নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডিকে কেন জামিন নয়’

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৯



সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম:-

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দুটি মামলায় ডেসটিনির শীর্ষ দুই ব্যক্তিকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

তারা হলেন- বিতর্কিত এই এমএলএম কোম্পানির এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।

দুই মামলায় ডেসটিনি-২০০০ কর্মকর্তাদের জামিন আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে রোববার বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ পৃথক এই র“ল দেয়।চার সপ্তাহের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রকে র“লের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে দুদকের প¶ে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপ¶ে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক। ডেসটিনির প¶ে শুনানি করেন আইনজীবী মো. বদিউজ্জামান।গত ৪ মে এই দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।এতে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি- প­ানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির এই মামলার প্রথমটিতে মোট আসামি ১৯ জন এবং দ্বিতীয়টিতে ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রফিকুল আমিনের সঙ্গে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হার“নুর রশীদ দুই মামলাতেই আসামি। এছাড়া আরো ১২ জন দুটি মামলায় আসামি থাকায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে।গত জানুয়ারিতে অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর জামিনে থাকা হার“নুর রশীদের বিষয়ে দুদক কমিশনার এম সাহাবুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “হার“নুর রশীদ এই মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনার পুরোটাই জানতেন।”তদš— কর্মকর্তা মোজাহার আলী আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প­ান্টেশন প্রজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।“এই প্রজেক্ট থেকে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী ¶তিগ্র¯— হয়েছেন।”

মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রজেক্টের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়েছে।“এই প্রজেক্ট থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ¶তিগ্র¯— বিনিয়োগকারীর সংখ্যা সাড়ে ৮ লাখ,” বলেন মোজাহার।বিনিয়োগকারীদের টাকা কিভাবে আত্মসাৎ করা হত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নামসর্ব¯^। আসামিরা প্রথমে প্রজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন, তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে স্থানাš—র করতেন।”তদš— করতে গিয়ে দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এ রকম ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পেয়েছেন জানিয়ে মোজাহার বলেন, এই হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছে।বিদেশে টাকা পাচারের প্রক্রিয়াটি কী ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মূলত হুন্ডির মাধ্যমে দুবাইয়ে টাকা পাঠানো হত। সেখান থেকে এই টাকা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, হংকং ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে চলে যেত।”

ডেসিটিনির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ইতোমধ্যে ক্রোক করেছে কমিশন, যার আর্থিক মূল্য ৬৩১ কোটি টাকা।ডেসটিনির বির“দ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা দুটি করে দুদক। প্রায় দুই বছর তদšে—র পর অভিযোগপত্র দেয়া হল।দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন ডেসটিনির ঘটনাকে বাংলাদেশের এমএলএম ব্যবসার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রতারণা হিসেবে উলে­খ করে বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে এর অনুসন্ধান ও তদš— হয়েছে। আমাদের তদš— কাজ যথাযথ ত্রুটিমুক্ত রাখার জন্যই কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।”প্রচলিত আইন অনুযায়ী অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে টাকা পাচারের সর্বোচ্চ শা¯ি— ১২ বছরের কারাদÊ বলে জানান তিনি।ডেসটিনি মাল্টিপারপাসের মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান ও আবুল কালাম আজাদ।ডেসটিনি ট্রি প­্যানটেশন মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আজাদ রহমান, আকবর হোসেন সুমন, সাঈদুল ইসলাম খান র“বেল, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদার“ল আলম, এম হায়দার“জ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী ফজলুল করিম, মোল­া আল আমীন, শফিউল ইসলাম, জিয়াউল হক মোল­া, সিকদার কবির“ল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফার“ক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির বিপ­ব, এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল­াহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, জেসমিন আক্তার ও শফিকুল হক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.