| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দুই বছর ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীঞ্জ উপজেলায় ছোট ফেণী নদীর তীরে মুছাপুর রেগুলেটর ক্লোজার বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় শনিবার। কাজ সম্পন্ন হওয়ার দুই ঘন্টা পর তা জোয়ারের পানির তোড়ে নদীর মধ্যবর্তী স্থান ২শ ফুট সোজা নিচের দিকে দেবে যায়।
শনিবার সকাল থেকে ছোট ফেণী নদীতে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ ক্লোজ করার সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টেন কোম্পানী লিমিটেড বাঁধের মুখে লোহার পল্টন তৈরী করে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ ক্লোজ করে। বাঁধটি ২ঘন্টা থাকার পর প্রবল জোয়ারের তোড়ে ছিড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে এপ্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথমার্ধে বাঁধ ক্লোজ হওয়াটি শতভাগ নিশ্চিত করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।বর্তমানে ১শ ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হলেও তার কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় পরবর্তিতে ১শত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলায় সরকারীভাবে সফর কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে মুছাপুর রেগুলেটর ক্লোজার বাঁধ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী একাজের উদ্বোধনের ২ মাস ১৪ দিনের মাথায় কাজটি আবারও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।মুছাপুর রেগুলেটরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য বর্তমান সরকার ৪৯ কোটি ৪৮ লাখ বরাদ্ধ দেয়ার পর বাংালাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিডিপি লিমিটেড নামের সংস্থা ক্লোজার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। উপজেলার মুছাপুর গ্রামে নদী ভাঙন রোধে উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণাধীন ২৩ ভেন্টের রেগুলেটর প্র্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৫ সালে। কোম্পানীগঞ্জের উপকূলে অব্যাহত নদীভাঙ্গন ঠেকাতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে “নতুন ডাকাতিয়া ও পুরাতন ডাকাতিয়া-ছোট ফেনী নদীর পানি নিস্কাশন প্রকল্পের” আওতায় কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে ২০০৫ সালে প্রথম ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩ ভেন্টের রেগুলেটর নির্মাণ শুরু হয় । ২০০৫ সালের ৮ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেছিলেন। রেগুলেটরের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২৩টি ভেন্টে ২৩টি করে রেডিয়্যাল গেইট ও ফ্ল্যাব গেইট স্থাপন করা হয়। এ রেগুলেটরের পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা হবে ৭৫৬.১৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং এর পানি ধারন সমতল (+) ৪.০০ মিটার (পিডব্লিউডি)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ৮০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। খাদ্যশষ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমান ১৫৫ শতাংশ শষ্যের নিবিড়তা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২২০ শতাংশে। তখন বছরে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন। যার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।#
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
সুমন কর বলেছেন: বলার কিছু নাই ...................