| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নির্মানের ৩৫ বছরে বাউন্ডারী হয়নি। ছাত্রী হোষ্টেলে ৪ জনের সিটে ৮ জন
গোলাম মহিউদ্দিন নসু , নোয়াখালীঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রান কেন্দ্র উপজেলা প্রশাসনের পাশে, চৌরাস্তায় অবস্থিত নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অরক্ষিত । বিশাল এ এলাকায় কোন বাউন্ডারী ওয়াল নেই। পুরো এলাকায় বসবাসরত প্রশিক্ষক , শিক্ষার্থী ,কর্মচারীগন সার্বক্ষনিক আতঙ্ক গ্রস্থ।এলাকায় উৎপাদিত ফসলাদির আয় পাওয়া দুস্কর।হোস্টেলে আসন কম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নানা রকমের সমস্যা গ্রস্থ। জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখার মতো এ প্রতিষ্ঠিানের সার্বিক সমস্যা দুরীকরনে পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী।
জাতীয় পর্যায়ে কৃষির উন্নয়নে ১৯৮১ সালে বেগমগঞ্জ মৌজায় ৫১.৯৮ একর জায়গায় ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার শিক্ষাক্রম চালু করে কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটটি যাত্রা করে। ১০ একর এবং ৪ একরের দুইটি পুকুর,১৭ একর ফসলের, ১ একর সব্জি মাঠ ,খেলার মাঠসহ প্রশাসনিক এবং একাডেমিক সকল ধরনের কক্ষ, শিক্ষকদের আবাসিক ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটটি। শিক্ষক কর্মচারী সহ ৪৮টি পদ সৃষ্টি করা হলেও বর্তমানে ৩৩টি পদ পুরন হয়ে ১৫টি পদেই খালি রয়েছে। অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ দুটি পদেই খালি । ৫জন মূখ্য প্রশিক্ষক পদ থাকলেও রয়েছে ৪ জন ।তন্মধ্যে এক জন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছে। প্রশিক্ষক ৮ জনের মধ্যে ৫ জন , কর্মচারী ২৯ জনের মধ্যে ১৮ জন কর্মরত আছেন। ৮ সেমিষ্টারে ৪ বছর মেয়াদে ৮ম সেমিষ্টার মাঠ প্রশিক্ষনের মধ্য দিয়ে কোর্স সম্পন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বর্তমান ৬ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষারত আছেন।
জানা গেছে, ছাত্রীদের হোষ্টেলে সিট সংকুলানের অভাবে প্রতি রুমে ৪জন থাকার সিটে ৭/৮ জন করে থাকতে হয়। যার ফলে ছাত্রীদের পড়ালেখা সহ সকল ধরনের সমস্যা প্রকট আকার দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কোন মিলনায়তন ও জিনমিশিয়াম নাই। আভ্যান্তরিন খেলা ধুলা, শরীর চর্চ্চা এমনকি বিশেষ দিবসে সম্মিলিতভাবে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয় না। প্রয়াজনীয় সংখ্যাক একাডেমিক কক্ষ না থাকায় প্রশিক্ষকদের বসা বা ক্লাস পরিচালনায় সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠান এলাকার মনোরম পরিবেশের প্রতি আরো যতœবান হলে এটি পর্যটকদের দশনীয় স্থানে পরিনত হবে। বিশাল দীঘিতে ইতোমধ্যে নানাধরনের অতিথি পাখির বিচরন পূর্বের তুলনা অনেক বেড়েছে। প্রশিক্ষন কাজের সাথে সম্পৃক্ত নানা কাজের ফার্ম কার্যক্রম থাকলেও অজ্ঞাত কারনে কতৃপক্ষ এ পদটি বিলুপ্ত করেছে।্ কিন্ত কাজের প্রয়োজনে একজন উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে প্রেষনে(ডিপুটেশনে) নিযুক্তি দেয়া আছে। পুনরায় এ পদটি অনুমোদন করা প্রয়োজন। এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে উচ্চ শিক্ষিত,মানসম্মত প্রশিক্ষকরা কৃষিবিষয়ক গবেষনা কাজের উপযোগী। এখানে কৃষি বিষয়ক গবেষনা ইউনিট চালু করার সূযোগ রয়েছে । বিশাল এ সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারী ওয়াল না থাকায় নানা রকমের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে । একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় জানুয়ারী মাসে বাউন্ডারী ওয়াল আংশিক নির্মান কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ছাত্রীদের হোষ্টেলের সিট বৃদ্ধি এবং বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান খুই জরুরী। প্রতিষ্ঠানের পুরো জায়গাটি জেলা প্রশাসকের নামের খতিয়ান থেকে কর্তন করে প্রতিষ্ঠানের কাগজিক ভিত্তি মজবুতি করনের বিষয়ে চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ কাজে আরো সহযোগী হওয়া প্রয়্জোন।
নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনসহ নোয়াখালীর দায়িত্বশীলজনরা এবিষয়ে এগিয়ে আসতে, বিশেষ করে বেগমগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ এবং চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহন করতে সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.