| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,(বেগমগঞ্জ) নোয়াখালীঃ
ফেনী জেলাধীন ফুলগাজী উপজেলার জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক আ ফ ম ফরমান (ব্যানবেইস আইডি নং-১০৫১১৫৪) পদত্যাগ পত্র কিংবা ছাড়পত্র না নিয়ে ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে জালিয়াতি মাধ্যমে নোয়াখালী জেলাধীন সদর উপজেলার নলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী নেয়ার গুরুতর অভিযোগ করা হয়। জেলা শিক্ষা অফিসার আজিজুল হক অভিযোগটি অসত্য বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের কাগজে ৯ আগষ্ট/ একটি সংবাদ ছাপা হয়। শিক্ষা বিভাগের মহা পরিচালক অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার আজিজুল হক নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা শিক্ষা অফিস মহা পরিচালকের চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, আগামী ৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অভিযোগ কারী প্রধান শিক্ষকসহ সংলিষ্টদের উপস্থিত থাকার দিন ধায্য করা হয়েছে।
জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাওলাদারের লিখিত অভিযোগ মতে জানা যায়,আ ফ ম ফরমান সহকারী শিক্ষক হিসাবে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ১/৮/২০১০ ইং তারিখে যোগদান করেন। গত ১২/৫/২০১৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ঔ বিদ্যালয়ে কর্মরত থেকে ১৩/৫/২০১৪ তারিখ হতে অনুপস্থিত থাকেন। কর্তপক্ষকে অবহিত না করে বা বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় ৫/৬/২০১৪ এবং ২৬/৬/২০১৪ তারিখে ডাক যোগে তার গ্রামের ঠিকানায় দুইটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। এমনকি ৭/৮/২০১৪ তারিখে রেজিষ্টি ডাক যোগে তাকে চিঠি প্রেরণ করিলেও চাকুরীতে যোগদান করেনি এবং কোন যোগাযোগও করেনি।
গত জুলাই/১৪ মাসের বেতন এমপিও তে অত্র স্কুলের তালিকায় তার নাম না দেখে কর্তপক্ষ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পারে আ ফ ম ফরমান নোয়াখালী সদর উপজেলার নলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করে ব্যান বেইস নং ১০৫১১৫৪ মোতাবেক বেতন ভাতা গ্রহণ করছেন।
আ ফ ম ফরমান চুরি করা বা ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে জালিয়াতের মাধ্যমে কাগজপত্র বানিয়ে শিক্ষা কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন বলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষক ২৫/৮/১৪ তারিখে নোয়াখালী জেলা অফিসার বরাবরে আবেদন করে। এবিষয়ে নোয়াখালী শিক্ষা অফিসার আজিজুল হকের সাথে ২৮ আগষ্ট/১৪ তারিখে আলাপ হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন এবং ১লা সেপ্টেম্বর/১৪ তারিখে জানান, অভিযোগটি সত্য নয় ।পদত্যাগ পত্র গ্রহণকারী , ছাড়পত্র ও অভিজ্ঞতা সনদ পত্র প্রদানকারী প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার হাওলাদার লিখিতভাবে অভিযোগ করে বলেছেন তিনি কোন ধরনের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে , ছাড়পত্র ও অভিজ্ঞতা সনদ পত্র আ ফ ম ফরমানকে দেন নাই। বিনা অনুমতিতে শিক্ষক ফরমান অনুপস্থিত রয়েছে। এ পর্যায়ে জেলা শিক্ষা অফিসার কিভাবে নিশ্চিত হলেন অভিযোগ সত্য নয়্ । এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। ৩রা সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আ ফ ম ফরমানের সাথে ফোনে আলাপ হলে তিনি দাবী করেন, প্রধান শিক্ষক থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সকল কাগজপত্র নিয়েছেন। বর্তমান কর্মস্থল নলপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ জানান ফরমানের দাখিলকৃত কাগজপত্র দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার এমপিও ভূক্ত করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে পূনরায় আলাপ করতে গেলে ৩রা সেপ্টেম্বর তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অফিসের প্রধান সহকারী দিপক চন্দ্র পোদ্দার জানান, অভিযোগের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য ৭/৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিষয়টি (ডিজি, শিক্ষা বিভাগ) উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট প্রেরণ করবেন।
ফেনী জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানা, তিনি কোন প্রকার কাগজ পত্র আ ফ ম ফরমানকে দেন নাই। শুধু মাত্র অনুপস্থিতির জন্য তাকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এমনকি রেজিষ্টি করে যে চিঠি দেয়া হয়েছে তার ডকুমেন্টও তার কাছে আছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফেরদৌস আলম মজুমদার জানান, আ ফ ম ফরমান অনুপুস্থতির কারনে তাঁকে বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কোন শিক্ষকের পদত্যাগ পত্র গ্রহন, তাকে ছাড়পত্র প্রদান বা কোন শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে অবশ্যই ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোন সভা হয়নি। একজন শিক্ষক হয়ে এমন ধরনে জালিয়াতি করার কারনে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া একান্ত জরুরী। তিনি আরো বলেন, তার এ আচরন শিক্ষক সমাজকে কুলসিত করছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি দায়িত্বশীল কতৃপক্ষেও প্রতি জোরালো অনুরোধ করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
খেলাঘর বলেছেন:
নোয়াখালী মানেই সমস্যা