| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
ভোরের কাগজ : ২১/০৮/২০১৪
গোলাম মহিউদ্দিন নসু, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) থেকে : গোপালপুর গণহত্যার দীর্ঘ ৪৩ বছর পর শহীদদের স্মরণে সেখানে সরকারি উদ্যোগে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ গত মঙ্গলবার বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পরিষদের অর্থায়নে দুই লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন পরিষদের প্রশাসক ডা. এ বি এম জাফর উল্যা। গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় গণশহীদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক পারভেজ।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ১৯ আগস্ট শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের কোনো স্মৃতিচিহ্ন ছিল না গোপালপুর বাজারে। ১৯৮৮ সালে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় জনতা ক্লাব। ক্লাবের তখনকার সভাপতি রতন মাস্টার খুঁজে খুঁজে সংগ্রহ করেন গণহত্যায় শহীদ হওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ২৪ জনের নাম-পরিচয়। যাদের নাম-ঠিকানাসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। যা উদ্বোধন করা হয় ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ৫৪ জন শহীদের স্মৃতিরক্ষা কিংবা সেই গণহত্যাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে এটিই ছিল শেষ প্রয়াস।
২৬ বছর পর এখন জেলা পরিষদের অর্থায়নে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নোয়াখালীতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর টর্চার সেল, গণহত্যার স্থান টেকনিক্যাল হাইস্কুলে জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপালপুরে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ চলছে।
উল্লেখ্য, বেগমগঞ্জের গোপালপুর গণহত্যা দিবস ১৯ আগস্ট। ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্বর পাকিস্তান বাহিনী এ দেশের কিছু কুলাঙ্গারকে নিয়ে গোপালপুর বাজারের পাশের খালে ৫৪ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
গোলাম মহিউদ্দিন নসু বলেছেন: কেমবন হলো বলবেন