| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালীঃ
নোয়াখালী জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কবির আহাম্মদের বিরুদ্ধে জনৈক শিক্ষিককে যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতনসহ নানা রকমে অপকর্মের অভিযোগ করেন। প্রায় ৫মাস আগে অভিযোগ করেও কোন সুফল না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন।
অভিযোগ মতে জানা যায়, জনৈক শিক্ষিকা ২০০৯ সালেনোয়াখালী চাকুরীতে যোগদান করেন। চাকুরীতে যোগদান সময়ে তিনি নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। চাকুরী কালীন সময়ে নিয়মিত ক্লাস না করে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টিকে পুজি করে জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কবির উদ্দিন শিক্ষিকাকে হয়রানী করতে শুরু করে। আবার তার বাসায় গিয়ে তাকে বস করতে চেষ্টা করে। অপরদিকে জেলা অফিসে ডেপুটেশনে কর্মরত ডাটা এন্টি অপারেটর হেদায়েতউল্যা সূযোগ বুঝে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নানা রকমের কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে। চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে হেদায়েত উল্যা তাকে নানাভাবে হয়রানীর চেষ্টা করে চলেছে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ প্রশাসনিক অনেককে জানিয়ে কোন সুফল পায়নি বলে শিক্ষিকার মা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসের ১৪ তারিখে প্রাথমিক ও গন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবরে অভিযোগপত্র প্রেরন করেন এবং প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থার অনুরোধ করে জেলা জজ,জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ১২জন কর্মকর্তার নিকট অনুলিপি প্রেরন করেন।
কিন্ত অদ্যবদী অভিযুক্ত কবির আহাম্মদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় অভিযোগকারীনি শিক্ষিকা ও তার পরিবার হতাশা ব্যক্ত করে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেন।
এবিষয়ে একাধিক উপজেলা (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিসার ও জেলা সহকারী প্রথমিক শিক্ষা অফিসার সাইনুল ইসলাম মজুমদারের সাথে আলাপে জানা যায়,্ এ সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে শুনেছেন এবং শিক্ষক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে,তারা জানেন না এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপের পরামর্শ দেন। নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজি নেছার আহাম্মদের সাথে আলাপ করলে তিনি এ সংক্রান্ত অভিযোগ বিষয়ে অবহিত আছেন এবং এ বিষয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় রেজুলেশন হয়েছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই জানেন, কেন এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপ করে জানা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।তবে কবির উদ্দিনকে বদলী করা হয়েছে শুনেছেন, বর্তমান অবস্থা জানেন না।
জেল্ াপ্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মব্যস্ত বলে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। অভিযুক্ত সহকারী জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার কবির উদ্দিন জানান, গত বছরে আছমা আক্তার নামে একজন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তদন্তের জন্য বিগত সময়ের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব প্রদান করে। সে মর্মে তদন্ত করে অভিযোগ সত্যতা পাওয়া যায়। এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষিকা সংক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা রকমের অসত্য অভিযোগ করে। যা দুর্নীতি দমন বিভাগসহ অনেকে তদন্ত করে কোন সত্যতা পায়নি। বর্তমানে বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তের অপেক্ষায় আছে বলে তিনি জানান। তার বিরুদ্ধে আনা কোন অভিযোগই সত্য নয় বলে তিনি জোরালো দাবী করেন। তিনি আরো বলেন,তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আর কোন অভিযোগ নেই।#
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
তারিখঃ
©somewhere in net ltd.