নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহত॥হাতিয়ায় ৯ জেলে অপহরন

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২২



নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের তেমুহনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোরশেদ আলম পারভেজ (২৪) নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছে। হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মুক্তি পনের দাবিতে জলসদ্যু আতিয়ার বাহিনী ট্রলারসহ ৯ জেলেকে অপহরণ করেছে ।
বৃহ¯প্রতিবার রাতে সোনাইমুড়ির তেমুহনীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মোরশেদ আলম পারভেজ উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ীর আলমগীর হোসেনের ছেলে। সে আমিশাপাড়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারভেজ রাতে সোনাপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সদস্য ও যুবলীগের নামধারি ক্যাডার জাকির হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনী সড়কের উপর দড়ি দিয়ে পারভেজের গাড়ীর গতিরোধ করে। এসময় তারা পারভেজকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পারভেজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।খবর পেয়ে পুলিশ তেমুহনী এলাকার সড়কের পাশের একটি ক্ষেত থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পারভেজের মৃতদেহ উদ্ধার করে।সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন দাবী করেন,মোরশেদ আলম পারভেজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিল।
সোনাইমুড়ী থানা জানায়, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাদের জানান ‘অবরোধকে ঘিরে সোনাপুর বাজারে পিকেটিংকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সাথে বিএনপি’র কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এর সূত্র ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় পারভেজ নিহত হতে পারে।
এদিকে, নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলার হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জলসদ্যু আতিয়ার বাহিনী ১০ লাখ টাকা মুক্তি পনের দাবিতে ট্রলারসহ ৯ জেলেকে অপহরণ করেছে। বৃহস্প্রতিবার পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, গভীর বঙ্গপসাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে বুধবার রাতে মেঘনা নদীর চর ইশ্বর পূর্ব হাজির বাজার এলাকা থেকে জলদস্যু আতিয়ার বাহিনীর সদস্যরা একটি ট্রলার জাল সহ ৯ জেলেকে অপহরণ করে জাহাজ্জার চরের দিকে নিয়ে যায়। এর পর অজ্ঞাত স্থান থেকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বারে জেলের আত্মীয় স্বজনের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করা হচ্ছে। অপহৃতদের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের রতন মাঝির পুত্র খবির মাঝি, বকু মাঝির পুত্র নিজাম মাঝি, কবির মাঝির পুত্র রুবেল মাঝি, রাজা মাঝির পুত্র দিদার মাঝি ও মোছলে উদ্দিন মাঝির পুত্র কবির মাঝি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপহৃত জেলেদের এক আত্মীয় সাংবাদিকদের জানান, তারা জলসদ্যুদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। দীর্ষদিন থেকে দস্যু আতিয়ার বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করে। জলদস্যুরা অপহরণ করে দূর্গম জাহাজ্জার চর, ঠেঙ্গার চর ও চট্টগ্রাম সি-বিচ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার পর মুক্তিপন না পেয়ে জেলেদের হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ কন্টোলরুমের সাথে আলাপ করলে তারা এমন কোন সংবাদ জানেন না বলে জানান। চর ইশ্বও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, তিনি ঢাকায় রয়েছেন। এমন কোন সংবাদ জানেন না। এবিষয়ে কোন সংবাদ জানলে তিনি জানাবেন। হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সামাদ জানান, ঐ এলাকায় কোন দস্যুরা মাঝিদের মাছ, টাকা-পয়সা লুট করে নিয়েছে বলে সংবাদ জেনেছেন। তবে কোন অপহরনের সংবাদ জানেন না, কেউ কোন অভিযোগ করেনি। বিষয়টি পুলিশের লোকজন মনিটর করছে।#




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.