নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চৌমুহনী বাজারের রামরাজত্ব কার

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

চৌমুহনী বাজারের রামরাজত্ব কার

---গোলাম মহিউদ্দিন নসু

নোয়াখালী জেলার শ্রেষ্ঠ বানিজ্যিক শহর চৌমুহনী। এক সময় সারা বাংলাদেশে সুখ্যাতি ছিল। আবার ইরান-ইরাক তথা পুরো আরব্য এলাকা থেকে বনিকেরা একখানে বানিজ্যের জন্য আসতো, এমন জনশ্র“তি রয়েছে। নানা তাগিদে গড়ে উঠা চৌমুহনী বাজার পরিকল্পনা আর ব্যবস্থাপনার অভাবে শুরু থেকেই বিশৃঙ্খল ছিল। নিকট অতীত নিয়ে যদি বলি, হাজিপুর গনিপুর করিমপুরের কিছু প্রভাবশালী লোক সময়ে সময়ে আধিপত্য বিস্তার করলেও ব্যবসা আর নিজেদের মালিকা নিয়েই ছিল ব্যস্ত।১/২শ বছরের পরের চৌমুহনীর স্বপ্ন কেউ দেখেনি।চৌমুহনী বাজারে সৌন্দয্য সভ্যতা বরাবরে অনুপস্থিত থেকে গেছে। নৌযান চলাচলের খালগুলো দখল করে বাড়ীঘর-দোকানপাট নির্মান যেন প্রতিযোগিতাই ছিল। শেষতক নৌকা চলে না বলে নৌকাঘাটটিও দখলে নেয়। যার স্মৃতি এখন খুজে পাওয়া যাবে না।যে; যে ভাবে পেরেছে-দখল করেছে। যেন সবাই রামের রাজত্বের অধিকারী।

পূর্ব পূরুষের মালিকানার পাশাপাশি পেশী শক্তির অবস্থান ছিল প্রকোট। স্বার্থে অন্ধ এ জনগোষ্ঠি নিজেদের ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎটাও এমন ভাবে গড়েছে যেন নিয়ম নীতি সভ্যতা সৌন্দয্য শব্দের সাথে কেউ পরিচিত নয়। এ ধারা বাহিকতায় চৌমুহনী হারাতে বসেছে, তার অতীত ঐতিহ্য,সুখ্যাতি।এখন অনেকে বাজার করে চৌরাস্তা, কেউ চলে যায় জেলা সদর মাইজদির বিভিন্ন বাজারে। এখানের ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে গঠন করা সমিতির ছত্রছায়ায় রাজত্ব পরিচালনার চেষ্টা করছে। অবশ্য বাজার মূল্য তাদের নিয়ন্ত্রনে নিলেও জন সুবিধাটা সে ভাবে বিবেচনায় নিচ্ছেন না। চৌমুহনী পৌরসভা বাস-ট্রাক ষ্টান্ডের জন্য একাধিকবার জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যসায়ীদের যোগসাজশে সেগুলিতে গড়ে তুলেছে দোকান-পাট। ইচ্ছে আদের। বলার কে? রামের রাজত্ব তাদের।

রাস্তার গাড়ী রাস্তায় রয়ে গেল। পৌর সভা গাড়ীর ষ্ট্যান্ড দিতে না পারলেও পৌর এলাকায় প্রবেশ করেছে- এমন দাবীতে ঠিকই পৌর ট্যাক্স আদায় করছে। রাম রাজত্ব তাদের।

সিএনজি চালিত অটোট্যাক্সিগুলির জন্য করিমপুর রোডে ১০/১৫টি গাড়ী রাখার জায়গা নির্ধারিত থাকলেও শত শত গাড়ী থাকে রাস্তায়। যেন এটিই তাদের ষ্ট্যান্ড। যার যেমন খুশি। রাম রাজত্ব তাদের।

ব্যাটারী চালিত কয়েক শ অটোরিক্সা যাদের কোন কতৃপক্ষ নেই।না আছে গাড়ীর রেজিষ্টেশন; না আছে ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিআরটিএ কতৃপক্ষ বলছে এদের বিষয়ে কোন নীতি মালা নেই। পুলিশসহ সকল কতৃপক্ষের সামনে থেকেই সমস্যা তৈরী করে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলছে না।ঔরা রাম রাজত্বের উত্তরাধিকারী। মনে হয় ,এরা এমন গোত্র এদের ধরলে যে কোন ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। অবশ্য ভোটের ক্ষতি আর অবৈধ অর্থ প্রাপ্তীর সমস্যা হতে পারে। এ ভয়টা অনেকে করেন।অনেকে রসিকতা করে বলে পুলিশরাও কি এখানে ভোট করবে নাকি? দায়িত্বশীল কেউ কেউ বলছেন- সারা দেশের চিত্রই এমন!

চৌমুহনী বাজারের উপর দিয়ে চলে সুগন্ধা-আলামিন নামের কিছু লোকাল গাড়ী,চট্রগ্রামের কিছু লোকাল বাস, যেগুলি পুরো রাস্তায় যাত্রী উঠায়, এতে রাস্তায় জ্যাম হবে কি- হবে না এটা তার দেখার ব্যাপার নয়!মাঝে মধ্যে কিছু বড় জাতের গরু রাস্তায় দেখি। এরা অপরের মালিকিয় খাওয়া খেয়ে বাঁচে।কেউ যদি লাঠি লগি দিয়েও মারে, তবু নড়ে না। চৌমুহনী বাজারে এসে এ গাড়ীগুলো ঔ গরুর মতো চলে, কেউ গালি দিয়েও এর গতি বাড়াতে পারে না। এরা রামের উত্তরাধিকারী। রামের রাজত্ব তাদের।

চৌমুহনী বাজারের রাজত্বটা সবাই মনে করছে সবার। স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসন বেশী কথা বলে। এখানের ধনীজনরা বা নেতাদের অনেকেই জেলা কর্তা ব্যক্তি বা আরো উপরের সাথে কড়া যোগাযোগ রাখে। তাদের স্বার্থে লাগে এমন কাজ করে কে পার পায়? চৌমুহনীর যানজট দুর করতে বাইপাস রাস্তার প্রস্তাবনাটি এ ভাবেই ভেস্তে গেল। এখানের ব্যবসা নাকি মরে যাবে। কর্তারাও চুপশে গেলেন।

--নোয়াখালীর মানুষ বলে- “বোধ(বিচার/অনভুতি) নাই দেশে। হলান সার(পালানোই উচিৎ)”। চৌমুহনীর রাম রাজত্ব কারো নয়। শুধুই ভ্যাবিচারের।

বর্তমান মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের এক সমন্বয় সভায় বলেছেন, “আপনারা সবাই যানজট দুরকরতে চান, এ কথা মূখে বললে হবে না, নিজেদের দোষগুলো সংশোধন করে এগিয়ে আসতে হবে।”

আসুন সবাই চেষ্টা করি ,যার ক াজ তাকে করতে দিই। রামের রাজত্ব রামের কাছেই ফিরিয়ে দিই।সুশৃঙ্গল একটা চৌমুহনী শহর গড়ে তুলি।#

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.