| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
-----গোলাম মহিউদ্দিন নসু
সরকারি -বেসকরকারি দপ্তর সমূহের যাবতীয় সেবা সমূহ উল্লেখ করে বাহিরে ঝুলানোর নিমিত্তে সিটিজেন চাটার্র বোর্ড ।। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সহজে পাওয়ার উপায় সিটিজেন চাটার্র বোর্ড। গ্রাম থেকে শহরের সর্বচ্ছ অফিসে এ সিটিজেন চার্টার বোর্ড থাকা বাধ্যতা মূলক। কিন্ত দেশের ৮০ভাগ অফিসে সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর নয়। ফলে সরকারের বিঘোষিত নীতি স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করনের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষমাত্রা মারাত্বক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
জেলা-উপজেলা সহ বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে এ তথ্যের সত্যতা মিলে। যে সব অফিসের বাহিরে এ সিটিজেন চার্টার বোর্ড নেই, এমন কয়েকটি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে তারা কেউ বোর্ড তৈরী করে রুমে রেখে দিয়েছে। আবার কেউ লিষ্ট তৈরী করে যতœ করে ফাইলে রেখে দিয়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা অফিসের সিটিজেন চাটার্ড বোর্ড খানা দর্শনীয় জায়গায় ঝুলানো দেখা গেছে। মহিলা বিষয়ক অফিসের সামনে মোটামুটি থাকলেও মৎস অফিসের বোর্ড তৈরী করে তা রুমের মধ্যে রেখেছে।। চৌমুহনী পৌরসভার বোর্ড গুলি ঝুলানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায়, থানায় আংশিক বোর্ড রয়েছে। কিন্ত এসব খাতে উন্নয়নের নিমিত্তে দেয়া আর্থিক বরাদ্ধেও বা প্রকল্পের তালিকা কোথাও নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী,পিআইও দপ্তরে কোটি কোটি টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। কিন্তু কোথাও কোন কাজের তথ্য খুজে পাওয়া যায় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে এলজিএসপি নামে একটি প্রকল্পের কাজ চালূ রয়েছে। গত ১০ বছর যাবত এ প্রকল্পের কোথায় কি কাজ হয়েছে বা হচ্ছে কোথাও এর তালিখা ঝুলানো নেই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা , প্রকল্পের তালিকা ইউএনও অফিসে জমা দিয়ে থাকে। তার কপি পাওয়া যায় না। এমনক্যি তথ্য অফিসে আবেদন করেও পাওয়া যায়নি। কিন্ত অত্র প্রকল্পের নীতিমালায় সুষ্পষ্ট বলা আছে- জনগনকে জানিয়ে তাদের মতামত নিয়ে প্রকল্প বাচাই হবে। তাদের মতামতের জন্য দর্শনীয় স্থানে তালিকা ঝুলানো থাকবে। প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে বছরে কত টাকার কতটি প্রকল্প কোথায় বাস্তবায়িত হয় তার কোন তথ্য কোথাও ঝুলানো নেই।
বিআরডিবি ,যুব উন্নয়ন,মহিলা বিষয়ক দপ্তরে বিভিন্ন ক্যাটাগরি লোকের মাঝে লোন দেয়া হয়,জন স্বাস্থ্য ্ প্রকৌশল দপ্তর থেকে প্রতি বছর ডিপ টিউবওয়েল ও স্যানিট্যারি রিং ল্যাট্রিন দেয়া হয়, যার কোন চলমান তথ্য কোথাও ঝুলানো নেই।
২০১১ সালে তৎকালীন উপজেলা নিবার্হী অফিসার খোন্দকার নূরুল হক নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের ১৭অক্টোবর তারিখের লিখিত নির্দেশের আগেই উপজেলার ২৭টি দপ্তরের প্রধানদের নিয়ে ৫ মে নিবার্হী অফিসারকে সভাপতি ও সহকারি কমিশনারকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন । কমিটিতে সাংবাদিকসহ স্থানীয় গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তখন সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।কিন্ত গত১০ বছরে তার কোন কার্যকারিতা দেখা যায়নি।
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
বেগমগঞ্জ ,নোয়াখালী
মসঁহড়ংঁ@মসধরষ.পড়স
০১৫৫৭-৩৬১৪৪০
তারখিঃ ২০.৩.১৫
©somewhere in net ltd.