নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশ্রয় কেন্দ্রে থেকেও তারা নিরাপদ নয়

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১১



গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী ঃ
নোয়াখালীর একলাশপুর ইউনিয়ন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার ঘর-বাড়ী ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পাশ্ববর্তী জয়কৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে এসেও তারা নিরাপদ নয়। বিদ্যালয়ের পুরানো ভবনের ফ্লাস্টার খসে পড়ছে মাথায়, ছাদ আর দেয়াল ছুয়ে পানি ঢুকছে থাকার ঘর হিসাবে ব্যবহৃত শ্রেনী কক্ষে।

বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেনীকক্ষে ক্লাস করতে তাদের ভয় হয়। বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে চুইয়ে পানি পড়ে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে অনেকদিন ছাদের ফ্লাষ্টার ভেঙ্গে পড়েছে। তারা সবসময় ভয়ে থাকে।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানালেন,১৯৯৫ সালে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ ৪ কক্ষ বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবনটির পূর্ণনির্মান করেন। যার ব্যায় ছিল ৪ লাখ তিরানব্বই হাজার টাকা। তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব বরকত উল্লা বুলু কাজের উদ্বোধন করেন। কাজের মান তেমন ভাল হয়নি বিধায় অল্প সময়ে দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, ৫ জন শিক্ষক ও বর্তমানে আশ্রয় গ্রহনকারী শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুরা সার্বক্ষনিক ঝুকিতে আছে। ছোট খাট ফ্লাস্টার টুকরা প্রায়ই খসে পড়ে। যে কোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ন ভবনে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বলেছেন তার বাড়ীর একটি ঘরে পাঠ দান কাজ চালাতে। বর্তমানে ২য় সাময়িক পরীক্ষা চলছে ,তাছাড়া প্রশাসনিক অনুমোদন না পেলে ক্লাস স্থানান্তর করা যায় না।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম রবিন জানান, ভবনটি সংস্কারের জন্য কয়েক দফা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সম্প্রতি বন্যায় আশ্রিতদের দেখার জন্য বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসার আসেন। তারা ভবনটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, কক্ষ-সংকটের কারনে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়টি ঝুকিপূর্ন তালিকা ভুক্ত করে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলার আরো ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহিৃত করা হয়েছে। যা কতৃপক্ষ অবহিত আছেন।#

গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারখি ঃ ২২.৮.১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.