| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালী প্রতিনিধি ঃ
কয়েকদিনের টানা বর্ষন ও সাগর উত্তাল হয়ে হাতিয়ার নলচিরা ও চর ইশ্বর ইউনিয়নে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ফলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন চৌমুহনী পৌরসভার নিম্মাঞ্চলসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় জরুরী ত্রান সামগ্রী পৌছানো দ ্রুততম সময়ে পানি নামাতে এলাকায় বেসাল জাল আটক,বাঁধ কাটার কাজ অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন,পৌর মেয়র ও এলাকার চেয়ারম্যানগন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জেহাদ হোসেন জানান, দূর্গত এলাকায় বিতরনের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিক ভাবে পাওয়া ১০ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ২০ হাজার টাকা চেয়ারম্যানদের কাছে পৌছানো হয়েছে। জরুরী বরাদ্ধ হিসাবে আরো ৩ টন চাউল পাওয়া গেছে যা রোববার বন্টনের ব্যবস্থা করা হবে।
চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল কয়েকদিন থেকে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্ষতি গ্রস্থদের সম্ভাব্য সহযোগী প্রদান করছেন। যে সব রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে সেগুলো সরজমিন দেখতে এলাকায় ঘুরছেন। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকার ধনীজনদেও থেকে সহায়তা নিয়ে গরীবদের মাঝে বিতরন করছেন। তিনি বলেন, এ বন্যায় পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাহিদা হাবিবার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ২৩টি বেসাল জাল আটক করেছেন। ছোট বড় অনেক গুলে বাঁধ কেটে দ্রুত পানি নামার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । শতাধিক ঘর নষ্ট হওয়ার সংবাদ জেনেছেন। পূর্বে পাওয়া ত্রান সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। আরো কিছু বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।ক্ষতির তুলনায় দেয় বরাদ্ধ অপ্রতুল বিধায় আরো বরাদ্ধ চেয়ে চিঠি দেয়া হবে।
একলাশপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান,ইউনিয়নের প্রায় সকল রাস্তাাই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। জয়কৃষ্নপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে জলমগ্ন এলাকার লোকজন আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। ৭-৮টি পরিবারের ৩০-৩৫ জন লোক আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনির মোল্লা জানান, জয়কৃষ্নপুর স্কুলে আশ্রয়ন কেন্দ্র হিসাবে লোক ঢুকতে শুরু করেছ্।ে উপজেলার যে কোন স্কুলে প্রয়োজনে এ কাজে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তত রাখা আছে। উপজেলার ১৩৯টি স্কুলে কমবেশী পানি প্রবেশ করায় পাঠদান কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা মৎস অফিসার জাকির হোসেন জানান,জলবদ্ধতায় এবং জোয়ারের পানি আসায় বেগমগঞ্জে ক্ষতির পরিমান বেড়ে গেছে। ২ হাজার একরের ১১ হাজার মাছের পুকুর ও প্রজক্টে অন্তত ৩-৪ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম ভূইয়া জানান, ১৫ হেক্টর আউস ফসল, ১৫০ হেক্টর শাকসব্জির ক্ষতি হয়েছে, তবে ৩৪ হেক্টর আমন ফসলের বীজতলা সম্পুন্ন ধংস্ব হয়ে গেছে।
ম্যাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, নিত্যনন্দনপুর আলিম মাদ্রাসা, শহীদ আমানউল্যা পাবলিক উ/বিদ্যালয়, লাউতলী উ/বিদ্যালয়, জমিদারহাট উ/বিদ্যালয়, আলাইয়ারপুর কাজিরহাট ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা, ঘাটলা ইসলামিয়া আালিম মাদ্রাসা, চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসাসহ এলাকার
অন্তত ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে॥ তবে কমবেশী প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পনিতে ক্ষতি সাধিত হয়েছে ।
জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাহারুল ইসলাম আবু হেনা জানান, জেলার ৭৯ টি ইউনিয়নে ১০ টন গম ও নগদ ২০ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
সাবেক ছাত্রনেতা দ্বীন মোহাম্মদ ভূইয়া জানান, গাবুয়া এলাকায় পানি বেড়ে পাসপোর্ট অফিস, কারিগরী ও টেকস্টাইল স্কুল, যুব উন্নয়ন অফিস ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র এলাকা চলা চলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বেগমগঞ্জের সর্বত্র পানির কারনে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যা প্রশাসনের নজরে আসা দরকার #
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখÑ১.৮.১৫
©somewhere in net ltd.