নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেলওয়ের দায়িত্বশীলজনদের উদাসিনতায় সরকারের কোটি টাকা গচ্ছা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২৫





চৌমুহনী রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ দোকান ,সাইডিং লাইনের উপর গার্ডরুম নির্মান

গোলাম মহিউদ্দিন নসু,(বেগমগঞ্জ)নোয়াখালীঃ

নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলষ্টেশন এলাকার বিশাল জায়গা অবৈধ দখল করে দোকানদারী চলছে।ডিবি রোডের উপর রেল গেইটের পাশেই ষ্টেশনের সাইডিং লাইনের উপরে গার্ডরুম নির্মান করে মালবাহী রেলবগি আসার পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রেলওয়ের দায়িত্বশীলজনদের উদাসিনতায় এতে সরকারের কোটি টাক গচ্ছা যাচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চৌমুহনী রেলষ্টেশনের মালীকিয় জায়গায়,পাশ্ববর্তী সাইডিং লাইনের উপরে দুই শতাধিক দোকান দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ডিবি রোডের উত্তরে ১০/১২ বছর আগে চৌমুহনী পৌরকতৃপক্ষ সাইডিং লাইনের উপরে পাকা রাস্তা নির্মান করেছে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে রেল গেইটের পাশে সাইডিং লাইনের উপরে নির্মান করা হয়েছে গার্ডরুম। সাইডিং লাইনগুলি ব্যবহার হয় না, এমন অজুহাতে চারিদিকে যত্রতত্র দোকান বসায় মানুষের চলাচল ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠছে। বর্তমানে গার্ডরুম নির্মান চলা কালে চারিপাশের খালি জায়গাগুলি দখলদারদের উচ্ছেদ করলেও সাধারন যাত্রী চলাচল ঝুকিপূর্ন রয়েই গেছে। তাছাড়া সাইডিং লাইনগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ায় সরকারের কোটি টাকা আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে্েছ।
ষ্টেশনের পুরনো শ্রমিক(কুলি),ব্যবসায়ী এবং সংলিষ্ট বুকিং কর্মকর্তাগনের সাথে আলোচনায় জানা গেছে, ২০০০সাল পর্যন্ত (৪টি) সাইডিং লাইনগুলো চালু থাকায় দৈনিক গড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হতো। রেল পথে আসা মালপত্রের পরিবহন খরচ কম হয় বলে বিক্রয় মূল্যও কম হতো। সাইডিং লাইনগুলো সংস্কার না করায় রেল পথে মালামাল আসা বন্ধ হতে শুরু হয়েছে। সরকার হারিয়েছে বিশাল অংকের রাজস্ব আয়। ক্রেতা সাধারন বাড়তি মূল্যে মালামাল কিনছে। চৌমুহনী বাজারের ব্যসায়িক ঐতিহ্য অনেক পুরানো। ১৯৭৯ সালে সারাদেশে রেল ষ্টেশনের আয়ের তুলনায় চৌমুহনী ষ্টেশণ সব চেয়ে বেশী আয় করার রেকর্ড রয়েছে। এখনো ছাতকের কমলা, সিলেটের পাথর, ডেল্টা জুট মিলের কিছু পাট, দিনাজপুর নওগা থেকে চাউলের কিছু আমদানী এ পথে চলছে। যা মূল ট্রেনের সাথে বগি যোগ করা হয়।এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৫মে জানুয়ারীতে ষ্টেশন মাষ্টার সাইডিং লাই্ন মেরামতের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্রগ্রামের বিভাগীয় সিওপি/পূর্ব/সি,আর,বি এর বরাবরে অনুরোধ পত্র পাঠান। এমনকি সাইডিংএর মধ্য দিয়ে রেল লাইন সহকারে কার্পেটিং করার সংবাদটি জানানোর পরও কর্তৃপক্ষ কোনই ব্যবস্থা নেয়নি। দায়িত্বশীলজনরা উদাসিন থেকে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আবার অবৈধভাবে লাভবান হয়ে দোকান বসিয়ে নিজেরা লাভবান হয়ে চলেছে।
এ বিষয়ে চৌমুহনী স্টেশন মাষ্টারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, দোকানীদের দখলকৃত জায়গ্গাুলি লিজ দেয়া হয়নি।তাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেয়া হয় না। বিভিন্ন সময়ে উর্ব্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশ ক্রমে দোকানীদের উঠিয়ে দিলে, দু’একদিনপর আবার বসে পড়ে।
গার্ডরুম নির্মন সময়ে রেলওয়ে লাকসাম রেঞ্জের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাম নারায়ন ধরকে সরজমিন পেয়ে অবৈধ দখল, সাইডিং লাইনের উপরে অপরিকল্পিতভাবে গার্ড রুম নির্মান বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি কোন কথা না বলে “যা হচ্ছে সব উর্ধ্বনকতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতবেক হচ্ছে ”বলে পাশ কেটে যান।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদাক তপন চন্দ্র মজুদার, অধ্যাপক মাছুম বিল্লাহ তরুসহ বেশকয়েকজন সুশীল সচেতনজনদের অভিমত‘ রেলওয়ের দায়িত্বশীলজনদের উদাসিনতায় সরকারের কোটি টাকা গচ্ছা
’ যাচ্ছে। তারা নিজেরা অবৈধভাবে লাভবান হতে গিয়ে সরকারের আয় বঞ্চিত করছে। এ বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখঃ ০২.১৫

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: সারা দেশেই এভাবে দখল বানিজ্য চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.