নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র দুরাবস্থার শিকার

১৫ ই মে, ২০১৫ ভোর ৬:১৯


গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সরকারের সকল ব্যবস্থা থাকার পরও শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় কক্ষের অভাবে বেগমগঞ্জ উপজেলা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র(গঈডঈ) টি নানা মূখী দুরাবস্থার শিকার। জনপ্রতিধি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ব্ধতনরা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারের জনসেবা কার্যক্রমের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সহায়তা করার জোর দাবী ভুক্তভোগীদের।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সকল বয়সী নারী ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সকল ধরনের সেবা দিতে ১৯৬১সালে বেগমগঞ্জ হাই স্কুলের বিপরীত পাশে ২০ কক্ষের একটি দ্বিতল ভবন নির্মান করে সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়। ১৯৭৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের আদেশে অত্র উপজেলায় একটি ১০ শয্যার হাসপাতালের ঘোষনা দেয়া হয়। হাসপাতাল ভবন নির্মান সাপেক্ষে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের নীচ তলা ব্যবহার করে ১০ শয্যা হাসপাতালের কাজ চালু করা হয়। সম্প্রতি হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষনা হয়। কিন্ত হাসপাতাল ভবনটি আজো নির্মান করা হয়নি। এখানে ঝুলানো হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাইন বোর্ড।ডাক্তারদেও বসার ব্যবস্থাও এখানে। হাসপাতালে ২২ জন ডাক্তার পোষ্টিং রয়েছে।কক্ষ না থাকায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে জনগন। আবার হাসপাতালের জন্য অস্থায়ী ভাবে কক্ষ ছেড়ে দিয়ে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা নারী ও শিশুরা নানা রকমের বিড়ম্ভনার শিকার হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে কর্মরত ভিজিটর শামছুন্নাহারসহ অপরাপররা রোগী এবং কর্মরতদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে জানান, একই কক্ষে বসে ৪ জন ভিজিটর কাজ করে থাকে। যা কোন মতেই দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না। রোগীদের পরীক্ষা কক্ষ,সিট সমুহ এমনকি অপারেশন কক্ষটি নিতান্তই পরিবেশ সম্মত নয়। মালামাল রাখার ষ্টোর রুমে জায়গার সংকুলান হয় না বিধায় রোগীদের ওয়াডরুমে, অপারেশনাল যন্ত্রাংশ জীবানু মুক্ত করন কক্ষে এমন কি বারান্দায় যত্র-তত্র মালামাল রাখা হয়।রোগীদের জন্য কোন ধরনের অপেক্ষাগার নাই। বৃষ্টিতে ভিজা বা রোদে পুড়তে হয়। মাত্র কয়েকজন বারান্দায় দাঁড়ানোর জায়গা আছে।এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন,স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উব্ধতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অবহিত করেও কোন সমাধান হয়নি। কেন্দ্রের নিয়মিত সেবা কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনায় জানা গেছে, এপ্রিল/১৫ মাসে বিনা মূল্যে গর্ভভতীর চেকআপ-১৭৭জন, প্রসূতি চেকআপ-২৪ জন, নিরাপদ প্রসব-৩০জন, সাধারন রোগী-১৮০ জন, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমন-২১ জন,০ থেকে ১ বছরের শিশু-৪৩ জন,১ থেকে ৫ বছরের শিশু-১৩৩ জন, লাইগেশন-২২ জন,-ভ্যসেকটমি-২ জন, এমআর-২ জন, কপারটি-৫ জন,ইমপ্লান্ট- ৪, ইনজেকশন-৮৩ জন, খাওয়ার বড়ি-২১৯ জন, কনডম-২৫ জনকে সেবা দেয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ১৭ আইটেমে ২টি ডিডিকিটস অন্ততঃ ১০ হাজার টাকা মূলের ঔষধ বিনা মূলে বিতরন করা হয়। জন্ম নিরোধক কনডম প্রতি ডজন সরকার মূল্য ১ টাকা ২০ পয়সা নেয়া হয়। বাকি সকল ঔষধ/সেবা বিনা মূলে দেয়া হয়। এখানে সকল বয়সী নারীদের জরায়ু ক্যান্সার পূর্বাস্থা ও স্তনের পরীক্ষা করে সম্ভব চিকিৎসা করা হয় অথবা উন্নত চিকিৎসার সহযোগীতা দেয়া হয়। পরিবার কল্যান ভিজিটর-৪জন, দাই নার্স-৩ জন,আয়া-১জন, মিডওয়াইফ/ধাত্রী-১ জন, পিয়নকাম চকিদার-২ জন, সুইপার-১ জন স্বাভাবিক সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া কেন্দ্রের সকল সেবা ২৪ ঘন্টা উন্মুক্ত থাকে, যা পরিদর্শিকাসহ অন্যানরা সুবিধাজনক সময়ে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করে।
এা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার কামরুল হাছান(এমওএমসিএইচ) বলেন, ইচ্ছা থাকার পরও এখানে আসা রোগীদেও প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। হাসপপাতালের জন্য সাময়িকভাবে ভিন্ন ব্যবস্থা করা গেলে জনগন উভয় প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে হুবিধা হতো।
সরজমিনে অপেক্ষমান ২/১জন রোগী অভিযোগ করেন, ডেলিভারী, এমআর বা চেকআপের মতো কাজে টাকা নেয়া হয়। রোগীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ভিজিটররা বলেন সকল সেবাই বিনা মূল্যে দেয়া হয়। তবে সেবায় সন্তোষ্ট হয়ে কেউ কিছু দিলে তা হয়তো নেয়া হয়।
সরকারের স্বাস্থ্য সেবার এমন মহৎ কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরীর জন্য চৗমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল/স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন অথবা স্থানীয় ধন্যাঢজনরা জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় ভিন্ন কোন ভবনে হাসপাতালটি সরিয়ে নিতে পারেন। যাতে হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র উভয় প্রতিষ্ঠানের সেবা জনগনের জন্য নিরাপদ ও নিশ্চিত হবে।#


গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখঃ ১৩.৫.১৫


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.