নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীর রাস্তায় রেজিষ্টেশন বিহীন হাজারো মটর সাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো ট্যাক্সী

৩১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

শতকার ৮০ভাগ ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই---

নোয়াখালীর রাস্তায় রেজিষ্টেশন বিহীন হাজারো মটর সাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো ট্যাক্সী



গোলাম মহিউদ্দিন নসু , নোয়াখালীঃ

নোয়াখালী জেলার সর্বত্র হাজারো রেজিষ্টেশন বীহিন সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত আটো ট্যাক্সী ,মটর সাইকেল, হিউম্যান হলার শ্রেনীভূক্ত মিনি বাস/রাইডার গাড়ী অবাধে চলছে।এগুলি রেজিষ্টেশন আওতায় আনা গেলে এবং ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিশ্চিত করা গেলে আশাতিত রাজস্ব আয় হবে এবং সড়ক দূর্ঘটনাও ব্যপক হারে কমে যাবে।

জেলার গুরুত্বপূন একমাত্র্র বানিজ্যিক শহর চৌমুহনী বাজারের যানজট নিরসনে উপজেলার শীর্ষ কর্মকর্তা ও পরিবহন কতৃপক্ষদের নিয়ে সম্প্রতি এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফুটপাতে হকার আর রেজিষ্টেশন বিহীন সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারদেরকেই চৌমুহনী বাজারে যানজটের অন্যতম কারন বলে চিহ্নিত করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দায়িত্বপূন ভূমিকা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হয়।

এ নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রহমানের সাথে আলাপে জানা যায়, জেলায় মটর সাইকেল রেজিষ্টেশন হয়েছে ৫হাজার ১৪০টি, ড্রাইভিং ল্ইাসেন্স হয়েছে-২হাজর ৩৩৭টি।হিউম্যান হলার রেজিষ্টেশন আছে ৩৫টি।সিএনজি অটোটেক্সী রেজিষ্টেশন হয়েছে ৮হাজার ২০০টি যা ৮ হাজার ৫০০ হতে পারে।,ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে ১০০টি। ব্যাটারী চালিত কোন গাড়ী বিআরটিএ রেজিষ্টেন মেয়নি। দু চারটি পৌরসভায় দিলেও াে বিষয়ে সরকারের সুনিষ্টি নীতি মালা নেই। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ গাড়ীগুলি জেলার শাখা সড়কে আপাততঃ চলার কথা থাকলেও প্রধান সড়কে চলা নিষেধ রয়েছে।

বর্তমানে মটর সাইকেল রেজিষ্টেশন ফি ৯ হাজার ৫৪৫ টাকা থেকে ১৬ হাজার ৪৪৫ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২ হাজার ৫৩০ টাকা। তবে যে কোন মটর সাইকেল একবার রেজিষ্টেশন করলে ১০ বছর যাবত রেজিষ্টেশন নবায়ন করার প্রয়োজন হয় না। লাইসেন্স ছাড়া অঋজ বা আবেদিত লিখে যে সব গাড়ী রাস্তায় চলে তা সম্পূর্ন অবৈধ।

সিএনজি রেজিষ্টেশন ফি সাড়ে ৮ হাজার টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ১ হাজার ৬৬৮ টাকা। হিউম্যান হলার,টেম্পু , মিনি বাস বা রাইডার রেজিষ্টেশন ফি ১৫ হাজার ৬৮২ টাকা। মাইক্রো রেজিষ্টেশন রেজিষ্টেশন ফি ৭০ হাজার ৮৫৬ টাকা। প্রাইভেট কার রেজিষ্টেশন ফি ২৮ হাজার ৩৯০ থেকে ৭৫ হাজার ৫৫৭ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স- পেশাদার ২১৮ জন, অপেশাদার- ১৬৩জন। বাস রেজিষ্টেশন ফি ৩৮ হাজার ৪৬০ টাকা।

সিএনজির একাধিক মালিক ও ড্্রাইভারের সাথে আলোচনায় তারা জানায়, নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অন্তত ১৫ হাজার সিএনজি অটো-টেক্্রী চলে। গাড়ীর রেজিষ্টেশনের জন্য জেলা বিআরটির সাথে যোগাযোগ করলে নোয়াখালীতে আর কোন গাড়ীর রেজিষ্টেশন দেয়ার সিরিয়াল নাই বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু জেলায় যে সব সিএনজি বিক্রয় কেন্দ্র আছে,সেগুলিতে ৫০ হাজার টাকার কন্টাক করলে তারা নতুন গাড়ীর রেজিষ্টেশন করে দেয়। অথবা কেউ কেউ লক্ষিপুর জেলায় ২৫/৩০ হাজার টাকায় রেজিষ্টেশন করে। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে মাসে ২শ টাকা করে মাসিক বখরা দিতে হয়,যাকে “ পুলিশ মান্থলী” বলে। প্রসঙ্গত তারা জানায়, জেলায় যে সব গাড়ী রেজিষ্টেশন ছাড়া অথবা ভিন্ন জেলার রেজিষ্টেশন চলে সেগুলির প্রতিটি ২শ টাকা, এবং স্বাভাবিক ভাবে প্রতি গাড়ীতে ১শ টাকা করে মান্থলী দিতে হয়। প্রসঙ্গিত প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, মালীক বা শ্রমিক সমিতির নেতারা এ ক্ষেত্রে জিম্মি। টাকা না দিলে কারনে অকারনে ট্রাপিকরা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। মামলা দিলেও পুলিশের কাছে ধরনা দিলেও মামলার কাগজ ও জরিমানার টাকা রেখে দেয়। কিন্ত কোন রিছিট দেয় না। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। তাছাড়া রেজিষ্টেশন ছাড়া বা ভিন্ন জেলার রেজিষ্টেশনে গাড়ী চলানোর আইন নাই। আলোচনায় আরো জানা যায়, চৌমুহনী এলাকায় হাবিলদার মিলন , মাইজদিতে হাবিলদার আবু তাহের এ সব টাকা মাসের প্রথম সাপ্তাহে কালেকশন করে।

বাস- মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের জনৈক নেতা জানান, সুগন্ধা; জননী,আল আমিন নামের কয়েকটি এবং হিউম্যান হলার ধরনের বেশ কিছু গাড়ী বডি ফিটনেস বা ইঞ্জিন ফিটনেস বিহীন পুলিশকে টাকা দিয়ে চলে।বিশেষ করে হিউম্যান হলার বা মিনি বাস গুলির ভাড়ার কোন রেইট মানে না। এ গুলি সোনাপুর থকে সেনবাগ চলার কথা থাকলেও সেনবাগ না গিয়ে চৌমুহনী থেকে ফেরৎ যায়। গাড়ী গুলির চালক বা হেলপারদের কারই কোন কাগজপত্র নাই বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। প্রায়ই পথে ঘাটে গাড়ী বিকল হয়ে যাত্রীর দূর্ভোগ ঘটছে।

নোয়াখালী জেলা ট্রাপিক ইনিসপেক্টর সাখাওয়াত হোসেনের সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার আলাপ হলে তিনি এসব অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। প্রতি সাপ্তাহে মোবাইল কোর্ট করে অনিয়ম রোধের চেষ্টা করা হয়। কিছু গাড়ী পাওয়া যায় সেলস রিসিট(ক্যাশ মেমো) দেখায়, যার কোন আইনগত বৈধতা নাই । নোয়াখালীতে ১০ হাজারের বেশী সিএনজি আছে বলে ধারনা করেন। শহর এলাকায যে পরিমান গাড়ী থাকার কথা তার থেকে বেশী চলছে। যে সকল ইজি বাইক শহর এলাকায় চলে এ গুলি অন-অনুমোদিত। তবে বিষয়টি পৌরসভা নিয়ন্ত্রন করে।

সিএনজি অটোটেক্্রীর রেজিষ্টেশন নাম্বার না থাকার কথা বলে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দালালের মাধ্যমে রেজিষ্টেশন দেয়া হয় এমন প্রশ্নে বিআর টিএর সহকারী পরিচালক বলেন বিষয়টি সত্য নয়।তবে রেজিষ্টেশন সিরিয়াল শেষ পর্যায়ে কিন্তু এখনো দেয়া বন্ধ হয়নি।



গোলাম মিহউদ্দিন নসু

নোয়াখালী

০১৭১৪৮৪০৮৯৪

হাই লাইটসঃ * ১০-১৫ হাজার সিএনজি রাস্তায় ---নোয়াখালী অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে ১০০ জনের।

ক্স সিএনজি রেজিষ্টেশন ফি সাড়ে ৮ হাজার - ৫০ হাজার আদায় হয় বলে অভিযোগ

ক্স ট্রাপিক মান্থলি ওপেন সিক্রেট



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.