নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেজাল সার উৎপাদন- আমদানী- বিপনন বন্ধে নোয়াখালীতে কৃষক শুনানী

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

ভেজাল সার উৎপাদন- আমদানী- বিপনন বন্ধের দাবীতে

নোয়াখালীতে কৃষক শুনানী অনুষ্ঠিত

গোলাম মহিউদ্দিন নসু; নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ;নিউজ এজেন্সি টুয়েন্টি ফোরঃ

ভেজাল সার আমদানী- উৎপাদন ও বিপনন বন্ধের দাবীতে ২৮ মার্চ নোয়াখালী বিআরডিতে ‘কৃষক শুনানী” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উন্নয়ন সংস্থা প্রানের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন প্রানের নির্বাহী পরিচালক নূরুল আলম মাসুদ। আলোচনা করেন উন্নয়ন সংস্থা এন আর ডিএস-ও নির্বাহী পরিচালক আবদুল আউয়াল, নোয়াখালী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আবু তাহের, জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক জাফর উল্যাহ বাহার, চৌমুহনী প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন নসু, সাংবাদিক রুদ্্র মাসুদ, জামাল হোসেন বিষাদ, বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের লাকি মেম্বার, কৃষক বেলায়েত হোসেন, মজিবুল হক রায়হান, দত্তের হাট আঞ্চলের সার ডিলার গোলাম মাওলা মাহবুব প্রমূখ।

আলোচনা শুরুতে উপস্থাপিত সেমিনার পেপারের মাধ্যমে জানানো হয়, বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সারা দেশের সতের রকমের সারের পরীক্ষা করে দেখেছেন, ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া ৪২ থেকে ৫০ শতাংশ সারেই ভেজাল রয়েছে। সার উৎপাদন আমদানী বিপননের সরকারী আইন-নীতিমালা ,কৌশল থাকলেও ডিলার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রকাশ্যে ভেজাল সার বিক্রি করছে। সারে ভেজালের পরিমান বা‡ছ্। অপরিকল্পিত নগরায়নে গিলে ফেলছে কৃষি জমি আবার অন্যদিকে ভেজাল সারের কারনে উর্ববতা হারাচ্ছে কৃষি জমি। এ সব সার ব্যবহার করে উৎপাদিত খাদ্য গ্রহন করে মানুষ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গনমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানায়, ভেজাল সারের মধ্যে ইটোর গুড়া,মাটি, বালু, কাচের টুকরা,মুগির বিষ্টা, কারখানার বজ্য ইত্যাদি মিশিনো হয়। এতে মাটি ও পানি দূষন করে ফসলি গাছে রোগ বালাইয়ের জন্ম দেয়, গাছের খাবার গ্রহন ক্ষমতা কমে যায়। ভেজাল সার ব্যবহার করে উৎপাদিত খাদ্য গ্রহন করলে ক্যান্সার, ব্রেউন টিউমার, কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

ভেজাল সার উৎপাদন-আমদানী ও বিপনন বন্ধে সেমিনারে পেপারে করা হয়, ১. উপজেলা পর্যায়ে কর্মকত্র্দের কাছে সারে ভেজাল চিহ্নিত করার জন্য যে তহবিল রয়েছে তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ২. সার বীজ মনিটরিং কমিটিতে কৃষক সংগঠনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। ৩.সারের মান নিয়ন্ত্রন এবং চিহ্নিত করার জন্য ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের সাথে ল্যাবরেটরী গড়ে তোলতে হবে. কৃষি আদালত গঠন করতে হবে ৪. জৈব সার তৈরীর জন্য কৃষক উদ্ধুদ্ধ করন ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।৫. কৃষক পর্যায়ে সার পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা কিট সরবরাহ করতে হবে ৬. কৃষি কর্মতাদের সুপারিশ পত্র ছাড়া কোন বালাই নাশক বা সার বিক্রি করা যাবে না। ৭.কৃষি বিষয়ক চলমান আইনের কঠোর প্রয়্গো নিশ্চিত করতে হবে। ৮. কৃষকদের নিয়ে আরো বেশী বেশী সচেতনতা সভা করতে হবে ৯.কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার যোগাযোগ আরো বাড়াতে হবে।

হরতালের অজুহাত আজকের আলোচনায় কৃষি বিভাগের কোন প্রতিনিধি না থাকায় অসন্তেষ প্রকাশকরা হয়।

সকালে ভেজাল সার উৎপাদন- আমদানী ও বিপনন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়। #



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.