| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
পাঁচ’শ কিলোমিটার সড়ক এখনও কাঁচা ॥ পাকাগুলোর বেহাল দশা
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী ঃ
দেড়শত বছরের পুরোনো নোয়াখালী পৌরসভা ৭২০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৫০০ কিলোমিটার সড়ক এখনও কাঁচা । ১০০ কিলোমিটার আধা পাকা। ১২০ কিলোমিটার পাকা। পাকা-আধা পাকা সড়কগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সড়কেরই বেহাল দশা।বর্তমানে এসব সড়কগুলো যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
প্রতি বছর শহরের প্রধান সড়কসহ সংযুক্ত সড়কগুলোর সবগুলোই হাটু পানিতে ডুবে যায়। প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত প্রত্যেকটি সড়ক খানাখন্দক হয়ে আছে। সরকারি আবাসিক এলাকার (ফ্ল্যাট) সড়ক, জেলা জজকোর্ট-প্রেসক্লাব সড়ক, জেলা প্রশাসন-পুলিশ সুপার-সিভিল সার্জন অফিস সড়ক, শিল্পকলা এ্যাকাডেমি-সরকারি প্যারামেডিকেল স্কুল-পাঁচ রাস্তার মোড় সড়ক, মাইজদী বাজার- মাইজদী স্টেশন সড়ক, মাইজদী বাজার-জেলখানা-পুলিশ লাইন-সুজাপুর সড়ক, মাইজদি বাজার-মাস্টার পাড়া হয়ে -নোয়াখালী সরকারি কলেজের সংযুক্ত প্রায় সবগুলো সড়ক, সার্কিট হাউজের সামনের দত্তেরহাট গরু বাজার পর্যন্ত সড়ক, ফকিরপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিনারায়ণপুর ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে মুরগীর ফার্ম সংলগ্ন সড়কগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবগুলো সড়কই কয়েক বছর থেকে যান চলাচল অযোগ্য হয়ে রয়েছে । বর্ষা মৌসুমতো দুরের কথা শুকনো মৌসুমে এ সড়কগুলোতে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে।
শহরের অভ্যান্তরিন সড়কের রিক্সার ড্রাইভারদের অভিযোগ- প্রধান সড়ক, হাউজিংয়ের সড়কগুলো ছাড়া পৌরসভার প্রত্যেকটি সড়কই গাড়ি (রিকশা) চালানোর অযোগ্য। এ সব সড়কে কিছুক্ষন গাড়ী চাললে শরীর অসুস্থ হয়ে যায়, গাড়ির টায়ার, রিং, স্প্রুকসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কিছুনা কিছু নষ্ট হয়।
মাইজদী বাজারের বাসিন্দা কামাল হোসেন মাসুদ, পূর্ব মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা ডাঃ খোন্দকার শহীদুল্যাহ বলেন- মাইজদী বাজার থেকে পশ্চিম দিকে পুলিশ লাইন হয়ে সুজাপুর, মাইজদী বাজার-মাইজদী স্টেশন সড়ক ও মাস্টারপাড়ার ভিতর দিয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজ যাওয়ার বেশ কয়েকটি সড়ক পুরোটাই খানাখন্দ । ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমন অবস্থা। এ সব সড়ক দিয়ে রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে বেশি। ফলে দেখা যায় সুস্থ্য মানুষও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রতিদিন ছোট-খাট দু-তিনটি দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় যানবাহন চালকরা সাধারণ মানুষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ডাঃ শহীদুল্যার বিদ্যা নিকেতনে পড়ুয়া মেয়ে কলিসহ মাষ্টার পাড়া বাসির অভিযোগ, এ এলাকাকে মাষ্টারের পাড়া বলা হলেও মূলত এখানে কোন দায়িত্বশীল মানুষ বসবাস করে না,দায়িত্ববানদের আচরনে এমনই মনে হয়। এমন অভিযোগ অসংখ্য পৌরবাসীর। পৌর শহরের আভ্যন্তরের বিভিন্ন ইজিবাইক ও রিকশা চালকরা ক্ষোভের সাথে বলেন- প্রতিটি রিকশা নতুন লাইসেন্স করতে ২০০ টাকা ফি দেয়া হচ্ছে। আবার প্রতি বছর ১০০ টাকা করে নবায়ন ফি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইজিবাইকগুলো লাইসেন্স না করলেও অবৈধভাবে পুলিশ, বিট ইত্যাদি নামে প্রতিদিনই অনেক টাকা নেয়া হচ্ছে। অথচ সড়কগুলোতে গাড়ি চালানো দু:সাধ্য। নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া পৌর শহরের সড়কগুলোর বেহাল দশার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন- দীর্ঘদিন পর্যন্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার স্বল্পতার কারণে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় সড়কগুলোর এমন দশা হয়েছে। বর্তমানে আধুনিক ও যুগপোযোগী ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। পুরোপুরিভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে সড়কে আর পানি জমবে না।
সহকারী প্রকৌশলী শাহীদুল ইসলাম জানান,- ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক, জজকোর্ট-প্রেসক্লাব ও প্যারামেডিকেল স্কুলের সামনের সড়ক,মাইজদি স্টেশনরোডসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পুন:পাকা করণের জন্য বিএমডিএফ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি টাকার টেন্ডার সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য সড়কগুলোরও পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করা জন্য প্রক্রিয়া চলমান াাছে।।#
©somewhere in net ltd.