নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ আল্লাহর ইবাদত না করা মূলত আল্লাহর কোন সমস্যা নয়

২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫২



সূরাঃ ১০৩ আসর, ১ নং আয়াত ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। মহাকালের শপথ।
২। মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ্য।

* মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ্য মানে আল্লাহ ক্ষতিগ্রস্থ্য নন। সংগত কারণে কেউ আল্লাহর ইবাদত না করা মূলত আল্লাহর কোন সমস্যা নয় এটা মানুষের সমস্যা।মানুষের এ সমস্যার সমাধান কি?

সূরাঃ ৫১ যারিয়াত, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। আমি জিন ও মানুষকে এ জন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমারই ইবাদত করবে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

সূরাঃ ৭ আরাফ, ৮ ও ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। সেদিনের ওজন করা সত্য। যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই সফলকাম হবে।
৯। আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতি করেছে।যেহেতু তারা আমাদের আয়াত সমূহের প্রতি অবিচার করত।

* মানুষের আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর কাম্য।আর আল্লাহ চির বিদ্যমাণ বিধায় আল্লাহর মানুষ থেকে ইবাদত পাওয়ার ইচ্ছা তাঁর চিরস্থায়ী ইচ্ছা। জান্নাতিদের জন্য আল্লাহর ইবাদত বাধ্যতা মূলক নয়। তাহলে বাধ্যতামূলকভাবে কারা আল্লাহর ইবাদত করবে? যাদের নেকের পাল্লা হালকা হবে পরকালে তারা ক্ষতির মধ্যে পড়বে। তারাই ক্ষতি থেকে বাঁচার বিনিময়ে চিরকাল বাধ্যতা মূলক আল্লাহর ইবাদত করার আরজি পেশ করবে। তাদের আরজি মঞ্জুর হবে কি?

সূরাঃ ১ ফাতিহা, ১ নং ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। সমস্ত প্রশংসা জগৎ সমূহের প্রতি পালক আল্লাহর।
২। যিনি অনন্ত দয়াময়, অন্তহীন মেহেরবান।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* সূরা ফাতেহার প্রথম দুই আয়াত দ্বারা অনুমেয় চিরস্থায়ী ইবাদতের বিনিময়ে চিরস্থায়ী ক্ষতির জাহান্নাম মওকুফ হবে। তবে জাহান্নাম বিলুপ্ত না হয়ে বিদ্যমাণ থাকবে। কথা থাকবে কেউ বাধ্যতা মূলক ইবাদত না করলে তাকে জাহান্নামে ফেলে দেওয়া হবে। তবে জাহান্নাম দেখার পর কেউ আর আল্লাহর অবাধ্য হবে না।সুতরাং জাহান্নাম বিদ্যমাণ থাকলেও তাতে কেউ বসবাস করবে না। জাহান্নাম মওকুফ হবে না এমন সব আয়াতের তবে কি হবে? নতুন পরিস্থিতির প্রয়োজনে আল্লাহ সেই সব আয়াত মানসুখ করবেন। আর ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহ জাহান্নামীদের প্রতিপালনের ব্যবস্থা করবেন। ইবাদতের বিনিময়ে আল্লাহ জাহান্নামীদের কোথায় রেখে প্রতিপালনের ব্যবস্থা করবেন?

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ৪৪ থেকে ৪৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। জান্নাতবাসিগণ অগ্নিবাসিদিগকে ডেকে বলবে, আমাদের রব আমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন আমরা তা’ সত্য পেয়েছি। তোমাদের রব তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন তা’ কি তোমরা সত্য পেয়েছ? তারা বলবে, ‘হ্যাঁ’।তারপর ঘোষক তাদের মধ্যে ঘোষণা করে বলবে,যালিমদের উপর আল্লাহর লানত।
৪৫। (তারা যালিম)যারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করত।আর তাতে বক্রতা তালাশ করত। আর তারা আখিরাত বিষয়ে অবিশ্বাসী।
৪৬। উভয়ের মাঝে পর্দা আছে।আর আরাফে কিছু লোক থাকবে যারা প্রত্যেককে তাদের লক্ষণ দ্বারা চিনবে।আর তারা জান্নাকবাসীদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের শান্তি হোক। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করেনি, কিন্তু তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত।
৪৭। যখন তাদের দৃষ্টি অগ্নিবাসীদের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তখন তারা বলবে, হে আমাদের রব আমাদেরকে যালিমদের সাথী বানিয়ে দিবে না।
৪৮। আরাফবাসীগণ যে লোকদেরকে লক্ষণ দ্বারা চিনবে তারা তাদেরকে ডেকে বলবে, তোমাদের দল ও তোমাদের অহংকার কোন কাজে আসল না।

* ইবাদতের বিনিময়ে আরাফে জাহান্নামীদের প্রতিপালনের ব্যবস্থা হবে। স্বপ্নে চার বার আল্লাহর সাথে আমার দিদার হয়েছে। কোরআনের আয়াতের ভিত্তিতে আমি যে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি এটি আমাকে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। যারা এ অবস্থায় পড়বে তাদেরকে আমি জিজ্ঞাস করেছি তারা কেমন আছে? তারা বলল ভালো নেই। তাদেরকে কাজ করে খেতে হচ্ছে। তারা যখন দেখবে এক দল লোক জান্নাতে বসে বিনা কাজে খাবার সহ সকল সুবিধা পায়, আর তারা সেটা পায় না, সেজন্য তাদের আফসুস হবে। যারা সেই খানের বাসিন্দা হয়েও ইহকালে পরোপকারী ছিলেন তারা সেখানে সম্মান জনক পেশা পাবেন। আর যারা ইহকালে নিখাঁদ মন্দ লোক ছিল সেখানে তাদের পেশা হবে নিম্ন মানের। আর এভাবেই আল্লাহ চিরস্থায়ী ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করবেন। আর তাতে তাঁর রাহমান ও রাহিম নামেরও বাস্তবতা বজায় থাকবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


নামাজ পড়ার নিয়ম কি পাক কোরআন মজিদে আছে?
তাহলে নামাজ পড়ার পদ্ধতি কি ভাবে জানবেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:


বিএনপি ওলামায়ে কেরাম থেকে সহজে শরীয়াহ আইন বুঝতে পারে

সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

* আল্লাহ যা বলেছেন তাতে ওলামা পরিষদের মাধ্যমে বিএনপি সহজে শরীয়াহ আইন বুঝে নিতে পারে।বিএনপি মহাসচিব বললেন তাঁরা শরিয়াহ আইন বুঝেন না-কথাটা এ কারণে বললাম। শরিয়া আইনের জন্য তারা তাদের ওলামা দলকে শরীয়া আইন প্রণয়নের দায়িত্ব দিতে পারে। ওলামা দল সংকলিত শরীয়াহ আইন সংকলনের নাম হবে “শরীয়াহ আইন”- সংকলনে: বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী ওলামা দল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণভোটে শরীয়াহ আইন পাস হলে তারা শরিয়াহ আইনে দেশ চালাবে। আর গণভোটে শরিয়া আইন পাস না হলে তারা প্রচলিত আইনে দেশ চালাবে। এক্ষেত্রে তারা বলতে পারবে জনগণ শরিয়াহ আইন চায় না সেজন্য আমরা শরিয়াহ আইনের বদলে প্রচলিত আইনে দেশ চালাচ্ছি।দেশের যে সব জনগণ শরিয়াহ আইন চায় বিএনপি শরিয়াহ আইন না বুঝলে তারা বিএনপিকে ভোট দিবে কেন? এক্ষেত্রে যারা শরিয়াহ আইন বুঝে যারা শরিয়াহ আইন চায় তারা তাদেরকে ভোট দিবে। জামায়াত বলছে তারা শরিয়াহ আইন বুঝে। যারা তাদের বক্তব্য সঠিক মনে করে তারা তাদেরকে ভোট দিবে। হেফাজত বলছে জামায়াতে ইসলাম ইসলামী দল না, ইসলামী দল হলো তারা। এ ক্ষেত্রে তারা শরিয়াহ আইন সংকলন তৈরী করতে পারে। সুন্নীরা বলছে হেফাজত ইসলামী দল না এটা ওহাবী দল। তাহলে সুন্নীরাও শরিয়াহ আইন সংকলন তৈরী করতে পারে। এরপর যে দলই ক্ষমতায় যাক তারা বিভিন্ন দলের শরীয়াহ আইনের উপর ভোটা-ভুটি করবে। তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের ভোটে যে শরিয়াহ আইন পাস হবে সে শরিয়াহ আইনে দেশ চলবে। কোন শরিয়াহ আইন সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটারের ভোট না পেলে প্রচলিত আইনে দেশ চলবে। এ নিয়ে মূলত ঝগড়া-ঝামেলার কিছু নাই।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আইনস্টাইন, গোর্কি, মেন্ডেলা, লালন, রবীন্দ্রনাথ, মাদার তেরেসা সহ কোটি কোটি মানুষ আল্লাহর ইবাদত করেন নাই। তাতে তাদের কি ক্ষতিটা হয়েছে?

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইবাদত করলে তাঁদের যে উপকারটা হতো ইবাদত না করায় তাঁদের সে উপকার হচ্ছে না। এটাই হলো ক্ষতি।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আল্লাহর ইবাদত করলে তিনায় অনেক খুশি হন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ তাঁর ইবাদত পছন্দ করেন। সেজন্য কিছু মানুষ ও জ্বীন দ্বারা তিনি তাঁর চিরস্থায়ী ইবাদতের ব্যবস্থা করবেন।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

মুশফিকুর রহমান পাভেল বলেছেন: তার সমস্যা না হলে , মানুষ বাউলদের ধরে মারছে কেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যা বলতে নেই সেটা বললে তো তারা মার খাবেই।

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬

কিরকুট বলেছেন: শুধু ইবাদত কেনো ? আপনি বা আমরা কেউই যদি তাকে জীবনকালে একবারও স্বরন না করি তাতে তার কিচ্ছু যায় আসে না । তিনি তার মতো আছেন । মূল সমস্যা আমাদের । আমরা তার ঠিকাদারি নিয়ে বসে আছি । অথচ তিনি তা করতে কখনোই বলেন নাই ।

আমরা বলি আমাদের আল্লাহ , আমাদের নবী , আমাদের পৃথিবী । অথচ, এই তিন কেউই আমাদের না । এই তিন মহাবিশ্বের । এর সোল এজেন্ড আমাদের দেয়া হয় নাই ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মতে কত জন একমত? অন্তহীন মতভেদে আমরা হাবুডুবু খাচ্ছি। যে কোন কথাই বলুন না কেন তাতে কেউ না কেউ মতভেদ করবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.