| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু.নিউজএজেন্সিটুয়েন্টিফোর,নোয়াখালীঃ
এলজিএসপি নামের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিন্টু কে অপসারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোছাঃ কামরুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক পত্রে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানকে অপসারন করে পদ শূন্য করে গেজেট প্রকাশের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের স্থাসবি/ইপ/ইউপি-১/২০০৮/২২০ নং স্মারকে প্রেরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়- সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এলজিএসপি প্রকল্পের ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪)(ঘ) ধারার বিধান মোতাবেক তাঁকে অপসারণ করা হয়। এ কারনে তার পদ শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়। কামরুজ্জামান কতৃক আতœসাৎ কৃত ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র এবং উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোনাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা বেগম এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের তদন্ত দল কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পায়।
মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত পত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদ থেকে কামরুজ্জামানকে অপসারণের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন২০০৯ এর ৩৫(২) ধারা অনুযায়ী সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য ঘোষণা করেন।
সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা বেগম জানান, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশান অনুযায়ী সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদ শূণ্য ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে গেজেট প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শুক্রবার রাতে সোনাইমুিড় উপজেলা চেয়ারম্যান আফম বাবুলের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ দূর্নীতি করলে তাকে সাজা পেতেই হবে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন , স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রনালয় ও ইউএনও বিষয়িটি তদন্ত করে যথার্থ প্রমান পেয়েছে। সে মতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে অপসারিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।#
©somewhere in net ltd.