নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতিয়ায় বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে নোয়াখালীর ৭৯টি ইউনিয়ন প্লাবিত

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২২


৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানি বন্দি ॥ ৮৬ মেঃ টন চাউল ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ
নোয়াখালী সংবাদদাতা:
হাতিয়ার নলচিরা ইউনিয়নে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে বৃহ¯প্রতিবার দুপুরের পর থেকে নোয়াখালীর কোম্পনীগঞ্জ, হাতিয়া, সূর্বনচর, কবিরহাট, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি, চাটখিলসহ জেলার ৯টি উপজেলার নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছ্ ে। জেলার ৭৯ ইউনিয়ন এখন প্লাবিত। পূর্বের প্লাবিত এলাকায় জনগনের দূর্ভোগ আরো বাড়ছে। গত কয়েক দিনে এলাকার দু’শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী ও পাঁচশতাধিক গাছ উপড়ে পড়ায় যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্য তৈরী হয়েছে।
প্লাবিত এলাকার পানিবন্ধি কয়েক লাখ মানুষ নিরাপদ পানি এবং রান্নার সমস্যার কারনে খাদ্যের অভাবে পড়েছে। ভেসে গেছে ছোট বড় হাজার হাজার মাছের হ্যাচারী ও খামার । খালের উপর বেসাাল জাল, বাঁধ কেটে প্রশাসন পানি নামানোর কাজে গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জাকির হোসেন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূইয়া জানান,উপজেলার সকল ইউনিয়নে প্লাবনের কারনে ২ হাজার একরের ১০ হাজার মাছের পুকুর ও প্রজেক্টে অন্তত ৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। ১২ হেক্টর আউস ফসল,২৮ হেক্টর আমন ফসলের বীজতলা ও ১৫০ হেক্টর শাকসব্জির ক্ষতি হয়েছে। আল-বারাকা হ্যাচারির মালিক মাসুদুল হক চৌধুরি জানান ,তার হ্যচারি -নার্সারি থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ডিম ওয়ালা ও পোনা মাছ ভেসে গেছে।
নোয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম জানান,নদী উত্তাল থাকায় বাধ ভেঙ্গে এবং খাল দিয়ে পানি ঢুকে নোয়াখালীর প্রায় সকল অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাধ দেয়া বা পানি ঢুকা বন্ধ করায় এখন কোন ধরনের কাজ করার সূযোগ নেই। তবে মৌসুমে এ গুত্বপূর্ন কাজ গুলো মেরামত করা হবে।
জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা শাহরুল ইসলাম মোঃ আবু হেনা জানান, জেলার ৯২টি ইউনিয়নের মধ্যে জলবদ্ধতার সময়ে ৭০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছিল। গত দু দিনের জোয়ারের পানির কারনে প্লাবিত ইউনিয়ন৭৯ মোট গ্রাম ৩৫৩ তে দাড়িয়েছে॥ পানি বন্দি লোকের সংখ্যা ৪ লাখ ২৪ হাজার ৮শ। প্লাবিত সকল ইউনিয়নের জন্য গড়ে ১০/১১ টন চাউল ২০-২২ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ পাঠানো হয়েছে।কোমেন প্রভাবে হাতিয়া যে শিশুটি মারা গেছে, তাকে সাহায্য পাঠানোর প্রস্ততি চলছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, চিকিৎসা এবং জরুরী খাদ্য সরবরাহের সকল প্রস্ততি রয়েছে।সংবাদ পেলে অবশ্য দায়িত্ব পালন করবে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার জন্য প্রস্তত রয়েছে। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারে বরাত দিয়ে তিনি জানান, এ যাবত একটি শিশু ও ২৫টি মহিষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া জেলার আর কোথাও মৃত্যুর সংবাদ নাই। তবে অতিরিক্ত পানির কারনে কয়েক লাখ মানুষ পানি বন্ধী হয়ে আছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি, চরফকিরা, মুছাপুর ইউনিয়ন, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ, ধানশালিক, ধানসিঁড়ি উপজেলা, সূবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর, চরবাটা, চরক্লার্ক, চরওয়াপদা, চরজুবলী, আমানউল্ল্যাহ, পূর্ব চরবাটা, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এবং হাতিয়া উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে এসব উপজেলা গুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য, কোম্পানীগঞ্জে ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১৩টি মেডিকেল টিম, কবিরহাটে ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১২টি মেডিকেল টিম, সূবর্ণচরে ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৭টি মেডিকেল টিম, হাতিয়া ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা গুলোর সকল সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় গুলো প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। #

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.