| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
১০ দিনের অভিযানে ৩২ হাজার ৫শ জরিমানা ॥ মামলা ৫২॥২৫ দিনে ২ শতাধিক লাইসেন্স ইসু
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী ঃ
নোয়াখালী জেলায় পরিবহনে অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গত ১০ দিনের অভিযানে ৩২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা ও ৫২ টি মামলা করেছে। দিনের বেলায় অবৈধ গাড়ী রাস্তায় তেমন দেখা যায় না। মামলার ভয়ে ২৯ দিনে দুই শতাধিক সিএনজি ড্রাইভিং লাইসেন্স ইসু করতে পেরেছে নোয়াখালী বিআরটিএ।
নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালীতে বিআরটিএর সরাসরি দায়িত্বে পরিবহনে অনিয়ম রোধে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর থেকে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে ১০দিনে বিআরটিএর মটরযান পরিদর্শক আবদুর রশিদের আয়োজনে জেলা প্রশাসক নিয়োগকৃত ম্যাজিষ্টেটগন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, ফিটনেস বিহীন গাড়ী এবং রেজিষ্টেশন বিহীন গাড়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানের কারনে ২৯ দিনে অন্তত ২ শতাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ইসু করা হয়েছে। আরো ১ শতাধিক লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রসঙ্গত জানা যায়, বিগত দেড় বছরে নোয়াখালী বিআরটিএ বিভাগ সিএনজি ড্রাইভিং লাইসেন্স একটিও ইসু করতে পারেনি। লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভাররা ট্রাপিক পুলিশকে মাসিক বখরা দিয়ে রাস্তায় গাড়ী চালায়। নোয়াখালীর রাস্তায় কমবেশী ১২ হাজার সিএনজি চলাচল করলেও সর্বমোট প্রায় সাড়ে সাত হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইসু আছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে পুরানো ড্রাইভিং লাইসেন্স ধারী অনেকে মারাও গেছেন।
অভিযান চলা কালে রাস্তায় ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সাসহ বিভিন্ন অবৈধ গাড়ী দিনের বেলায় তেমন দেখা যায় না। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বা যে দিন অভিযান চলে না , সেদিন ব্যাটারী চালিত রিক্সাসহ লাইসেন্স বিহীন সিএনজি অটো রিক্সা, কাটা গাড়ী খ্যাত অবৈধ হিউম্যান হলার, লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারগন বেপরোয়া গাড়ী চালাতে শুরু করে। এ কাজে ট্রাপিক পুলিশ কোন বাধা দেয় না। বরং নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে সংলিষ্টজনরা জানায়, ট্রাপিক কর্তারাই বখরা নিয়ে তাদের রাস্তায় চলার সূযোগ দেয়। ব্যাটারী ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা,হিউম্যান হলার, রিক্সার ড্রাইাভারদের অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ট্রাপিক কর্তাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রক্ষা ও মাসিক বখরা দিয়ে রাস্তায় চলে। মাসিক ১শ বা ২শ টাকা হিসাবে চলমান অবৈধ গাড়ীগুলো থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উঠানো হয়। মালিকরা চৌমুহনী ও মাইজদি এলাকায় ট্রাপিকের নির্ধারিত লোকের নিকট মান্থলি জমা দিতে হয়।
৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়, কিন্ত তা না করে পুলিশকে মাসিক বখরা দিয়ে কেন গাড়ী চালাতে চায়, এমন প্রশ্নের জবাবে ড্রাইবারদের অভিযোগ বিআরটিএ অফিসে অতিরিক্ত টাকা না দিলে কারনে অকারনে হয়রানি করে। লাইসেন্স করতে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো খরচ যা একসাথে যোগাড় করা অনেকের পক্ষে কষ্টসাধ্য।
বিআরটিএর কার্যক্রম সহজিকরন করলে, পুলিশ বিভাগ সততা রক্ষা করে দায়িত্ব সচেতন হলে সংলিষ্টজনরা উপকৃত হবে। সরকার লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে বিশাল অংকের রাজস্ব অর্জনে সক্ষম হবে বলে সধারনের অভিমত।
©somewhere in net ltd.