নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীতে “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রন) আইন মানা হচ্ছে না

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯



গোলাম মহিউদ্দিন নসু ঃ বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী)থেকেঃ
নোয়াখালীর পৌরসভা ও জন বসতি এলাকায় দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে ইট।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বাস্তবায়ন ও সঠিক প্রয়োগের বিষয়টি ভাটা মালিকরা মানছে না।ফলে পরিবেশ দূষনে নানা রকমের হুমকিতে রয়েছে এলাকাবাসী।
২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩” প্রকাশিত হয়। নতুন আইনের ধারা-১ এর উপধারা-২ অনুয়ায়ী ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী দেশের সকল পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার ইটভাটা ৩০ জুনের মধ্যে বন্ধ অথবা অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। ইট ভাটা মালিকদের এ কাজে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)র ঋণ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা সত্ত্বেও আধুনিক পদ্ধতিতে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা স্থাপনে এগিয়ে আসেনি ভাটার মালিকরা।
এছাড়া পুরাতন আইন অনুযায়ী বিদ্যমান ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি বিশিষ্ট ইটভাটাসমূহকে ৩০ জুন/১৪ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা জরিমানা সাপেক্ষে পরিচালনার যে অনুমতি ছিল ১ জুলাই থেকে নতুন আইন বাস্তবায়নের কারণে সেটি আর কার্যকর নেই। নতুন আইন বাস্তবায়ন ও কার্যকরের কারণে দেশের প্রতিটি ইটভাটা আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতেই নির্মাণ ও পরিচালনার নির্দেশ রয়েছে। এ বিষয়ে সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনাও পাঠানো হয়েছে। কিন্ত নোয়াখালীর প্রায় প্রতিটি পৌরসভায় জন বসতি এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন করে দেদারচ্ছে ইট পোড়াচ্ছে ।ফেনী- লক্ষিপুর সড়কের দুই পাশে সেনবাগ ও চৌমুহনী পৌরসভার এলাকায় বেশ কয়েকটি ইট ভাটা রয়েছে।যে গুলি এখনো নিষিদ্ধ চিমনী ব্যবহার করে ইট পুড়িয়ে চলেছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নোয়াখালীতে ১৫৭টি ব্রিক ফিল্ডের মধ্যে প্রায় ১২০টির কাগজ পত্র নিয়মিত আছে। বাকিগুলি নিয়মিত করনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সেনবাগ উপজেলায় মোট ৫০টি ব্রিক ফিল্ড রয়েছে তন্মধ্যে প্রায় ৮টি সেনবাগ পৌর এলাকায়। নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান ১৮নভেম্বর বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে মোবাইল কোর্ট “ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩” এর ধারা মোতাবেক ফাতেমা ব্রিক ফিল্ডের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্ত পৌর সভাধীন ব্রিক ফিল্ডগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিলেন কিনা জানতে ১৯ তারিখ দুপুরে টেলিফোন করলে তিনি কথা না বলে লাইন কেটে দেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল সাইফুর রহমান জানান, পৌরসভায় ২/১টি ইট ভাটা থাকতে পারে। তবে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মতে তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আইনি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে। বেগমগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তা হারুনর রশিদের সাথে আলাপে তিনি জানান, বিষয়টি নোয়াখালীর এডিএম দেখেন। এখনো কোন মোবাইল কোর্ট করা হয়নি। সম্প্রতি রসুলপুর ইউনিয়নের একটি ইট ভাটার নবায়ন বিষয়ে এডিএম সরজমিন পরিদর্শন করেছেন। নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, জেলার প্রতিটি ইউএনও অফিসকে চিঠি দেয়া হয়েছে , ব্রিক ফিল্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরন করতে এবং এ সংক্রান্ত তালিকা তৈরীর কাজ চলছে।
সেনবাগ উপজেলাধীন ছাতার বাড়ীয়া ইউনিয়নে বনজ-ফলজ বাগান নষ্ট করে, এমনকি প্রচুর পরিমান ফসলী জমি নষ্ট করে অন্তত ১৮টি ব্রিক ফিল্ড রয়েছে। যে সব এলাকায় বসবাসকারী লোকজন পরিবেশ দূষনসহ নানা রকমের দূর্ভোগের শিকার হয়ে গত বছর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মূখে মানব বন্ধন করে জেলা প্রশাসকের নিকট স্বারকলিপি দিয়েছেন।স্থানীয় লোকজনের নেতৃত্বে পরিবেশ দূষন প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠে। এলাকার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন মিলন জানান, গত বছরের আন্দোলনের ফলে দাবিগুলো আংশিক পূরন হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ইট ভাটার কারনে এলাকার রাস্তা ঘাট মারাত্বক ক্ষতি গ্রস্থ হয়।জন মানুষের চলাচল বিঘিœত হয়। ১২০ফুটের টিনের চিমনী ব্যবহার না করে ৪০/৫০ ফুটের চিমনী ব্যবহার হচ্ছে। জনবসতি এলাকার মানুষ পরিবেশ দূষনের শিকার হচ্ছে, বনজ-ফলজ বাগান ও ফসলী জমি নষ্ট হয়ে এলাকার মানুষ অভাব অনটনের শিকার হচ্ছে। সেবাগ এলাকায় বসবাসরত সংবাদকর্মী ফারুক ফয়সল অভিযোগ করেন, ফেনী-চৌমুহনী সড়কের পাশের ব্রিক ফিল্ডগুলো অনুমোদনে জন স্বাস্থেও বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। তাছাড়া এ সব ব্রিক ফিল্ড গুলোতে যান চলাচলের রাস্তায় খালের উপর কোন ব্রিজ না করে খালগুলো ভরাট করে রাস্তা নির্মান করেছে। ফলে জলাদ্ধতাসহ কৃষি কাজের নানান ব্যাঘাত ঘটছে।
নোয়াখালী জেলা ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ইকরাম উল্যা ডিটরি সাথে আলাপে তিনি জানান, এ বছরের ইট প্রস্ততের কার্যক্রম চলছে। তবে ২০১৩ সনের ইট প্রস্তত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন বিষয়ে সভা করে কোন আলোচনা হয়নি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার আর্থিক লোন প্রদানের বিষয়ে যে ঘোষনা দিয়েছেন, তা পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার।
নোয়াখালী জেলা ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির সভাপতি ,জেলা ঠিকাদার সমিতির কোষাধক্ষ্য ইসমাইল কন্টাক্টর জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বাস্তবায়ন ও সঠিক প্রয়োগের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় সভা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময় মতো সাংবাদিকদের সাথেও আলোচনা করা হবে। ব্রিক ফিল্ড মালিকরা তাদের ব্যবসায় অনেক টাকা পয়সা পুজি খাটিয়েছেন, স্থান পরিবর্তনের জন্য সময় দিতে হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন না, সংশ্লিষ্টদের এমন অভিযোগের আলোকে জেলায় কর্মরত উপ পরিচালকের সাথে আলোচনার চেষ্টা করে সম্ভব হয়নি।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

আহলান বলেছেন: অনিয়ম আর অনিয়ম ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.