নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন্সুরেন্স এবং এমএলএম বিড়ম্বনা

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪


-----গোলাম মহিউদ্দিন নসু

বিশ্বের উন্নত দেশে ইন্সুরেন্স বা বীমা কর্মীকে বলা হয় সভ্যতার দুত। এমএলএম কোম্পানী বা কর্মীকে বলা হয় আইডেল ফেন্ড;মানে আদর্শ বন্ধু। এ সব কথা অনেকেই বলতে শুনা যায়। আবার দায়িত্ববান, ভবিষ্যতে বিশ্বাসী অনেকেই এ কাজে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। কেউ কেউ ,এদেরকে অনুপ্রানিত- উৎসাহিত করতে তাদের সভা সেমিনারে স্বয়ং হাজির হয়ে অতিথির আসনে বসে গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশনাল বক্তব্য দিয়ে থাকেন। যা জনমনে বিশাল বিশ্বাস তৈরী করে।
কিছু সংখ্যক অসাধু লোভী স্বার্থপর চরিত্রহীন লোকজন জনহিতকর এ কাজকে ক্ষতি করছে দেখে হতাশ হতে হয়। এ শয়তানরা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয়, এমন দেখেও প্রশাসনের দায়িত্বশীলজনারা নির্বাক থাকে তখন আরো স্তম্ভিত না হয়ে পারা যায় না।
১৯ মার্চ রাতে নেহাৎ একটা আড্ডা দিচ্ছিলাম। চৌমুহনী প্রেস ক্লাবের জনৈক সভাপতি,সাবেক ইন্সুরেন্স অফিসার, এমএলএম রিচ বিসনেস কোম্পানীর বড় সংগঠক প্রসঙ্গত বললেন, একজন বীমা গ্রাহক প্রায় এক বছরের জমা রশিদ নিয়ে এসেছেন তাঁর কাছে, যার সব গুলি রশিদ নম্বর একই। তার মানে কোম্পানীর একটা রশিদকে কালার ফটোকপি করে বীমা কর্মী গ্রাহকে ঠকিয়ে টাকা নিয়েছে। যা কোম্পানী তহবিলে হয়তো জমা হয়নি। এমন আরো উদাহরন জানা, কোম্পানীর কাঁচা রশিদে টাকা জমা নিয়ে কোম্পানী তহবিলে জমা দেয়নি । কোম্পানীর পাঁকা রশিদ গ্রাহকদের দেয়নি। ধরা পড়ে কিছু গ্রাহকের মূল টাকার কিছু ফেরৎ দিয়েছে।এমন গ্রাহকের ভবিষ্যতে তার পাওনার নিশ্চয়তা কি? এমন চরিত্রের বীমা কর্মী কোনদিন আইনের আওতায় আসবে কি?
এ সবের সঠিক কোন জবাব নেই।জনগন নিরব বিড়ম্বনার শিকার হয়ে চলেছে ! ! !
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম বিজনেজ, নেট ওয়ার্ক মার্কেটিংকে একই মতে ব্যবহার করে অসংখ্য কোম্পানী বাংলাদেশে জমিয়ে কাজ করতে দেখেছি।সরকারের বড় বড় দাায়িত্ব থেকে অবসর নেয়া কোন কোন কর্মকর্তাগন কারো কারো সাথে এ কাজের শীর্ষে ছিলেন। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সরকারের অনেক আমলাও তাদের এ সব সভা সমাবেশে যোগ দিয়ে দেশ গঠনে এমন সংগঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছেন। কো-অপারিটিভ সোসাটির নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় কর্তা ব্যাক্তিকেও দেখা গেছে এসব সংস্থার শরিকদার হতে । দীর্ঘ ১০/১৫ বছর স্বদর্পে ব্যবসা করার পর- বলা হলো- এরা নাকি জনগনের পকেট কাটছ্!ে মানুষের টাকা হাতিয়ে ভাটভাটোয়ারা করে খাচ্ছে। সরকারের অনুমতি নিয়ে ১২ বছর ব্যবসা করে বিশাল অংকের মালিক হওয়ার পর তাদের অর্থ জব্দ করার উদ্দেশ্য- কার স্বার্থে? জব্দ করার নামে আয় মূলক প্রতিষ্ঠানের অর্থের ভাট ভাটোয়ারা চুরির নামে ভাগাভাগি এমন অভিযোগ ইতোমধ্যে শুনা যায় । দায়িত্বশীলজনরা এ নিয়ে ভুমিকা নিতে দেখা যায় না। সাধারন মানুষ সরকারের কাছেও বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে বলে অনেক গ্রাহক মনে করেন। সৃষ্ট বিড়ম্ভনার শিকার সেই জনগনই?
জনগনকে এসব বিড়ম্ভনা থেকে মুক্তি দেয়া জরুরী নয় কি ? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের সকলের।



গোলাম মহিউদ্দিন নসু
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
মসঁহড়ংঁ@মসধরষ.পড়স

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.