| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
ভবন নির্মানের ১১ বছরেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ১৪ বছরে ফাটল দেখা দেয়
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর ওয়াসেকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করে বিদ্যালয় ভবনের পাশের গাছ তলায়। সরকারের সংলিষ্ট বিভাগ ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করে। ২০১৪ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডঃ রহিমা খাতুন সরজমিনে পরিদর্শন করে ভবন নির্মানের আশ্বাস দিলেও আজো তা কার্যকর হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হোসনেয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে এ ভবনটি নির্মান করা হয়। ২০০৬ সালেই ভবনের ছাদ থেকে পানি পড়া শুরু হয়। ২০০৯ সালে আবার ছাদের উপর জলছাদ করে। কিন্ত তাতে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বরং মূল ভবনে ফাটল ধরে। ভবনে পাঠদান করানোটা শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের জীবনের হুমকি হয়ে পড়ে। ফলে ২০১৩ সালে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করে।
বর্তমানে রোদ বৃষ্টির মাঝে নানা ধরনের প্রতিক’লতায় বিদ্যালয়ের পাশে গাছ তলায় ছাত্র- ছাত্রীদের পাঠদান কাজ চালানো হয়।অক্টোবর মাস থেকেই নিয়মিত মাঠে ক্লাস করাতে হয়। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন সকালে বেঞ্চগুলো বের করে, আবার বিকালে রুমে ঢুকাতে হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশ জন। শিক্ষক পদ সংখ্যা ১০ জন হলেও বর্তমানে ৭ জন আছেন। ব্যবহার অনুপযোগী এ ভবনে অফিস কক্ষ ১টি ও পাঠদান কক্ষ ছিল ৩টি। বর্তমান শিক্ষার্থীর তুলনায় তাও ছিল অপ্রতুল। পাশের একটি ভবনে অফিস কক্ষ ও সজ্জিত ক্লাস রুম হিসাবে ব্যবহার করছেন।
তিনি আরো জানান , নির্বাহী অফিসারের পরামর্শমতে গত জুন মাসে বিদ্যালয় ভবনের অবস্থা বর্ননা করে তাঁর বরাবরে আবেন করা হয়েছে। সাময়িকভাবে একটি টিন সেড ঘর করার চেষ্টা চলছে। জরুরী ভাবে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করা দরকার।
এক প্রশ্নে তিনি জানান, বিদ্যালয় এলাকায় ( ৬+-১৪) ৮৪৮ জন শিশু আছে। তন্মধ্যে ৪শ জনই এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রতি বছরের সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ পাশ করেন এবং ২/১জন টেলন্টফুল বৃর্ত্তি পেয়ে থাকে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, সরকার যখন প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করে দেশে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে চায়। তখন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এমন উদাসিনতা সত্যই জাতির জন্য দূর্ভাগ্য জনক।
সোনাইমুড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েছে অনেক আগে। ঝরাজীর্ন দশায়ও ক্লাস করা হয়েছিল। সম্প্রতি সময়ের বন্যায় ভবনের করুন দশা দেখে শিক্ষার্থীদেরকে ভবনের বাহিরে ক্লাস করতে বলা হয়েছে। পরিত্যাক্ত এ ভবনটি পূন নির্মানের জন্য সংলিষ্ট দপ্তরে কয়েক মাস আগে চিঠি দিয়েছেন। সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ রহিমা বেগম বিষয়টি জানেন এবং তিনি সরজমিনে দেখেছেন। এখনই কোন ভবন করা যাইতেছে না বিধায় সাময়িকভাবে পার্শবর্তী ওয়াছেকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষের ব্যবস্থা করা অথবা স্থানীয়ভাবে সাময়িক কোন ঘর নির্মান করা যায় কিনা এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা চলছে। প্রসঙ্গত তিনি আরো বলেন, সোনাইমুড়িতে অনেকগুলো বিদ্যালয়ের ভবন ঝরার্জীন দশায়, যে গুলি পূন নিমার্নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে কতগুলো ভবন ঝরার্জীন এবং পূন নির্মানের জন্য কবে চিঠি দিয়েছেন তা জানাতে পারেননি।#
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখ ঃ ৯.১১.১৫
©somewhere in net ltd.