| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
হাসপাতালের কাজ চলে মা ও শিশু কল্যন কেন্দ্রে ॥ দাপ্তারিক কাজ চলে স্কুর হেলথ ক্লিনিকে
গোলাম মহিউদ্দিন নসু, নোয়াখালীঃ
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২জন ডাক্তার থাকার পরও ভবনের অভাবে ৯ বছর সেবা বঞ্চিত বেগমগঞ্জের ৮ লক্ষাধিক মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চলে ৫০ শয্যা হাসপাতাল, দাপ্তারিক কাজের জন্য দখল করা হয়েছে স্কুল হেলথ ক্লিনিক। জন স্বার্থে ভবন নির্মানের জন্য ৬ একর ভুমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্তের সেলামির ২৬ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় দ্রুত অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন।
২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে বেগমগঞ্জ উপজেলা; বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ি উপজেলায় বিভক্ত হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সোনাইমুড়ি এলাকায় পড়ে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের উন্নয়ন - ২ শাখার স্বারক নং ১৬৭ মূলে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল বেগমগঞ্জ ১০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করে সেটিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য হাসপাতাল সংলগ্ন অকৃষি সরকারি খাস জমি হতে ৬ একর জায়গা বন্দোবস্ত চেয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মেমো নং -১৮২২/১(১) তারিখ ২৯/১১/০৭ মোতাবেক নথি নং ১/০৬-০৭ মূলে ভূমি মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরন করে। ভূমি মন্ত্রনালয় স্বারক নং- ১৪৯৮ তারিখঃ ১৬/১১/২০১১ মূলে ভূমির সেলামি পরিশোধের শর্তে উক্ত ভূমি বন্দোবস্তের সম্মতি জ্ঞাপন করে। জেলা প্রশাসক নোয়াখালীর স্বারক নং ২৯০ তারিখঃ ১২/২/১৫ মূলে উক্ত ভূমির মূল্য ২৬ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন স্বারক নংÑ ১৩৬০/১(৫) তারিখঃ ১২/২/১৫ মোতাবেক উল্লেখিত টাকা বরাদ্ধ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে চিঠি প্রেরন করেন। বেগমগঞ্জ উপজেলার ৮ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার স্বার্থে প্রস্তাবিত অর্থ দ্রুততম সময়ে বরাদ্ধ দিতে চৌমুহনী উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি ও পৌর মেয়র আকতার হোসেন ফয়সল, সদস্য সচিব সাংবাদিক গোলাম মহিউদ্দিন নসুসহ সচেতন মহল জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে ইতিবাচক ভুমিকা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরনের প্রতি অনুরোধ করেন।
সংযুক্তি আদেশে ৬ জনসহ মোট ২২জন ডাক্তার এখানে নিযুক্ত আছেন। কেউ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডিপুটিশনে কাজ করেন। আবার অনেকে বসার জায়গার অভাবে বহিঃ বিভাগের রুগী সেবা দিতে পারেন না বা হাসপাতালে থাকেন না। জমি বন্দোবস্ত না দেয়ায় ভবন নির্মান করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন কয়েকশ রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ১০ শয্যা হাসপাতালকে ২০০৬ সালে ৩১ শয্যায়, ২০১০সালে ৫০ শয্যায় উন্নিত করার ঘোষনা দেয়। কিন্তু হাসপাতালের অবকাঠামোর কোন উন্নতি করা হয়নি। ডাক্তাররা রুগীদের ভর্তি করে ভাঙ্গা ছিটে, মেঝেতে,বারান্দায়, এমনকি রান্না ঘরে রেখে চিকিৎসার কাজ চালায়। জানা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ১জন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,৬জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার,(১জন গাইনী,১জন সার্জিক্যাল,১জন অর্থোপেডিক,১জন কার্ডিওলজি, ১জন শিশু ও ১জন চর্ম রোগ) ডেন্টাল এমবিবিএস ১জন, মেডিকেল অফিসার ৪ জন, ল্যাবরেটরি টেকনিসিয়ান-২জন, নার্স ৮জনকে পোষ্টিং দেয়া আছে। এ ছাড়া অবকাঠামোগত ব্যবস্থা থাকলে ১জন আরএমওসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইএনটি,মেডিসিন, এনেসথেসিয়া ও চক্ষু বিষয়ে আরো ৪জনকে এবং ২জন নার্সকে পোষ্টিং দেয়ার পদ রয়েছ্।ে সরকারের পরিকল্পনা মতে প্রয়োজনী প্রায় সকল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা আছে।সব ধরনের ব্যবস্থা থাকার পরও প্রায়োজনীয় ভবনের অভাবে ৫০ শয্যা হাসপাতালে এখনো ৩১ শয্যার বরাদ্ধ দেয়া হয়্ কিন্ত ছিট বসানোর কোন কক্ষ না থাকায় মাত্র ৮টি মহিলা ও ৮টি পুরুষের ছিট বসানো আছ্ ে। তবে রোগীদের চাপে বিশেষ সময়ে ২০/২২ জন রোগী ভর্তি করে মেঝেতে ছিটের ব্যবস্থা করতে হয়। বহু বছরের পুরনো মাও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চলে হাসপাতালের কাজ, আর স্কুল হেলথ ক্লিনিক প্রশাসনিক দপ্তর হিসাবে ব্যবহার হয়। এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই।ডাক্তার রোগীরা বাহির থেকে এনে পানি পান করে। হাসপাতাল এলাকায় আবাসিক ডাক্তার (আরএমও)থাকার জন্য কোন বাসা নেই যে কারনে রাতের বেলায় নানামূখী সমস্যা হয়।। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মালিকানাধীন আবসিক ভবনে ভিজিটর থাকেন।
বিগত তত্বাবধায়ক সরকার আমলে প্রায় ৫শকোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, প্রশাসনিক ভবনসহ একাধিক ভবন নির্মান হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি নির্মান হয়নি। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের নীচ তলায় ডাক্তারদের বসার জায়গা এবং জরুরী বিভাগ ব্যবস্থা রয়েছে। রোগীদের অভিযোগ এ হাসপাতালে প্রায়ই সময়ে ডাক্তার পাওয়া যায় না।পোষ্টিং পাওয়া ডাক্তারগন বসার জায়গা নাই এমন ওজুহাতে ঠিকমত আসে না বলে ভুক্তভুগীদের অভিযোগ। জানা গেছে,প্রতিদিন ৩/৪শ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। বিষযটি কতৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নিয়োগ প্রাপ্ত ডাক্তারগন নিয়মিত কাজ করতে পারবেন এবং এলাকাবাসী উপকৃত হবেন.
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
বেগমগঞ্জ,নোয়াখালী
gmunosu&gmail.com
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
৩.৪.১৫
©somewhere in net ltd.