নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন শৃঙ্গলার উন্নয়নে নাগরিক ঐক্য জরুরী ঃ প্রেক্ষাপট বেগমগঞ্জ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩


--গোলাম মহিউদ্নি নসু


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের প্রাচীন স্থাপনাগুলো, পুরনো সৌহাদ্য আর সম্প্রীতির জলন্ত উদাহরন। এখানে হিন্দু মুসলিমের সহঅবস্থান সুদীর্ঘ কালের। একই পুকুর পাড়ে মন্দির আর মসজিদ। হিন্দুরা পূজা দিতে আর মুসলমানেরা এবাদত করতে একই পুকুরের পানিতে পবিত্র হওয়ার উদাহরন বিরল। এখানের ব্যবসায়ীরা নানা দলের,বিভিন্ন ইউনিয়নের হয়েও একই ব্যবসা একাধিক জনে করে থাকেন। দুই দলের দুইজন ব্যবসা করে একটা, এমন নজির এখানে আছে। সম্প্রতি সময়ের অপরাজনীতির করাল গ্রাসে পড়ে দীর্ঘ দিনের এ সূখী সমাজ আজ বিনষ্টের পথে। বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনসহ ব্যবসায়ীদের নীরব ভুমিকার কারনে কিছু পকেট মার,ছিনতাই, চাঁদিবাজি, দোকান ভাংচুর,লুটের চেষ্টা, গাড়ী পোড়ানো,রাস্তায় মারামারির মতো নাশকতার ঘটনা সংগঠিত হতে শুরু করেছে। যা সকলের জন্য উদ্বেগ-উৎকন্ঠার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে উপজেলার প্রশাসনিক সকল বিভাগীয় প্রধান, সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসন প্রতি মাসেই সভা করে । যার সুুফল তেমন প্রতিফলিত হয় না । অনেক সিদ্ধান্তই নেয়া হয়, যার কার্যকারিতা হয় না। দায়বদ্ধতার কারনে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানগনেরা উপস্থিত থাকলেও বাহিরের দায়িত্ববান সংলিষ্ট অনেকেই এ সভায় উপস্থিত থাকেন না। পৌর মেয়র উপস্থিত না থেকে কাউন্সিলর বা সচিব সভায় অংশ গ্রহন করেন। ব্যবসায়ী,পরিবহন মালিক, শ্রমিকসহ বিভিন পেশারœ লোক তেমন আসে না।কেউ বলে এখানে কথা বললে কার্যকর হয় না।
যে কোন পরিবহন পৌর এলাকায় প্রবেশ করলেই পৌর ট্যাক্স প্রদান করছে। কিন্ত আনন্দ-জননী গাড়ী ছাড়া সকল পরিবহনই প্রধান সড়কে ষ্ট্যান্ড করছে। একাধিক স্থানে পরিবহনের টার্মিনালের নামে জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে পৌরসভা মার্কেট করছে। পৌরসভায় ইতোমধ্যে গড়ে উঠা সকল মার্কেটই কোন পার্কিং বন্দোবস্ত না করায় গাড়ী গুলো রাস্তায় থাকে। কোন মেয়রই এ বিষয়টি সমাধান করেনি। বর্তমান মেয়র কথা দিয়েছ্ েএখনো কোন আলামত পাওয়া যায়নি। কোন কোন পরিবহন মালিকরা মান্থলী নামে পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈধতাকে লালন করছে। প্রচলিত আইন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আইনের কার্যকারীতার সূযোগ তৈরী না করেন,কখনো আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় ৩৭শ লোককে আসামী করে মামলা হয়েছে। এদের দুই শতাধিকজনই পুলিশ প্রশাসনের পরিচিতজন। ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে ঘনিষ্টজনও বটে। মামলার অজ্ঞাতনামা আসামী বলে ধরে আনলে নানা তদ্বিরের মাধ্যমে ছাড়া পায় । আবার অবৈধ অর্থ লেন দেনের কথাও শুনা যায়।অবশ্য পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এমন তথ্যাদি যদি সত্যই হয়ে থাকে, তাহলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করবে কে ? কি ভাবে ?
বেগমগঞ্জের জনগনের প্রতিনিধি এমপি মামুনুর রশিদ কিরন, উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুর রহিম দু’জনেই ভাল মানুষ। কিন্ত কমাতে পারেনি কাবিখা-টিআর , ফুড গোডাইন,সেটেলমেন্ট অফিসের কমিশন বা অবৈধ অর্থের লেনদেন। বিষয়টি বলতে গেলে প্রকাশ্য।
সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা, নিজেদের সন্তানকে উত্তম পরিবেশ দিতে চাইলে নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে। বেগমগঞ্জের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজের বিবেকের কাছে ওয়াদা বদ্ধ হয়ে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নাগরিক ঐক্য পরিষদ করে ভুমিকা নিলে প্রকৃত অর্থে সুফল বয়ে আনবে । এটি সময়ের দাবী। এ ঐক্য তৈরীতে চৌমুহনী পৌরসভা গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখতে পারেন। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হই।আইন শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতির ইতিবাচব উন্নয়ন ঘটাই। বেগমগঞ্জকে বাসযোগ্য করি।

লেখকঃ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
মসঁহড়ংঁ@মসধরষ.পড়স




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.