নোয়াখালী ‘ মহাসেন’ মোকাবেলায় প্রস্তুত

১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নোয়াখালী ‘ মহাসেন’ মোকাবেলায় প্রস্তুত

গোলাম মহিউদ্দিন নসুঃ নিউজ এজেন্সিটুয়েন্টিফোর নোয়াখালীঃ



সমুদ্রে সৃষ্টঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ এর কারনে নোয়াখালী জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা মোকাবিলায় যা যা করা দরকার তার সকল প্রস্তুতি নিয়েছে নোয়াখালী প্রশাসন। এর আঘাত থেকে রক্ষা পেতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই নোয়াখালী-হাতিয়া রুটে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সকল প্রকার নৌযান নিরাপদ দুরত্বে থাকতে বলা হচ্ছে।



সতর্ক বার্তা প্রচার করার পাশাপাশি মেঘনা নদী উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে ্র। জনগণকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অতিরিক্ত নৌযান। সমুদ্র উপকুলের বন্দর সমুহে ৪ নং সতর্কতা সংকেত জারি পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে জেলার সর্ব দক্ষিণের নিঝুম দ্বীপসহ বিচ্ছিন্ন চরের বাসিন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।



গত রোবাবার বিকেলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার জন্য একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সময় দুর্যোগ পূর্ববর্তী সতর্ক বার্তা প্রচার, শিশু ও বয়স্কদের ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, শুকনো খাবার মজুদ রাখাসহ জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।



নিঝুম দ্বীপসহ হাতিয়া উপজেলায় ৩নং সতর্কতা সংকেতের বার্তা প্রচারে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া সাগর সংলগ্ন নদী পথে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলার ১১৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রশাসনের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্টের আশ্রয় কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।



উপকূলীয় উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন ষূত্রে জানা গেছে। যে কোনো দূর্যোগ মোকাবেলায় আশ্রয়ণ কেন্দ্র, উদ্ধার কাজের জন্য যানবাহন ও নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।#

০ টি +০/-০