| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
রাজগঞ্জ বিষয়ক যুগান্তরের সংবাদ সত্য নয়
বেগমগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন নেতারা
গোলাম মহিউদ্দিন নসুঃ নিউজএজন্সিটুয়েন্টিফোর(২৭মার্চ বুধবার,নোয়াখালী):
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জে ২৮ ফেব্রয়ারীতে বিভিন্ন গ্রাম ও বাড়ীতে অগ্নিকান্ডসহ নারকিয় ঘটনার বিষয়ে যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সত্য নয়। ২৬ মার্চ রাতে চৌমুহনী পাবলিক হলে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ নেতারা এমন মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ করে তীব্র নিদ্্রা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক ; বেগমগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ডাঃ এবিএম জাফর উল্য্,া বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান;নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ভিপি মোহাম্মদ উল্যা,চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলার ট্রাষ্টি বিনয় কিশোর রায়।এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ এহসানুল আলম।
বক্তারা বলেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ২১ মার্চ এবং ২৬ মার্চ তারিখে প্রকাশিত সংবাদটি ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত । রাজগঞ্জ নিয়ে সংবাদ কালে যাদেরকে সূত্র হিসাবে উল্লেখ করেছে, তাদের অনেকে সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি উপস্থিত হয়ে বলেছে তাদের সাথে হানিফের কোন আলাপ হয়নি।
এ ছাড়াও নেতারা আরো দাবী করেন, বিভিন্ন বিষয়ে যুগান্তর অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে বলে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে । তারা আরো বলেন যুগান্তর প্রত্রিকার ষ্টাপ রিপোর্টিার মোঃ হানিফ নিজেই জামাত শিবিরের পরোক্ষকর্মী। এক সময় সরাসরি সে দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বিধায় উষ্কানী মূলক এমন সংবাদ প্রকাশ করে আবারো উশৃঙ্খলতা তৈরী করতে চায়। অসত্য সংবাদ প্রকাশের কারনে চাকরী গেছে, বিভিন্ন দলের রোষানলে পড়ে হয়রানী হয়েছে,হামলা-মামলায় পড়েছে ইত্যাদি রকমের অভিযোগও করেন। এ ছাড়া তারা আরো বলেন দৈনিক আমার দেশ, নয়াদিগন্ত পত্রিকাসহ আরো দু-একটিš পত্রিকা প্রকৃত সংবাদ লিখেন না। বেগমগঞ্জের কুরি পাড়া হিন্দু মন্দির চুরির ঘটনাকে তারা ‘মন্দিরে হামলা ভাংচুর’ বলে সংবাদ করেছে । অথচ চুরির ঘটনার চোরকে আটক করে কিছু মালামালও উদ্ধার করেছে পুলিশ।বিএনপি-জামাত- শিবিরসহ দৃ®কৃতিকারীরা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ২৮ ফেব্রয়ারী রাজগঞ্জে ৬৮ পরিবারের ঘরে, ১০টি দোকানে ও ৬টি মন্দিরে আগুনে দিয়ে হামলা ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট করে।
তাঁরা অরো বলেন, ঘটনায় জেলা উপজেলা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ন শান্ত। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার,দোকান ও মন্দিরে সরকারী ভাবে ১৭০ বান ঢেউ টিন, নগদ ৪ লাখ ৮০ হাজার, জিআর চাউল- ১১ টন, আলু- ২শ কেজি , মশারী ডাল ১৬০ কেজি, ঘর নির্মানে ব্যায় বাবত ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা সহ ১৬টি খাট/ ছকি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালী সদর আসনের এমপি,জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক একলামূল করিম চৌধুরী ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, জেলা পরিষদ প্রশাসক ্এবিএম জাফর উল্যা প্রতিটি ক্ষতি গ্রস্থ পরিবারে ৫০ হাজার টাকা, প্রতিটি মন্দিরে ১ লাখ টাকা, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি এনায়েত উল্যা,পৌর মেয়র মামুনুর রশিদ কিরনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি সামাজিক সংগঠন প্রচুর সহায়তা দিয়েছে। যার ফলে রাজগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থ কোন পরিবার এখন আর খোলা আকশের নীচে নেই। কোন প্রকার কষ্টে আছে বলা যায় না। জামাত বিএনপির এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একাত্তর জনকে এজারহার ভূক্ত আসামী এবং ২/আড়াই হাজার লোককে সন্দেহ মূলক আসামী করে মামলা করেছে। এ মামলায় ৫৯ জনকে আটক করে বিভিন্ন খোঁজ খবর করে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পুলিশ কোন নিরপরাধ লোককে আটক রাখেনি এবং কোন মামলায় জড়ায়নি। বর্তমানে পুলিশের হাতে আটককৃতরা অনেকেই বিএনপি-জামাতসহ খারাপ চরিত্রের লোক।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
তারিখঃ২৭,৩,১৩
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
©somewhere in net ltd.