নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেসটিনির এখন কি হবে,মন্ত্রী- আমলারা কি বলবেন ?

২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৬



---গোলাম মহিউদ্দিন নসু



ডেসটিনি-২০০০ লিঃ দেশের শীর্ষ মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা নেট ওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী বলে দাবী করা হয়। এ কোম্পানীর আয়োজিত নানামূখী সভা-সমাবেশে দেশের অনেক মন্ত্রী- এমপি এমন কি দেশের বড় বড় আমলা- কর্তা ব্যাক্তিগনরা এসব সভায় যোগ দিতেন। শুধু কি তাই? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ডেসটিনিকে পাশে থাকার আহব্বান করতে শুনা গেছে। এদের অনেকে ডেসটিনির কোন কোন ব্যবসায়ীক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়েছেন। দেশের বেকারত্ব গুছাবেন, বাংলাদেশকে অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বের মাঝে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করবে। ডেসটিনি সৎ-আদর্শ-কর্মঠ মানুষ গড়ার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আরো কত কথা---।

ডেসটিনির বিভিন্ন সভায় অতিথি হয়ে আসা ভারী লোকজানরা এমনই বলেছিলেন। অথবা তাদের সামনে ডেসটিনির কথার যাদুকর লোকেরা এমন বলেছিলেন। এ বলা বলি- শোনা শুনির মাঝে পত্রিকায় দেখা যেতে ‘ডেসটিনি কো-অপারেটিভ সমিতি’র বার্ষিক সাধারন সভার (এজিএম)অনুমোদিত রিপোর্ট। গাছ-মাছ- হাড়ি-পাতিল- ওষুধ- বিষুধ বেচা বিক্রির কথাতো আছেই। একটি মিডিয়া সেলসহ ৩০টির বেশী ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে প্রকাশ্যে কাজ চালিয়ে গেছে। তন্মধ্যে দান- অনুদান, সেবা ও শিক্ষা মূলক প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু উদাহরন যোগ্য। এ সকল ব্যবসা ও সেবা মূলক কর্মকান্ড সরকার কতৃক অনুমোদিত বটে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিয়ম মাপিক পরীক্ষা-নিরেক্ষা করতেন বলে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হতো বা কতৃপক্ষ দাবী করতেন।ডেসটিনি ও বৈশাখী টিভি চ্যানেলের মতো লোকসানি প্রতিষ্ঠান দুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ঢাকার প্রান কেন্দ্র ফার্মগেট এলাকায় আনন্দ-ছন্দ সিনেমা হল জায়গা সহ খরিদ করে উৎপাদন মূখী প্রকল্প করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। এরই মধ্যে কাকরাইলের ডায়মন্ড বিল্ডর্স ভবন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন প্রস্তাব,কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বিশ্বমানের হোটেল নির্মান এবং সর্বোপুরী ডেসটিনির নিয়ন্ত্রনে ৪৫ লাখ সক্ষম জনবল একত্রিত হওয়া যেন আসমানীগজব হয়ে এলো। যার তোড়ে ভীত হয়ে ডেসটিনি মঞ্চের মন্ত্রী-এমপি-কর্তা ব্যক্তিরা এখন কেউ মূখ খুলছে না।

অর্থ মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ ব্যাংক, বানিজ্য মন্ত্রনালয়, সমবায় মন্ত্রনালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়,ভুমি মন্ত্রনালয়, দুদক বা অন্য যারা সংলিষ্ট আছেন কে কি অনিয়ম পেলেন। এক বছরের মতো সময় ৪৫ লাখ লোককে আকাশের দিকে তাকিয়ে রাখা হলো। তাদের এ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রতি অপেক্ষায় থেকে এক কোটির মতো পরিবার অনিশ্চয়তায় ভূগছে। তাদের ছেলে মেয়ে, ভাই-বোনের পড়া লেখা. বৃদ্ধ মা- বাবার বরন পোষন তথা পুরো পরিবার যেন চাপিয়ে দেয়া কষ্ট ভোগ করে চলেছে। না আছে তাদের কাজের নিশ্চয়তা, না পাচ্ছে জমা করা অর্থ বা ব্যবসায় পূজি খাটানো টাকার মুনাফা। দেশের সাধারন লোক, অর্ধ শিক্ষিত বা শিক্ষিত লোক জনরা এ ডেসটিনির কাজকে জানতে গিয়ে দেখে ছিলেন মন্ত্রী এমপি-বড় বড় কর্তারা ডেসটিনির সফলতার জন্য আশির্বাদ করছে। এ সব দেখে-শুনে যারা গিয়ে ভূল করলেন! যদি এমন বলা হয়, তা হলে যারা মঞ্চে বসে সাক্ষীর ভূমিকা নিলেন তাদের বিষয় কি বলবেন। ডেসটিনির এখন কি হবে- সেদিনের মঞ্চে বসা দেশের মন্ত্রী-এমপি- আমলারাই কি বলবেন।#



#লেখকঃ সাংবাদিক ও সমাজকর্মী

তারিখঃ ২৬.৫.১৩



(দু’টি ছবি দেয়া হলো)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.