| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
বেগমগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসন, চৌমুহনী পৌরসভা,দায়িত্বরত ট্রাপিক পুলিশ, চৌমুহনী ফাঁড়ি পুলিশসহ সংলিষ্টরা দায়িত্বশীূল হলেই চৌমুহনী-চৌরাস্তার যানজট নিরসন সম্ভব।
সরজমিন দেখা যায়,নোয়াখালীর প্রাণকেন্দ্র বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার সড়কদ্বীপের টার্নিংয়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই চলছে অবৈধ পার্কিং। বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক আর রিকশার এ অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় যানজট। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১২ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। আবার দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর প্রতিযোগিতা ও লেনের নিয়ম ভেঙে অবৈধ পথে বেপরোয়া যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
যানজট নিরসনে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হয়। নোয়াখালীর সঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ, রায়পুর এবং রামগতি, ফেনী, চাঁদপুর, খুলনা, ভোলা, মাদারীপুর-শরীয়তপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশ, এমনকি জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যানবাহন দ্রুত বাঁক নেওয়ার জন্য চৌরাস্তার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্মৃতিস্কয়ারের চার পাশে টানেলও নির্মিত হয়। এখানে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে থাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ।
কিন্ত পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারনে চৌরাস্তা থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর, লক্ষ্মীপুর, রামগঞ্জ এবং ফেনী অভিমুখী সড়কে স্থাপিত ট্যানেল দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করে না। প্রতিটি মোড়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশাস্ট্যান্ড। ফলে মোড় পার হওয়ার সময় প্রতিটি যানবাহন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলো মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামানোর ফলে লেন ভঙ্গ করে আন্তঃ জেলা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন বেপরোয়া চলাচল করছে। মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয় না। কখনো প্রশাসনের কোন কর্তা ব্যাক্তির কারনে মাঝে মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ টানেল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা সরাতে তৎপর হয়।
যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রকাশ্যেই এ অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে একদিকে যেমন যানজটের ভোগান্তি সহ্য করতে হয় তেমনি লেন ভঙ্গ করে বেপরোয়া যানবাহন চলাচলের কারণে যে কোনো দুর্ঘটনা অশন্কা তৈরী হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হয় পথচারীদের। পাশাপাশি চৌরাস্তা হয়ে চলাচলকারী ১২টি রুটের যানবাহনকে যানজটের কবলে যেমন পড়তে হয় তেমনি যাত্রীদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের সামনেই গড়ে উঠেছে এ অবৈধ স্ট্যান্ড। পুলিশ চাইলেই এ স্ট্যান্ড সরাতে পারে।বাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা স্ব-উদ্যোগে ট্যানেল ব্যবহারের একটি পরিকল্পনা তৈরী করলেও সহযোগীতার অভাবে তা হয়ে উঠেনি।
চৌমুহনী বাজারের যানজট নিরসনে ফোরলেন নির্মান করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বেগমগঞ্জ পুল হতেই রাস্তার দুই পাশে মালবোঝাই বা মেরামতের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ী অহরহ দাড়িয়ে থাকে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক অনেকে জানিয়েছে, পুলিশকে বকরা দিয়েই তারা এখানে দাঁড়ায়। করিমপুর রোড হতে পূর্ব বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে দোকান বসানো বন্ধ হয়নি। স্থায়ী ঘরের মালিকের অভিযোগ তাদের দোকানের সামনে নিজেরা কিছু না রাখলে অন্য লোকেরা পুলিশকে টাকা দিয়ে জায়গা দখল করে। এতে তাদের আরো বেশী অসুবিধা হয় বিধায় তারা বাধ্য হয়ে এ কাজ করে। চৌমুহনী পৌরসভা এসব জায়গা বন্দোবস্ত না দিলেও ট্রাপিক পুলিশ বা ফাঁড়ি পুলিশের কারনেই এখানে বসার সূযোগ পায় বলে ভূক্তভোগিদের মন্তব্য। প্রশাসন ,পৌরসভা মনিটরিং বৃদ্ধি করলে, দায়িত্বরতরা অবৈধ লাভবান না হয়ে সকলের স্বার্থ বিবেচনা করলেই এ সমস্য সমাধান সম্ভব।#
২|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাসরুটগুলো এমন ভাবে গঠন করতে হবে যেন এর স্টার্টিং এবং এন্ডিং শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত হয়। মানে বাস সার্ভিস গুলো যাত্রা সুরু করবে শহর কেন্দ্রের বাইরে থেকে শেষও হবে শহরের বাইরের একটি স্থানে।
শহর কেন্দ্রে বা বিজি এলাকায় যেন বাসগুলো থেমে থাকতে না পারে,স্থায়ী আস্তানা বানাতে না পারে। অনুরুপ ভাবে শহরতলি বা সল্প দুরত্তের আন্তজেলা বাসগুলোর রুট এমন ভাবে করতে হবে যেন ঢাকার ভেতর দিয়ে দুটি জেলাকে যুক্ত করে।
Please read this writing
http://www.somewhereinblog.net/blog/mmdhw/29531312