নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীর সরকারী হাই স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংকট চরমে॥ কোচিং ব্যবসা জমজমাট

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫



নোয়াখালীর সরকারী হাই স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংকট চরমে॥ কোচিং ব্যবসা জমজমাট



গোলাম মহিউদ্দিন নসুঃ নোয়াখালী

নোয়াখালীর সরকারী স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংকটের কারনে ফলা ফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ফলাফলের উন্নয়নের কথা বলে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানো ব্যবসা জমজমাট চলছে।

সরকারী স্কুলে শিক্ষার মান ভাল এমন বাস্তবতার কারনে অভিবাবকরা চেষ্টা করেন সে সব স্কুলে তাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করাতে। সম্প্রতি সময়ে শিক্ষক সংকটের ফলে জেলার প্রায় সকল হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়া লেখা দারুনভাবে বিঘিœত হওয়ার কারনে ফলাফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। স্কুলে প্রয়োজনীয় শিক্ষক দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা বিভিন্নসময়ে অনেক স্কুলে মানববন্ধন-স্থানীয় ইউএনওকে স্বারকলিপি প্রদান -সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচী পালন করেছে।শিক্ষকরা এ সূযোগকে কাজে লাগিয়ে ফলাফলের উন্নয়নের কথা বলে সকল শিক্ষার্থীকে কোচিং ফি প্রদানে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নেয়ার সংবাদ জানা গেছে। অথচ সরকারী ফি ছিল ১২ শ থেকে ১৪শ।

নোয়াখালী গভঃ জেলা স্কুলে ৫০ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে।বর্তমান ছাত্র সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। প্রধান শিক্ষক-সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৮টি পদ শূন্য রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে জেলায় শীর্ষস্থান অর্জন এবং কুমিল্লা বোর্ডের সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম থেকে ১০ স্থান অর্জন করলেও এবছর তা অজর্নে সক্ষম হয়নি। ছাত্র ভর্তি কালে অভিবাবকদের থেকে টাকা আদায় করেন বলে একাধিক এডভোকেটরা অভিযোগ করেন। এ সব নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে রবিবার দুপুরে ৬১৩৫৪ নাম্বারে অনেকবার রিং করলে কেউ রিসিভ করেনি।

নোয়াখালী গভঃ গালর্স হাই স্কুলে শিক্ষক পদের সংখ্যা ৫৩ জন। কর্মরত আছেন ৩১ জন । সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ ১৪টি শিক্ষক পদ এবং প্রধান সহকারীসহ ৪ জন পিয়ন পদ শূন্য রয়েছে। ৬ জন শিক্ষক প্রশিক্ষনে রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা ১৯শ প্রায়।

প্রধান শিক্ষক আবু জাফরমোঃ নুরুল আমিন জানান, সম্প্রতি সময়ে প্রশাসনের সাথে কোন ঝামেলা নেই। বিগত বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৩২৫ জন, পাশের হার ছিল ৯৮ শতাংশ, এ প্লাস পেয়েছে ৫১ জন । ভালো ফলাপলের জন্য স্কুলের শিক্ষক সংকট দও করা প্রয়োজন। শিক্ষক প্রেরনের জন্য কতৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। স্কুলের একটি অডিটরিয়াম নিমার্নের জন্য স্কুল ভবনের পিছনের প্রায় ১৪ শতক পরিত্যাক্ত ডোবা ভরাট করা খবুই জরুরী।ফলাফল উন্নয়নের প্রয়োজনে কোচিং ব্যবস্তা চালু আছেন বলে জানান।

বেগমগঞ্জ গভঃ টেকনিক্যাল হাই স্কুলে ২৭ জন শিক্ষকের স্থলে প্রধান শিক্ষকসহ ১৫টি পদ শূন্য।

বেগমগঞ্জ গভঃ পাইলট হাইস্কুলে ২৩ জন শিক্ষকের স্থলে ১০টি পদ শূন্য। ১৩ জনের মধ্যেও ১ জন ট্রেনিংয়ে ১জন ডিপুটেশনে চট্রগ্রামে চাকরি করেন। ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৬১৯ জন। প্রধান শিক্ষক সুপাল চন্দ্র শীল জানান, শূন্যপদে শিক্ষক চাহিদা বহুবার দেয়া হয়েছে। ডিপুটেশনে কর্মরত শিক্ষকের বিষয়টি বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা জানেন। শিক্ষক কম হলে ক্লাস চালাতে অসুবিধা তো হবেই।স্কুলে কোচিং বিষয়ে তিনি বলেন ,অভিবাবকদের মতামত নিয়ে ৮ম শ্রেনীর কোচিং চালু আছে। শির্ক্ষাথীর সংখ্যা ১০০ জন।সরকারীভাবে প্রতিজনে প্রতিবিষয়ে ১৫০ টাকা নেয়ার সরকারী অনুমতি রয়েছে।

এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ গর্ভঃ এএইচ হাইস্কুলে ১৯টি পদে ৬টি পদ শূন্য। ১ জন প্রশিক্ষনে। প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের জানান, পুরো স্কুলে ১ জন মাত্র অংকের শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষকের জন্য বহুবার চিঠি দিয়েও কোন লাভ হয়নি। শিক্ষকের অভাবে ফলাফল আশানুরুপ হয় না। গত বছর এসসিতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৭০ জন পাশ করেছে ১৬৮ জন, এ প্লাস ছিলো ৮ জন। তিনি বলেন বিদ্যালয়টি অনেক দিনের পুরানো বিধায় কিছু সংস্কার কাজ করা প্রয়োজন।

কোম্পানীগঞ্জ মাকসুদা গভঃ গালর্স হাই স্কুলে ২৫টি পদেও ৪টি পদ শূন্য।

হাাতিয়া শহর গভঃ হাই স্কুলে ২৭টি পদে ২০টি পদই শূন্য। বর্তমান শিক্ষার্থী ১৭০ জন। গত বছর এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৬ জন, পাশ করেছে ২২ জন।জেএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিলো ৩২ জন পাশ করেছে ১৯ জন। তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক মতি লাল মার্চ মাসে যোগ দান করেছেন। এখানে কোন শিক্ষককে বদলী করা হলে থাকেন না । কয়েক মাসের মধ্যে বদলী হয়ে চলে যায়।

হাাতিয়া উপজেলা গভঃ হাই স্কুলে ১৪টি পদের ৮টি শূন্য।চাটখিল গভঃ হাই স্কুলে ১৬টি পদেও ৫টি শূন্য।

সেনবাগ গভঃ পাইলট হাই স্কুলে ২০টি পদের ১৫টি পদই শূন্য। প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলাইমান জানান, বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা সাড়ে ৫ শ। শিক্ষকের অভাবে লেখা পড়া চরম বিপর্যয়ের মূখে। অনেক বার শিক্ষকের জন্য চিঠি দিয়ে কোন ফল হয়নি।গত বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১০১ জন এ প্লাস ছিলো ১ জন, ফেল করেছে ৩ জন।

সেনবাগ গভঃ গালর্স হাই স্কুলে ১৮টি পদের ১০টি শূন্য।

এসব শূন্যপদ ও স্কুলের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সরকারী স্কুলগুলির কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। স্কুলের যাবতীয় বিষয়গুলি বিভাগীয় শিক্ষা অফিস দেখেন। তবে জেলা ,উপজেলা প্রশাসন বা জেলা শিক্ষা অফিস কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কতৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করতে পারেন।#



গোলাম মিহউদ্দিন নসু

নোয়াখালী

০১৭১৪৮৪০৮৯৪

তারিখঃ২২.৪.১৩



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.