নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীতে দখলবাজদের দৌরাত্ম্যে জনদুর্ভোগ বাড়ছে : প্রশাসন নীরব

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬


ভোরের কাগজ : ১১/১০/২০১৪

গোলাম মহিউদ্দিন নসু, বেগমগঞ্জ (নেয়াখালী) থেকে : নোয়াখালীর সর্বত্র দখলবাজদের বেসামাল দৌরাত্ম্য চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের নতজানু ভূমিকার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।

সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে রাস্তার পাশে বিনা অনুমতিতে দোকান নির্মাণ, বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের নামে রাস্তার বলে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ, অফিসকে ম্যানেজ করে রাস্তার পাশের খাল বনায়ন বা মৎস্য চাষের নামে অস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে মাটি ভরাট করে নিজেদের প্রয়োজনমতো গাড়ির পার্কিং বা দোকান নির্মাণ করে ব্যবহার করছে।

প্রধান রাস্তার দুপাশে নির্মিত ফুটপাত বরাবরই হকারদের দখলে। দোকান মালিকরা তাদের মালের পশরা সাজিয়ে দখল করছে ফুটপাত। যা সবার চোখের সামনে। ট্রাফিক, ফাঁড়ি পুলিশ, থানা পুলিশ বা পৌরসভা দায়িত্ব নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করেই খালাস। অবশ্য দখলবাজরা নিয়মিত বখরা দিচ্ছে এবং এ টাকার ভাগ সবাই পায় বলে তাদের দাবি।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেকর্ডে ২২৩টি খাল রয়েছে। যার ৮০ শতাংশ অবৈধ দখলে বলে স্থানীয় পত্রিকায় অক্টোবরের প্রথম সাপ্তাহে লিড নিউজ করলেও ডিপার্টমেন্টের কোনোই টনক নড়েনি। নোয়াখালী খালসহ জেলার খালগুলো দখলমুক্ত করে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। বাড়ছে জলাবদ্ধতা। এ কারণে প্রতিবছর ফসল বিনষ্ট, সব ধরনের রাস্তাসহ নানা অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতির কারণে সরকার ও জনসাধারণের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয় ।

নোয়াখালীর পরিবহন ব্যবস্থায় চলছে মূল রাস্তা দখলের প্রতিযোগিতা। বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীর পূর্ব বাজার থেকে ডেল্টা গেট পর্যন্ত পুরোটাই যেন সিএনজি ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। ২-১টি পরিবহন ছাড়া সব ধরনের বাসগুলো যে যার মতো করেই রাস্তায় স্ট্যান্ড বানিয়েছে। চৌরাস্তায় ফোর লেন রাস্তার টানেলগুলো ছোট গাড়ির স্ট্যান্ড। পৌরসভার সামনে থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তার পাশে লোড-আনলোড ট্রাকসহ নানা পরিবহনগুলো স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করে রাস্তার প্রশস্ততা কমিয়ে দিয়েছে। গাড়ির ধোয়ামোছা, মেরামত কাজ করে রাস্তা ময়লা করছে, ক্ষতি করছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এ গাড়িগুলো নিয়মিত পৌর ট্যাক্স দিয়ে গেলেও টার্মিনালের বা স্ট্যান্ডের কোনো সুবিধাই তারা পায় না। অথচ স্ট্যান্ডের নামে পৌরসভা ২-৩টি বিশাল বিশাল জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে মার্কেট বানিয়েছে। চৌরাস্তার টার্মিনাল ব্যবহারে কড়াকড়ি নেই। চৌমুহনী প্রেসক্লাব উদ্যোগ নিয়ে পৌরসভা, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যানজট বিষয়ে একাধিকবার সেমিনার আলোচনা সভা করে তেমন কোনো উন্নতি করতে পারেনি। কেউ ব্যক্তি স্বার্থ ছেড়ে জনস্বার্থকে বড় মনে করছে না। খোদ জেলা শহর মাইজদীতে সব গাড়ির স্ট্যান্ড রাস্তায়। বাস টার্মিনাল থাকলেও ব্যবহার হয় না। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের জায়গার তুলনায় গাড়ি অনেক বেশি। রিকশা বা ব্যাটারিচালিত গাড়ির কোনো স্ট্যান্ডতো নেই। তাদের আবার লাইসেন্সও নেই। রাস্তায় সিএনজি ট্যাক্সি বেশি হয়ে গেছে এমন অজুহাতে বিআরটিএ লাইসেন্স দেয়া বন্ধ করেছে বলে সাধারণ মালিকদের জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ৪০-৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দেয় বলে মালিকদের অভিযোগ। তাছাড়া লাইসেন্সবিহীন হাজারো গাড়ি রাস্তায় চলছে। মালিকরা ২০০ টাকা করে বখরা দেয়। যা পুলিশি ‘মান্থলি’ হিসাবে সর্বমহলে পরিচিত। নানা কৌশলে দীর্ঘ সময় ধরে একই জেলায় একই পদ দখলে রেখে আইনের বাহকরা বা বাস্তবায়নকারীরা অবাধে এ অপকর্ম করে চলেছে। কেউ কেউ নোয়াখালীতে বাড়ি বা ব্যবসার মালিকও আছেন। দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রশ্রয় দিয়ে চলেছেন বলে সচেতন অভিজ্ঞ মহলের অভিযোগ।

নোয়াখালীতে রেলওয়ে বিভাগের প্রচুর জায়গা বেহাত। এ নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের কোনো ভূমিকা নেই। বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীর সাইডিং লাইন বন্ধ করে দিয়ে হকারের দোকান বসানো হয়েছে। এদের কারোরই কোনো লিজ নেই। কিন্তু মাসে মাসে এরা টাকা দিয়ে চলেছে। এমনকি স্টেশন রোডে চা দোকান, ফুটপাতে মালামাল রেখে যাত্রীদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘœ তৈরি করছে। কিন্তু স্টেশন মাস্টারসহ সংশ্লিষ্টরা একবারে চুপচাপ। এসব দোকান থেকে ওঠানো টাকাপয়সা যায় কোথায়- এ জবাব কেউ নিতে আসে না। এসব প্রকাশ্য অপরাধে জনদুর্ভোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।আমরা সবাই চার পাশের সমস্যা নিয়ে একটু
একটু সত্যিকার সচেতন হলে সবই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি ।আমি স্বপ্ন
দেখি আমাদের বাংলাদেশ একদিন চীন দেশের মত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে ।
তখন আমরা আর দরিদ্র থাকব না ।তখন আমাদের আর রাস্তার জায়গা
দখল করার প্রবণতা থাকবে না । আপনার জন্য শুভ কামনা রইল আর
আমার ব্লগে আপনার নিমন্ত্রণ রইল । আমার ব্লগ যদিও অন্য রকম তবু মনে হয় ভাল লাগবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.