে । ১০০ টাকায় খরচ করে আর ফাইভ স্টারের খাবার দেওয়া যাবে না । ভাল মানের খাবার খেতে হলে নিজের বাপের টাকা খরচ করে খেতে হবে । জনগনের টাকায় খাওয়া যাবে না ।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিক্ষামন্ত্রী নিজের নামটাও ক্লিন রাখতে পারে নাই । কী আবার শিক্ষা কী আবার ভিসি সব ------

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শিক্ষা মন্ত্রীর কিছু করার নেই । ভিসির উচিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া কেননা , বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষুনা করার পরেও সেখানে অবস্থান করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করা অন্যায় । এছাড়া ভিসির বাস ভবনের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তারা দন্ডবিধি ভঙ্গ করেছে তাই ওই ছাত্রছাত্রীদের টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া যেতেই পারে ।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৪৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কিছু থেকে কিছু হলে আন্দোলন! ভিসি'র পদত্যাগ করিয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী এমন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এতবড় ইস্যু বানিয়েছে সেসব মাথামোটাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হোউক।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার সাথে ১০০% সহমত প্রকাশ করছি , শুভ ব্লগিং

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৩

সাজিদ! বলেছেন: ভাই, কিসের এজেন্ডা আপনার আপনিই জানেন। আপনার চিন্তা ধারা আমার সুবিধার মনে হলো না আমার। ক্যান্টিনগুলোতে সরকার ভরতুকি দেয়, ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাও টাকা দেয়। সে হিসেবে যে বাজে মান সেটা অনেকবার টিভি পেপারে এসেছে। কি অবলীলায় মিথ্যা বলতে পারেন, গল্প বানাতে পারেন আপনারা। কোন কিছু পেলেই সরকার বিরোধী তকমা লাগানোর জন্য উঠে পড়ে লাগেন। আল্লাহ না করুন, আপনি কোনদিন এমন কোন বিপদে না পড়ুন যেখানে আপনার মুখের সামান্য কথাও আপনার গোত্রীয়দের কাছে উন্নয়ন ও সরকার বিরোধী তকমা পেয়ে না যায়!

আরেকটা কথা আপনি বোধহয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিসি ( ট্রান্সফার সারটিফিকেট হয় না) সেটা জানেন না। পাশাপাশি জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আপনার কাছে করাপশন করা জায়েজ কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কমমূল্যে খাওয়া না জায়েজ ( বিভিন্নজনকে আপনার প্রতিউত্তরই আপনার চিন্তাভাবনা প্রমাণ করে)।

আমি বিশ্বাস করতে চাই আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে পড়ালেখা করেছেন, স্বাভাবিক নিরপেক্ষ লোক। তবে আমার মন বলে ঘাপলা আছে আপনার মধ্যে।



যাই হোক আমাকে আর প্রতিউত্তর দেওয়ার দরকার নাই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: টিসির কথাটা লেখার ধারা হিসাবে এসেছে । শব্দটা বহিস্কার হবে ।

আপনি তো ভাই খুবই প্যাচ ধরেন । সরল চিন্তা করুণ প্লিজ । আমি সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে সেটা ইস্যু না করে বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন । আপনি সরকারী খরচে পড়েছেন কিনা জানিনা । আমি কিন্তু ভাই সারা জীবন সরকারী খরচেই লেখা পড়া করেছি । তাই জনগনের টাকার মূল্যায়ন করতে চাই । ভাল একটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের নামে, ক্যান্টিনের খাবারের নামে নস্ট হয়ে যাবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না । শুভ ব্লগিং , ভাল থাকুন

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১২

তানজীল ইসলাম বলেছেন: সাজিদ! বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে হাত দিয়ে মিলিটারিকে মাফ চাইতে হয়েছিল,

আইন এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে এ কথা বলতেন না, সেই ছাত্রের পরিনতি নিশ্চই জানেন না।
সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী অনেকেই একটা মানসিক যন্ত্রনায় সময় পার করেছে তাও নিশ্চই জানেন না।

২০০৪-২০০৮ পর্যন্ত কখনও মনে হয়নি খাবারের নিম্নমান। ছাত্ররা কেন আন্দোলন করেনা যে, "তারা ভালো খাবারের জন্য একটু বেশি কন্ট্রিবিউট করতে চায়"।

লেখকের সাথে সহমত, জনগনের অনেক টাকা নষ্ট হচ্ছে ভাই, ছাত্ররা হু কেয়ার্স ভাব নিলে সার্বভৌমত্য রক্ষা কঠিন হবে ভাই।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২৮

সাসুম বলেছেন: সহমত ভাই। এই ভিসিকে কে নিয়োগ দিয়েছে?? রাষ্ট্র! রাষ্ট্র কে চালায় ? সরকার? সরকার কে কে নিয়োগ দিয়েছে? সরকার নিজে।

তো পুরা সিস্টেম এ যেখানে জেনারেল লোকজনের কোন অংশীদারিত্ত নাই সেখানে জেনারেল স্টুডেন্ট রা কোন দুঃখে আন্দোলন করবে?

আসলে এই আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন। সরকার কে সাধুবাদ জানাতেই হয়।

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শাবি তে আন্দোলনে সাপোর্ট করা এক্স ছাত্রদের

এই দেখেন আমাদের সরকার ও কিন্তু ছেড়ে কথা বলছে না, আন্দোলন কারীদের কে সহায়তা করার অপরাধে তুলে নিয়ে গেছে এক্স ছাত্র দের।

সরকারের সাথে থাকার জন্য আপনাকে সাধুবাদ ভাই ।

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কখনই তার শিক্ষার্থীর উপর পুলিশি নির্যাতন চালাতে পারেন না। এটা সম্পুর্ন নৈতিকতা বিবর্জিত একতা কাজ। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বসে আলোচনা করতে পারতেন । সবাইকে বোঝাতে পারতেন তাদের দাবীগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সুস্থ সমাধানে আসতে পারতেন। তিনি তা না করে ছাত্রছাত্রিদের নোংড়া ইংগীত করে কথা বললেন। পুলিশ ডেকে এনে পেটালেন, গ্রেনেড চার্জ করালেন ভাই ওটা বিশ্ববিদ্যালয় কোন যুদ্ধ ক্ষেত্র না।

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: শান্তি এক জিনিস যা আমাদের দেশে নেই।
এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুপ থাকো। ভালো থাকো। কথা বললেই তোমার শত্রু তৈরি হবে। নিজের ইয়ানফসি করো। অন্যথায় ঘুম হয়ে যাবে। মিথ্যা মামলায় জেলে যাবে।

২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

সাজিদ! বলেছেন: আমারও সুযোগ হয়েছে সরকারি খরচে পড়ার। আমি জানি খাবারের মান কেমন।
আমি যা বলতে চাচ্ছি আরেকবার পরিষ্কার করি - যেহেতু ভিসি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সফল হন নাই আর উনার ভুল সিদ্ধান্তে উনার বিরুদ্ধেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে, তাই উনার পদত্যাগ করা উচিত। বিষয়টি সহজ। এরপর যেহেতু এখন সব সরকারিকরন, সরকার তাদের সময়ে তাদের ভিসি বসাক।
সব ধরনের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী বলা অনুচিত।

এবার আরেকটা কথা বলি ভাই, আপনি সাস্ট নিয়ে জানেন না বোধহয়, তাই ব্র‍্যাকের শিক্ষার্থীর রবোট বানানোর কথা বললেন আর সাস্ট যে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রথম ড্রোন বানিয়েছে সেটা উল্লেখ করতে ভুলে গেলেন। সাস্ট কোয়ালিটি প্রোগ্রামার/ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার / অন্য ইঞ্জিনিয়ার / গ্রাজুয়েট বানিয়েছে এবং এক হিসেবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্টে সাস্টের কোয়েশ্চেন লেভেল অন্যতম কঠিন। কাজেই যারা আন্দোলন করছে এরা ভেসে আসে নাই কেউ। এরা আন্দোলন করলেই যে এদের রাজাকার ও সরকার বিরোধী বলতে হবে তাও সঠিক নয়। যদি এমন হতো, প্রাইভেটে ভ্যাট বেড়ে গেলো আর ব্র‍্যাকের শিক্ষার্থীরা ভ্যাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করলো, তাহলে আপনিই তো ব্র‍্যাকের শিক্ষার্থীদের আবার সরকারবিরোধী বলবেন না সেটার নিশ্চয়তা কি? ( ভ্যাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন কিন্তু হয়েছিল, ব্র‍্যাকের শিক্ষার্থীরাও করেছিল সে আন্দোলন)।


সামনের ভালো বা মন্দ আল্লাহই ভালো জানেন। তবে এইটা অবশ্যই মনে রাখবেন, আমার আপনার চেয়ে অনেক বিদ্যান জ্ঞানী এসেছে ধরণীতে আর সবাই শুন্য হাতে বিদায় নিয়েছে। নতুনরা দখল করেছে পুরনোদের স্থান। ভালো থাকবেন।

২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মন্তব্য আমি উয়থড্র করে নিচ্ছি। ব্লগার সাজিদকে ধন্যবাদ একাই এই পোস্টে লড়ে যাবার জন্য। মামুলি অভিযোগের ভিত্তিতে ভিসির পদত্যাগ চাওয়াটা কিছুটা অগ্রহনযোগ্য বলে মনে হয়েছিল প্রাথমিকভাবে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে ঘটনা অন্যরকম। শাবির দুই ছাত্রকে যেহেতু বিনা ওয়ারেন্টে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে ,এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পদের ভিসি আসন দখল করে আছে। তিনিও ঢাবির ভিসির মতই একজন দলীয় পা চাটা দালাল যিনি পুলিশ ও সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর সহায়তায় পদ ধরে রাখতে অতি তৎপর।

২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

সাজিদ! বলেছেন: @ ঢাবিয়ান ভাই, এই লেখকসাহেবের আরেকটি অসম্পূর্ণ তথ্য সমন্ধে বলি। আজকেই প্রথম আলোতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খাবারের চালচিত্র নিয়ে চমৎকার প্রতিবেদন হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় - শিক্ষার্থীরা কী খাচ্ছেন, নজর নেই কারও

খাবারের মান দিনদিন বরং আরও খারাপ হচ্ছে। লেখক বলেছেন বিভিন্ন প্রতিমন্তব্যে - শিক্ষার্থীরা ফাউ খেতে আন্দোলন করছে। অথচ প্রতিবেদন পড়লেই বুঝবেন কারা ফাউ খায় আর ক্যান্টিন - হলের ডায়নিং নিয়ে বিজনেস করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৩০-৫০ টাকা নূন্যতম খরচ করতে হয় প্রতিবেলা খাওয়ার জন্য। আর ওইটাকা দিয়ে কি ধরনের খাবার দেওয়া হয় আর কি দেওয়া যেত তাও মিলিয়ে দেখুন।

এখন এই লেখকসাহেব ও হাসান বৈশাখী ভাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বলবে - " ফকিরের বাচ্চারা এত কি খেতে চাস? ডালের নামে হলুদ পানি, একটা ছোট পিস মুরগীর গোশতের টুকরো, আর মোটা চালের ভাত খা। " ( যদিও আমাদের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের ভিক্ষুকেরাও এখন মোটা চালের ভাত খায় না)
এই (ডালের নামে হলুদ পানি, একটা ছোট পিস মুরগীর গোশতের টুকরো, আর মোটা চালের ভাত) খাবার ঢাকাকে ভেনিস করার উন্নয়নের খাবার, ইউরোপ যেতে গিয়ে প্রান হারানো বাংলাদেশী যুবকের স্বপ্নের খাবার, এই খাবার "আমি দিয়েছি" উন্নয়নের খাবার। এই খাবার দুনিয়ার সেরা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। যারা এই খাবার অস্বীকার করে তারা স্বাধীনতার বিরোধী, রাজাকারের বাচ্চা।


লেখকের পোস্ট আর মন্তব্যের আরও অসঙ্গতি তুলে ধরলে আর পারসোনাল এটাক করলে ব্লগে তার সম্মান কিছু হলেও কমবে। তাই সেদিকে আর বেশীদূর গেলাম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.