| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালীর আদি শিল্প প্রতিষ্ঠান
ডেল্টা জুট মিলস দুর্দশাগ্রস্থ
গোলাম মহি উদ্দিন নসুঃ নোয়াখালী
অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, অপরিশোধিত অর্থের দায়ভার,মালিক পক্ষে দ্বিধাবিভক্তি, শ্রমিক অসন্তোষ ও দায়িত্বশীলদের উদাসিনতার ফলে নোয়াখালীর আদি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান ডেল্টা জুট মিলস বন্ধ হতে চলেছে। এতে জেলার প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মচারী বেকার হবে , বিশাল সম্ভাবনাময় এ শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের দায়ত্বশীল বিভাগ এটিকে সচল রাখতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করা, পৌর কর, গ্যাস বিল, ক্রয়কৃত পাটের দেনা, খুচরা যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন খাতে কোটি কোটি টাকা দেনা দেখানো । পরস্পরকে বঞ্চিত করার মনোবৃত্তি নিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে মালিক পক্ষ। ফলে জেলার চৌমুহনীস্থ ডেলটা জুট মিল জুন মাস থেকে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্ততঃ ৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে গেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মিলটি এখনো বন্ধ হয়নি, ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চলছে।
পিছনের কথাঃ ১৯৬৩ সালে ৬০ একর জমিতে জুট মিলটি গড়ে ওঠে। প্রতিষ্ঠা কালে মিলটি ছিল লাভ জনক। ৫৪১টি তাঁত ও প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এ মিলে কর্মরত ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা হবার পরে মিলটি জাতীয়করণ করা হয়। বেশীদুর এগুতে না পেরে পরবর্তীতে সরকার এবং পূর্বের মালিক পক্ষের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ৫৬.২০ শতাংশ শেয়ার মালিকদের ও ৪৩.৮০ শতাংশ শেয়ার সরকারের মালিকানায় রাখা হয়। কিছুদিন পর আবার সরকারের শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হলে অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নামমাত্র মূল্যে পুরো শেয়ার কিনে নেয় হাজী আবদুর রব। সিংহভাগ মালিক হিসেবে মৃত হাজী আবদুর রব অপর মালিকদের এড়িয়ে চলতে শুরু করে বলে অন্যদের অভিযোগ।সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, মিলটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ধীরে ধীরে চালু থাকা তাঁত বন্ধ করে দেয়া হতে থাকে। সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ, পৌর কর প্রায় ১ কোটি টাকা, গ্যাস বিল প্রায় ৩০ লাখ টাকা, ক্রয়কৃত পাটের দেনা প্রায় ২ কোটি টাকা, খুচরা যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন দেনা এবং লোকসান দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে চলতি বছরের জুনে মিলের অধিকাংশ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক-কর্মচারি বেকার হয়ে পড়েছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, জেলার একমাত্র বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখা হলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হবে না। এছাড়া ডেলটা জুট মিলের বিশাল এলাকায় বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা যাবে। এর ফলে আরো হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্ত একটি মহল মিল এলাকার বিশাল সম্পত্তি বেহাত করার মানসিকতায় নানা রকমের পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে ডেল্টা জুট মিলের প্রশাসন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার আকবর হোসেনের সাথে কথা বলতে টেলিফোনে সময় নিয়ে পওে তাকে পাওয়া যায়নি। অধিনস্ত একাধিক কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা মূখ খুলতে নারাজ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার প্রতিবেদন।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।