| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
--গোলাম মহিউদ্দিন নসু
জাতি গঠনের সকল পদক্ষেপে শিক্ষার বিকল্প নেই- এ কথা সর্ব জন স্বীকৃত। কিন্ত কিছু মানুষ শিক্ষিত হয়ে শিক্ষনীয় জ্ঞান ব্যবহার করে না। এমন সব মানুষগুলি শিক্ষিত হলে কার লাভ ? মনিষীরা বলেছেন- এক জন মরা মানুষ আর একজন জীবিত মানুষের মধ্যে যে পরিমান পার্থক্য , ঠিক একজন শিক্ষিত মানুষ আর একজন অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে ততটুকু পার্থক্য। শিক্ষিত মানুষটি যদি তার শিক্ষাটাকে ব্যবহার না করে তা হলে কি এ উক্তিটি প্রশ্ন বিদ্ধ হয় না ? বাংলাদেশের বাস্তবতা পরখ করে দেখলে দেখা যায়; শিক্ষিত মানুষের প্রতি সাধারন অশিক্ষিত জনগনের ভক্তি বিশ্বাস কমে গেছে।
নিজ বা পরিবারের স্বার্থ এমন কি দলীয় স্বার্থের কারনে অনেক উচ্চ শিক্ষিত জনরা অসত্য কথা বলে, মিথ্যা আস্বাস দেয় এমন অভিযোগ সচরাচর। আবার কিছু শিক্ষিত লোক আছেন যারা নিজেদেরকে জাহির করার জন্য এমন সব মিথ্য বলে যা শুনতেও লজ্জা হয়।
যিনি পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ভাব ধরা যার মানায় না। ঠিক সাধনার জগতে না গিয়ে সাধক নিয়ে সমালোচনা চলে না।
সাংবাদিক অঙ্গনে চলছে চরম দূযোর্গ। এ পেশায় মনে হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন নেই। আবার ভিন্ন বিষয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন কারী অনেকেই এ পেশায় এসে সংশি¬ষ্ট বিষয়ের উপরে অনেক প্রকার প্রশিক্ষন গ্রহন করে সাংবাদিকতা করছেন। কেউ কেউ যশ-খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্ত কিছু লোক সংবাদ লেখার কায়দা-কানুন না শিখে নিজে যখন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলেন, তখন কেমন লাগে? জাতীয় পত্রিকা বলে পরিচয় দেয়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনেক পত্রিকার কার্ড নিয়ে এরা চলেন। আবার যদি মফস্বলের কথা বলি দৃশ্যটি বড়ই করুন। মফস্বল শহর থেকে প্রকাশিত অনেক প্রত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক গন কিছু লোকের হাতে পরিচয় পত্র তুলে দেয় বা তাদের আশকারায় নিজেদেরকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়- তিনি সংবাদের সূচনাটাও ঠিক মতো লিখতে পারেন না। এমন লোকেরা সংবাদপত্র জগতে থেকে নীতি নৈতিকতা বিবর্জ্জিত পথে অর্থ আয় করে এ পেশাকে দূর্গন্ধময় করে তুলছে। আবার এমন অভিযোগ শুনা যায় কিছু সাংবাদিক সাংবাদিকদার ধার দেখিয়ে অর্থ আয় করে। এক জন শিক্ষিত মানুষ যদি নিজের শিক্ষার আড়ালে এমন সব কাজ করে; তা হলে শিক্ষার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে বলা যায় কি?
হযরত আলী বলেছিলেন, কখন বুঝবে একটি দেশ ও সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে,যখন দেখবে দরিদ্ররা ধৈর্য হারা হয়ে গেছে,ধনীরা কৃপন হয়ে গেছে,মূর্খরা মঞ্চে বসে আছে, জ্ঞানীরা পালিয়ে যাচ্ছে, শাসকরা মিথ্য কথা বলছে।
এখন বলুন আমরা কোন অবস্থায় আছি । আমাদের কি করা উচিৎ।
সমাজ গঠনে দায়িত্ব নেয়া উচিৎ বলে মনে করি। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব ও কতব্যবোধে নতুন করে সৎভাবে কাজ শুরু করা বড়ই জরুরী। অন্তত আমাদের সন্তানদেরকে একটি সুন্দর পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার জন্য এ কাজ এখনই শুরু করা দরকার#
সাংবাদিক ও কলাম লেখক
০১৭১৪৮৪০৮৯৪০
২|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: গোলাম মহিউদ্দিন নসু ,
জাতি গঠনের সকল পদক্ষেপে শিক্ষার বিকল্প নেই- এ কথা সর্ব জন স্বীকৃত।
কিন্তু কোন শিক্ষা ?
প্রাতিষ্ঠানিক ?
একজন মহান শিক্ষাবিদের কথার অনুরণন করে বলছি – প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আজ অন্যসব বেচাকেনার সামগ্রীর মতোই অর্থের বিনিময়েই বেচা কেনা হয় । সেখানে কে নীতিকথা কিনবেন গাঁটের পয়সা খরচ করে ?
আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় "শেখানো" হয় মাত্র । জ্ঞান খুব একটা দেয়া হয়না । কেন হয়না তা একটা মাল্টি ফ্যাক্টরাল ব্যাপার । যা শেখা হয় তা-ই শিক্ষা । আর যা জানা যায় তা কে বলি "জ্ঞান" । আর যা বোঝা যায় তা হলো " প্রজ্ঞা" বা "বোধ" । তাই শেখা , জানা আর বোঝা সমার্থক নয় মোটেও ।
ছোট্টবেলায় আমরা মুখস্ত করে শিখি । বুঝিনে কিছুই । একটু বড় হলে এই শেখার বিস্তৃতি ঘটে মাত্র । শেখার পরের স্তর হলো " জানা" । যাদের এই শেখানো কথাগুলি জানিয়ে , বুঝিয়ে দেয়ার কথা তাদের সে বোঝানোর দায় থাকেনা । এর একটা কারন এই যে , যারা জানবেন বা বুঝবেন তাদের সে আগ্রহই নেই । তাদের আগ্রহ একখানা প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট যোগাড় করা । আর একটা কারন , শিক্ষা যেখানে পণ্য সেখানে পণ্যের দামেই তা বিকোবে । এখানে সেই পণ্য বিক্রেতাদের সেলসমসেলসম্যানেরা কতোখানি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন তা, প্রশ্নসাপেক্ষ ।
এই প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটাই কী প্রয়োজন আমাদের ?
এই সার্টিফিকেটধারীদের কোন জ্ঞানটি আমরা ব্যবহার করবো ?
এই আপাতঃ বোকা বোকা প্রশ্নটি খুব জোর বিশ্লেষনের দাবী রাখে । যেখানে আপনার আকাঙ্খার উত্তর পেয়ে যেতে পারেন ।
জ্ঞান মাত্রই তখোন ই বন্ধ্যা যখোন তা উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হয় । যেহেতু এই উপলব্ধির ঘাটতি আছে আমাদের যথেষ্ট মাত্রায় তাই আপনি বিভিন্ন পেশায় আইডি কার্ডধারীদের দেখতে পাচ্ছেন । যাদের অধিকাংশেরই কোনও জ্ঞান নেই, অভিজ্ঞতা নেই । অপরের থেকে জেনে, শিখে ; ব্যক্তিগত ভাব-চিন্তা-কর্ম- আচরন এইসবের মধ্যে দিয়ে আমরা যা জানতে পারি, বুঝি তাই-ই হলো আমাদের অভিজ্ঞতা । এই অভিজ্ঞতাই মূলত আমাদের কে পূর্ণজ্ঞান দিয়ে থাকে যা বোধি বা প্রজ্ঞায় পরিনত হয় । কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা তো অতি ধূর্ততা দেখে দেখে গড়া , প্রতিটি স্তরে পচে-গলে যাওয়া মানসিকতা থেকে শিখে শিখে তারই আদলে তৈরী । শুদ্ধতা, বোধি, ধীমানতা এখানে কই ? তাই আপনি আমি আক্ষেপ করেই যাবো এমনি করে দিনের পর দিন ।
আমাদের সন্তানদেরকে একটি সুন্দর পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার জন্য আপনার আকুতি তাই মাঠে মরা যাবে বারবার । কারন যে বিষবৃক্ষ রোপন করে দিয়ে গেছে সমাজ –রাষ্ট্রের প্রতিটি লোক তা উপড়ে ফেলার সাধ্য নেই কারো , যদি না আমাদের সব পচে যাওয়া রক্ত নতুন শুদ্ধ রক্ত দ্বারা প্রতিস্থাপন না করা যায় । কি করে হবে তা, আমারও জানা নেই । শুধু আপনার মতো হাহাকার করে যাওয়া ছাড়া ।
শুভেচ্ছান্তে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
আলম দীপ্র বলেছেন: ভাল বলেছেন । ঠিক বলেছেন ।